রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

তালেবান খতম অভিযান কি শেষ সমাধান এনে দেবে

পেশোয়ারে ১৩২ জন স্কুলছাত্রের হত্যাকা-ের বদলা হিসেবে পাকিস্তান তালেবানবিরোধী এক অভিযান শুরু করেছে। উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে দুই দিনের অভিযানে খতম করা হয়েছে প্রায় ১১৯ জন তালেবান জঙ্গিকে। একই সঙ্গে শুরু হয়েছে দোষীদের ফাঁসিতে ঝোলানোর প্রক্রিয়া। কিন্তু এতে করে কি পাকিস্তানে তালেবানি উল্লম্ফনকে ঠেকানো যাবে? পাকিস্তানে এ ধরনের ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও ২০১১ সালে পাকিস্তানের নেভাল এয়ার ফোর্স মেহরানে হামলা কিংবা ৮ জুন করাচির জিন্নাহ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে হামলা প্রমাণ করে জঙ্গিরা কত শক্তিশালী। পেশোয়ার হত্যাকা-ের পর এর দায়দায়িত্ব গ্রহণ করেছে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান বা টিটিপি নামে একটি জঙ্গি সংগঠন। টিটিপি জানিয়েছে, তারা আরো হামলা চালাবে। সুতরাং পাকিস্তান সরকার ওই হামলাকে যে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে, এটাই বড় প্রশ্ন এখন। তবে এটা স্বীকার করতেই হবে যে, এ ধরনের একটি হত্যাকা-, বিশেষ করে সেনানিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে, অভ্যন্তরীণভাবে সমর্থন না পেলে পরিচালনা করা সম্ভব নয়। এর অর্থ পরিষ্কার_ টিটিপির সমর্থন রয়েছে সেনাবাহিনীর ভেতরে। সেনাবাহিনীর একটি মহলের সমর্থন ও সহযোগিতা ছাড়া সেনা ছাউনির ভেতরে অবস্থিত স্কুলে জঙ্গি হামলা চালানো সম্ভব নয়। সুতরাং সেনাবাহিনীর এই অংশকে যদি নিষ্ক্রিয় করা না যায়, তাহলে জঙ্গিদের দমন করা যাবে না। এরা বার বার হামলা চালাবে। রাজনীতিতে যারা 'ষড়যন্ত্রতত্ত্ব'-এ বিশ্বাস করেন, তারা এই হামলার সঙ্গে একটি 'ষড়যন্ত্র' খুঁজে পেতে পারেন। আর ষড়যন্ত্রটি হচ্ছে সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা বা আইএসআই সিভিল প্রশাসনের ওপর তাদের কর্তৃত্ব অব্যাহত রাখতে চাইছে। পাকিস্তানে জেনারেল পারভেজ মোশাররফের ক্ষমতা থেকে উৎখাত এবং রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে ক্ষমতা পরিচালনা আইএসআই কখনো ভালো চোখে দেখেনি। আইএসআই অনেক দিন থেকেই সরকারের ভেতরে আরেকটি সরকার হিসেবে কাজ করছে। এখন মোশাররফ-পরবর্তী সময়ে পিপিপির নেতৃত্বে একটি সরকার ও চলতি বছরে নওয়াজ শরিফের পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে আসার মধ্য দিয়ে আইএসআইর ক্ষমতা কিছুটা হলেও হ্রাস পেয়েছে। ফলে গোয়েন্দা সংস্থার ওপর নির্ভরতা বাড়াতেই আইএসআইর যোগসাজশে এ হত্যাকা- ঘটে থাকতে পারে। এটা তো বলার অপেক্ষা রাখে না যে, নওয়াজ শরিফকে এখন জঙ্গি দমনে বেশি মাত্রায় সেনাবাহিনীর ওপর নির্ভর করতে হবে। আইএসআই এমনটিই চাচ্ছে, যাতে তারা সিভিল প্রশাসনের ওপর প্রভাব খাটাতে পারে। 'ষড়যন্ত্রতত্ত্ব'-এর বড় প্রমাণ কিছু দিন আগে ইমরান খানের নেতৃত্বে একটি আন্দোলন সরকার পতনে ব্যর্থ হয়েছিল। অনেকেরই স্মরণ থাকার কথা, ইমরান খানের সমর্থকরা রাজধানী ইসলামাবাদের একটা অংশ দখল করে নিয়ে অবস্থান ধর্মঘট করলেও, সরকারের পতন ঘটেনি। অনেকেই ধারণা করেছিলেন সরকারের সঙ্গে বিরোধী দলের দ্বন্দ্বের সুযোগে সেনাবাহিনী আবার ক্ষমতা দখল করতে পারে। ওই ঘটনার রেশ ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই পেশোয়ারে নৃশংস হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটল। এ ঘটনা নিঃসন্দেহে নওয়াজ শরিফকে আরো সেনাবাহিনী-মুখাপেক্ষী করবে। সিভিলিয়ান প্রশাসন আরো দুর্বল হবে এখন পাকিস্তানে। পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে জঙ্গিদের বার বার হামলা একটি আশঙ্কাকে উস্কে দিল যে, পাকিস্তান কি আগামী দিনে তার অস্তিত্ব নিয়ে টিকে থাকতে পারবে? ঐতিহাসিকভাবেই বৃহত্তর খাইবার অঞ্চলের জনগণ কারোরই কর্তৃত্ব মানেনি। তারা ব্রিটিশদের কর্তৃত্ব মানেনি। পাকিস্তানি কর্তৃত্বও তারা মানে না। পাকিস্তানে এই অঞ্চল বিশেষ একটি অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত। পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে এটা দৃশ্যমান যে, এই অঞ্চল অদূর ভবিষ্যতে আফগানিস্তানের একটা অংশের সঙ্গে মিশে গিয়ে নতুন একটি রাষ্ট্রের জন্ম দিতে পারে। বেলুচিস্তানও আলাদা হয়ে যেতে পারে। করাচিকে কেন্দ্র করে মোহাজিরদের আলাদা রাষ্ট্র গঠনের দাবিও কোনো কোনো মহল থেকে উচ্চারিত হচ্ছে। ফলে অদূর ভবিষ্যতে পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রটি যদি শুধু লাহোর আর ইসলামাবাদ ভিত্তিক হয়ে পড়ে, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। পেশোয়ারে শিশু হত্যার এই ঘটনা পাকিস্তানের সব রাজনৈতিক দলকে অন্তত একটি ইস্যুতে এক পতাকাতলে দাঁড়ানোর একটি সুযোগ করে দিয়েছে। পাকিস্তানে ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন তেহরিক-ই-ইনসাফ দলটি বর্তমান পাকিস্তানে প্রধান বিরোধী দল। তারা এ ঘটনায় তাদের সরকারবিরোধী আন্দোলন আপাতত স্থগিত করেছে। এটা একটা ভালো লক্ষণ। তবে এটা ভুলে গেলে চলবে না যে, খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে যে সরকার রয়েছে, সেই সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছে ইমরান খানের দল। অনেকে অভিযোগ করেন, ইমরান খানের দলের সঙ্গে ইসলামি জঙ্গিদের সম্পর্ক রয়েছে। এর পেছনে সত্যতা যা-ই থাকুক না কেন, বাস্তবতা হচ্ছে খাইবার-পাখতুনখোয়ায় জঙ্গিদের সঙ্গে সেখানে তেহরিক-ই-ইনসাফের একধরনের সহাবস্থান হয়েছে। না হলে দলটি ক্ষমতা পরিচালনা করতে পারত না। এ ক্ষেত্রে জঙ্গি দমনে ইমরান খানের ভূমিকাকে ফেলে দেয়া যাবে না। এখন পাকিস্তানে তালেবানি জঙ্গিদের যদি নিয়ন্ত্রণে আনা না যায়, তাহলে তা পাকিস্তান ছাড়িয়ে ভারতে এবং বাংলাদেশেও প্রভাব বিস্তার করতে পারে এবং এ দেশ দুটির নিরাপত্তার হুমকি সৃষ্টি করতে পারে। ভারতে জঙ্গিদের তৎপরতার খবর আমরা জানি। সর্বশেষ পশ্চিম বাংলার বর্ধমানে যে জঙ্গি তৎপরতার খবর সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে, তা আমাদের উৎকণ্ঠার জন্য যথেষ্ট। বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতা তেমন একটা নেই। কিন্তু এরা আছে। পাকিস্তানে এরা যদি 'উৎসাহিত' হয়, তাহলে তা আমাদের এ অঞ্চলের জঙ্গিদের উৎসাহ জোগাবে। পাকিস্তানে জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধি শুধু খোদ পাকিস্তানের নিরাপত্তাকেই ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেবে না, বরং বৈশ্বিক নিরাপত্তাও ঝুঁকির মুখে থাকবে। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, পাকিস্তান একটি পারমাণবিক রাষ্ট্র। পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণ করে সেনাবাহিনী। এখন এই কর্মসূচি যদি কোনোভাবে জঙ্গিদের হাতে চলে যায়, তাহলে তা স্থানান্তরিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বিশেষ করে ইরাক-সিরিয়া জুড়ে ইসলামিক স্টেটের জঙ্গিরা পারমাণবিক প্রযুক্তির ব্যাপারে উৎসাহিত হবে বেশি। সুতরাং জঙ্গি তৎপরতা রোধ করাটা জরুরি। এ ক্ষেত্রে সার্কের আওতায় একটি যৌথ কর্মসূচি গ্রহণ করা উচিত। সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানও জরুরি। মনে রাখতে হবে, জঙ্গিবাদ আজ শুধু পাকিস্তানের একার সমস্যা নয়। জঙ্গিবাদ আজ মানবতার শত্রু। সুতরাং একে দমন করা না গেলে সার্কের উন্নয়ন প্রক্রিয়া থমকে যাবে। এ ক্ষেত্রে দুটো বড় দেশ পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সব ধরনের বৈরিতা কমিয়ে আনা প্রয়োজন। দুটো দেশের গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধেই বড় অভিযোগ রয়েছে যে, তারা একে অন্যের দেশের অভ্যন্তরীণ ঘটনায় মদদ জোগায়। এ অভিযোগ কমিয়ে আনার জন্যই উভয় দেশের গোয়েন্দা সংস্থার জঙ্গি দমনে একসঙ্গে কাজ করা উচিত। জঙ্গি দমনে পাকিস্তানের 'বিশেষ স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে' (যা ঋঅঞঅ নামে পরিচিত) দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন ড্রোন হামলা পরিচালিত হয়ে আসছে। এতে বেশকিছু জঙ্গি নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষও সেখানে মারা যাচ্ছে। এ হামলা বন্ধ করা উচিত। ড্রোন হামলা চালিয়ে জঙ্গি দমন করা যাবে না। বরং তালেবানদের সঙ্গে যে 'সংলাপ' শুরু হয়েছিল, সেই 'সংলাপ' অব্যাহত রাখতে হবে। পাকিস্তানে ইসলামপন্থী দলগুলোকেও এ প্রক্রিয়ায় সংযুক্ত করতে হবে। প্রয়োজনে একটি সর্বদলীয় সংসদীয় কমিটি গঠন করে তালেবানদের সঙ্গে 'সংলাপ' শুরু করতে হবে। পাকিস্তান সরকার বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে সেনাপ্রধান ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানকে কাবুলে পাঠিয়েছিল। সেখানে নতুন আফগান প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তারা কথা বলেছেন। এটা ভালো দিক। তালেবান দমনে আফগান সরকারের সহযোগিতা দরকার। পাকিস্তান তার জন্মের ৬৭ বছরে একাধিক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে অতীতে। ১৯৪৭-পরবর্তী পাকিস্তান মুখোমুখি হয়েছিল প্রথম সমস্যার_ ভারত যেখানে একটি গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক বিনির্মাণ করেছিল, সেখানে পাকিস্তানের ভূস্বামী আর সেনা জেনারেল ক্ষমতা অাঁকড়ে ধরে রেখে গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে। ১৯৭১-পরবর্তী নতুন এক পাকিস্তানের জন্ম হলেও সেনাবাহিনীর ভূমিকায় কোনো পরিবর্তন আসেনি। পাকিস্তান দ্বিতীয় সমস্যার মুখোমুখি হয় বাংলাদেশে গণহত্যা ও বাঙালিদের ন্যায্য অধিকারের প্রতি চরম অনাস্থা প্রদর্শনের কারণে। প্রথমবারের মতো নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার যে সম্ভাবনার জন্ম হয়েছিল তা নষ্ট হয়ে যায়। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জনগণ তাদের রাষ্ট্র কাঠামো প্রতিষ্ঠা করে। পাকিস্তান তৃতীয় সমস্যার মুখোমুখি হয়, যখন ১৯৭৯ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তান দখল করে নেয়। আফগানিস্তানে সোভিয়েত সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সিআইএ পাকিস্তান-আফগান সীমান্তবর্তী অঞ্চলের (যা ঋঅঞঅ নামে পরিচিত) মাদ্রাসাগুলো বেছে নেয়। জন্ম হয় তালেবানি রাজনীতির। এ অঞ্চলের মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়। ধর্মকে ব্যবহার করা হয় হাতিয়ার হিসেবে। চতুর্থ সমস্যার মুখোমুখি হয় পাকিস্তান, যখন ২০০১ সালে মার্কিন সেনাবাহিনী তথাকথিত 'সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ'-এর নামে আফগানিস্তান দখল করে নেয়। শুরু হয় এক দীর্ঘ যুদ্ধ। অস্ত্র আর অর্থ আসতে থাকে পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোয়। ইতোমধ্যে সমগ্র সীমান্তবর্তী অঞ্চলের রাজনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। সেখানে জন্ম হয় কট্টর ধর্মীয় গোষ্ঠীর, যারা উদ্যোগী হয় এ অঞ্চলে একটি 'জিহাদি রাষ্ট্র' প্রতিষ্ঠার। অস্ত্র রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে। সনাতন রাজনীতি এখান থেকে বিদায় নেয়। এই জঙ্গি ধর্মীয় রাজনীতির প্রতি মানুষের সমর্থন না থাকলেও, মানুষ অনেকটা 'জিম্মি' হয়ে পড়ে। দুঃখজনক হলেও সত্য, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা এ প্রক্রিয়ায় নিজেদের জড়িত করে। প্রথম দিকে তাদের টার্গেট ছিল আফগানিস্তানে তালেবান বাহিনী তৈরি করা। পরে খোদ পাকিস্তানে জন্ম নেয়া পাকিস্তানি তালেবানদের তারা 'প্রমোট' করতে শুরু করে, যাদের তারা 'ব্যবহার' করতে শুরু করে পাকিস্তানের সনাতন রাজনৈতিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে। এটাই এখন ফ্রাংকেনস্টাইন দানবে পরিণত হয়েছে। এখন যে প্রশ্নটি বড় হয়ে দেখা দিয়েছে, তা হচ্ছে_ এভাবে সেনা অভিযান পরিচালনা করে কি জঙ্গিবাদ উৎখাত করা যাবে? জঙ্গিবাদ এখন পাকিস্তানের সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করেছে। সবচেয়ে জরুরি যা তা হচ্ছে সেনাবাহিনী তথা আইএসআইর ভেতরে যে জঙ্গিবাদের প্রভাব পড়েছে, তা কমাতে হবে। এজন্য সেনাবাহিনীতে ব্যাপক শুদ্ধি অভিযান চালানো দরকার। উপরন্তু গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ওপর সিভিলিয়ান কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করাও জরুরি। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নূ্যনতম ইস্যুতে 'ঐক্য' প্রয়োজন। আপাতত এ ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বটে। কিন্তু অচিরেই আমরা দেখব দলগুলোর মধ্যে জঙ্গি দমন প্রশ্নে বিভক্তি! বিশেষ করে ইসলামপছন্দ দলগুলো এবং ইমরান খানের দল, এদের কর্মকা-ের এবং পরোক্ষ সহযোগিতার কারণেই সীমান্ত প্রদেশে জঙ্গিবাদের বিস্তার ঘটেছে। এই 'ঐক্যটা' জরুরি। এটা না হলে জঙ্গিবাদ আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। পাকিস্তান যদি জঙ্গিবাদ দমন করতে না পারে, তাহলে আমাদের আগামীতে নতুন করে পাকিস্তানের ইতিহাস লিখতে হবে। Daily Jai Jai Din 29.12.14

0 comments:

Post a Comment