চিনের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং আই এখন ঢাকায়। তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ২৭
ডিসেম্বর সন্ধ্যায় তিনি ঢাকায় এসেছেন। গতকাল বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে তার দ্বিপক্ষীয় আলোচনা হয়েছে। মূলত
চিন-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২০১৫ সালে চিন বেশ কিছু
পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। আর এই পরিকল্পনাগুলো নিয়ে মতবিনিময় করার জন্যই তার
ঢাকায় আসা। তবে বলাই বাহুল্য আঞ্চলিক যোগাযোগ, অর্থনৈতিক সাহায্য বৃদ্ধি
ইত্যাদি প্রসঙ্গ নিয়েও আলোচনা হবে। এখানে বলা ভালো, ১৯৭৫ সালে চিন
বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে চিন একটি
গুরুত্বপূর্ণ অংশ। চিন বাংলাদেশের নিকট-প্রতিবেশী। বাংলাদেশ এই সম্পর্ককে
গুরুত্ব দেয়। চিনের পররাষ্ট্রনীতি এখন আর আগের মতো মতাদর্শ দ্বারা চালিত হয়
না। বরং চিনের পররাষ্ট্রনীতি ব্যবসা ও বিনিয়োগনির্ভর। তাই সঙ্গত কারণেই
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধি পেয়েছে। ৫ জানুয়ারির (২০১৪) নির্বাচনের পর
প্রধানমন্ত্রী চিন সফর করেছেন। তার ওই সফরে বেশ কটি চুক্তি স্বাক্ষরিত
হয়েছে। এরপরই চিনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে এলেন। প্রধানমন্ত্রীর
চিন সফর একটা ব্যাপক প্রত্যাশার সৃষ্টি করলেও ওই সফর নিয়ে প্রশ্ন যে ছিল
না, তা বলা যাবে না। কোনো কোনো মহল থেকে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের চিনের প্রতি
‘ঝুঁকে পড়ার’ এই প্রবণতাকে ভালো চোখে দেখেনি ভারতের নীতিনির্ধারকরা।
ভারতের প্রভাবশালী দৈনিক ‘দি হিন্দু’ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল শেখ হাসিনা
চিনা প্রধানমন্ত্রী লি চেখিয়াংয়ের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ‘চিনা নেতৃত্বাধীন’
এ শতাব্দীতে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশীদার হওয়ার প্রস্তাব নিয়ে ভারতের
নীতিনির্ধারকরা সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন। যদিও সরাসরি কোনো ভারতীয় নেতার
মন্তব্য এতে পাওয়া যায়নি। গেল জুন মাসের ২৫ তারিখ ঢাকা সফর করে গেলেন নয়া
ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। তার ঢাকা সফরের সময় ভারতীয় নেতা এ
বিষয়ে বাংলাদেশের কাছ থেকে আরও ব্যাখ্যা চেয়েছেন কি না, আমরা জানি না। তবে
একটা কথা বলা প্রয়োজন। ওই সময় বেশ কটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও
বাংলাদেশের জন্য অগ্রাধিকার তালিকায় যে প্রকল্পটি প্রথমে ছিল, সেই
সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের ব্যাপারে কোনো চুক্তি স্বাক্ষরিত
হয়নি। বিভিন্ন ইস্যুতে দুপক্ষের মধ্যে মতপার্থক্য ছিল। বাংলাদেশ বন্দর
পরিচালনার ভার অন্য কোনো বিদেশি কোম্পানির হাতে ছেড়ে দিতে চায় না। চিনা
সরকার এটি পেতে চায়। উল্লেখ্য, চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ার কোম্পানির পাশাপাশি
ইউএই, নেদারল্যান্ডস ও ডেনমার্ক সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে
আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। কিন্তু একটি বাছাই কমিটি প্রথমে চায়না হারবারকে যোগ্য
বলে অভিমত দিয়েছিল। চায়না হারবারের প্রস্তাব অনুযায়ী তিন ধাপে ১০ বছরের
মধ্যে এই নির্মাণ সম্পন্ন হবে। ব্যয় হবে ৩ দশমকি ৫ বিলিয়ন ডলার। তবে প্রথম
পর্যায়ে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলার। ৩ বছরে প্রাথমিক পর্যায়ের
কাজ শেষ হবে। বড় জাহাজগুলো এখন এখানে নোঙর করতে পারবে (এখন চট্টগ্রাম
বন্দরেব বড় জাহাজ ঢুকতে পারে না। সিঙ্গাপুর থেকে ছোট জাহাজে পণ্য আনতে হয়।
এতে সময় নষ্ট হয় প্রচুর)। প্রথম পর্যায়ে বন্দরে ২০ লাখ টিইউইউস (কনটেইনার
টার্মিনাল) কনটেইনার ধারণ করতে পারবে। আর সাধারণ কার্গোর (খোলা পণ্য) ধারণ
ক্ষমতা হবে ৪৬ লাখ ৫০ হাজার টন। এখানে এখন অনেক কিছু দেখার বিষয় রয়েছে।
আমার বিবেচনায় বাছাই কমিটির চায়না হারবারকে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল
সঠিক। কেননা চিনারা এ বিষয়ে যথেষ্ট দক্ষতা অর্জন করেছে। এ অঞ্চলে অন্তত
তিনটি গভীর সমুদ্রবন্দরের খবর জানা যায়, যা চিনা অর্থে এবং চিনা
বিশেষজ্ঞদের দ্বারা নির্মিত হয়েছে ও পরিচালিত হচ্ছে। শ্রীলংকায় দুটি গভীর
সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করে দিয়েছে চিন। একটি হামবানতোতায়, অপরটি কলম্বোতে।
কিছুদিন আগ পর্যন্ত হামবানতোতায় ছিল গভীর জঙ্গল। ছোট্ট একটা শহর, যেখানে
কোনো ভালো হোটেল ছিল না। প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষের জন্মস্থান এখানে। চিন
এখানে ৪৫০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে একটি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করেছে। ফলে
পুরো হামবানতোতার দৃশ্যপট বদলে গেছে। হামবানতোতা আজ একটি আন্তর্জাতিক নগরীর
মর্যাদা পেয়েছে। নামকরা ক্রিকেট স্টেডিয়াম রয়েছে এখানে। আগামী ২০১৮ সালে
এখানে কমনওয়েলথ গেমস অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কলম্বোতে যে বন্দরটি নির্মিত
হয়েছে, তাতে বছরে ৮ লাখ কনটেইনার হ্যান্ডেলিং করা সম্ভব হবে। গভীর
সমুদ্রবন্দরের সুবিধা একটাই এখানে ‘মেগাশিপ’ অর্থাৎ বড় জাহাজগুলো ভিড়তে
পারে এবং পণ্য খালাস করতে পারে। বলা হচ্ছে বন্দর পরিচালনা কার হাতে থাকবেÑ
এটা নিয়ে একটা জটিলতা তৈরি হয়েছে। যদি সর্বশেষ কলম্বোর সিআইসিটি অর্থাৎ
কলম্বো ইন্টারন্যাশনাল কনটেইনার টার্মিনালের ব্যবস্থাপনা দেখি, তাহলে দেখতে
পাব শতকরা ৮৫ ভাগ মালিকানা চিনের হাতে। ১৫ ভাগের মালিকানা শ্রীলংকা
সরকারের হাতে। যদি পাকিস্তানের গাওদার গভীর সমুদ্রবন্দরের কথা বলি, তাহলে
শতকরা একশ ভাগ মালিকানাই চিনাদের হাতে। এক সময় সিঙ্গাপুরের হাতে দায়িত্ব
ছিল এর পরিচালনার। এখন চিনাদের হাতে রয়েছে পরিচালনার ভার। যেখানে তাদের
বিশাল বিনিয়োগ রয়েছে, তাদের অভিজ্ঞতা রয়েছে, সেখানে পরিচালনার ভার থাকলে
আপত্তি কোথায়? সোনাদিয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নিরাপত্তা যদি বিঘিœত না হয়,
তাহলে চিনাদের হাতে বন্দর পরিচালনার ভার দেওয়া যেতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা এ
ধরনের বন্দর পরিচালনায় যে অভিজ্ঞ জনশক্তি প্রয়োজন, তা আমাদের নেই। বরং
চিনাদের সঙ্গে থেকে আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারব। ডিজাইন তৈরিতেও
অভিজ্ঞ চিনারা। তাই তাদের ওপর আস্থা রাখা যায়। সোনাদিয়ার গভীর
সমুদ্রবন্দর নির্মাণ সংক্রান্ত চুক্তি না হওয়া ছিল নিঃসন্দেহে দুঃখজনক। তবে
যত দ্রুত আমরা একটা সমঝোতায় পৌঁছব, ততই আমাদের জন্য তা মঙ্গল। কেননা দেরি
হলে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে যাবে। শুধু তাই নয়, এ অঞ্চলের উন্নয়নও বাধাগ্রস্ত
হবে। আমরা আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা, বিসিআইএমের কর্মকা-কে স্বাগত
জানিয়েছি। বাংলাদেশ, চিন (ইউনান প্রদেশ), ভারত (উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য) ও
মিয়ানমারের সমন্বয়ে যে অর্থনৈতিক করিডোর গড়ে উঠছে, তার উন্নয়ন ও বিকাশের
স্বার্থেই এই সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দরের গুরুত্ব অনেক বেশি। ভারতের
উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো এই বন্দর দিয়েই তাদের পণ্য আমদানি-রপ্তানি
করতে পারবে। সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দরের গুরুত্ব থাকলেও তাহলে চুক্তিটি
হলো না কেন? একটা ধারণা দেওয়া হয়েছে যে, চিনা ঋণের ধরন নিয়ে চূড়ান্ত সমঝোতা
হয়নি। বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ সহজ শর্তে ঋণ চেয়েছিল। এতদিন একটা ধারণা ছিল
যে, এ প্রকল্পে চিন নমনীয় ঋণ দেয়। এই ঋণের সুদের হার কম, মাত্র ২ শতাংশ।
কিন্তু পরে জানা গেল চিন এই ঋণকে বাণিজ্যিক ঋণে পরিণত করতে চায়। যেখানে
সুদের হার ৩ দশমিক ৫ থেকে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ। এখানে একটি বিভ্রান্তি রয়ে
গেছে। প্রথমত, বাংলাদেশ অতীতে বিভিন্ন চিনা প্রকল্পে যে ঋণ নিয়েছে, তার ধরন
কী? তা কী বাণিজ্যিক ঋণ? দ্বিতীয়ত, এই প্রকল্প নিয়ে চিনের সঙ্গে দীর্ঘদিন
আলোচনা চলে আসছিল। ওই আলোচনায় কী বাণিজ্যিক ঋণের প্রশ্নটি এসেছিল? তৃতীয়ত,
কোনো সমঝোতা ছাড়াই, কেন বলা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর চিন সফরে এই চুক্তিটি
স্বাক্ষরিত হবে। চতুর্থত, বাংলাদেশের আলোচনাকারীরা কী চিনা অর্থে নির্মিত ও
পরিচালিত গাওদার, হামবানতোতা ও কলম্বো গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ এবং
পরিচালনায় কী ধরনের চুক্তি হয়েছিল, তা পর্যালোচনা করেছিলেন? এমন কথাও বলা
হয়েছিল যে, বাংলাদেশ মূলত গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে চিনা অর্থায়নের বিষয়টি
ভারত কীভাবে দেখছে, এটা বিবেচনায় নিতে চায়। এ জন্য বাংলাদেশ কিছুটা
সময়ক্ষেপণ করছে। এটা যদি সত্য হয়, তাহলে সুষমা স্বরাজের ঢাকা সফরের পর এই
‘জটিলতা’ কেটে যাওয়ার কথা। গভীর সমুদ্রবন্দরটি নির্মিত হলে তাতে ভারতেরও
লাভ। কেননা ভারতের ‘সাতবোন’ রাজ্যগুলো এই বন্দরটি ব্যবহার করতে পারবে।
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের এ ব্যাপারে একটি সমঝোতা ইতোমধ্যেই হয়েছে। তবে
ভারতের একটা উৎকণ্ঠা আছে। চিন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন সমুদ্রবন্দরের
সঙ্গে তার ‘মুক্তার মালা’ বা ‘ঝঃৎরহম ড়ভ ঢ়বধৎষং’-এর যে নেটওয়ার্ক তৈরি
করেছে, তাকে ভারত খুব স্বাভাবিকভাবে নেয়নি। এই মুক্তার মালা নীতির মাধ্যমে
চিন ভারত মহাসাগরে তার নৌবাহিনীর উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে। চিন এ কাজটি
করেছে শুধু তার জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করার স্বার্থে। এটা এখন অনেকেই
জানেন চীনে যে ব্যাপক শিল্প বিপ্লব ঘটেছে, তার জন্য তাকে বিপুল পরিমাণ
জ্বালানি আমদানি করতে হয়। আর জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করার স্বার্থেই চিন
ভারত মহাসাগর এলাকায় তার নৌবাহিনীর উপস্থিতি বাড়িয়েছে। গাওদার কিংবা
হামবানতোতায় গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে চিনাদের আগ্রহের পেছনে কাজ করছে এই
‘জ্বালানি ক্ষুধা’র চাহিদা। গাওদারের মাধ্যমে চিন প্যারিসীয় অঞ্চলের তেল
তার পশ্চিমাঞ্চলের প্রদেশগুলোতে নিয়ে যেতে চায়। চিন দুবাই-গাওদার উরমকি
দীর্ঘ পাইপলাইন নির্মাণ করছে। আর এ জন্য পাকিস্তানের কারাকোবারা
পর্বতাঞ্চলের মধ্য দিয়ে চিন তেলের পাইপলাইন নির্মাণ করছে। উরমকি পর্যন্ত এই
পাইপলাইনের দূরত্ব হবে মাত্র ৩৬০০ কিমি.। আগে চিনকে ১০ হাজার কিমি. দূরত্ব
অতিক্রম করে (দুবাই-সাংহাই-উরমকি) পশ্চিমাঞ্চলে তেল নিতে হতো। এখন তারা
সময় বাঁচাবে গাওদার বন্দর ব্যবহার করে। চিন তার জ্বালানি চাহিদা মেটাতে
মধ্য এশিয়ার বিশাল গ্যাস রিজার্ভের দিকেও নজর দিয়েছে। জ্বালানিসম্পদসমৃদ্ধ
মধ্য এশিয়ার কাসগার থেকে চিনের পশ্চিমাঞ্চলের শিল্পসমৃদ্ধ প্রদেশগুলোতে
গ্যাস নিতে সময় ও অর্থের সাশ্রয় হবে (কাসগার থেকে গাওদারের দূরত্ব মাত্র
১৫০০ কিমি.। অথচ চিনের পূর্বাঞ্চলের শিল্পসমৃদ্ধ অঞ্চলে কাসগার থেকে দূরত্ব
৩৫০০ কিমি.)। চিনের সুদূরপ্রসারী আরেকটি পরিকল্পনা আছে মধ্য এশিয়ার এই
গ্যাস ও তেল সোনাদিয়ার মাধ্যমে ইউনান প্রদেশে নিয়ে যাওয়ার। মিয়ানমারের গভীর
সমুদ্র থেকে চিন গ্যাস উত্তোলন করছে। এই গ্যাস যাচ্ছে পাইপলাইনের মাধ্যমে
কুনমিংয়ে। চিনের পরিকল্পনা হচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে মিয়ানমার-কুনমিং পাইপলাইনকে
সোনাদিয়া পর্যন্ত সম্প্রসারিত করা, যাতে করে মধ্য এশিয়ার তেল/গ্যাসও
আগামীতে এই লাইনের মাধ্যমে সরবরাহ করা যায়। তাই বোঝাই যাচ্ছে গভীর
সমুদ্রবন্দর নিয়ে চিনের আগ্রহ রয়েছে। এখন এই আগ্রহকে আমাদের স্বার্থে আমরা
কতটুকু ব্যবহার করতে পারব, প্রশ্ন সেখানেই। আগামী বছরই চিনের একটি উচ্চ
পর্যায়ের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসবে। ধারণা করছি এই সময়ের মধ্যে
বাংলাদেশের অবস্থান আমরা নিশ্চিত করতে পারব। চিনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর চলতি
ঢাকা সফরে এই প্রসঙ্গটি আলোচনা নাও হতে পারে। তবে এটি যে তাদের অগ্রাধিকার
তালিকায় রয়েছে, তা অস্বীকার করা যাবে না। বিক্রমপুরের বৌদ্ধ মনীষী অতীশ
দীপঙ্কর বৌদ্ধধর্ম প্রচারের জন্য অষ্টম শতকে তিব্বতে গিয়েছিলেন। একজন চিনা
নাবিক, এডমিরাল ঝেং হে ১৪২১ থেকে ১৪৩১ সাল পর্যন্ত দুবার অধুনালুপ্ত বাংলার
রাজধানী সোনারগাঁও ভ্রমণ করেন এবং ইউনান প্রদেশের সঙ্গে এই বাংলার সম্পর্ক
স্থাপন করেন। আজ বিসিআইএম যদি প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে নতুন করে আবার চিনের
ইউনান প্রদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক স্থাপিত হবে। তাই চিনের সঙ্গে
সম্পর্ককে বাংলাদেশ গুরুত্ব দেয়। চিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফর এ কারণেই
গুরুত্বপূর্ণ।
Daily Amader Somoy
29.12.14
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment