এটা সত্য সাম্প্রতিক সময়ে আইএস তাদের কর্মকা- বিশ্বব্যাপী সম্প্রসারিত করেছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইন্দোনেশিয়ায় যে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়, তার পেছনে আইএস জড়িত রয়েছে বলে আইএস দাবি করেছে। আইএস তার ‘দূরবর্তী খেলাফত’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছিল বলে তাদের মুখপত্র দাবিগে উল্লেখ করা হয়েছিল। এ জন্য তারা সিরিয়া ও ইরাকে যেসব ইন্দোনেশীয় যুবক ‘যুদ্ধে’ অংশ নিয়েছিল, তাদের দিয়ে তারা ‘কাতিবা নূসানতারা’ নামে একটি ব্রিগেড গঠনও করেছিল। ওই ব্রিগেডই জাকার্তায় আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়েছিল। আইএস পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী বিস্তীর্ণ অঞ্চল নিয়ে নতুন একটি রাজ্যের ঘোষণা দিয়েছে। তারা এর নামকরণ করেছে খোরাসান। এই খোরাসান রাজ্যের একজন আমিরের নামও তারা প্রকাশ করেছে। তার নাম আমির শায়খ হাফিজ সাঈদ খান। দাবিগের ১৩তম সংখ্যায় তার একটি সাক্ষাৎকারও প্রচার করা হয়েছে। দাবিগে বলা হয়েছে, মধ্য এশিয়ার একটি ঐতিহাসিক অঞ্চল হচ্ছে খোরাসান। মধ্যযুগে যেমনটা ছিল, তেমন করে ইরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, প্রায় সমগ্র আফগানিস্তান, দক্ষিণ তুর্কমেনিস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, ভারত ও চিনের একটা অংশকে খোরাসানের অন্তর্ভুক্ত করে এ অঞ্চল দখলে নিতে চায় আইএস। আইএস আফ্রিকার দিকেও তাদের প্রভাব সম্প্রসারিত করেছে। সিরিয়ায় পাঠকদের স্মরণ থাকার কথা গত ৭ মার্চ (২০১৬) নাইজেরিয়ার সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ‘বোকো হারাম’ আইএসের প্রতি তাদের আনুগত্য প্রকাশ করেছে। বোকো হারাম ইতোমধ্যে তাদের ‘সন্ত্রাসী কর্মকা-’ উত্তর নাইজেরিয়া থেকে শুরু করে সীমান্তবর্তী নাইজার, সাদ, ক্যামেরুন ও মালিতে সম্প্রসারিত করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এ অঞ্চলের দরিদ্রতা, অসমতা বোকো হারামের উত্থানের পেছনে দায়ী। অতি সম্প্রতি ফ্রান্স ও বেলজিয়ামে যে সন্ত্রাসী কর্মকা- পরিচালিত হয়েছে, তা ইউরোপে তাদের তথাকথিত খেলাফত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই করা। ইউরোপে যে ‘খেলাফত’ প্রতিষ্ঠিত হবে, তাকে তারা বলছে ‘আমিরাত অব আন্দালুসিয়া’ (ঊসরৎধঃব ড়ভ অহফধষঁংরধ)। লিবিয়ার উপকূলীয় শহর দারনাকে আইএসের প্রদেশ হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আইএসের টার্গেট হলো মাগবের অঞ্চল তাদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া। তবে একটা প্রশ্ন আছেÑ তা হচ্ছে আইএসের সঙ্গে আল কায়দার সম্পর্ক কী হবে? কেননা মধ্যপ্রাচ্যের তথা উপসাগরীয় অঞ্চলে আল কায়দার একটা বিশাল নেটওয়ার্ক রয়েছে এবং তারা অ্যাকটিভ। বলা ভালো আল কায়দার তাত্ত্বিক হচ্ছেন আবু মুসাব আল সুরি। সুরি আল কায়দার স্ট্র্যাটেজির কথা বলতে গিয়ে ঝঢ়রফবৎ ডবন-এর কথা বলেছেন। অর্থাৎ মাকড়সারা যেমনি এখানে সেখানে জাল তৈরি করে তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখে এবং সেই জাল ভেঙে দিলে অন্যত্র গিয়ে ঠিক তেমনি জাল তৈরি করে, আল কায়দার স্ট্র্যাটেজিও ঠিক তেমনি। ছোট ছোট গ্রুপে অঞ্চলভিত্তিক তারা সংগঠিত হয় এবং তাদের ওপর আক্রমণ হলে তারা অন্যত্র গিয়ে সংগঠিত হয়, ঠিক মাকড়সারা যেমনটি করে। অষ-ছধবফধ রহ অৎধনরধহ চবহরহংঁষধ, অষ-ছধবফধ রং ওংষধসরপ গধমৎবন, অষ-ছধবফধ রহ ওৎধয় এভাবেই সংগঠিত। এর বাইরে তারা ভিন্ন নামে অপারেট করে। যেমন আল নুসরা ফ্রন্ট (সিরিয়া), আল-গামা আল ইসলামিয়া। এ দুটো সংগঠনের সঙ্গে আদর্শগতভাবে আল কায়দার মিল আছে। এখানে ইসলামিক স্টেট জঙ্গি সংগঠনটির সঙ্গে তাদের অমিলের কথা উল্লেখ করা প্রয়োজন। আল কায়দার সঙ্গে ইসলামিক স্টেটের আদর্শগতভাবে অমিল রয়েছে। আল কায়দা যেখানে শরিয়াহভিত্তিক ইসলামিক শাসন চায়, সেখানে ইসলামিক স্টেট চায় একটি ইসলামিক খিলাফত। অর্থাৎ একটি খিলাফত রাষ্ট্রের আওতায় সব ইসলামিক রাষ্ট্র একত্রিত হবে। সেখানে একজন খলিফা বা রাষ্ট্রপ্রধান থাকবেন। আল কায়দার সঙ্গে পার্থক্য এখানেই যে, আল কায়দায় খিলাফতের পরিবর্তে ইসলামিক আমিরাতে বিশ্বাসী। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, উপমহাদেশে আল কায়দা কী আদৌ স্থান করে নিতে পেরেছে? ভারতে এর কোনো স্থান নেই। পাকিস্তানে তালেবানদের প্রভাব বেশি, আল কায়দা তার শাখা স্থাপন করতে পেরেছে, এমন খবর আমাদের জানা আছে। তবে বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে তাদের সম্পর্ক থাকতে পারে। আর বাংলাদেশে তাদের আদৌ কোনো অস্তিত্ব নেই। বাংলাদেশে জঙ্গিগোষ্ঠী হিসেবে যারা পরিচিত তাদের সঙ্গে আল কায়দার যোগাযোগ আছে, এমন কোনো তথ্যভিত্তিক প্রমাণও আমাদের কাছে নেই। ফলে বাংলাদেশে বড় ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে এটা বলা যাবে না। কিন্তু আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় বাংলাদেশকে বারবার টার্গেট করা হয়েছে। গত বেশ কিছুদিন ধরেই ঝওঞঊ ইন্টেলিজেন্স প্রচার করে আসছে, বাংলাদেশে যেসব হত্যাকা- সাম্প্রতিক সময়ে হয়েছে, তার প্রতিটির সঙ্গে আইএস জড়িত। ঝওঞঊ হচ্ছে একটি গোয়েন্দা সংস্থা, যারা তথ্য-উপাত্ত ‘বিক্রি’ করে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা তথা গোয়েন্দা সংস্থা এর ক্রেতা। আর এটি পরিচালনা করেন রিটা কাটস নামে এক মহিলা, যিনি ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে একসময় কাজ করতেন। তবে বাংলাদেশে জঙ্গি থাকলেও আইএস নেই। এটা সত্য, বাংলাদেশে ইসলামকে ব্যবহার করে কিছু ব্যক্তি উগ্রবাদ প্রচার করছে। বাস্তবতা হচ্ছে, বাংলাদেশে ইসলামের নামে যারা উগ্রবাদ প্রচার করছে তারা বিভ্রান্ত। আল কায়দা কিংবা ইসলামিক স্টেটের জঙ্গিদের সঙ্গে তাদের মেলানো যাবে না। তবে এটা সত্য, কোনো কোনো মন্ত্রী, সরকারের সমর্থক বুদ্ধিজীবী যখন মিডিয়ায়, টিভির টক শোতে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করেন, তখন তা দেশে নয় বরং বিদেশেও বিভ্রান্তি তৈরি করে। বাংলাদেশে জনগোষ্ঠীর শতকরা ৯০ ভাগ মুসলমান। এখানে উগ্রবাদী ইসলামিক দল আছে। ফলে বাংলাদেশ যে কোনো কোনো দেশের গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারিতে রয়েছে, তা অস্বীকার করা যাবে না। বাংলাদেশ একটি মডারেট ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের দেশ। এখানে উগ্রবাদের কোনো স্থান নেই। উগ্রবাদকে মানুষ পছন্দ করে না। সাধারণ মানুষের মাঝে এদের কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই। তাই জঙ্গিবাদকে নিয়ে যত কম কথা বলা যায়, ততই মঙ্গল। মনে রাখতে হবে, দলের সিনিয়র নেতারা, মন্ত্রীরা যদি জঙ্গিবাদ নিয়ে কথা বলেন, তাতে সমর্থকরা প্রভাবিত হন। তাই তাদের সংযত কথাবার্তা বলা উচিত। জঙ্গিবাদ একটি বৈশ্বিক সমস্যা। আমরা কেন, কোনো দেশই এ সমস্যার বাইরে নয়। এ সমস্যার সঙ্গে আমাদের জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নটি সরাসরিভাবে জড়িত। এ ক্ষেত্রে সরকার ও প্রধান বিরোধী দলের মাঝে সমঝোতা প্রয়োজন। জঙ্গিবাদ নিয়ে কোনো ‘ব্লেমগেম’ নয়, বরং সরকার ও প্রধান বিরোধী দলের মধ্যে যদি সমঝোতা প্রতিষ্ঠিত না হয়, তাহলে ‘তৃতীয় পক্ষ’ এটা থেকে ফায়দা ওঠাবে, এটাই স্বাভাবিক। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উদ্ধারে তাই প্রয়োজন এই মুহূর্তে একটি সমঝোতার। এটি যত দ্রুত প্রতিষ্ঠিত হয়, ততই আমাদের জন্য মঙ্গল।
এখন মার্কিন রাষ্ট্রদূত যখন প্রকাশ্যেই বললেন, ‘বাংলাদেশে আইএস আছে (?) এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যখন বললেন ‘সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র যৌথ সেল গঠন করবে’ তখন এর একটি ব্যাখ্যা থাকা প্রয়োজন। ‘যৌথ সেল’-এর অর্থ কী? মার্কিন গোয়েন্দারা বাংলাদেশে এসে কাজ করবে? বাংলাদেশে কী ‘বিশেষ মার্কিন বাহিনী’র সদস্যকে মোতায়েন করা হবে? এগুলো সবই স্পেসেকুলেশন। সবই ধারণা মাত্র। আমাদের ভয়ের কারণটা এখানেই ‘সন্ত্রাস দমনের’ নামে যুক্তরাষ্ট্র যেখানেই সাময়িকভাবে নিজেদের জড়িত করেছে, সেখানে সন্ত্রাস দমন তো দূরের কথা, সন্ত্রাস বন্ধ হয়নি, বরং সন্ত্রাসের মাত্রা বেড়েছে। সন্ত্রাসী কর্মকা- ‘জিইয়ে’ রেখে যুক্তরাষ্ট্র তার স্বার্থ আদায় করে নিচ্ছে। পাঠক, আফগানিস্তান, ইরাক, লিবিয়া কিংবা সিরিয়ার বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় নিতে পারেন। আমার আতংকটা সেখানেই, আইএসের উগ্রবাদ দমনে বার্নিকাট ‘বাংলাদেশে আইএস আছে’ এ কথা বলে কী কোনো ইঙ্গিত করেছিলেন কিনা?
একাধিক কারণে বাংলাদেশ ক্রমেই যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। একদিকে চিনের উত্থান, অন্যদিকে চিন-রাশিয়া মৈত্রী, যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থকে আঘাত করছে। ভারত মহাসাগর ক্রমেই মার্কিন সামরিক নীতিনির্ধারকদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক ফিটের কর্মকা- এখন সম্প্রসারিত হচ্ছে ভারত মহাসাগরে। অনেকেই মনে করতে পারেন ২ মার্চ (২০১২) মার্কিন সিনেটের এক অধিবেশনে যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক ফিটের (বাংলাদেশ এর অন্তর্ভুক্ত) তৎকালীন কমান্ডার অ্যাডমিরাল রবার্ট উইলার্ড বলেছিলেন, বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার ৫টি দেশে যুক্তরাষ্ট্রের ‘বিশেষ বাহিনী’ মোতায়েন রয়েছে। এ নিয়ে ওই সময় বাংলাদেশে কম বিতর্ক হয়নি। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ বেশ কটি চুক্তিতে আবদ্ধ (যেমন অংশীদারিত্ব সংলাপ চুক্তি ২০১৩, টিকফা চুক্তি ইত্যাদি), সেখানে সন্ত্রাস দমনে ‘যৌথ কর্মসূচি’ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অনেকেই জানেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে ঝঙঋঅ (ঝঃধঃঁং ড়ভ ঋড়ৎপবং অমৎববসবহঃ) চুক্তি ও ‘আকসা’ নামে (অপয়ঁরংরঃরড়হ ধহফ ঈৎড়ংং ঝবৎারপরহম অমৎববসবহঃ) দুটি চুক্তি করতে চাচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সাময়িক উপস্থিতি, জ্বালানি গ্রহণ, ‘পোর্ট অব কল’ সুবিধা দেওয়া হবে। বাংলাদেশ এখন অবধি এ ব্যাপারে সম্মতি না দিলেও, ‘চাপ’-এ আছে। ফলে ঝওঞঊ-এর ওয়েবসাইটে বাংলাদেশে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের অস্তিত্ব ‘আবিষ্কার’ এবং বার্নিকাটের মন্তব্য এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর যৌথ সেল গঠন করার ঘোষণার মধ্যে কোনো যোগসূত্র আছে কিনা, তা ভবিষ্যৎই বলতে পারবে। এটা সত্য, বিশ্বে মুসলমান জনগোষ্ঠীর প্রাধান্য যেখানে বেশি, সেখানেই ইসলামের নামে উগ্রবাদ জন্ম হচ্ছে। ইন্দোনেশিয়া, সোমালিয়া এমনকি দক্ষিণ থাইল্যান্ডের নারাথিওয়াত, পাটানি ইয়ালা অঞ্চল (যেখানে মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ) ইসলামের নামে উগ্রবাদ বিস্তার লাভ করছে। নাইজেরিয়ায় বোকো হারাম কিংবা সোমালিয়ায় আল শাবাব সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর খবর আমরা জানি। সেখানে ‘সন্ত্রাস দমনে’ মার্কিন সেনাবাহিনী পাঠানো এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। এখানে পাঠকদের কিছু তথ্য দিতে চাই। যুক্তরাষ্ট্র আফ্রিকায় তাদের প্রথম সেনা কমান্ড অঋজওঈঙগ (টঝ-অভৎরপধহ ঈড়সসধহফ) প্রতিষ্ঠা করেছে। বর্তমানে আফ্রিকার ২৮টি দেশে ১৩০০ মার্কিন সেনা ঈড়ঁহঃবৎ ঞবৎৎড়ৎরংস কর্মকা-ের সঙ্গে জড়িত। ২০০৫ সাল থেকেই বেশ কয়েকটি আফ্রিকান দেশে ঋওঘঞখঙঈক বা টঝ ঞৎধরহরহম ঊীবৎপরংব নামে মার্কিন সেনারা তৎপর। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র ক্যামেরুনে ৩০০ সেনা পাঠিয়েছে। সূক্ষ্মভাবে লক্ষ করলে দেখা যাবে, ধীরে ধীরে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্য থেকে তার দৃষ্টি আফ্রিকাতে সম্প্রসারিত করছে। আফ্রিকার তেলসম্পদের দিকে এখন তাদের দৃষ্টি। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টি সম্প্রসারিত হচ্ছে ভারত মহাসাগরের দিকে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আমরা চাই রাজশাহী অধ্যাপক হত্যাকা- থেকে শুরু করে ঢাকার কলাবাগানের জোড়া খুনের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচার হোক। আমাদের জীবন নিরাপদ হোক।
Daily Amader Somoy
03.05.16
0 comments:
Post a Comment