17:31
বাংলাদেশ
থেকে ২০ কেজি পদ্মার ইলিশ গেছে পশ্চিম বাংলায় মমতা ব্যানার্জির কাছে।
কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের কর্তাব্যক্তিরা তা যে মমতার হাতে তুলে
দিয়েছেন, সে ছবিও পত্রপত্রিকায় ছাপা হয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী
'শুভেচ্ছার নিদর্শনস্বরূপ' পদ্মার এ ইলিশ পাঠালেন। বাংলাদেশিরা যে
অতিথিপরায়ণ, প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো এই ২০ কেজি ইলিশই তার বড় প্রমাণ। মমতা
ব্যানার্জি সম্প্রতি বিধানসভার নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে
দ্বিতীয়বারের মতো পশ্চিম বাংলায় সরকার গঠন করেছেন। এখন যে প্রশ্নটি সহজেই
করা যায়, তা হচ্ছে এই ২০ কেজি ইলিশ কি মমতার মন গলাতে পারবে? তিস্তায়
পানিবণ্টনের ব্যাপারে বাংলাদেশের স্বার্থ অনেক বেশি। ৬ ফেব্রুয়ারি (২০১৬)
সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, ওই মাসের প্রথম পাঁচ দিনে তিস্তার
পানিপ্রবাহ ছিল ৫০০ কিউসিকের নিচে। বলা ভালো, সেচ প্রকল্পে পানি দেয়া দূরের
কথা, শুধু নদী বাঁচানোর জন্যই দরকার ১ হাজার কিউসেক। ফলে বাংলাদেশ অংশে
তিস্তা আজ মৃত্যুমুখে। গত নভেম্বর থেকেই তিস্তার পানিপ্রবাহ কমতে থাকে।
বাংলাদেশের লালমনিরহাটের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীতে ইতিহাসের সবচেয়ে কম
পানিপ্রবাহ রেকর্ড হয়। ফেব্রুয়ারির প্রথম চার দিনের হিসাবে দেখা গেছে,
প্রথম দিন পাওয়া গেছে ৪২৬, দ্বিতীয় দিন ৪৭৫, তৃতীয় দিন ৪৪৫ আর চতুর্থ দিন
৪১৬ কিউসেক পানি। (সকালের খবর, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬)। যৌথ নদী কমিশন সূত্র
জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের গজলডোবা ব্যারাজ নির্মাণ শুরুর আগে ১৯৭৩-৮৫ সময়কালে
বাংলাদেশ অংশে তিস্তার পানিপ্রবাহ ভালো ছিল বলে তুলনার জন্য ওই সময়কালের
হিসাবকে ঐতিহাসিক গড় প্রবাহ ধরা হয়। ওই ১২ বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম ১০ দিনে
পানিপ্রবাহ ছিল ৫ হাজার ৯৮৬ কিউসেক। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে তা নেমে আসে
৯৬৩ কিউসেকে। এরপর তা নেমে যায় ৫০০ কিউসিকের নিচে। অথচ নদী রক্ষার জন্যই
দরকার ১ হাজার কিউসেক পানি। আর বিদ্যমান সেচ প্রকল্পের জন্য আরো ৩ হাজার
৫০০ কিউসেক পানি দরকার। ওই সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একটি 'নোট
ভারবাল' পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি।
মমতা ব্যানার্জির প্রথম ঢাকা সফরের আগে আমরা অনেক প্রত্যাশার কথা শুনেছি।
তবে এটা সত্য, তিস্তার পানিবণ্টনের বিষয়টি আমাদে জন্য গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ
করে আমাদের নিরাপত্তার সঙ্গে এটা সরাসরি সম্পৃক্ত। আমাদের নীতিনির্ধারকরা
যদি বিষয়টি হালকাভাবে দেখেন, তাহলে এ দেশ, বিশেষ করে উত্তরবঙ্গ একটি বড়
ধরনের সংকটে পড়বে। খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে থাকবে। এমনকি রাজনৈতিক
অস্থিতিশীলতা এতে বাড়বে। মনে রাখতে হবে, তিস্তায় পানিপ্রাপ্তি আমাদের
ন্যায্য অধিকার। আন্তর্জাতিক আইন আমাদের পক্ষে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের
দায়িত্ব আমাদের অধিকার নিশ্চিত করা। এ ক্ষেত্রে মমতা ব্যানার্জির আপত্তি বা
সমর্থন_ এটা আমাদের বিষয় নয়। আমরা এটা বিবেচনায় নিতে চাই না। আমাদের
অধিকার, যা আন্তর্জাতিক আইনে স্বীকৃত, তা নিশ্চিত করবে ভারতের কেন্দ্রীয়
সরকার। এখানে বলা ভালো, সিকিম হয়ে ভারতের দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি হয়ে
পশ্চিমবঙ্গের ডুয়ারের সমভূমি দিয়ে চিলাহাটি থেকে ৪-৫ কিলোমিটার পুবে
বাংলাদেশের নীলফামারী জেলার উত্তর খড়িবাড়ীর কাছে ডিমলা উপজেলার ছাতনাই দিয়ে
প্রবেশ করেছে তিস্তা। ছাতনাই থেকে এ নদী নীলফামারীর ডিমলা, জলঢাকা,
লালমনিরহাটের সদর, পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, রংপুরের কাউনিয়া,
পীরগাছা, কুড়িগ্রামের রাজারহাট, উলিপুর হয়ে চিলমারীতে গিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে
মিশেছে। ডিমলা থেকে চিলমারী এ নদীর বাংলাদেশ অংশের মোট ক্যাচমেন্ট এরিয়া ১
হাজার ৭১৯ বর্গকিলোমিটার। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ নদী কমিশন
গঠনের পর তিস্তার পানিবণ্টন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। ১৯৮৩ সালের জুলাইয়ে দুই
দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের এক বৈঠকে তিস্তার পানিবণ্টনে শতকরা ৩৬ ভাগ বাংলাদেশ
ও ৩৯ ভাগ ভারত এবং ২৫ ভাগ নদীর জন্য সংরক্ষিত রাখার বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত
গৃহীত হয়েছিল। কিন্তু কোনো চুক্তি হয়নি। পরে ২০০৭ সালের ২৫, ২৬, ২৭
সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাংলাদেশ তিস্তার পানির ৮০ ভাগ দুই দেশের মধ্যে
বণ্টন করে বাকি ২০ ভাগ নদীর জন্য রেখে দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। ভারত সে
প্রস্তাবে রাজি হয়নি। এরপর যুক্ত হয়েছিল মমতার আপত্তি। বাংলাদেশের কোনো
প্রস্তাবের ব্যাপারেই অতীতে মমতার সম্মতি পাওয়া যায়নি। এখানে আরো একটা বিষয়
বিবেচনায় নেয়া প্রয়োজন। তিস্তার পানিবণ্টনে সিকিমকে জড়িত করার প্রয়োজনীয়তা
পড়েছে। কেননা সিকিম নিজে উজানে পানি প্রত্যাহার করে বাঁধ দিয়ে বিদ্যুৎ
উৎপাদন করছে। ফলে তিস্তায় পানির প্রবাহ কমে যাচ্ছে দিনে দিনে। পশ্চিমবঙ্গের
উত্তরবঙ্গে কৃষকের কাছে তিস্তার পানির চাহিদা বেশি। সেচকাজের জন্য তাদের
প্রচুর পানি দরকার। এটা বরাবরই মমতার জন্য একটি 'রাজনৈতিক ইস্যু'। সুতরাং
মমতা তিস্তা চুক্তি করে বাংলাদেশের পানিপ্রাপ্তি নিশ্চিত করবেন_ তা আমার
কখনই বিশ্বাস হয়নি। তাই মমতায় আস্থা রাখা যায় না। এ ক্ষেত্রে আমাদের যা
করণীয়, তা হচ্ছে তিস্তার পানিবণ্টনের বিষয়টি অগ্রাধিকার দিয়ে ভারতের ওপর
'চাপ' অব্যাহত রাখা। আমরা ভারতের অনেক 'দাবি' পূরণ করেছি। মোদির আমলে
সীমানা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে দুই দেশের সীমানা এখন চিহ্নিত। দুই দেশের
সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটা একটা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। এ ক্ষেত্রে নির্বাচনের
পর মমতা যদি তার ওপর রাখা আস্থার প্রতিদান না দেন, তাহলে তা যে দুই দেশের
সম্পর্কের মধ্যে একটা অবিশ্বাসের জন্ম দেবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই
মমতা ব্যানার্জি পশ্চিমবঙ্গে রুদ্র কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের উদ্যোগ
নিতে পারেন, যেখানে পশ্চিমবঙ্গের এই পানি বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশকে শতকরা ৫০ ভাগ
পানি দেয়া সম্ভব বলে সুপারিশ করেছিলেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক
প্রণব কুমার রায়ও এ সুপারিশ সমর্থন করেছিলেন। এর ভিত্তিতেই মমতা সিদ্ধান্ত
নিতে পারেন। তবে মমতাকে আস্থায় নেয়া সত্যিকার অর্থেই কঠিন। ঢাকায় আসার আগে
আত্রাই প্রসঙ্গটি তুলে তিনি একটি 'জট' লাগিয়ে গিয়েছিলেন। অর্থাৎ আত্রাইয়ের
সঙ্গে তিস্তার পানিবণ্টনের বিষয়টি এক করে দেখেছেন। এটি একটি ভিন্ন বিষয়।
আত্রাই নিয়ে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু তিস্তার পানিপ্রাপ্তি আমাদের
অগ্রাধিকার। এর সঙ্গে অন্য কোনো ইস্যুকে তুলনা করা যাবে না। বাংলাদেশ
সরকারকে দ্রুত তিস্তার পানিবণ্টনের বিষয়টি সামনে রেখে ভারতের সঙ্গে আলোচনার
উদ্যোগ নিতে হবে। সমুদ্রসীমাও নির্ধারিত হয়েছিল আন্তর্জাতিক আসরে।
দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় সমুদ্রসীমা নির্ধারিত হয়নি। আজকে প্রয়োজনে তিস্তার
পানিবণ্টনের বিষয়টি আন্তর্জাতিক আসরে তুলে ধরতে হবে। মমতা ব্যানার্জির
ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর আমাদের দেশের কোটি কোটি মানুষের বেঁচে থাকার বিষয়টি
ঝুলে থাকতে পারে না। লাখো লাখো মানুষের জীবন-জীবিকা তিস্তার পানির ওপর
নির্ভরশীল। মমতা ব্যানার্জির দয়া-দাক্ষিণ্যের ওপর বিষয়টি নির্ভর করে না।
ভাটির দেশ হিসেবে তিস্তার পানির ন্যায্য অধিকার আমাদের রয়েছে। মমতা
ব্যানার্জি এককভাবে পানি প্রত্যাহার করে নিতে পারেন না। যদি তিনি তা করেন,
তাহলে তা হবে আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এ ক্ষেত্রে মমতাকে নয়, বরং
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর আমাদের চাপ অব্যাহত রাখতে হবে। তবে আমাদের
ভুলে গেলে চলবে না, মমতা বার বার রং বদলাচ্ছেন। একবার বলেছিলেন তিনি
'কাঠবিড়ালি' হবেন। আর একবার বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা
দেবেন। স্পষ্টতই এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে তিনি অন্যদিকে দৃষ্টি সরাতে চান।
তিস্তা একটি আন্তর্জাতিক নদী। এ ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ এককভাবে পানি
প্রত্যাহার করতে পারে না। আন্তর্জাতিক নদীর পানি ব্যবহারসংক্রান্ত ১৯৬৬
সালের আন্তর্জাতিক আইন সমিতির হেলসিংকি নীতিমালার ৪ ও ৫ অনুচ্ছেদে বলা
হয়েছে : প্রতিটি অববাহিকাভুক্ত রাষ্ট্র অভিন্ন নদীগুলো ব্যবহারের ক্ষেত্রে
অবশ্যই অন্য রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রয়োজনকে বিবেচনায় নেবে। এখন
পশ্চিমবঙ্গের পানি প্রত্যাহার বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রয়োজনকে
বিবেচনায় নেয়নি। হেলসিংকি নীতিমালার ১৫ নাম্বার অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে :
প্রতিটি তীরবর্তী রাষ্ট্র তার সীমানায় আন্তর্জাতিক পানিসম্পদের ব্যবহারের
অধিকার ভোগ করবে যুক্তি ও ন্যায়ের ভিত্তিতে। কিন্তু ওই 'যুক্তি ও ন্যায়ের'
ভিত্তিটি উপেক্ষিত থাকে যখন পশ্চিমবঙ্গ বাংলাদেশকে তার ন্যায্য অধিকার থেকে
বঞ্চিত করে। ১৯৯২ সালের ডাবলিন নীতিমালার ২ নাম্বার নীতিতে বলা হয়েছে :
পানি উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা অবশ্যই সবার অংশগ্রহণমূলক হতে হবে। তিস্তার পানি
ব্যবহারের ক্ষেত্রে এটা হয়নি। ১৯৯৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ
'পানিপ্রবাহ কনভেনশন' নামে একটি নীতিমালা গ্রহণ করে। এ নীতিমালার ৬ নাম্বার
অনুচ্ছেদে পানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে 'যুক্তি ও ন্যায়পরায়ণতার' কথা বলা
হয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের ব্যবহার অর্থাৎ এককভাবে তিস্তার পানির ব্যবহার
এই 'যুক্তি ও ন্যায়পরায়ণতা'র ধারণাকে সমর্থন করে না। আমরা আরো আন্তর্জাতিক
আইনের ব্যাখ্যা দিতে পারব, যেখানে বাংলাদেশের অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। বিশেষ
করে পরিবেশসংক্রান্ত জীববৈচিত্র্য কনভেনশনের ১৪ নাম্বার অনুচ্ছেদ,
জলাভূমিবিষয়ক রামসার কনভেনশনের ৫ নাম্বার অনুচ্ছেদ_ প্রতিটি ক্ষেত্রে
পরিবেশের প্রভাব এবং উদ্ভিদ ও প্রাণীসমূহের সংরক্ষণের যে কথা বলা হয়েছে, তা
রক্ষিত হচ্ছে না। এখানে সমস্যাটা ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে
পশ্চিমবঙ্গের। ভারতের ফেডারেল কাঠামোয় রাজ্য কিছু সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে।
কিন্তু কোনো রাজ্য (এ ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ) এমন কিছু করতে পারে না, যা
আন্তর্জাতিক আইনের বরখেলাপ ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে। পশ্চিমবঙ্গকে
আশ্বস্ত করার দায়িত্ব ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের। আমরা আন্তর্জাতিক আইন
অনুযায়ীই আমাদের পানির হিস্যা নিশ্চিত করতে চাই।
তিস্তায় পানির প্রবাহ মারাত্মকভাবে কমে যাওয়ায় বাংলাদেশ এখন বড় ধরনের
নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আমরা চাই এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান। এ
ক্ষেত্রে প্লাস পয়েন্ট হচ্ছে মোদি সরকার একটি চুক্তিতে যেতে চায়। ইতোমধ্যে
স্থলসীমানা চুক্তিতে সম্মতি দিয়ে মমতা ইতিহাসে নাম লিখিয়েছেন। এখন তিস্তার
ব্যাপারেও তিনি পারেন। এটা কঠিন নয়। তিনি যদি সত্যিই আন্তরিক হন, তাহলে
তিনি কল্যাণ রুদ্র কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে পারেন। তিনি
নিজে এ কমিশন গঠন করেছিলেন। কলকাতার পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে
জানা যায়, রুদ্র কমিশন পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে দেয়া রিপোর্টে বলেছে,
পশ্চিমবঙ্গকে ক্ষতি না করেও বাংলাদেশকে শতকরা ৫০ ভাগ পানি দেয়া সম্ভব। তার এ
বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন আরেকজন পানি বিশেষজ্ঞ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষক অধ্যাপক প্রণবকুমার রায়। অধ্যাপক রায়ের অভিমত হচ্ছে, তিস্তায় পানি
নেই কথাটা ঠিক নয়। পানি মজুদ রাখা (বর্ষা মৌসুমে) ও ম্যানেজমেন্ট
প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ সমস্যার সমাধান করা যায়।
প্রশ্নটি আসে আন্তরিকতার। মমতা আদৌ আন্তরিক কিনা, সেটাই বড় প্রশ্ন এখন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দিয়ে তিস্তা সংকটকে পাশ কাটানো যাবে
না। বাংলাদেশ অতিদ্রুত যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক আহ্বান করে ভারতের ওপর 'চাপ'
অব্যাহত রাখতে পারে। সমস্যাটা ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের বিধায় মমতাকে
আশ্বস্ত করা তাদের দায়িত্ব। না পারলে এ ব্যর্থতা মোদি সরকারের। এর
দায়দায়িত্ব আমরা বহন করতে পারি না।Daily Jai Jai Din04.06.16
0 comments:
Post a Comment