রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

ব্রেক্সিট কী মেসেজ দিয়ে গেল

 একসময় যে ইইউকে মানুষ দেখত অন্যতম একটি শক্তি হিসেবে, সেই ইইউ এখন বিভ্রান্ত, হতাশাগ্রস্ত এবং দিকনির্দেশনাহীন। ব্রিটেনকে বাদ দিয়ে যে ইইউ, তার অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা ভিত্তি অত্যন্ত দুর্বল হবে। বিশ্ব আসরে ইইউ তার গ্রহণযোগ্যতা হারাবে। ফলে আগামী দিনে ইইউ কীভাবে আবির্ভূত হয়, তার ভূমিকা কী হয়, অধিবাসীদের ব্যাপারে তারা কোন নীতি গ্রহণ করে, তা দেখার জন্য আমাদের আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে মাত্র। তারেক শামসুর রেহমান ব্রেক্সিট (ব্রিটেন প্লাস এক্সিট) কি কোনো মেসেজ দিয়ে গেল? বলা হচ্ছে, গত ২৩ জুন ব্রিটেনে যে গণভোট হয়ে গেল, যাতে ৫২ ভাগ মানুষ ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে যে রায় দিয়েছে তা ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভাঙনের পথ ত্বরান্বিত করবে। এ যুক্তি একেবারে ফেলে দেয়ার মতো নয়। ১৯৯৩ সালের ১ নভেম্বর যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন একটি ঐক্যবদ্ধ ইউরোপীয় শক্তি হিসেবে তার যাত্রা করেছিল, ২০ বছর পর এসে এর প্রথম ধাক্কা লেগেছিল গ্রিসের অর্থনৈতিক সংকটকে কেন্দ্র করে। প্রায় পাঁচ বছর যাবৎ গ্রিস একটি বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এ সংকটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কোনো বড় ধরনের সহায়তা দিতে পারেনি। বরং দেখা গেছে, একপর্যায়ে গ্রিস দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার উপক্রম হওয়ায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ও বিশ্বব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে গ্রিসকে তার অস্তিত্ব ঠেকিয়ে রাখতে হয়েছে। এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল যে, গ্রিস ইইউ ও ইউরোপ জোন থেকে বেরিয়ে যাবে। তারা পুনরায় গ্রিসের মুদ্রা 'দ্রাকমা'তে ফিরে যাবে_ এমন একটি পরিকল্পনার কথাও শোনা গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তা হয়নি বটে, কিন্তু গ্রিসের পরিস্থিতি আমাদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছিল, যে লক্ষ্যে ইইউ গঠিত হয়েছিল সেই লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে ইউউ। এর পরই এলো ব্রিটেনের গণভোটের প্রশ্নটি। আসলে বেশ কয়েক বছর ধরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাজনীতি যদি লক্ষ্য করা যায়, তাহলে দেখা যাবে ইইউর ভেতরেই দুটি পক্ষ তৈরি হয়েছে_ ধনী রাষ্ট্রগুলোর সমন্বয়ে একটি পক্ষ এবং গরিব রাষ্ট্রগুলোর সমন্বয়ে আর একটি পক্ষ। ধনী রাষ্ট্রগুলো বিশেষ করে জার্মানি ও ফ্রান্স ইইউর সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় বেশি প্রভাব খাটাত। অন্যদিকে গরিব দেশগুলো বিশেষ করে গ্রিস, পর্তুগাল, ইতালি ইইউর কাছ থেকে যে প্রত্যাশা করেছিল তা তারা পাচ্ছিল না। ফলে ইইউর মধ্যেই সংকট গভীরতর হচ্ছিল। এরই মধ্যে বড় বিপর্যয় ঘটল ব্রিটেনের গণভোটে। প্রধানমন্ত্রী গেল বছরের নির্বাচনের আগেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ব্রিটেন ইইউতে থাকবে কি থাকবে না, এ ব্যাপারে তিনি গণভোট দেবেন। তিনি দিলেন এবং তিনি হেরে গেলেন। তিনি চেয়েছিলেন ব্রিটেন ইইউতে থাকুক। কিন্তু ব্রিটেনবাসী তা চাইল না। তাহলে এখন কী হবে? অনেক সম্ভাবনার এখন জন্ম হবে এবং কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বে পরিবর্তন আসছে। ক্যামেরন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করেছেন। এটাই গণতান্ত্রিক সৌন্দর্য। ক্যামেরনের নীতি মানুষ গ্রহণ করেনি। এখন কনজারভেটিভ পার্টিতে শুধু যুক্তরাজ্যের জন্য নয়া নীতি গ্রহণ করতে হবে। নয়া নেতা নির্বাচন হবে অক্টোবরে। অর্থাৎ অক্টোবরে ব্রিটেন একজন নয়া প্রধানমন্ত্রী পাবে। লেবার পার্টির নেতৃত্বেও পরিবর্তন আসতে পারে। কেননা বর্তমান লেবার নেতৃত্ব ব্রেক্সিটের বিপক্ষে ছিলেন। ফলে লেবার নেতৃত্বকেও এর দায় বইতে হবে। ইইউ থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত খোদ স্কটল্যান্ডে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে স্কটল্যান্ডে গণভোট হয়েছিল স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার প্রশ্নে। গণভোটে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল স্বাধীন স্কটল্যান্ডের পক্ষে ও বিপক্ষে। শতকরা মাত্র ৪৫ ভাগ ভোটার ভোট দিয়েছিল স্বাধীনতার পক্ষে, বাকি ৫৫ ভাগ ভোট দিয়েছিল ব্রিটেনের সঙ্গে থাকার জন্য। ফলে সেবার স্কটল্যান্ড স্বাধীন হয়নি। এখন ব্রিটেন ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হওয়ায় স্কটল্যান্ড ইইউতে ব্রিটেনের জায়গাটি নিতে চায়। স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টুরগিওন বলেছেন, তিনি পুনরায় স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোট চান। এ গণভোট এবার স্কটল্যান্ডের ভাগ্য খুলে দিতে পারে। স্কটল্যান্ড ব্রিটেন বা যুক্তরাজ্য থেকে বেরিয়ে যেতে পারে এবং বেরিয়ে গিয়ে ইইউতে যোগ দিতে পারে। ব্রিটেনের এ গণভোট সমগ্র ইউরোপে একটি জাতীয়তাবাদী চেতনা আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। দক্ষিণপন্থীদের হাত এতে শক্তিশালী হতে পারে। ফ্রান্স ও গ্রিস, এমনকি ইতালি হচ্ছে পরবর্তী রাষ্ট্র যারা ব্রিটেনের পথ অনুসরণ করতে পারে। ইতোমধ্যে ফ্রান্সের কট্টর দক্ষিণপন্থী নেতা মেরিন লি পেন ও তার দল ন্যাশনাল ফ্রন্ট পার্টি সেখানে গণভোটের ডাক দিয়েছে। তার দলও ফ্রান্সকে ইইউ থেকে বের করে নিয়ে আসতে চায়। যদিও এটা সত্য, ব্রিটেনে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি নিজেরা এ গণভোটের আয়োজন করেছিল। কিন্তু ফ্রান্সের ক্ষমতাসীনরা এ গণভোটের পক্ষে নন। এ গণভোট জার্মানির দক্ষিণপন্থীদের আরো উৎসাহিত করতে পারে। এমনিতেই জার্মানিতে বিপুলসংখ্যক সিরীয় শরণার্থীর উপস্থিতি নিয়ে জার্মান সমাজে বিভক্তি আছে। তথাকথিত শরণার্থীদের মধ্যে ইসলাম ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা বেশি ও আইএসের জঙ্গিরা লুকিয়ে আছে_ এ অভিযোগ তুলে ইতোমধ্যে শরণার্থী শিবিরে হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এখন ব্রেক্সিটের ঘটনা জার্মানির দক্ষিণপন্থীদের আরো উৎসাহ জোগাবে। স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচনে দক্ষিণপন্থীরা ভালো করেছে। এখন দক্ষিণপন্থীরা জার্মানিতে ইইউ ছাড়ার ডাক দিতে পারে। ব্রেক্সিটের ঘটনা এখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতৃত্বকে বাধ্য করবে বড় সংস্কার আনতে। অনেক রাষ্ট্র এখন (পোল্যান্ড, চেক রিপাবলিক, ডেনমার্ক ও সুইডেন) নিজস্ব সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও অর্থনীতির সুরক্ষার জন্য আলাদা আইন করার উদ্যোগ নেবে। ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার ঘটনা অর্থনৈতিকভাবে ইইউকে একটি ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দেবে। ব্রিটেনের অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়বে। জেপি মরগ্যানের মতো বেশকিছু বড় বড় ব্যাংক ইতোমধ্যেই ব্রিটেনে তাদের কর্মী ছাঁটাইয়ের কথা ঘোষণা করেছে। এতে সেখানে বিনিয়োগ হ্রাস পাবে। অন্যত্র চলে যাবে ব্যবসা। ক্ষতি হবে স্থানীয় অর্থনীতির। অন্যদিকে ইইউর অবাধ চলাচল ও স্থায়ী বসবাসের সুযোগে পূর্ব ইউরোপ থেকে (পোল্যান্ড, চেক ইত্যাদি) যারা লন্ডনে অভিবাসী হয়েছিলেন তারা থাকবেন এখন বড় অনিশ্চয়তার মুখে। চাকরি চলে যাওয়ার আশঙ্কাও বাড়বে। ব্রিটেনের ইইউ ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে বাংলাদেশও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বাংলাদেশে টাকার দাম পাউন্ডের সঙ্গে বিনিময় হারে দুর্বল হয়ে যাবে। অর্থাৎ টাকার দাম কমে যাবে। বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হবে। প্রচুর বাংলাদেশি উদ্যোক্তা লন্ডনে আছেন। তাদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বাংলাদেশে ব্রিটেনের বিনিয়োগ ও সহযোগিতা কমে যাবে। আর এমজি (তৈরি পোশাক) সেক্টরে রপ্তানি কমে যাবে। ব্রেক্সিটের ঘটনা আদৌ ব্রিটেনকে বিশ্ব আসরে একটি শক্তি হিসেবে পরিণত করতে পারবে না। এটা সত্য, ব্রিটেনের ভোটাররা ইইউ থেকে বেরিয়ে গিয়ে নিজেদের আলাদা অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার পক্ষে রায় দিল। কিন্তু তাতে তারা খুব লাভবান হবে কিনা সেটাই বড় প্রশ্ন এখন। বরং ইইউতে থেকে ব্রিটেন বড় ভূমিকা পালন করে আসছিল। এখন তাতে ছন্দপতন ঘটল। অনেক প্রশ্ন এখন থাকবে ব্রিটেনের ভবিষ্যৎ নিয়ে। কেমন হবে আগামী দিনের ব্রিটেন? ইইউর সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্ক কোন পর্যায়ে থাকবে, তাও একটা প্রশ্ন। এখন ব্রিটেনকে ইইউভুক্ত প্রতিটি দেশের সঙ্গে আলাদাভাবে বাণিজ্যিক ও নিরাপত্তাসংক্রান্ত চুক্তি করতে হবে। যেসব ইইউ নাগরিক ব্রিটেনে কাজ করেন তাদের ব্যাপারেও একটা সিদ্ধান্তে আসতে হবে। এমনকি ব্রিটেনের যেসব নাগরিক ইইউভুক্ত দেশে বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করেন কিংবা ইইউর সদর দপ্তরে নিয়োজিত, তাদের ব্যাপারেও একটা সিদ্ধান্তে আসতে হবে। সব মিলিয়ে ব্রেক্সিটের ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে একটি বড় ধরনের ঘটনা। ব্রিটেনের কেউ কেউ ২৩ জুনকে বলছেন 'স্বাধীনতার দিন'। কিন্তু আগামী দিনগুলোই বলবে এ 'স্বাধীনতা' ব্রিটেনকে কতটুকু শক্তিশালী করতে পারবে। নিঃসন্দেহে এ ঘটনা বড় বড় অর্থনৈতিক জোটের জন্য একটি খারাপ সংবাদ। শুভসংবাদ কট্টরপন্থী জাতীয়তাবাদের জন্য। ইউরোপে এ কট্টরপন্থী জাতীয়তাবাদ বিশ্বযুদ্ধের জন্ম দিয়েছিল। এ ইতিহাস অনেকে জানেন। সুতরাং ইইউ থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার ঘটনাই শেষ কথা নয়। একটি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে এখন ইউরোপীয় ইউনিয়ন। খোদ যুক্তরাজ্যেই এর প্রতিক্রিয়া পড়েছে। উত্তর আয়ারল্যান্ডও স্কটল্যান্ডের পথ অনুসরণ করে যুক্তরাজ্য থেকে বেরিয়ে গিয়ে ইইউতে থাকতে চায়। লন্ডনের নবনির্বাচিত মেয়র সাদিক খানের প্রতি হাজার হাজার মানুষ আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাজ্য থেকে বেরিয়ে যেতে। শুধু তাই নয়, ১০ লাখ আবেদন জমা পড়েছে পুনরায় যুক্তরাজ্যে আরেকটি গণভোট আয়োজন করার। এক ধরনের অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা বিরাজ করছে যুক্তরাজ্যের সর্বত্র। এর ঢেউ এসে পড়েছে এখানে, এই যুক্তরাষ্ট্রে। প্রচ- মুসলমান ও অভিবাসনবিরোধী ডোনাল্ড ট্রাম্প খুব খুশি এই গণভোটের ফলাফলে। তিনি ব্রিটেনবাসীকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন ইতোমধ্যে। মুসলমানমুক্ত, অভিবাসনমুক্ত এবং সর্বোপরি ইইউমুক্ত ব্রিটেনকে তিনি দেখতে চান। এরই মধ্যে ইইউর দুই বড় শক্তি জার্মানি ও ফ্রান্স মাঠে নেমেছে। জার্মান চ্যান্সেলর মার্কেলের উদ্যোগে গত সোমবার বার্লিনে ইইউর শীর্ষ নেতৃবৃন্দের বৈঠক হয়েছে। তিনি ব্রিটেনকে ধীরে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে এ ধীরে চলার অর্থ কী? গণভোটের রায় তো প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন অস্বীকার করতে পারবেন না। এ নিয়ে তার দলের একটা অংশ ব্রেক্সিটের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। কয়েকজন মন্ত্রী ও লন্ডনের সাবেক মেয়র জনসন ছিলেন এই শিবিরে। তারা চাচ্ছেন খুব দ্রুতই গণভোটের সিদ্ধান্ত কার্যকর হোক। স্পষ্টতই বিষয়টি হাউস অব কমন্সে আলোচিত হবে। সেখানে দীর্ঘ বিতর্ক হবে। কিন্তু গণভোটের রায়কে অস্বীকার করা যাবে না কোনোমতেই। নিঃসন্দেহে এ রায় একটি মেসেজ দিয়ে গেল। এ রায় প্রমাণ করল ব্রিটেনে অভিবাসনবিরোধী জনমত শক্তিশালী হচ্ছে। এখন অন্য দেশগুলোতেও এ জনমত প্রভাব ফেলবে। একসময় যে ইইউকে মানুষ দেখত অন্যতম একটি শক্তি হিসেবে, সেই ইইউ এখন বিভ্রান্ত, হতাশাগ্রস্ত এবং দিকনির্দেশনাহীন। ব্রিটেনকে বাদ দিয়ে যে ইইউ, তার অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা ভিত্তি অত্যন্ত দুর্বল হবে। বিশ্ব আসরে ইইউ তার গ্রহণযোগ্যতা হারাবে। ফলে আগামী দিনে ইইউ কীভাবে আবির্ভূত হয়, তার ভূমিকা কী হয়, অধিবাসীদের ব্যাপারে তারা কোন নীতি গ্রহণ করে, তা দেখার জন্য আমাদের আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে মাত্র Daily Jai Jai Din 10.07.2016

0 comments:

Post a Comment