শেষ পর্যন্ত সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল কংগ্রেস আবারও বিজয়ী হল পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার নির্বাচনে। ২০১১ সালের নির্বাচনের চেয়ে এবার আরও ৩০টি আসন বেশি পেয়েছে তৃণমূল। ২৭ মে মমতা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন। নির্বাচনের আগে জাতীয় কংগ্রেস ও বাম জোট একত্রিত হয়েছিল। কিন্তু তারা নিজেদের মমতার বিকল্প হিসেবে দাঁড় করাতে পারেনি। মমতা ছিলেন একাই একশ’। তৃণমূলের বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগ ছিল, তা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ গ্রহণ করে নেয়নি। উপরন্তু জাতীয় কংগ্রেস ও বাম জোট ‘ঐক্য’ করলেও অনেক আসনেই বামরা কংগ্রেসের ভোট পায়নি বলে সংবাদপত্রের খবর। বিধানসভার ২৯৪ আসনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস যখন একাই ২১১টি আসন পায় (জাতীয় কংগ্রেস ৪৫, বাম ২৮, বিজেপি ও অন্যান্য ৭), তখন বুঝতে হবে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে মমতার অবস্থান অনেক শক্তিশালী। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি খোদ নিজে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেও মমতার ‘অবস্থান’ নড়াতে পারেননি। ফলে আগামী দিনগুলো মোদির জন্য যে খুব সুখের হবে, তা বলা যাবে না। তবে মোদির প্লাস পয়েন্ট হচ্ছে আসামে বিজেপির বিজয়। সেখানে কংগ্রেস সরকারের পতন হয়েছে।
এখন পশ্চিমবঙ্গে মমতার বিজয়ে আমরা কতটুকু আশাবাদী হব? তিস্তার পানি বণ্টনের প্রশ্নে মমতা ব্যানার্জির নাম প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িয়ে আছে। এটা এখন স্পষ্ট যে, মমতা ব্যানার্জির কারণেই তিস্তা চুক্তিটি হয়নি। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে নীতিগতভাবে রাজি হলেও শুধু মমতা ব্যানার্জির আপত্তির কারণে চুক্তিটি হয়নি। নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের সময় মমতা তার সঙ্গে ঢাকায় এসেছিলেন। পরেও এসেছিলেন একবার। বলেছিলেন তার ওপর আস্থা রাখতে। তখন সংবাদপত্রে বলা হয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভার নির্বাচনের (উত্তরবঙ্গ) কারণে তিনি কোনো চুক্তিতে যেতে রাজি হচ্ছেন না। কারণ এতে করে বিজেপি এটাকে ইস্যু বানিয়ে ফেলতে পারে। তাই নির্বাচনের পর এখন বাংলাদেশের অনেকের প্রশ্ন- মমতা কি এখন রাজি হবেন একটি চুক্তি করতে? রুদ্র কমিশনের সুপারিশমালা তার কাছে আছে। এ কমিশনটি তিনিই করেছিলেন। অধ্যাপক কল্যাণ রুদ্র তার সুপারিশে উল্লেখ করেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গের চাহিদা মিটিয়েও বাংলাদেশকে তিস্তার ৫০ ভাগ পানি দেয়া সম্ভব। তিনি এমন মতামতও দিয়েছিলেন যে, ‘ম্যানেজমেন্ট প্রযুক্তি’ ব্যবহার করে তিস্তার পানি মজুদ করা যায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রণব কুমারও তার সঙ্গে একমত হয়েছিলেন বলে কলকাতার পত্রিকাগুলো আমাদের জানিয়েছিল। তবে যতদূর জানা যায়, মমতা ব্যানার্জি রুদ্র কমিশনের ব্যাপারে খুশি ছিলেন না, যে কারণে এ কমিশনের রিপোর্টটি তিনি প্রকাশ করেননি। নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর তিনি রুদ্র কমিশনের সুপারিশকে বিবেচনায় নেবেন কিনা, সেটাই বড় প্রশ্ন এখন। তবে এটাও সত্য, তার কাছে পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থ আগে। কেন্দ্র তাকে উপেক্ষা করে বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো চুক্তিতে যেতে পারবে না। এ ক্ষেত্রে তিনি মোদির সঙ্গে একটি ‘সমঝোতায়’ যেতে পারেন। যেমন একটি সমঝোতায় তিনি স্থল সীমান্ত চুক্তি সমর্থন করেছিলেন। রাজ্যসভায় তৃণমূল সমর্থন না করলে বিলটি পাস হতো না। কেন্দ্র থেকে তার আর্থিক সাহায্য ও সহযোগিতা দরকার। নরেন্দ্র মোদি এ বিষয়টিকে তার স্বার্থে ব্যবহার করেছেন। মমতার ঢাকায় আসার ব্যাপারেও সেই মানসিকতা কাজ করেছিল। নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের অগ্রাধিকার তালিকায় ছিল কানেকটিভিটির প্রশ্নটি। তিনি ভারতের এক অঞ্চলকে অন্য অঞ্চলের সঙ্গে সংযুক্ত করতে চেয়েছেন বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে। আসাম, মেঘালয় ও পশ্চিমবঙ্গ- এ তিনটি রাজ্য এই প্রক্রিয়ায় জড়িত। মোদি এজন্যই চেয়েছিলেন এই তিন রাজ্যের তিন মুখ্যমন্ত্রী ঢাকায় যাবেন। তাই মমতা এসেছিলেন। তিস্তা এখানে প্রধান ছিল না। অনেক পরিকল্পনা মমতা বাস্তবায়ন করতে পারবেন না, যদি না কেন্দ্র আর্থিকভাবে তাকে সাহায্য করে। তখন সামনে নির্বাচন ছিল। মমতা তাই ঝুঁকিটি নিতে চাননি। নির্বাচনের আগে কেন্দ্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইর একটি চাপও ছিল মমতার ওপর। সারদা কেলেংকারি, তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ওপর সিবিআইর নজরদারি ছিল বেশি। ফলে এই ‘চাপ’কে অনেকটা নিউট্রাল করতে তিনি মোদির সঙ্গে ঢাকায় আসতে রাজি হয়েছিলেন। কোনো চুক্তি করতে নয়।
এখন মমতা ব্যানার্জি পুনরায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটে যোগ দিতেও পারেন! অমিত শাহের গলায় সেই সুর। এক সময় তিনি এই জোটে ছিলেন। কেন্দ্রের রেলমন্ত্রী ছিলেন। আবার বেরিয়েও এসেছিলেন। এখন পশ্চিমবঙ্গে বিজয়ের পর ওসব কেলেংকারি থেকে ‘মুক্ত’ হতে তিনি যদি আবারও এনডিএ জোটে ফিরে যান, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই! তার ওপর আস্থা রাখা কঠিন। যতদূর জানা যায়, তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে ঢাকায় আসেননি একটাই কারণে। আর তা হচ্ছে, মমতাকে উপেক্ষা করে কেন্দ্র এককভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি করতে চাচ্ছিল, যা মমতার মনঃপূত হয়নি। ভারতের সংবিধানে রাজ্য সরকারের কিছুটা অধিকার স্বীকৃত। রাজ্য সরকারকে উপেক্ষা করে কেন্দ্র এককভাবে কোনো চুক্তি করতে পারে না। ঢাকা সফরের আগে মোদি তাকে কথা দিয়েছিলেন, তিনি ঢাকায় তিস্তার ব্যাপারে কোনো চুক্তি করবেন না এবং তিস্তার ব্যাপারে ঢাকার সঙ্গে কোনো কথা হবে না। যদি কথা বলতেই হয়, এ ব্যাপারে মমতাই কথা বলবেন।
মমতা কথা বলেছিলেন। কূটনৈতিক ভাষায় বলেছিলেন তার ওপর আস্থা রাখতে। বাংলাদেশের মানুষ আস্থা রেখেছিল। এখন নির্বাচন শেষ হয়েছে এবং মমতা বিজয়ী হয়েছেন। তিনি আগামী ৫ বছরের জন্য জনগণের ম্যান্ডেট পেয়েছেন। বিহারে নীতিশ কুমারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে (বিহারের রাজধানী পাটনায়) যোগ দিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন একটা মহাজোট গঠনের সম্ভাবনা তিনি জাগিয়ে তুলেছিলেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে তার কোনো সহাবস্থান হয়নি। জাতীয় কংগ্রেস ঐক্য করেছিল বামফ্রন্টের সঙ্গে। জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে তার ঐক্য না করার বিষয়টি কেন্দ্রে মোদি সরকারকে খুশি করে থাকবে। ফলে মমতা যদি না চান, তাহলে তিস্তার পানি ভাগাভাগির ব্যাপারে মোদি সরকার তাকে চাপ দেবে না।
আমাদের জন্য তিস্তার পানি বণ্টনের বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি। আন্তর্জাতিক আইন আমাদের পক্ষে। ভাটির দেশ হিসেবে আমাদের অধিকার স্বীকৃত। ভারত (এ ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ) পানি একতরফাভাবে প্রত্যাহার করে নিতে পারে না। পশ্চিমবঙ্গ তা-ই করছে। ফলে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল পানিশূন্য হচ্ছে। উল্লেখ্য, তিস্তা একটি আন্তর্জাতিক নদী। সিকিম থেকে ভারতের দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি হয়ে পশ্চিমবঙ্গের ডুয়ারের সমভূমি দিয়ে চিলাহাটি থেকে চার-পাঁচ কিলোমিটার পূর্বে বাংলাদেশের নীলফামারী জেলার উত্তর খড়িবাড়ির কাছে ডিমলা উপজেলার ছাতনাই দিয়ে প্রবেশ করেছে তিস্তা নদী। ছাতনাই থেকে এ নদী নীলফামারীর ডিমলা, জলঢাকা, লালমনিরহাট সদর, পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, রংপুরের কাউনিয়া, পীরগাছা, কুড়িগ্রামের রাজারহাট, উলিপুর হয়ে চিলমারীতে গিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে মিশেছে। ডিমলা থেকে চিলমারী এ নদীর বাংলাদেশ অংশের মোট ক্যাচমেন্ট এরিয়া প্রায় ১ হাজার ৭১৯ বর্গকিলোমিটার। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশন গঠনের পর তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। ১৯৮৩ সালের জুলাই মাসে দুই দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের এক বৈঠকে তিস্তার পানি বণ্টনে শতকরা ৩৬ ভাগ বাংলাদেশ ও ৩৯ ভাগ ভারত এবং ২৫ ভাগ নদীর জন্য সংরক্ষিত রাখার বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল। কিন্তু ওই সিদ্ধান্তে তিস্তার পানি প্রবাহের পরিমাণ বা কোন জায়গায় পানি ভাগাভাগি হবে এ রকম কোনো বিষয় উল্লেখ না থাকায় তা আর আলোর মুখ দেখেনি। ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে তিস্তার পানির ৮০ ভাগ দু’দেশের মধ্যে বণ্টন করে বাকি ২০ ভাগ নদীর জন্য রেখে দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু ভারত সেই প্রস্তাবে রাজি না হয়ে উল্টো ‘তিস্তার কমান্ড এরিয়া তাদের বেশি’ এ দাবি তুলে ‘বাংলাদেশ তিস্তার পানির সমান ভাগ পেতে পারে না’ এই দাবি উপস্থাপন করেছিল। এরপর আর তিস্তার পানি বণ্টনের জট খোলেনি।
এখানে বলা ভালো, বাংলাদেশ উত্তরাঞ্চলের নীলফামারী, রংপুর, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, জয়পুরহাট ও বগুড়া জেলার ৩৫টি উপজেলায় তিস্তা সেচ প্রকল্প থেকে বর্ষা মৌসুমে সম্পূরক ও শুষ্ক মৌসুমে সেচ দেয়ার উদ্দেশ্যে ১৯৭৯ সালের আগস্টে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের প্রথম ফেজ কাজের উদ্বোধন করে। এরপর ভারত ১৯৮৫ সালে তিস্তার উৎসমুখে এবং তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্পের মাত্র ৬৫ কিলোমিটার উজানে গজলডোবা নামক স্থানে ব্যারাজ নির্মাণ করে। এর ফলে তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্পটি সেচ প্রদানে অকার্যকর হয়ে পড়ে। এই সেচ প্রকল্পের উপকৃত এলাকা ৭ লাখ ৫০ হাজার হেক্টর। এদিকে কিশোরগঞ্জ উপজেলার (নীলফামারী জেলার অন্তর্গত) বাহাগিলি নামক স্থানে তিস্তা প্রকল্পের দ্বিতীয় প্রকল্পের কাজও হাতে নেয়া হয়েছে। এ কাজ সম্পন্ন হলে রংপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া ও জয়পুরহাট জেলার ৪ লাখ ৪৮ হাজার হেক্টর জমি সেচের আওতায় আসবে। কিন্তু পানির অভাবে তিস্তা এখন শুধু নামেই আছে। পানি নেই বললেই চলে। ভরাট হয়ে গেছে ৬৫ কিলোমিটার নদী। তিস্তা আন্তর্জাতিক নদী হওয়ায় জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক পানি প্রবাহ কনভেনশন ১৯৯৭ অনুযায়ী বাংলাদেশের পানি প্রাপ্তি সেখানে স্বীকৃত। এক্ষেত্রে ভারতের কাছে চাওয়ার কিছু নেই। মমতা ব্যানার্জির আপত্তিও গ্রহণযোগ্য নয়। তিস্তা চুক্তি হওয়াটা বাঞ্ছনীয়। তিস্তা চুক্তি না হলে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া যাবে না।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। দীর্ঘদিনের ছিটমহল সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয়েছে। ভারতকে আমরা ট্রানজিট দিয়েছি। ভারত থেকে আমরা বিদ্যুৎ কিনছি। বিবিআইএন নামে নতুন একটি উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার জন্ম হয়েছে। এই উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা যদি ‘কাজ’ করে, তাহলে বদলে যাবে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অর্থনীতি। বাংলাদেশ এই উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা থেকে উপকৃত হতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ‘জটিলতা’ এখনও রয়ে গেছে। সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ করার ঘোষণা, অবৈধ অভিবাসীদের কথা বলে বাংলাদেশকে কটাক্ষ করা, সীমান্তে হত্যা অব্যাহত রাখা ইত্যাদি বিষয় দু’দেশের সম্পর্ক আরও উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার পথে প্রধান অন্তরায়। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে তিস্তার পানি বণ্টনের বিষয়টিও।
মমতা ঢাকায় এসে বলেছিলেন তার ওপর আস্থা রাখতে। বাংলাদেশের মানুষ তার ওপর আস্থা রেখেছে। কিন্তু অনির্দিষ্টকালের জন্য মানুষ আস্থা ধরে রাখতে পারে না। এর সমাধান বাঞ্ছনীয়। এক্ষেত্রে মমতা ব্যানার্জিকেই এগিয়ে আসতে হবে। ঢাকায় তিনি বলেছিলেন, তিনি ‘কাঠবিড়ালির’ মতো ভূমিকা পালন করতে চান দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নের ব্যাপারে। এখন তিনি অনেক সংহত। ভোটে হেরে যাওয়ার ভয় তার নেই। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি কিংবা বাম জোটও তার জন্য কোনো ফ্যাক্টর নয়। তাই আমরা চাই ‘কাঠবিড়ালি’ নয়, বরং তিস্তার পানি বণ্টনের ব্যাপারে তিনি নিজে উদ্যোগ নেবেন। রুদ্র কমিশন যে ‘ম্যানেজমেন্ট প্রযুক্তি’ ব্যবহারের কথা বলেছেন, সে অনুযায়ী অর্থাৎ প্রাপ্ত পানি ধরে রাখা ও তার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়। এখন উদ্যোগটি নিতে পারেন মমতা স্বয়ং। না হলে বাংলাদেশকে তার পানি প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে ‘বিকল্প’ ভাবতে হবে।
Daily Jugantor
21.05.16
0 comments:
Post a Comment