ব্রেক্সিট কি ইউরোপীয় ইউনিয়নের পতন ত্বরান্বিত করবে
অ- অ অ+
ব্রিটেনের মানুষ গত ২৩ জুনের গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছে। এটা অনেকটা অপ্রত্যাশিত ছিল। ইউরোপ কেন, বলা যেতে পারে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় নেতারা চেয়েছিলেন, ব্রিটেন ২৮ সদস্যবিশিষ্ট ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকুক। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা স্বয়ং ব্রিটেনে এসে ব্রিটেনবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন তারা যেন ইইউতে থাকার পক্ষে রায় দেয়। জার্মান চ্যান্সেলর মার্কেল, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ওলাঁদও চেয়েছিলেন, ব্রিটেন ইইউতে থাকুক। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন শেষ দিন পর্যন্ত চেষ্টা করে গেছেন ভোটাররা যেন ইইউতে থাকার পক্ষেই রায় দেয়। কিন্তু সেটি হলো না। ৫২ শতাংশ ভোটার রায় দিল বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে, আর ৪৮ শতাংশ দিল থাকার পক্ষে। এর অর্থ পরিষ্কার, ব্রিটেনের সাধারণ মানুষ যেমন অতীতে কখনো চায়নি ব্রিটেন ইইউতে যোগ দিয়ে তাদের নিজস্ব ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি হারিয়ে ফেলুক, এবারও ৪৩ বছর পর তারা চাইল না ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকুক। বলা ভালো, ১৯৯৩ সালের ১ নভেম্বর ইউরোপীয় ইউনিয়ন যাত্রা শুরু করে। তবে এর যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৫৮ সালে ইউরোপীয় কোল ও স্টিল কম্পানি গঠনের মধ্য দিয়ে। এই কম্পানিই পরে ১৯৬৭ সালে ইউরোপীয় ইকোনমিক কমিশনের (ইইসি) জন্ম দেয়, যার পরিবর্তিত রূপ হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ছয়টি দেশ (ফ্রান্স, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, ইতালি, হল্যান্ড ও জার্মানি) নিয়ে ইইসির যাত্রা শুরু। ব্রিটেন ইইসিতে যোগ দেয় ১৯৭৩ সালে। ইইসি কিংবা ইইউ মূলত একটি অর্থনৈতিক জোট। কিন্তু ধীরে ধীরে এই অর্থনৈতিক জোটটি একটি রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয় এবং বলা যেতে পারে বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থায় ইইউ একটি শক্তি। ব্রিটেনের বরাবরই ইইউতে যোগদানের ব্যাপারে রিজার্ভেশন ছিল। যে কারণে ব্রিটেন ইউরো জোনে যোগ দেয়নি। অর্থাৎ তাদের মুদ্রা পাউন্ড তারা বহাল রেখেছিল। ইইউ ১৯৯৯ সালে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা একটি একক মুদ্রা চালু করবে। ২০০২ সালে সেই একক মুদ্রা ইউরো তারা চালু করে। কিন্তু ইইউভুক্ত সব দেশ এই মুদ্রা গ্রহণ করেনি। মাত্র ১৯টি দেশ এই মুদ্রা চালু করেছিল নিজস্ব মুদ্রার বিলুপ্তি ঘটিয়ে।
ইইউ মূলত একটি অর্থনৈতিক জোট হলেও সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক আসরে এর গুরুত্ব বেড়েছে। প্রায় ৪৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৮২ বর্গকিলোমিটার আয়তনবেষ্টিত ইইউর জনসংখ্যা ৫০৮ মিলিয়ন। ২৮টি দেশ একটি অর্থনৈতিক ইউনিয়নে আবদ্ধ হলেও নিজস্ব পার্লামেন্ট, নিজস্ব সরকার ও নিজস্ব সংবিধান তারা বজায় রেখেছে। ফলে দেখা যায়, পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশেই ইইউর অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর নিজস্ব দূতাবাস রয়েছে। এই দেশগুলোয় আবার ইইউর মিশনও রয়েছে (যেমন বাংলাদেশ)। নিঃসন্দেহে ইইউ অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তি। ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে (পিপিপি) ইইউর জিডিপির পরিমাণ ১৯.২০৫ ট্রিলিয়ন ডলার (সাধারণ হিসাবে ১৬.২২০ ট্রিলিয়ন ডলার), যা বিশ্বের তৃতীয় বড় অর্থনীতি। মাথাপিছু আয়ের পরিমাণ ৩৭ হাজার ৮৫২ ডলার (পিপিপি, সাধারণ হিসাবে ৩১,৯১৮ ডলার), যা বিশ্বের ১৮তম। এই অর্থনৈতিক শক্তির বলেই ইইউ বর্তমানে অন্যতম একটি রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। দেখা গেছে, অনেক আন্তর্জাতিক ইস্যুতে ইইউ একটি ‘অবস্থান’ নিয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ইইউর সেই ‘অবস্থান’ যুক্তরাষ্ট্রের ‘অবস্থান’-এর বাইরে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গণতন্ত্রায়ণ ও মানবাধিকার রক্ষার প্রশ্নে ইইউ সোচ্চার। এখন খুব সংগত কারণেই ব্রিটেন ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় ইইউ দুর্বল হয়ে যাবে। এতে করে বিশ্ব আসরে তার গ্রহণযোগ্যতা হ্রাস পাবে।
প্রশ্ন হচ্ছে, ব্রিটেন কি এখনই ইইউ থেকে বেরিয়ে যাবে? জনমতে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে রায় হয়েছে বটে, কিন্তু এর আইনগত ভিত্তি কী? ইইউ গঠনের জন্য যে লিসবন চুক্তির প্রয়োজন হয়েছিল, তার ৫০তম ধারায় বলা আছে, যেকোনো দেশ ইইউর কাঠামো থেকে বেরিয়ে যেতে পারবে। সে ক্ষেত্রে ওই দেশের সাংবিধানিক আইন প্রযোজ্য হবে। অর্থাৎ ওই দেশের পার্লামেন্ট, জনগণ এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। ব্রিটেনের জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন ব্রিটেনের পার্লামেন্ট তা অনুমোদন করবে। ব্রিটেনের পার্লামেন্ট এই সিদ্ধান্ত বাতিল করতে পারবে না। তবে ব্রিটেন এখন থেকে দুই বছর সময় পাবে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে। এই গণভোটের রায়ের একটি ভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছেন ব্রিটিশ আইনজীবী ডেভিড অ্যালেন গ্রিন। ফিন্যানশিয়াল টাইমসে একটি প্রবন্ধ লিখে তিনি মন্তব্য করেছেন যে এই রায়টি বাধ্যতামূলক নয়, বরং এক ধরনের উপদেশমূলক। তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, সরকার এই রায় ‘উপেক্ষা’ করতে পারে। এ ব্যাপারে পার্লামেন্ট সিদ্ধান্ত নেবে, এটা তাঁর অভিমত। বাস্তবতা হচ্ছে এই রায় উপেক্ষা করার কোনো সুযোগ নেই। পার্লামেন্টে ওই রায় অনুমোদিত হবে, এটাই স্বাভাবিক। ডেভিড ক্যামেরন ব্রিটেনের ইইউতে থাকার পক্ষে ক্যাম্পেইন করেছিলেন। কিন্তু ভোটাররা তাঁর কথা শোনেনি। ব্রেক্সিটবিরোধী ক্যাম্পেইনে বিরোধী লেবার পার্টির যে ভূমিকা রাখা উচিত ছিল, তা তারা করেনি। অথচ লেবার পার্টির এমপিদের প্রায় ৯০ শতাংশই ছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার পক্ষে। যে অভিযোগটি উঠেছিল, ইইউ ছাড়লে ব্রিটেন আরো গরিব হয়ে যাবে। এই অভিযোগটির কোনো সত্যতা খুঁজে পায়নি ভোটাররা। মূলত ইউরোপে ব্যাপক অভিবাসন এই গণভোটে একটি বড় ভূমিকা পালন করেছে। অতি সাম্প্রতিককালে ব্যাপকহারে সিরীয়, ইরাকি ও আফগান নাগরিকদের ইউরোপে আগমন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশে পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত ব্রিটেনের ভোটারদের মধ্যে একটি মারাত্মক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। তাদের মধ্যে এমন একটা সংশয়ের জন্ম হয় যে ব্যাপকসংখ্যক অভিবাসী গ্রহণের ফলে ব্রিটেন তার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি হারিয়ে ফেলবে। তাদের মধ্যে একটা ‘ইসলাম ফোবিয়া’ও কাজ করেছে। এটা উসেক দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ব্রেক্সিটকে সমর্থন করেছিলেন। এবং গণভোটে ব্রেক্সিটের পক্ষে রায় পড়লে, তিনি তাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। ক্যামেরন ব্রেক্সিটের বিপক্ষে অর্থাৎ ইইউর পক্ষে জনসংযোগ করলেও মন্ত্রিসভার দুই সদস্য মাইকেল গেভি ও ররিস জনসন এর বিরোধিতা করেন। অর্থাৎ তাঁরা ছিলেন ব্রেক্সিটের পক্ষে। ব্রিটেনের প্রবীণদের সমর্থন নিশ্চিত করতে পারেননি ক্যামেরন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিরোধীরা যুক্তি তুলে ধরেছিলেন একটিই—ইইউ না যুক্তরাজ্য? ইউকে ইনডিপেনডেন্স পার্টির নেতা নাইজেল ফরাজ স্লোগান তুলে ধরেছিলেন যুক্তরাজ্যের পক্ষেই। তাতে তিনি জয়ী হলেন। এই জয় তাঁকে যদি ভবিষ্যতে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর পদে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যায়, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। নিঃসন্দেহে ফরাজ এখন যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে অন্যতম একটি ফ্যাক্টর। মানুষ তাঁর কথায় আস্থা রেখেছে। গেল বছর ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে ক্যামেরনের নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভ পার্টি বিজয়ী হয়। কিন্তু ক্রমবর্ধমান অভিবাসী আগমন, ব্রিটেনের দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ইত্যাদি কারণে ক্যামেরন বাধ্য হয়েছিলেন গণভোট দিতে। সেই গণভোটেই শেষ পর্যন্ত তাঁর পরাজয় ঘটল। তিনি যা চেয়েছিলেন, তাতে কোনো সমর্থন ছিল না যুক্তরাজ্যবাসীর। তিনি পরাজয় মেনে নিয়েছেন।
তাহলে এখন কী হবে? অনেক সম্ভাবনার এখন জন্ম হবে। এবং কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বে পরিবর্তন আসছে। ক্যামেরন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করেছেন। এটাই গণতান্ত্রিক সৌন্দর্য। ক্যামেরনের নীতি মানুষ গ্রহণ করেনি। এখন কনজারভেটিভ পার্টিতে শুধু যুক্তরাজ্যের জন্য নয়া নীতি গ্রহণ করতে হবে। নয়া নেতা নির্বাচিত হবেন অক্টোবরে। অর্থাৎ অক্টোবরে ব্রিটেন একজন নয়া প্রধানমন্ত্রী পাবে। দুই. লেবার পার্টির নেতৃত্বেও পরিবর্তন আসতে পারে। কেননা বর্তমান লেবার নেতৃত্ব ব্রেক্সিটের বিপক্ষে ছিলেন। ফলে লেবার নেতৃত্বকেও এর দায় বইতে হবে। তিন. ইইউ থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত খোদ স্কটল্যান্ডে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে স্কটল্যান্ডে গণভোট হয়েছিল স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার প্রশ্নে। গণভোটে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, স্বাধীন স্কটল্যান্ডের পক্ষে ও বিপক্ষে। মাত্র ৪৫ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছিল স্বাধীনতার পক্ষে, বাকি ৫৫ শতাংশ ভোট দিয়েছিল ব্রিটেনের পক্ষে থাকার জন্য। ফলে সেবার স্কটল্যান্ড স্বাধীন হয়নি। এখন ব্রিটেন ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় স্কটল্যান্ড ইইউতে ব্রিটেনের জায়গাটি নিতে চায়। স্কটল্যান্ডের ফাস্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টুরগিওন বলেছেন, তিনি পুনরায় স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোট চান। এই গণভোট এবার স্কটল্যান্ডের ভাগ্য খুলে দিতে পারে। স্কটল্যান্ড ব্রিটেন বা যুক্তরাজ্য থেকে বেরিয়ে যেতে পারে! এবং বেরিয়ে গিয়ে ইইউতে যোগ দিতে পারে। চার. ব্রিটেনের এই গণভোটের ফলে সমগ্র ইউরোপে একটি জাতীয়তাবাদী চেতনা আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। দক্ষিণপন্থীদের হাত এতে করে শক্তিশালী হতে পারে। ফ্রান্স ও গ্রিস, এমনকি ইতালি হচ্ছে পরবর্তী রাষ্ট্র, যারা ব্রিটেনের পথ অনুসরণ করতে পারে। এরই মধ্যে ফ্রান্সের কট্টর দক্ষিণপন্থী নেতা মেরিন লি পেন ও তাঁর দল ন্যাশনাল ফ্রন্ট পার্টি সেখানে গণভোটের ডাক দিয়েছে। তাঁর দলও ফ্রান্সকে ইইউ থেকে বের করে নিয়ে আসতে চায়। যদিও এটা সত্য, ব্রিটেনে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি নিজেরা এই গণভোটের আয়োজন করেছিল। কিন্তু ফ্রান্সের ক্ষমতাসীনরা এই গণভোটের পক্ষে নয়। পাঁচ. এই গণভোট জার্মানির দক্ষিণপন্থীদের আরো উৎসাহিত করতে পারে। এমনিতেই জার্মানিতে বিপুলসংখ্যক সিরীয় শরণার্থীর উপস্থিতি নিয়ে জার্মান সমাজে বিভক্তি আছে। তথাকথিত শরণার্থীবিরোধীদের মধ্যে ইসলাম ধর্মবিরোধীদের সংখ্যা বেশি। শরণার্থীদের মধ্যে আইএসের জঙ্গিরা লুকিয়ে আছে—এই অভিযোগ তুলে এরই মধ্যে শরণার্থী শিবিরে হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এখন ব্রেক্সিটের ঘটনা জার্মানির দক্ষিণপন্থীদের আরো উৎসাহ জোগাবে। স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচনে দক্ষিণপন্থীরা ভালো করেছে। এখন দক্ষিণপন্থীরা জার্মানিতে ইইউ ছাড়ার ডাক দিতে পারে। ছয়. ব্রেক্সিটের ঘটনা এখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতৃত্বকে বাধ্য করবে বড় সংস্কার আনতে। অনেক রাষ্ট্র এখন (পোল্যান্ড, চেক রিপাবলিক, ডেনমার্ক ও সুইডেন) নিজস্ব সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও অর্থনীতি সুরক্ষার জন্য আলাদা আইন করার উদ্যোগ নেবে। সাত. ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার ঘটনা অর্থনৈতিকভাবে ইইউকে একটি ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দেবে। ব্রিটেনের অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়বে। জেপি মরগ্যানের মতো বেশ কিছু বড় ব্যাংক এরই মধ্যে ব্রিটেনে তাদের কর্মী ছাঁটাইয়ের কথা ঘোষণা করেছে। এতে করে সেখানে বিনিয়োগ হ্রাস পাবে। অন্যত্র চলে যাবে ব্যবসা। ক্ষতি হবে স্থানীয় অর্থনীতির। অন্যদিকে ইইউর অবাধ চলাচল ও স্থায়ী বসবাসের সুযোগে পূর্ব ইউরোপ থেকে (পোল্যান্ড, চেক ইত্যাদি) যারা লন্ডনে অভিবাসী হয়েছিল, তারা থাকবে এখন বড় অনিশ্চয়তার মুখে। চাকরি চলে যাওয়ার আশঙ্কাও বাড়বে। আট. ব্রিটেনের ইইউ ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে বাংলাদেশও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হবে। প্রচুর বাংলাদেশি উদ্যোক্তা লন্ডনে আছেন। তাঁদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বাংলাদেশে ব্রিটেনের বিনিয়োগ ও সহযোগিতা কমে যাবে। আরএমজি (তৈরি পোশাক) সেক্টরে রপ্তানি কমে যাবে।
ব্রেক্সিটের ঘটনাবলিই যে শেষ ঘটনা, এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। ধারণা করছি, ভবিষ্যতে আরো বড় ধরনের ঘটনা ঘটবে। এতে করে যদি ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাঠামো ভেঙে যায়, তাও বিচিত্র কিছু নয়।
Daily Kalerkonthoteo
29.06.16
Daily Kalerkonthoteo
29.06.16
Brexit will not cause a financial crisis. BOE's governor says UK's central bank is well prepared and has firepower.
ReplyDelete