রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

যোগসূত্রটি খুঁজে বের করতে হবে

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুব্রামিনিয়াম জয়শঙ্কর ঢাকা ঘুরে গেলেন ১৩ মে। তিনি ঢাকা এসেছিলেন নিশা দেশাই বিসওয়ালের ঢাকা সফরের পরপরই। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথাও বলেছেন জয়শঙ্কর। এমনকি ক’জন মুখচেনা সুশীলসমাজের প্রতিনিধির সঙ্গে একটি পাঁচ তারকা হোটেলে মতবিনিময়ও করেছেন। এরপর এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের উপসহকারী মন্ত্রী উইলিয়াম ই. টড। এর বাইরে আরও বেশকিছু ঘটনা ঘটেছে একের পর এক। যুদ্ধাপরাধী নিজামীর ফাঁসিকে কেন্দ্র করে তুরস্ক বাংলাদেশ থেকে তার রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়েছে। রাষ্ট্রদূত ডেভরিম ওসর্তুক ১২ মে রাতেই ঢাকা ছেড়ে চলে গেছেন। একই ঘটনায় ইসলামাবাদ ও ঢাকায় দুই দূতকে পাল্টাপাল্টি তলব করা হয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক এখন সর্বনিু পর্যায়ে রয়েছে। ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রতিনিধির সঙ্গে বিএনপির একজন যুগ্ম মহাসচিবের সাক্ষাৎ রাজনীতিতে ঢেউ তুলেছে। আর সর্বশেষ ঘটনায় টেকনাফে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে সশস্ত্র ব্যক্তিরা হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে আনসার কমান্ডারকে। সেই সঙ্গে নিয়ে গেছে ১১টি অস্ত্র ও ৫৭০ রাউন্ড গুলি। এ ঘটনাগুলোর একটির সঙ্গে অন্যটির হয়তো কোনো মিল নেই। কিন্তু সব কটিই যে বিচ্ছিন্ন ঘটনা, তা বলা যাবে না। হঠাৎ করেই যেন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ঘটনা বহির্বিশ্বে আলোচিত হচ্ছে বেশি করে এবং বাংলাদেশ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে ক্রমেই।

জয়শঙ্করের ঢাকা সফরের উদ্দেশ্যের মধ্যে যে সন্ত্রাসবাদের বিষয়টি ছিল, তা তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন। তবে তিনি একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত সফরের জন্য দাওয়াত দিতেও এসেছিলেন। চলতি বছরের অক্টোবরে গোয়ায় বিমসটেকভুক্ত দেশগুলোর শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী সেই সম্মেলনে যাতে যোগ দেন, তার দাওয়াত দিয়ে গেলেন জয়শঙ্কর। এটা তার ‘ডিউটি ভিজিট’ ছিল না। বাংলাদেশে একের পর এক যেসব হত্যাকাণ্ড হচ্ছে, তাতে যে ভারত উদ্বিগ্ন এটা বলতেই মূলত জয়শঙ্করের ঢাকা আগমন। ভারত যে বাংলাদেশে তথাকথিত ‘জঙ্গি তৎপরতায়’ উদ্বিগ্ন হবে, এটাই স্বাভাবিক। কারণ এখানে জঙ্গি তৎপরতা বেড়ে গেলে (?) তা ভারতের নিরাপত্তার প্রতি হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে। সুতরাং জয়শঙ্কর যে তার দেশের উৎকণ্ঠার খবর দিতে এসেছিলেন, তা খুবই স্বাভাবিক। এ সফরে তিনি বলে গেলেন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ঢাকার পাশে থাকবে নয়াদিল্লি। এই ‘অ্যাপ্রোচ’ ঠিক আছে। কিন্তু দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার মধ্য দিয়ে জঙ্গি দমন সম্ভব হবে কি? জয়শঙ্করের সফরের সময় আমরা লক্ষ করলাম জঙ্গি দমনে একটি ত্রিদেশীয় অ্যাপ্রোচের (ভারত-যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ) ব্যাপারে ভারতের আপত্তি। নিশা দেশাই এমনটি চেয়েছিলেন। কিন্তু ভারতের তাতে আপত্তি রয়েছে। ভারত দ্বিপাক্ষিকভাবে জঙ্গি সমস্যা মোকাবেলা করতে চায়। এটা ভারতের বৈদেশিক নীতির অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য। ভারত এভাবেই সমস্যার সমাধান করে- অর্থাৎ দ্বিপাক্ষিকতা। অথচ আমরা আমাদের বৈদেশিক নীতিতে বহুপাক্ষিকতাকে গুরুত্ব দিই। জঙ্গিবাদ একটি বৈশ্বিক সমস্যা। এখন বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঠেকাতে আমরা শুধু ভারতের সহযোগিতা নিয়ে কি এই উত্থান রোধ করতে পারব? যদিও এটা সত্য, জঙ্গিবাদ ঠেকাতে মার্কিন ‘অ্যাপ্রোচ’ আমাদের স্বার্থের পরিপন্থী। তাই প্রশ্ন থাকলই। যেখানে সরকারের সঙ্গে বিরোধী দলের কোনো ‘ঐক্য’ হচ্ছে না, সেখানে জঙ্গি দমন প্রশ্নেও কোনো ঐকমত্য গড়ে ওঠেনি।

জয়শঙ্করের ঢাকা সফরের সময় দু’দেশের মাঝে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এমনকি আমাদের তথাকথিত নাগরিক সমাজের সঙ্গে এ ‘সহযোগিতা’ নিয়ে তিনি আলাপ-আলোচনাও করেছেন। কিন্তু ভারতের সঙ্গে আমাদের যে দ্বিপাক্ষিক সমস্যা রয়েছে, সেই সমস্যার সমাধানে ভারত কতটুকু কী করল, তা নিয়ে কিন্তু আলোচনা হয়নি। বিশেষ করে তিস্তার পানিবণ্টনের বিষয়ে আলোচনা হল না। ফারাক্কা চুক্তির পর বাংলাদেশ স্মরণকালের সর্বনিু পানি পেয়েছে (২১-৩১ মার্চ বাংলাদেশ পানি পেয়েছে মাত্র ১৫ হাজার ৬০৬ কিউসেফ। এটা চুক্তির লংঘন)। এ বিষয়টিও আলোচনায় উঠে এল না! তথাকথিত নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের মুখেও উঠে এলো না এ কথাগুলো। বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর ব্যাপারে ভারত কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তাও কেউ বললেন না। আর নাগরিক সমাজ! এরা কারা? এরা কি সব শ্রেণীর বাংলাদেশের নাগরিকদের প্রতিনিধিত্ব করেন? সরকারপন্থী বুদ্ধিজীবী হিসেবে যারা পরিচিত, তাদের দিয়ে সব নাগরিক শ্রেণীর প্রতিনিধিত্ব করানো কি ঠিক? জঙ্গি দমনে ভারতের সহযোগিতা আমাদের প্রয়োজন, সন্দেহ নেই তাতে। তবে এটি আঞ্চলিক সহযোগিতার আলোকেই দেখা উচিত। শুধু ভারতের ওপর নির্ভর করলে সমস্যার সমাধান হবে না। আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক সহযোগিতা এবং সেই সঙ্গে এ প্রশ্নে একটি জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে জঙ্গিবাদ দমন করার উদ্যোগ নিতে হবে।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রশ্নে তুরস্ক যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, তা অনাকাক্সিক্ষত। তবে আমি এতে অবাক হইনি। কারণ তুরস্কের ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির রাজনৈতিক দর্শন এবং জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক দর্শন এক ও অভিন্ন। এরা মূলত ইসলামিক ব্রাদারহুডের রাজনীতি অনুসরণ করে। ফলে আন্তর্জাতিক ভ্রাতৃত্ববোধ ও একটি বন্ধুপ্রতিম রাজনৈতিক দলের স্বার্থে তুরস্ক এ সিদ্ধান্তটি নিয়েছে। তবে তুরস্ক কখনোই কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করবে না। কারণ বাংলাদেশে তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থ রয়েছে। এ স্বার্থ নষ্ট হোক, এটি তুরস্ক চাইবে না। আমার ধারণা, আগামীতে তুরস্ক বাংলাদেশে একজন নয়া রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের উচিত ‘স্মার্ট ডিপ্লোমেসি’ অনুসরণ করা। বাংলাদেশের উচিত হবে না তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করা। তবে পাকিস্তানের ব্যাপারে বাংলাদেশ সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ব্যবসায়িক স্বার্থের কথা বিবেচনা করে সীমিত আকারে দূতাবাসের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে বাংলাদেশ। রাষ্ট্রদূতের পরিবর্তে কনস্যুলার বা মিনিস্টার পর্যায়ে দূতাবাসের প্রতিনিধিত্ব হতে পারে। করাচিতে একটি কনস্যুলেট থাকার প্রয়োজনীয়তা আছে কি-না, তাও বিবেচনায় নিতে পারে সরকার।

একজন ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যের সঙ্গে বিএনপির একজন যুগ্ম মহাসচিবের ‘বৈঠক’ নিঃসন্দেহে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনার জন্ম দেবে। ইসরাইলের সঙ্গে আমাদের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। মুসলিম বিশ্বের দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। আর এটা বিবেচনা করেই ইসরাইলের সঙ্গে কখনও কোনো পর্যায়ে সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়নি বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধের সময় ইসরাইলের সহযোগিতা বাংলাদেশ প্রত্যাখ্যান করেছিল। যদিও এটা সত্য, ইসরাইল দীর্ঘদিন চেষ্টা করে আসছে বাংলাদেশের কূটনৈতিক স্বীকৃতি আদায় করতে। বেশকিছু দিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিভাগের একজন শিক্ষক একটি প্রসঙ্গে ইসরাইলকে কূটনৈতিক স্বীকৃতি দেয়ার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেছিলেন। ওই সময় কম বিতর্ক হয়নি। এরপর থেকে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে ইসরাইলি নেতাদের সঙ্গে যে কোনো ধরনের সম্পর্ক পরিহার করে আসছে বাংলাদেশ। তাহলে আসলাম চৌধুরী কীভাবে মেন্দি এন সাফারির সঙ্গে ‘বৈঠক’ করেন! চৌধুরী একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন বটে। কিন্তু তিনি বিএনপিকে একটি বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে ঠেলে দিয়েছেন। তিনি দলের সিনিয়র নেতা। এটা কি শুধু একটি ‘ভুল’? তিনি কি কোনো বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থার জালে আটকা পড়েছিলেন? ঘটনা যাই ঘটে থাকুক না কেন, বিএনপির এক সংকটের সময়ে তিনি নিজ দলের অনেক ক্ষতি করেছেন। তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। রোববার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার দলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে না। তিনি ‘সব দায় দায়িত্ব মাথায় নিয়ে’ দল থেকে পদত্যাগ করতে পারতেন। অথবা দলের চেয়ারপারসন ‘শৃংখলা ভঙ্গের’ অপরাধে দলের যুগ্ম মহাসচিবের পদ থেকে তাকে অপসারণ করতে পারেন। এটা দলের জন্য মঙ্গল।

বাংলাদেশ জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় যখন নানা চাপের মুখে আছে, তখন উখিয়ার রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে ঘটল অনাকাঙ্ক্ষিত একটি ঘটনা। একজন আনসার কমান্ডারকে খুন করা হল। কোনো কোনো মহল থেকে বলা হচ্ছে- এটা ডাকাতির ঘটনা! আসলেই কি এটা ডাকাতি ছিল? আমি নিশ্চিত নই। বৃহত্তর কক্সবাজার এলাকায় রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ, বসবাস, নানা রকম কর্মকাণ্ড আমাদের জন্য নানা সংকট সৃষ্টি করেছে। এদের কেউ কেউ বাংলাদেশী পাসপোর্ট ব্যবহার করে বিদেশে গিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তবে ভয়টা হচ্ছে, রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে একটি আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী এখানে জঙ্গিবাদের উত্থান ও বিকাশ ঘটাচ্ছে। পাঠক, রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) কথা স্মরণ করতে পারেন। South Asia Terrorism Portal-এ বার্টিল লিন্টনারের একটি প্রবন্ধ আছে। অনলাইনে পাঠক এটা পড়ে দেখতে পারেন। লিন্টনার বলার চেষ্টা করেছেন, আরএসও’র অনেক জঙ্গি আফগানিস্তানের খোস্ত প্রদেশে ট্রেনিং নিয়েছেন। ট্রেনিং শেষ করে তাদের এ অঞ্চলে পাঠানো হয়েছে। উদ্দেশ্য, নাকশকতামূলক ও জঙ্গি তৎপরতা বাড়ানো। একটি আন্তর্জাতিক চক্র এ রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করছে। এরা রোহিঙ্গাদের জন্য একটি আলাদা রাষ্ট্র চায়। অর্থাৎ রাখাইন স্টেটকে তারা ‘স্বাধীন’ করতে চায়। গহিন অরণ্যে ট্রেনিং হচ্ছে। সেখানে বিভিন্ন সূত্র থেকে অস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছে। এরা পুরো এ অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে ফায়দা তুলতে চায়। তাই আনসার কমান্ডারের হত্যাকাণ্ডকে আমি শুধু ডাকাতি হিসেবে ভাবতে পারছি না। এটা রোহিঙ্গা জঙ্গিদের কাজ। এ ক্ষেত্রে আমাদের দুর্বলতা হচ্ছে, আমরা রোহিঙ্গা সমস্যাকে আন্তর্জাতিক দরবারে নিয়ে যেতে পারিনি। কয়েক লাখ রোহিঙ্গা রয়েছে বৃহত্তর কক্সবাজার এলাকায়। তারা রেজিস্টার্ড নন এবং মিয়ানমার এদের স্বীকারও করে না। ফলে এদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর কাজটিও সহজ নয়। মুসলমানবিদ্বেষী অং সান সুচি এদের ব্যাপারে নির্বিকার। আমার মনে হয়, উখিয়ার গহিন অরণ্যে অবস্থানরত রোহিঙ্গা জঙ্গিদের উৎখাতের জন্য খুব দ্রুত সেখানে সেনাবাহিনী পাঠানো উচিত এবং সেনা মোতায়েন করাও জরুরি। নতুবা এই জঙ্গিরা কিছু বৈদেশিক শক্তির সহযোগিতায় এ অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে ফেলতে পারে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এতে বিঘ্নিত হতে পারে।

জয়শঙ্করের ঢাকা সফরের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের জঙ্গি কানেকশনের প্রশ্নটি সরাসরি সম্পর্কিত নয়। তবে তার সফরের সময় অনেক ঘটনাই ঘটল, যার একটির সঙ্গে অপরটির কোনো না কোনো যোগসূত্র আছে। সুতরাং বিষয়গুলোকে হালকাভাবে দেখা ঠিক হবে না। বাংলাদেশে আইএস নেই- একথা তথ্য-উপাত্ত সহকারে আমরা বারবার বলছি। একটি ‘শক্তি’ বাংলাদেশে আইএস আছে এমনটি প্রমাণ করতে চায়। আমরা যেন সেই ফাঁদে পা না দিই। খুব সতর্কতার সঙ্গে আমাদের এগোতে হবে। কোনো হত্যাকাণ্ডের ‘মোটিভ’ আমরা আজও উদঘাটন করতে পারলাম না। খুনিদের ধরতে পারলাম না। চিহ্নিত করা গেল না কারা তাদের হত্যা করেছে। ফলে বহির্বিশ্বের ‘চাপ’ থাকবেই। জঙ্গি দমনে ভারত কেন, কোনো বৈদেশিক শক্তিরই আমাদের প্রয়োজন নেই। সমস্যার সমাধান আমাদের নিজেদেরই করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ‘অ্যান্টি’ টেরোরিজম ইউনিটকে’ আরও শক্তিশালী করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। Daily Jugantor 17.05.16

0 comments:

Post a Comment