গেল ২৩ জুন ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকা-না থাকা নিয়ে ব্রিটেনে যে গণভোট হয়ে গেল, তার ফলাফল ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ভবিষ্যৎকে একটি অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। এই ফলাফল সুনামির মতো আঘাত হেনেছে ব্রিটেনসহ বিশ্ব আসরে। গণভোটে দেখা গেছে, শতকরা ৫২ ভাগ মানুষ চায় ব্রিটেন ইইউ থেকে বেরিয়ে আসুক। অর্থাৎ ব্রিটেন তার আলাদা অস্তিত্ব, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি নিয়ে ইউরোপীয় রাজনীতিতে টিকে থাকুক। ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টি ২০১৫ সালের নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হলেও ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সিদ্ধান্ত ব্রিটিশরা গ্রহণ করে নেয়নি। বরং ইউকে ইন্ডিপেনডেন্ট পার্টি ও তার নেতা নাইজেল ফরাজের বক্তব্য গ্রহণ করেছিল। অর্থাৎ ফরাজ চেয়েছিলেন যুক্তরাজ্য ইইউ থেকে আলাদা হোক, ভোটাররা সেটাই চেয়েছে। জনমতে একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে, এখন ব্রিটেনের হাউস অব কমন্স এটি অনুমোদন করবে। এজন্য যুক্তরাজ্য সময় পাবে দু’বছর। বাস্তবক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য যখন বেরিয়ে যাবে, তখন এটি হবে দ্বিতীয় ঘটনা, যেখানে ইউরোপীয় অর্থনৈতিক জোট থেকে একটি রাষ্ট্র বেরিয়ে গেল। গ্রিনল্যান্ড প্রথম রাষ্ট্র যে ১৯৮৫ সালে ইউরোপিয়ান ইকোনমিক কমিউনিটি (ইইসি) থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। ওই সময় অবশ্য ইউরোপিয়ান ইকোনমিক কমিউনিটির অস্তিত্ব ছিল। তখনও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) গঠিত হয়নি। ইইউ গঠিত হয় ১৯৯৩ সালের নভেম্বরে।
ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে আমি অবাক হইনি। কারণ গত কয়েক বছর ধরে ইউরোপ একটি সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। গ্রিসের অর্থনৈতিক সংকট সারা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ‘ট্রয়কা’ শক্তির (আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন) কাছে জিম্মি হয়ে গিয়েছিল গ্রিস। গ্রিসের অর্থনৈতিক সংকট প্রমাণ করেছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের মডেল গ্রিসের রাজনীতি তথা অর্থনীতির জন্য সহায়ক নয়। এরপর ইউরোপে ব্যাপক অভিবাসনের ঘটনা ঘটে। হাজার হাজার অভিবাসী সিরিয়া ও ইরাক ছেড়ে ইউরোপে পাড়ি জমায়। হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি পুরো ইউরোপের দৃশ্যপট বদলে দেয়। ইইউ এসব অভিবাসীকে ইইউভুক্ত বিভিন্ন দেশে পাঠানোর উদ্যোগ নিলে তা বড় বিতর্কের জন্ম দেয়। অভিবাসনবিরোধী একটা জনমত শক্তিশালী হয়। কোথাও সরকারি শিবিরে হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এখন ব্রেক্সিটের ঘটনা জার্মানির দক্ষিণপন্থীদের আরও উৎসাহ জোগাবে। স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচনে দক্ষিণপন্থীরা ভালো করেছে। এখন দক্ষিণপন্থীরা জার্মানিতে ইইউ ছাড়ার ডাক দিতে পারে। ব্রেক্সিটের ঘটনা এখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতৃত্বকে বাধ্য করবে বড় সংস্কার আনতে। অনেক রাষ্ট্র এখন (পোল্যান্ড, চেক রিপাবলিক, ডেনমার্ক ও সুইডেন) নিজস্ব সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও অর্থনীতির সুরক্ষার জন্য আলাদা আইন করার উদ্যোগ নেবে। ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার ঘটনা অর্থনৈতিকভাবে ইইউকে একটি ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দেবে। ব্রিটেনের অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়বে। জেপি মরগ্যানের মতো বেশ কিছু বড় ব্যাংক ইতিমধ্যেই ব্রিটেনে তাদের কর্মী ছাঁটাইয়ের কথা ঘোষণা করেছে। এতে সেখানে বিনিয়োগ হ্রাস পাবে। অন্যত্র চলে যাবে ব্যবসা। ক্ষতি হবে স্থানীয় অর্থনীতির। অন্যদিকে ইইউর অবাধ চলাচল ও স্থানীয় বসবাসের সুযোগে পূর্ব ইউরোপ থেকে (পোল্যান্ড, চেক রিপাবলিক ইত্যাদি) যারা লন্ডনে অভিবাসী হয়েছিলেন, তারা থাকবেন এখন বড় অনিশ্চয়তার মুখে। চাকরি চলে যাওয়ার আশংকাও বাড়বে। ব্রিটেনের ইইউ ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে বাংলাদেশও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বাংলাদেশে টাকার দাম পাউন্ডের সঙ্গে বিনিময় হারে দুর্বল হয়ে যাবে। অর্থাৎ টাকার দাম কমে যাবে। বাংলাদেশের রফতানি বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হবে। প্রচুর বাংলাদেশী উদ্যোক্তা লন্ডনে আছেন। তাদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বাংলাদেশে ব্রিটেনের বিনিয়োগ ও সহযোগিতা কমে যাবে। আরএমজি (তৈরি পোশাক) সেক্টরে রফতানি কমে যাবে।
ব্রেক্সিটের ঘটনা আদৌ ব্রিটেনকে বিশ্ব আসরে একটি ‘শক্তিতে’ পরিণত করতে পারবে না। এটা সত্য, ব্রিটেনের ভোটাররা ইইউ থেকে বেরিয়ে গিয়ে নিজেদের আলাদা অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার পক্ষে রায় দিলেন। কিন্তু এতে করে তারা খুব লাভবান হবেন কি-না, সেটাই বড় প্রশ্ন এখন। বরং ইইউতে থেকে ব্রিটেন বড় ভূমিকা পালন করে আসছিল। এখন তাতে ছন্দপতন ঘটল। অনেক প্রশ্ন এখন থাকবে ব্রিটেনের ভবিষ্যৎ নিয়ে। কেমন হবে আগামী দিনের ব্রিটেন? ইইউর সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্ক কোন পর্যায়ে থাকবে, সেটাও একটা প্রশ্ন। এখন ব্রিটেনকে ইইউভুক্ত প্রতিটি দেশের সঙ্গে আলাদা আলাদাভাবে বাণিজ্যিক ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত চুক্তি করতে হবে। যেসব ইইউ নাগরিক ব্রিটেনে কাজ করেন, তাদের ব্যাপারেও একটা সিদ্ধান্তে আসতে হবে। এমনকি ব্রিটেনের যেসব নাগরিক ইইউভুক্ত দেশে বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করেন, কিংবা ইইউর সদর দফতরে নিয়োজিত, তাদের ব্যাপারেও একটা সিদ্ধান্তে আসতে হবে। সব মিলিয়ে ব্রেক্সিট সাম্প্রতিক সময়ে একটি বড় ধরনের ঘটনার জন্ম দিয়েছে। ব্রিটেনের কেউ কেউ ২৩ জুনকে বলছেন ‘স্বাধীনতার দিন’। কিন্তু আগামী দিনগুলোই বলবে এই ‘স্বাধীনতা’ ব্রিটেনকে কতটুকু শক্তিশালী করতে পারবে। নিঃসন্দেহে এ ঘটনা বড় বড় অর্থনৈতিক জোটের জন্য একটি খারাপ সংবাদ। শুভ সংবাদ কট্টরপন্থী জাতীয়তাবাদীদের জন্য। ইউরোপে এই কট্টরপন্থী জাতীয়তাবাদ বিশ্বযুদ্ধের জন্ম দিয়েছিল। এ ইতিহাস অনেকে জানেন। সুতরাং ইইউ থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার ঘটনাই শেষ কথা নয়।
একটি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে এখন ইউরোপীয় ইউনিয়ন। খোদ যুক্তরাজ্যেই এর প্রতিক্রিয়া পড়েছে। উত্তর আয়ারল্যান্ডও স্কটল্যান্ডের পথ অনুসরণ করে যুক্তরাজ্য থেকে বেরিয়ে গিয়ে ইইউতে থাকতে চায়। লন্ডনের নবনির্বাচিত মেয়র সাদিক খানের প্রতি হাজার হাজার মানুষ আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাজ্য থেকে বেরিয়ে যেতে। শুধু তাই নয়, ১০ লাখ আবেদন জমা পড়েছে পুনরায় যুক্তরাজ্যে গণভোট আয়োজন করার। এক ধরনের অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা বিরাজ করছে যুক্তরাজ্যের সর্বত্র। এর ঢেউ এসে পড়েছে এখানে, এই যুক্তরাষ্ট্রেও। প্রচণ্ড মুসলিমবিরোধী ও অভিবাসনবিরোধী ডোনাল্ড ট্রাম্প খুব খুশি এই গণভোটের ফলাফলে। তিনি ব্রিটেনবাসীকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন ইতিমধ্যে। মুসলমানমুক্ত, অভিবাসনমুক্ত এবং সর্বোপরি ইইউমুক্ত ব্রিটেনকে তিনি দেখতে চান। এরই মাঝে ইইউর দুই বড় শক্তি জার্মানি ও ফ্রান্স মাঠে নেমেছে। জার্মান চ্যান্সেলর মার্কেলের উদ্যোগে গত সোমবার বার্লিনে ইইউর শীর্ষ নেতৃবৃন্দের বৈঠক হয়েছে। তিনি ব্রিটেনকে ধীরে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে এই ধীরে চলার অর্থ কী? গণভোটের রায় তো প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন অস্বীকার করতে পারবেন না। এ নিয়ে তার দলের একটা অংশ ব্রেক্সিটের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। কয়েকজন মন্ত্রী ও লন্ডনের সাবেক মেয়র জনসন ছিলেন এই শিবিরে।
এখন যে প্রশ্নটি বড় হয়ে দেখা দিয়েছে তা হচ্ছে, এক. যুক্তরাজ্য চলে গেলে ইইউর আর্থিক কাঠামোয় এর কতটুকু প্রভাব পড়বে? দুই. যুক্তরাজ্য কি তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারবে? এর জবাব এ মুহূর্তে দেয়া কঠিন। যুক্তরাজ্য বিশ্বের বড় অর্থনীতিগুলোর একটি। জি ৭-এর সদস্য এবং নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যও যুক্তরাজ্য। দুর্বল যুক্তরাজ্যের কোনো গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না বিশ্ব আসরে। যুক্তরাজ্যের জিডিপির পরিমাণ ২ দশমিক ৬৭৯ ট্রিলিয়ন ডলার (ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে- পিপিপি), আর সাধারণ হিসাবে এর পরিমাণ ২ দশমিক ৮৪৯ ট্রিলিয়ন ডলার, যা বিশ্বের ৫ম। অন্যদিকে মাথাপিছু আয় সাধারণ হিসাবে ৪৩ হাজার ৭৭১ ডলার, যা বিশ্বের ১৩তম, আর পিপিপিতে এই হিসাব ৪১ হাজার ১৫৯ ডলার। বড় অর্থনীতি হওয়ায় ইইউতে তাদের চাঁদার পরিমাণও বেশি। এক পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৫ সালে ইইউ ফান্ডে যুক্তরাজ্যের দেয়া চাঁদার পরিমাণ ছিল ১৩ বিলিয়ন পাউন্ড। যদিও যুক্তরাজ্য আবার ইইউ থেকে ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন পাউন্ড অনুদান পেয়েছে। কৃষিক্ষেত্রে এই অনুদান দেয়া হয়েছে। ব্রেক্সিটবাদীরা এটাকেই ব্যবহার করেছিলেন। কট্টরপন্থী নেতা ফারাজ এক টুইট বার্তায় অভিযোগ করেছিলেন, ইইউর সঙ্গে সংযুক্তির কারণে প্রতিদিন যুক্তরাজ্যের খরচ হয় ৫৫ মিলিয়ন পাউন্ড। যদিও এটা কীভাবে ব্যয় হয়, তার হিসাব তিনি দেননি। ব্রেক্সিটবাদীদের (যারা ইইউ ছাড়তে চেয়েছিল) অভিযোগ ছিল, বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেও ইইউ থেকে সেভাবে সাহায্য ও সহযোগিতা পায়নি ব্রিটেন।
পাঠকদের জানিয়ে রাখি, ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, উত্তর আয়ারল্যান্ড ও ওয়েলস নিয়েই আজকের যুক্তরাজ্য। ১৭০৭ সালে ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড এক চুক্তির মাধ্যমে একটি রাষ্ট্র গঠনে সম্মতি হয়। ১৮০১ সালে আয়ারল্যান্ড এই কাঠামোয় যোগ দেয়। এর আগে ১৫৩৫-১৫৪২ সালে ইংল্যান্ডের রাজা ওয়েলস দখল করে তা ইংল্যান্ডের অন্তর্ভুক্ত করেন। পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে শেষ পর্যন্ত স্কটল্যান্ড কিংবা উত্তর আয়ারল্যান্ড কি ইংল্যান্ডের সঙ্গে থাকবে? আগেই উল্লেখ করেছি, স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার ও স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির প্রধান নিকোলা স্টুরজিওন ও তার দল ইংল্যান্ড থেকে বেরিয়ে গিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চান এবং ইইউতে যোগ দিতে চান। আয়ারল্যান্ডে সিন ফেইনও স্বাধীনতার ডাক দিয়েছে। কী হবে বলা মুশকিল এই মুহূর্তে। কিন্তু এটা বিবেচনায় নিতে হবে যে, গণভোটে স্কটল্যান্ডে শতকরা ৬০ ভাগ মানুষ ভোট দিয়েছে ইইউতে থাকার পক্ষেই। উত্তর আয়ারল্যান্ডের ভোটের প্যাটার্নও ঠিক এমনটি। ফলে এটা বোঝাই যায়, গণভোটে ইংল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ড ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের ভোটের ফলাফলে পার্থক্য রয়েছে। ফলে স্কটল্যান্ড ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের আগামী দিনের রাজনীতি লক্ষ্য করার বিষয়। ব্রিটেনের এই গণভোট শুধু স্কটিশ আর আইরিশ কট্টরপন্থীদেরকেই উৎসাহিত করবে না, বরং দেখা গেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত বেশ ক’টি দেশের কট্টরপন্থীরা এতে আরও উৎসাহিত হয়েছেন। অস্ট্রিয়ার ফ্রিডম পার্টির সাবেক সভাপতি নর্বার্ট হোফারও চান অস্ট্রিয়াকে ইইউ থেকে বের করে আনতে। বিশ্লেষকরা অনেকেই বলার চেষ্টা করেছেন, যুক্তরাজ্যের পর অস্ট্রিয়া দ্বিতীয় রাষ্ট্র যারা ইইউতে থাকা-না থাকা নিয়ে গণভোট করতে পারে। এ কাতারে আরও আছেন বেলজিয়ামের ফ্লেমিন ন্যাশনালিস্ট পার্টির প্রধান টম ভ্যান গ্রাইকেন, ডেনমার্কের ড্যানিশ পিপলস পার্টির ক্রিশ্চিয়ান থালেসেন, ফ্রান্সের ন্যাশনাল ফ্রন্টের মারিয়েন লি পেন, জার্মানির অলটারনেটিভ ফর জার্মানির ফ্রক পেট্টি, হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রীর ন্যাশনাল কনজারভেটিভ ফ্রিডেসজ পার্টির ভিক্টর অরবান, ইতালির ফাইভ স্টার ম্যুভমেন্টের বেপ্পে গ্রিল্লো, হল্যান্ডের ডাচ পার্টি ফর ফ্রিডমের নিয়ন্ট উইল্ডাস। এই উগ্র জাতীয়তাবাদী শক্তি এখন ব্রেক্সিটের ঘটনায় উৎসাহিত হবে। ফলে আগামী দিনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অবস্থান ইউরোপীয় রাজনীতিতে কেমন হবে, এর স্ট্রাকচার কী হবে, এ প্রশ্ন থাকলই।
বলতে দ্বিধা নেই, ইউরোপে হাজার হাজার সিরীয় ও ইরাকি অভিবাসীর উপস্থিতির কারণে ইউরোপজুড়ে যে অভিবাসনবিরোধী জনমত গড়ে উঠেছে, তার রেশ ধরেই ব্রিটেনের নাগরিকরা সিদ্ধান্ত নিলেন ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার। স্পষ্টতই যে ধারণাকে কেন্দ্র করে ১৯৯৩ সালের নভেম্বরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তার যাত্রা শুরু করেছিল, তা এখন মুখ থুবড়ে পড়ল। ইউরোপে আরও পরিবর্তন আসবে। আর সেই পরিবর্তনটুকু দেখার জন্য আমাদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র থেকে
Daily Alokito Bangladesh
03.07.2016
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment