যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা রাজ্যের অরল্যান্ডো শহরের হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে ১৪ বছর পর যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে আবারও মুসলমানবিদ্বেষী মনোভাব মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। ১৪ বছর আগে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর (যা ৯/১১ নামে পরিচিত) টুইন টাওয়ার ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে যে ব্যাপক মুসলমানবিদ্বেষী একটি মনোভাবের জন্ম হয়েছিল, আজ অরল্যান্ডোর ঘটনা সেই পুরনো স্মৃতিকে উসকে দিল। অরল্যান্ডোর একটি সমকামী রেস্তোরাঁয় আক্রমণ চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে ৪৯ জন সাধারণ মানুষকে। আর যিনি একাই এই হত্যাকাণ্ড চালালেন, তিনি ওমর মতিন, একজন মুসলমান; কিন্তু আফগান-আমেরিকান নাগরিক। ৯/১১-এর ঘটনাবলির সঙ্গে যুক্ত ছিল কট্টরপন্থী সৌদি নাগরিকরা, যারা আল-কায়েদার মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে বিমান হাইজ্যাক করে টুইন টাওয়ার ধ্বংস করে দিয়েছিল। আজ অরল্যান্ডোতে যিনি হামলা চালালেন, তিনিও মুসলমান; কিন্তু তিনি তাঁর মুসলিম ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন। ৯/১১-এর ঘটনার পেছনে ছিল একাধিক ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা। কিন্তু অরল্যান্ডোর হত্যাকাণ্ডে ব্যক্তি ওমর মতিনের ভূমিকাই প্রধান। এখন পর্যন্ত যতটুকু তথ্য পাওয়া গেছে তাতে দেখা যায়, তিনি নিজেই এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছেন। এখানে মিলটা হচ্ছে ৯/১১-এর সময় জানা গিয়েছিল ওই ঘটনার সঙ্গে আল-কায়েদা জড়িত, আর মতিন নিজে হত্যাকাণ্ড চালানোর আগে তাঁর সঙ্গে আইএস বা ইসলামিক স্টেটের সংশ্লিষ্টতা স্বীকার করে গেছেন। অর্থাৎ আইএস এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে। কিন্তু তার অতীত ইতিহাস বলে ধর্ম নয়, বরং সমকামীবিরোধিতাই তাঁকে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করতে উদ্বুদ্ধ করেছে। তিনি উগ্র ইসলামী মতাদর্শে আকৃষ্ট হয়েছিলেন, এমন কোনো তথ্য মার্কিন সংবাদপত্রগুলো আমাদের দিতে পারেনি। তিনি সিরিয়ায় গেছেন, সেখানে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, এমন তথ্যও নেই। এমনকি তিনি যে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে যে সংস্থায় কাজ করতেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটির হয়ে কাজ করে। ফলে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি, একজন তথাকথিত সন্ত্রাসীকে নিশ্চয়ই তাদের হয়ে কাজ করার সুযোগ দেবে না। ফলে একটা প্রশ্ন এলোই—ওমর মতিন কি কারো ‘হয়ে’ কাজ করেছিলেন? তাঁকে কি কেউ বা কোনো পক্ষে ব্যবহার করেছিল? সামনে নির্বাচন। নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করার জন্যই কি এই হত্যাকাণ্ড? কোনো কিছুকেই অস্বীকার করা যায় না। ৯/১১-এর ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনো জানা যায়নি। অনেক প্রশ্নের কোনো জবাব আজও পাওয়া যায়নি। তাই অরল্যান্ডোর হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ আমেরিকাবাসী জানবে, এই আস্থাটি রাখতে পারছি না। ইতিমধ্যে ফ্লোরিডার প্রসিকিউশনের অফিস থেকে বলা হচ্ছে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত মোটিভ বের করতে এক বছরের ওপরে সময় লেগে যাবে। এরই মধ্যে এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে নানা ‘থিওরি’ উঠবে এবং নির্বাচনে কট্টরপন্থীরা এটাকে ইস্যু করে নির্বাচনী হাওয়া তাদের পক্ষে নিতে চাইবে। রাজনীতির মাঠে তাই ডোনাল্ড ট্রাম্প সোচ্চার। জনমত জরিপ তাঁর পক্ষে না থাকলেও, তিনি আবারও মুসলমানবিদ্বেষী মনোভাব নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন। মুসলমানদের তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দিতে চান। এবং মুসলমান অভিবাসীদের জন্য দরজা চিরদিনের জন্য বন্ধ করে দিতে চান! অরল্যান্ডোর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তাই বারবার সংবাদপত্রে আসছে। টিভি চ্যানেলগুলোতে যেন এটাই আলোচনার মূল বিষয়।
অরল্যান্ডোর ঘটনাবলিকে কেন্দ্র করে একদিকে যেমন আইএসের নামটি আলোচনায় এসেছে, ঠিক তেমনি এসেছে ‘রেডিক্যাল ইসলাম’-এর বিষয়টিও। কিছুদিন আগে আইএসের জনৈক মুখপাত্র এই রমজান মাসে ইউরোপ আর যুক্তরাষ্ট্রে হামলা চালানোর কথা বলেছিলেন। তখন যুক্তরাষ্ট্রের কট্টরপন্থীরা সেই মুখপাত্রের বক্তব্যটিই সামনে নিয়ে এসেছে। বলার চেষ্টা করেছে, আইএসই অরল্যান্ডোর এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে। এই বক্তব্যের সঙ্গে যোগ হয়েছে ওমর মতিনের হামলার আগে পাঠানো বার্তা, যেখানে তিনি আইএসের প্রতি তাঁর আনুগত্যের কথা উল্লেখ করেছিলেন। আসলেই কি ওমর মতিন আইএসের সদস্য ছিলেন? যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কোনো গবেষক একাধিক দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে দেখাতে চেয়েছেন, প্রকৃত অর্থেই ওমর মতিন কোনো সালাফি দর্শনে উদ্বুদ্ধ ছিলেন না। সালাফিস্টরা আদি ইসলাম ধর্মে আস্থাশীল, কট্টরপন্থী এবং ইসলাম প্রবর্তনের প্রথম যুগে যে ধরনের রাষ্ট্রব্যবস্থা, সমাজব্যবস্থা ছিল তা কায়েম করতে চায়। দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে ইসলাম ধর্মে যেমন পরিবর্তন এসেছে, তা তারা মানতে নারাজ। প্রকৃত অর্থে একজন সালাফিস্ট (আইএস) যেভাবে জীবন যাপন করেন, ওমর মতিন সেভাবে জীবন যাপন করতেন না। যেমন একজন সালাফিস্ট কখনো মদপান করেন না। কিন্তু ওমর মতিন নিয়মিত অরল্যান্ডোর ওই সমকামী ক্লাবে (পালস) খেতেন এবং মদপান করতেন। সালাফিস্টরা কখনো সময় কাটানোর জন্য ‘মদের দোকানে’ আড্ডা দেন না। সালাফিস্টরা সমকামীদের ঘৃণা করেন। কারণ ইসলাম ধর্মে সমকামিতা নিষিদ্ধ। কিন্তু পাওয়া তথ্য মতে, ওমর মতিন সমকামীও ছিলেন। সমকামীরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য ইন্টারনেটে এক ধরনের ‘অ্যাপ’ ব্যবহার করে। ওমর মতিন তা-ই করতেন। টিভিতে দুজনের বক্তব্য আমি দেখেছি, যাঁরা বলেছেন ওমর মতিন তাঁদের সঙ্গে ‘সমকামী সম্পর্ক’ স্থাপন করার চেষ্টা করেছেন। সালাফিস্টরা সাধারণত মুখমণ্ডলে দাড়ি রাখেন। এটা এক ধরনের বাধ্যবাধকতা। কিন্তু ওমর মতিন ছিলেন ‘ক্লিন শেভড’। সালাফিস্টরা সাধারণ শিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর (লেবানন) সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখেন না ধর্মীয় আনুগত্যের কারণে। কিন্তু ওমর মতিনের ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে, তিনি কোনো এক সময় হিজবুল্লাহ সংগঠনের ব্যাপারে আকৃষ্ট হয়েছিলেন। সালাফিস্টরা সাধারণত তাঁদের স্ত্রীদের ধর্মীয় বিধান মতে পর্দাপ্রথা তথা হিজাব পরতে ‘বাধ্য’ করেন। কিন্তু মতিনের প্রথম স্ত্রী সিতোরা ইউসুফি এবং দ্বিতীয় স্ত্রী নুর সালমান—কেউই হিজাবি ছিলেন না। তিনি তাঁদের পর্দা করতেও বাধ্য করেননি। ধর্ম সম্পর্কে ওমর মতিনের জ্ঞান ছিল সীমিত। শিয়া-সুন্নির পার্থক্য তিনি জানতেন না। নিয়মিত মসজিদে যেতেন কিংবা নামাজ আদায় করতেন, এমন তথ্যও পাওয়া যায় না। যুক্তরাষ্ট্রে কট্টরপন্থী ইসলামিক গ্রুপগুলোর সঙ্গে তিনি সম্পর্ক রক্ষা করতেন, এমন তথ্যও এফবিআইয়ের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি। তবে এফবিআই দু-দুবার তাঁর ব্যাপারে তদন্ত করেছে, এমন তথ্য আমরা পেয়েছি এবং দু-দুবারই এফবিআই তাঁকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দিয়েছে। তাহলে এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে কী মোটিভ কাজ করেছিল? তিনি হতাশাগ্রস্ত, বিকারগ্রস্ত ছিলেন। উগ্র মানসিকতার অধিকারী তিনি ছিলেন। প্রথম স্ত্রীকে তিনি পেটাতেন, এটা স্ত্রী নিজে স্বীকার করেছেন। এ কারণে মাত্র চার মাসের বৈবাহিক জীবন তাঁর ছিল সিতোরা ইউসুফির সঙ্গে। তাহলে শুধু রাগ, ক্ষোভ আর হত্যাশা থেকেই কি তিনি এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছিলেন? ওটাও অনেকে বিশ্বাস করতে চাইবেন না। শুধু সমকামীবিদ্বেষ থেকে (তাঁর বাবার ভাষ্য মতে) ওমর মতিন এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিলেন? এটাও অনেকে বিশ্বাস করতে চাইবেন না। কেননা তিনি অনিয়মিত ‘পালস’ নামের এই সমকামী ক্লাবে যেতেন, নাকি কোনো তৃতীয় পক্ষ তাঁকে ব্যবহার করেছে? উদ্দেশ্য ক্লিয়ার—যুক্তরাষ্ট্রে ইসলামবিদ্বেষী মনোভাবকে আরো উসকে দেওয়া? সামনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিজয়ী করতেই কি এই হত্যাকাণ্ড? ৯/১১-এর ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র প্রথমে আফগানিস্তান, পরে ইরাক দখল করে নিয়েছিল। ২০০১ সালের পর তথাকথিত ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ শুরু করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে এই যুদ্ধ চলছে। ফলাফল? আফগানিস্তানে এখনো যুদ্ধ চলছে। গত সপ্তাহেই ন্যাটো সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেখানে ন্যাটোর সেনাবাহিনী আরো কিছুদিনের জন্য থাকবে। ইরাক থেকে মার্কিন সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে সত্য, কিন্তু ইরাক ধ্বংস হয়ে গেছে। ধ্বংস হয়ে গেছে লিবিয়া ও সিরিয়াও। আফ্রিকায় বোকো হারাম, আল-শাবাবের মতো সংগঠনের জন্ম হয়েছে। অর্থাৎ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ, তার শেষ হয়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলমানবিদ্বেষ কিছুটা কমেছে। তখন অরল্যান্ডোর এই হত্যাকাণ্ডে মুসলমানবিদ্বেষ আবার বাড়ল। অরল্যান্ডোর এই হত্যাকাণ্ডে আইএস নতুন একটি মাত্রা পেল। আইএসের কর্মকাণ্ড সিরিয়া-ইরাক ছাড়িয়ে ইউরোপের পর এখন যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রসারিত হলো। আইএস মার্কিন সমাজে কতটুকু প্রভাব ফেলতে পেরেছে, এটা নিয়ে একদিকে বিতর্ক বাড়বে, অন্যদিকে নীতিনির্ধারকদের চিন্তার খোরাক জোগাবে। প্রশ্ন হচ্ছে, মুসলমান সমাজে কিংবা যুক্তরাষ্ট্রে আইএস সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা কী? আমি দুটি সার্ভে রিপোর্টের কথা উল্লেখ করতে চাই। দুটি সার্ভে রিপোর্টই পিউ (Pew) গবেষণা প্রতিষ্ঠান (ওয়াশিংটন) থেকে পরিচালিত হয়েছে। পিউ ২০১৫ সালে বেশ কিছু মুসলমানপ্রধান দেশে আইএসের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে একটি গবেষণা চালায়। যেমন লেবাননে শতভাগ মানুষ আইএসের প্রতি সহানুভূতিশীল নয়। জর্দানে এই সংখ্যা ৯৪ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ায় ৭৯ শতাংশ, ফিলিস্তিনে ৮৪ শতাংশ, তুরস্কে ৭৩ শতাংশ, নাইজেরিয়ায় ৬৬ শতাংশ, বুরকিনা ফাসোতে ৬৪ শতাংশ, মালয়েশিয়ায় ৬৪ শতাংশ, সেনেগালে ৬০ শতাংশ এবং পাকিস্তানে ২৮ শতাংশ। অর্থাৎ মুসলমানপ্রধান দেশের মানুষ আইএসের প্রতি সহানুভূতিশীল নয়। আবার এসব দেশে আইএসের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়েছে মাত্র ৮ শতাংশ মানুষ (তুরস্ক), ৪ শতাংশ (ইন্দোনেশিয়া), নাইজেরিয়ায় রয়েছে ১৪ শতাংশ, মালয়েশিয়ায় ১১ শতাংশ, সেনেগালে ১১ শতাংশ, পাকিস্তানে ৯ শতাংশ। অর্থাৎ আইএস মুসলমানপ্রধান দেশগুলোতেও তেমন সুবিধা করতে পারেনি। যুক্তরাষ্ট্রের একটা পরিসংখ্যান দিই। পিউ ২০১৬ সালে এই গবেষণা করে। যুক্তরাষ্ট্রের ৮০ শতাংশ মানুষ আইএসকে অন্যতম হুমকি হিসেবে মনে করে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে মনে করে ৭৬ শতাংশ মানুষ। সাইবার আক্রমণকে ৭২ শতাংশ মানুষ হুমকি মনে করে (ইইউয়ের ৫৪ শতাংশ) আর পরিবেশ বিপর্যয়কে হুমকি মনে করে ৫৩ শতাংশ (ইইউ ৬৬ শতাংশ)। পিউয়ের এই গবেষণায় এটা প্রমাণিত হয়েছে যে আইএসের হুমকিকে তারা বেশ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। ফলে অরল্যান্ডোর হত্যাকাণ্ড, আইএসের সংশ্লিষ্টতা যে মার্কিন সমাজে উদ্বেগ সৃষ্টি করবে, এটা বলাই বাহুল্য। এর প্রতিক্রিয়াও পাওয়া গেছে। মসজিদগুলোতে পুলিশি পাহারা বাড়ানো হয়েছে। মুসলমান অধ্যুষিত এলাকায় নজরদারি বেড়েছে। মুসলমানপ্রধান দেশগুলো থেকে অভিবাসনপ্রক্রিয়ায় এক ধরনের পরোক্ষ কড়াকড়ি আরোপ হতে যাচ্ছে। নভেম্বরের নির্বাচনে ট্রাম্প যদি বিজয়ী হন (?), তাহলে দৃশ্যপট বদলে যাবে। মুসলমানরা, বিশেষ করে অভিবাসী মুসলমানরা এক ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকবে। আর রিপাবলিকান আধ্যুষিত অঞ্চলে (যেমন টেক্সাস) তাদের সুযোগ-সুবিধা কমিয়ে দেওয়া হবে। সুতরাং অরল্যান্ডোর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত মুসলমানদের জন্য কোনো ভালো খবর নয়।
Daily kalerkonthoteo
23.06.2016
0 comments:
Post a Comment