রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

ওআইসি জাতিসংঘ ও প্রসঙ্গ কথা

১৫ এপ্রিল তুরস্কের প্রাচীন রাজধানী ইস্তানবুলে ওআইসি বা ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। এ সম্মেলনে ওআইসি’র অন্তর্ভুক্ত ৫৭টি দেশের মধ্যে ৩০টি দেশের সরকার তথা রাষ্ট্রপ্রধানরা যোগ দিয়েছিলেন। বাংলাদেশ ওআইসি’র সদস্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ সম্মেলনে যোগ দেয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তিনি যোগ দেননি। ওই সম্মেলনটি একাধিক কারণে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। প্রথমত, ৩০টি দেশের সরকার তথা রাষ্ট্রপ্রধান, তারা সবাই মুসলিম বিশ্বের প্রতিনিধিত্ব করেন, তাদের একটি সম্মেলনে উপস্থিতি হালকাভাবে দেখার কোনো সুযোগ নেই। বিশেষ করে, এমন একটি সময় তারা উপস্থিত ছিলেন যখন মুসলিম বিশ্ব নানা সংকটে নিমজ্জিত। দ্বিতীয়ত, ওআইসি সম্মেলনে মুসলিম দেশগুলোর স্বার্থ রক্ষার জন্য জাতিসংঘের বিকল্প ‘আরেকটি জাতিসংঘ’ গঠনের চিন্তাভাবনা করার আহ্বান জানানো হয়েছে। স্বয়ং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান এ ধরনের কথাবার্তা বলেছেন। ফলে ওআইসি’র সম্মেলনটি নিছক একটি ‘সম্মেলন’র মধ্য দিয়েই শেষ হয়নি; বরং এর একটি প্রতিক্রিয়া থেকে যাবেই। বলা ভালো, বিশ্বে এক-চতুর্থাংশের বেশি স্থানে কৌশলগত অবস্থানে থাকলেও বৈশ্বিক অঙ্গনে মুসলিম বিশ্বের কণ্ঠস্বর তুলনামূলকভাবে ক্ষীণ। শুধু তাই নয়, মুসলমান বিশ্বে অসম্মান আর বঞ্চনার শিকার হয়ে আসছে। ফলে ৩০ জন রাষ্ট্রপ্রধানের উপস্থিতিতে যখন ‘বিকল্প একটি জাতিসংঘের’ কথা বলা হয়, তখন এটাকে হালকাভাবে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। জাতিসংঘ যে উন্নয়নশীল বিশ্বের স্বার্থ রক্ষা করতে পারছে না, এ অভিযোগ অনেক পুরনো। তবে জাতিসংঘের সাফল্য যে একেবারে নেই, তা বলা যাবে না। ১৯৯০ সালের উপসাগরীয় যুদ্ধ ও কুয়েতকে শত্রুমুক্ত করা, এল সালভাদর, কম্বোডিয়া কিংবা নামিবিয়ায় পরস্পরবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে সহাবস্থানের পরিবেশ সৃষ্টি করে দেয়া ও শান্তি ফর্মুলায় রাজি করানোর মতো ঘটনার মধ্য দিয়ে এটা প্রমাণিত হয়েছিল যে, স্নায়ুযুদ্ধ-পরবর্তী যে বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে উঠছে, তাতে জাতিসংঘের একটা ভূমিকা রয়েছে। সাবেক যুগোসøাভিয়ার গৃহযুদ্ধ থামাতে সেখানে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানো, কাপুচিয়ায় গৃহযুদ্ধ ঠেকাতে সেখানে জাতিসংঘ বাহিনী মোতায়েন ও পরবর্তী সময় সেখানে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করা, এমনকি নেপালেও নির্বাচন আয়োজনে সহযোগিতা করার মধ্য দিয়ে জাতিসংঘ তার ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী, বিশেষ করে আফ্রিকায় যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন করার মধ্য দিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার একটি উদ্যোগও লক্ষণীয়। তবে ব্যর্থতার পাল্লাটা যেন ভারি। অতি সম্প্রতি হাজার হাজার সিরীয় ও ইরাকি শরণার্থী যখন ইউরোপে প্রবেশ করে এক অমানবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে, জাতিসংঘ তাদের দেশত্যাগ ঠেকাতে পারেনি। যুক্তরাষ্ট্র ২০০১ সালে ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের’ অংশ হিসেবে আফগানিস্তানে হামলা চালালো এবং যে যুদ্ধের শুরু করেছিল, জাতিসংঘ ১৪ বছর পরও সেই যুদ্ধ বন্ধ করতে পারেনি। ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের অনুমোদন ছাড়াই ইরাক দখল করে এবং সাদ্দাম হোসেনকে উৎখাত করে, যা ছিল জাতিসংঘ চার্টারের বরখেলাপ। ২০১১ সালে তথাকথিত ‘মানবাধিকার রক্ষায় হস্তক্ষেপ’Ñ এ অভিযোগ তুলে লিবিয়ায় বিমান হামলা চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। ওই হামলায় গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত হন এবং রাষ্ট্রটি এখন কার্যত একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। অস্ত্রবাজরা এখন সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে এবং সেখানে কোনো কেন্দ্রীয় প্রশাসন নেই। অথচ একই অভিযোগ উঠেছে সিরিয়া ও ইরাকে গড়ে ওঠা তথাকথিত একটি ‘জিহাদি রাষ্ট্র’র বিরুদ্ধে, আর নেতৃত্বে রয়েছে সন্ত্রাসী সংগঠন ইসলামিক স্টেটের জঙ্গিরা। অভিযোগ আছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলি লবির প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিতে এ জঙ্গিগোষ্ঠী ‘ইসলামী স্টেট’র উত্থান ঘটেছে। এরা হাজার হাজার সিরীয় নাগরিককে দেশত্যাগ করতে বাধ্য করছে। অথচ এখানে তথাকথিত ‘মানবাধিকার রক্ষায় হস্তক্ষেপ’র তত্ত্ব প্রয়োগ করছে না যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি জাতিসংঘের কোনো উদ্যোগও আমরা লক্ষ করছি না। জাতিসংঘের বিরুদ্ধে একটা বড় অভিযোগ হচ্ছে, নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ বৃদ্ধিতে শক্তিশালী কোনো উদ্যোগ নেই। স্থায়ী পরিষদে রয়েছে পাঁচটি দেশ (যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন ও রাশিয়া) এবং ১০টি অস্থায়ী দেশ। অস্থায়ী দেশগুলো ২ বছর পর পর অঞ্চলভিত্তিতে নির্বাচিত হয়। কিন্তু স্থায়ী পরিষদের একটি রাষ্ট্র ‘ভেটো’ প্রয়োগ করে যে কোনো সিদ্ধান্তের মৃত্যু ঘটাতে পারে। কিন্তু অস্থায়ী সদস্য দেশগুলো তেমনটি পারে না। তাই অনেক দিন থেকেই উন্নয়নশীল বিশ্ব স্থায়ী পরিষদে তাদের প্রতিনিধি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু আজও তা নিশ্চিত হয়নি। তবে অনেকেই স্মরণ করতে পারেন, জাতিসংঘের উদ্যোগে অনেক আগেই ঈড়সসরংংরড়হ ড়হ এষড়নধষ এড়াবৎহধহপব নামে একটি কমিশন গঠন করেছিল। ওই কমিশনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল জাতিসংঘে কীভাবে সংস্কার আনা যায়, সে ব্যাপারে একটি সুপারিশ করা। সিদ্ধার্থ রামপাল ও ইনগভার কার্লসন ছিলেন ওই কমিশনের যৌথ চেয়ারম্যান। ১৯৯৫ সালের জানুয়ারিতে কমিশন তাদের রিপোর্ট জমা দেয়। ওই কমিটির সুপারিশে নিরাপত্তা পরিষদে এক ধরনের ‘স্ট্যান্ডিং’ সদস্য রাখার প্রস্তাব করা হয়েছিল, আর সদস্যসংখ্যা হবে পাঁচ। এর মাঝে দুইটি দেশ আসবে উন্নত দেশ থেকে, আর বাকি তিনটি দেশ আসবে এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকা থেকে। কিন্তু তাদের কোনো ‘ভেটো’ ক্ষমতা থাকবে না। কিন্তু ২০ বছর পার হয়ে যাওয়ার পরও এ ব্যাপারে কোনো অগ্রগতি হয়নি। তবে উন্নয়নশীল দেশগুলো ‘ভেটো’ ক্ষমতাসহ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যপদ চায়। যেমন ভারতের কথা বলা যেতে পারে। ভারত এখন এশিয়ায় চীনের পর দ্বিতীয় অর্থনীতি। ২ ট্রিলিয়ন ডলারের (২ লাখ কোটি ডলার) অর্থনীতি ভারতের। ভারতের পাশাপাশি জাপানও এখন নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হতে চায়। এ লক্ষ্যে জাপানের সংবিধান সংশোধন করে প্রথমবারের মতো বিদেশে জাপানি সেনা মোতায়েনের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর এবং পাঁচটি পশ্চিমা শক্তির সমর্থন এতে পাওয়া যাবেÑ এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। জাতিসংঘের অনেক ব্যর্থতা আছে। সীমাবদ্ধতা আছে। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পদের সংখ্যা বাড়ানো নিয়ে সমস্যা আছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে জাতিসংঘের কর্মসূচি হালকাভাবে নেয়া যাবে না। সে ক্ষেত্রে কোনো কোনো ক্ষেত্রে জাতিসংঘ কিছুটা হলেও সফল হয়েছে। যেমন বলা যেতে পারে, গরষষবহরঁস উবাবষড়ঢ়সবহঃ এড়ধষং (গউএ) কর্মসূচির কথা। এ গউএ গোলের টার্গেট ছিল উন্নয়নশীল বিশ্বের দেশগুলো। প্রায় ১৬ বছর আগে জাতিসংঘ এ কর্মসূচি হাতে নিয়েছিল। এ কর্মসূচির সময়সীমা শেষ। ফলে ২০১৫ সালে ঝঁংঃধরহধনষব উবাবষড়ঢ়সবহঃ এড়ধষং অনুমোদিত হয়েছে। কিন্তু মুসলিম বিশ্ব এ ঝউএ অর্জনে কতটুকু সফলতা পাবে, সে প্রশ্ন থাকলই। কেননা মুসলিম বিশ্ব আজ হাজারটা সংকটে নিমজ্জিত। অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সংকট, চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধের কারণে মুসলিম বিশ্ব, বিশেষ করে ইরাক, সিরিয়া আর ইয়েমেন আজ ধ্বংস হয়ে গেছে। যে ইরাক ও সিরিয়া একসময় বিশ্ব সাংস্কৃতিক সভ্যতার অংশ ছিল, তা আজ অতীত। প্রাচীন সভ্যতা আজ ধ্বংস করা হয়েছে। হাজার হাজার বছরের পুরনো সভ্যতা আজ মাটিতে মিশে গেছে। এর জন্য মুসলিম বিশ্ব নিজেরা দায়ী নয়Ñ দায়ী বাইরের শক্তি। আয়লানের মতো শত শত শিশু যখন শুধু জীবন বাঁচাতে সিরিয়া ত্যাগ করতে বাধ্য হয় এবং মারা যায়, তখন বিশ্ব নির্বিকার। এমনকি ওআইসিকেও আমরা কোনো উদ্যোগ নিতে দেখি না। আর জাতিসংঘ? সিরিয়ায় যুদ্ধ থামাতে জাতিসংঘ কোনো ভূমিকা পালন করেনি। হাজার হাজার সিরীয় উদ্বাস্তু যখন পশ্চিম ইউরোপের পথেপ্রান্তরে ‘শুধু একটু আশ্রয়ের’ আশায় মাসের পর মাস ঘুরে বেড়ায়, তখন তথাকথিত মানবাধিকার কমিশনের কোনো ভূমিকা আমরা দেখি না। তাই ইস্তানবুুল সম্মেলনে যখন বিকল্প একটি জাতিসংঘের কথা বলা হয়, তখন এর পেছনে একটি যুক্তি আছে বলেই আমার মনে হয়। জাতিসংঘ ৭০ বছরে পা দিয়েছে। সময়টা একেবারে কম নয়। প্রতি বছর একটি শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করে আমরা অনেক ভালো ভালো কথা শুনি বটে; কিন্তু তা উন্নয়নশীল বিশ্বের কোনো মঙ্গল ডেকে আনতে পারেনি। বরং সাম্প্রতিক বেশ ক’টি রাষ্ট্র ধ্বংস হয়ে গেছে, প্রাচীন ঐতিহ্য নষ্ট করা হয়েছে কিংবা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে; কিন্তু জাতিসংঘ তা বন্ধ করতে পারেনি। শিশু আয়লান কুর্দির মতো শত শত শিশুর জীবন রক্ষা করতেও পারেনি জাতিসংঘ। তাই আগামী ৭০ বছর অর্থাৎ ২০৮৫ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘ টিকে থাকতে পারবে, এটা নিশ্চিত হতে পারছি না। এক কথায় যদি বলা যায়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল জাতিসংঘ। কিন্তু জাতিসংঘ বিশ্বের সর্বত্র শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে, আমরা তা বলতে পারি না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো বড় রাষ্ট্রের বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করার প্রবণতা বাড়ছে। আন্তর্জাতিক পরিসরে যুদ্ধ শুরু করার ব্যাপারে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অনুমতির প্রয়োজন হয়। কিন্তু ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র ইরাক আক্রমণের ক্ষেত্রে এ অনুমতি নেয়নি। জাতিসংঘের চার্টারে অন্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ঘটনায় কোনো রাষ্ট্রের ‘হস্তক্ষেপ’ না করার কথা বলা হলেও আমরা দেখেছি, সিরিয়া ও ইরানের পারমাণবিক প্রকল্পের ব্যাপারে ‘অন্যরাষ্ট্র’, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করছে। ফলে জাতিসংঘ অনেকটা বড় রাষ্ট্রগুলোর ইচ্ছা-অনিচ্ছায় পরিচালিত হচ্ছে। খুব কম ক্ষেত্রেই ছোট রাষ্ট্রগুলোর স্বার্থ রক্ষিত হচ্ছে। তাই বিকল্প একটি জাতিসংঘ না হোক, অন্তত ওআইসিকে আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজন। ওআইসিভুক্ত দেশগুলো নিজেরা অন্তর্দ্বন্দ্বে লিপ্ত। প্রভাব বলয় বিস্তারের রাজনীতিও আমরা লক্ষ করি। ওআইসিভুক্ত ধনী দেশগুলোর বড় ভূমিকা আছে। সিরীয় উদ্বাস্তুদের বিভিন্ন মুসলিম বিশ্বে বসবাসের সুযোগ করে দিতে পারত ওআইসি। তাদের জন্য একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে পারত। কিন্তু ওআইসি’র ব্যর্থতা এখানেইÑ সিরীয় সংকট যখন ঘনীভূত হচ্ছে, তখন ওআইসি সমস্যা সমাধানে তেমন উদ্যোগ নিতে পারেনি। ২১ শতকে এসে ওআইসিকে নতুনভাবে ভাবতে হবে। নয়া পরিকল্পনা নিতে হবে। নিজেদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব ও বিভেদ দূর করতে হবে। তাহলেই ওআইসি বিশ্বে অন্যতম একটি শক্তি হিসেবে দাঁড়িয়ে যেতে পারবে। Daily Alokito Bangladesh 01.05.16

0 comments:

Post a Comment