রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

তুরস্কের ব্যর্থ অভ্যুত্থান ও ভবিষ্যৎ রাজনীতি

তুরস্কের গত ১৫ জুলাই এর ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের পর এখন অনেকগুলো প্রশ্নের জন্ম হয়েছে যা তুরস্কের ভবিষ্যৎ রাজনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তুরস্ক একটি ন্যাটোভুক্ত দেশ। মার্কিন বিমান ঘাঁটি এখানে রয়েছে। অভ্যুত্থানে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার অভিযোগ করায় এখন দুই দেশের  মাঝে সম্পর্কের অবনতি ঘটতে পারে।
প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান পুনরায় ফাঁসির দণ্ড চালু করার উদ্যোগ নেওয়ায় তুরস্কের ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ পেতে এখন আরও বিলম্ব হতে পারে। তুরস্কের রাজনীতিতে ইসলাম আর ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে দ্বন্দ্ব তা এই ঘটনায় আরো প্রকট হবে। এরদোয়ান আরও স্বৈরাচারি হয়ে উঠবেন। সেনাবাহিনীর সঙ্গে তার সম্পর্কের আরো অবনতি ঘটতে পারে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের ক্ষমতা এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে আরো শক্তিশালী হয়েছে।
তবে এরদোয়ান যেভাবে সরকার পরিচালনা করছিলেন সে বিষয়ে অনেকের আপত্তি আছে। তার বিরুদ্ধে অনেকগুলো অভিযোগের একটি হচ্ছে তিনি ক্ষমতা নিজের হাতে রাখতে চান। ২০০৩ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি একটানা একই দায়িত্ব পালন করে গেছেন। কিন্তু দেশটির সংবিধান তাকে আরো একবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে না দেয়ায় তিনি ২০১৪ সালের ২৮ আগস্ট প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন। এক পর্যায়ে তার ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে তিনি প্রেসিডেন্ট শাসিত সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এর ফলে তিনি তার এক সময়ের বিশ্বস্ত ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী আহমেদ দাভুলগলুর সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে যান এবং তাকে পদত্যাগে বাধ্য করেন।
দ্বিতীয়ত, তিনি রাজধানী আঙ্কারায় একটি পাহাড়ে প্রেসিডেন্ট হাউজ নির্মাণ করেছেন যার পরিচিতি ‘হোয়াইট প্যালেস’ হিসেবে। প্রায় একহাজার কক্ষ বিশিষ্ট এই বাড়িটি ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাসস্থান হোয়াইট হাউজ থেকেও বড়। নির্মাণ ব্যায় ধরা হয়েছিল ৬১৫ মিলিয়ন ডলার, বাংলাদেশি টাকায় ৪৯২০ কোটি টাকা। এত বিপুল অর্থ ব্যয় করে প্রাসাদতুল্য এ ধরনের একটি ভবন তৈরী করা আদৌ উচিত কীনা, সে প্রশ্ন কোনো কোনো মহলে উঠেছে।
তৃতীয়ত, এরদোয়ানের মন্ত্রীসভার অনেক সদস্য ও তাদের পরিবারবর্গ সরাসরি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে গেছেন। শীর্ষস্থানীয় তার দলের নেতাদের এই দুর্নীতি তিনি রোধ করতে পারেননি।
চতুর্থত, ইরানের বিরুদ্ধে যখন আন্তর্জাতিক অবরোধ বজায় ছিল, তখন তুরস্ক ইরান থেকে তেল ও গ্যাস আমদানি করে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করেছে। একই কথা প্রযোজ্য সিরিয়ার আইএস(ইসলামিক স্টেট) বিদ্রোহীর ক্ষেত্রেও। সিরিয়ার এবং ইরাকের অনেক তেলখনি দখল করে নিয়েছিল আইএস বিদ্রোহীরা। তারা ওই তেলক্ষেত্র থেকে তেল উত্তোলন করে অবৈধভাবে তুরস্ক দিয়ে ওই তেল বিদেশে রফতানি করতো। এই তেল বিক্রি ছিল আইএস এর অর্থ আয়ের অন্যতম উৎস। সারা বিশ্ব যখন মোটামুটিভাবে আইএস এর জঙ্গি তৎপরতার বিষয়ে উৎকণ্ঠিত, তখন তুরস্ক আইএস এর অর্থ আয়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। এমন কথাও শোনা যায় জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয় তুরস্কের কোনো কোনো গোপন আস্তানায়।
পঞ্চমত, খোদ এরদোয়ানের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ তিনি নিজেকে ইতোমধ্যেই তুরস্কের সুলতান ভাবতে শুরু করেছেন। তুরস্কের অটোমান সা্ম্রাজ্য প্রায় এক হাজার বছর ক্ষমতায় ছিল। একদিকে দক্ষিণ পূর্ব ইউরোপ, পশ্চিম এশিয়া, মধ্য এশিয়ার ককেশিয়ান অঞ্চল ও অন্যদিকে উত্তর আফ্রিকা পর্যন্ত বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন তুরস্কের শাসকরা। যারা সুলতান হিসেবে পরিচিতি ছিলেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অবসানের পর পরই এই রাজতন্ত্রের অবসান ঘটে। ১৯২২ সালের ১ নভেম্বর অটোমান সাম্রাজ্যের অবসানের ঘোষণা করা হয়। এখন এরদোয়ান যেভাবে সরকার পরিচালনা করছেন, যেভাবে মুসলিম বিশ্বের নেতৃত্ব দেয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন, তাতে করে কেউ কেউ তাকে সাবেক অটোমান শাসকদের সাথে তুলনা করেছেন।
ষষ্ঠত, গেল বছর তুরস্কের জনপ্রিয় পত্রিকা জামান এর নিয়ন্ত্রণভার সরকারের হাতে তুলে দেয়া হয়। অর্থাৎ পত্রিকাটি সরকারিকরণ করা হয়। এর মাধ্যামে তিনি মিডিয়ার উপর তার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেন। তবে এটা স্বীকার করতেই হবে তিনি যথেষ্ট জনপ্রিয়। নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষমতা তার আছে। রাজনীতি বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে ‘ক্যারিশম্যাটিক’ বা সম্মোহনী নেতৃত্ব বলে, সেই সম্মোহনী নেতৃত্ব তার রয়েছে। মুসলিম প্রধান দেশগুলোকে এক প্লাটফর্মে নিয়ে আসার এক মহাপরিকল্পনা তার রয়েছে। চীনের মত পুরানো সিল্করোড’কে তিনি পুনরুজ্জীবিত করতে চান।
তুরস্কে আমি দেখেছি আফ্রিকার অনেক গরিব দেশের শিশুদের তার সরকার আশ্রয় দিয়েছে। ইসলামিক মতাদর্শের প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস থাকলেও তিনি ওয়াহেবি বা জিহাদি মতাদর্শে বিশ্বাসী নন। এক সময়ের ফুটবল খেলোয়াড় এরদোয়ান তার রাজনৈতিক জীবন গড়ে তুলেছেন ইসলামিক ওয়েলফেয়ার পার্টির নেতা বেকমাতিন এরবাকারের ছত্রছাঁয়ায়। তিনি ছিলেন প্রাচীন নগরী ইস্তাম্বুলের জনপ্রিয় মেয়র। এই ইস্তাম্বুলই হচ্ছে তার ক্ষমতার ঘাঁটি। যখন অভ্যুত্থাকারীরা আঙ্কারার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়েছিল, তখন তিনি ছিলেন অবসরকালীন ছুটিতে। তিনি কর্মীদের আহ্বান জানিয়েছিলেন রাস্তায় অবস্থান নিতে। তার হাজার হাজার সমর্থক ইস্তাম্বুলের রাস্তায় অবস্থান নিয়ে অভ্যুত্থানকারীদের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিয়েছিল।
এখানে বলা দরকার  বেকমাতিন এরবাকারের নেতৃত্বে ইসলামিক ওয়েলফেয়ার পার্টি অতি ইসলামিক এবং তুরস্কের সংবিধানের মূল ধারার (অর্থাৎ ধর্মনিরপেক্ষতা) পরিপন্থী হওয়ায় দলটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল যা কীনা সেনাবাহিনী চেয়েছিল। দলটি নিষিদ্ধ ঘোষণা হওয়ায় ওই দলের সমর্থকরা প্রথমে ভার্চু পার্টি গঠন করে এবং পরে গঠন করে জাস্টিস এন্ড ডেভলপমেন্ট পার্টি যা একেপি নামেও পরিচিত। আবদুল্লাহ গুল ও  এরদোয়ান একেপি পার্টি গঠনের নেপথ্য নায়ক। ২০০২ সালে নির্বাচনে একেপি পার্টি বিজয়ী হওয়ায় আবদুল্লাহ গুল প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। এরদোয়ান তখন ছিলেন জেলে। একটি কবিতা আবৃত্তি করার অভিযোগে, যেখানে তিনি তুরস্কের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রকে কটাক্ষ করেছিলেন, তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল।
একেপি পার্টি সরকার গঠন করে তার সাজা মওকুফ করে দেয়। তিনি উপনির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সংসদে আসেন, প্রধানমন্ত্রী হন আর আবদুল্লাহ গুল হন প্রেসিডেন্ট। সেই থেকে তার যাত্রা শুরু। ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে তিনি আর প্রধানমন্ত্রী হতে পারেননি। হয়েছেন প্রেসিডেন্ট। এবং সংবিধানে পরিবর্তন এনে তুরস্ককে রাষ্ট্রপতি শাসিত একটি দেশে পরিণত করেছেন। দেশটিতে একজন প্রধানমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর নেতৃ্ত্বে একটি ক্যাবিনেট থাকলেও মূল ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের হাতে।
এখন ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের পর সন্দেহাতীতভাবে এরদোয়ানের হাত আরো শক্তিশালী হয়েছে। একটি শক্তিশালী প্রেসিডেন্ট কী তুরস্কের গণতন্ত্রকে আরো উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারবে? একটি জিনিস অবশ্য লক্ষ্যণীয়, আর তা হচ্ছে এরদোয়ান আর একেপি পার্টির ক্ষমতা পরিচালনা নিয়ে তর্ক বির্তক থাকলেও সংসদে সকল বিরোধী দল একত্রিত হয়ে সামরিক অভ্যুত্থানের উদ্যোগকে সমালোচনা করেছেন। এরদোয়ানের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানও সকল বিরোধীদলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এটাই গণতন্ত্রের শক্তি। গণতন্ত্রের জন্য একটা ম্যাসেজ। জাতীয় ঐক্যের প্রশ্নে জাতি যদি বিভক্ত থাকে, তাহলে গণতন্ত্র শক্তিশালী হয় না।
তুরস্কের গণতন্ত্র মুখ থুবড়ে যায়নি, একটা ধাক্কা খেয়েছে। এ ক্ষেত্রে জাতীয় ঐক্যটা বড় প্রয়োজন। তবে সেই সঙ্গে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানেরও দায়িত্ব রয়েছে অনেক। জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস- এটা মিডিয়ার স্বাধীনতা, স্বাধীন বিচার বিভাগ- এসব যদি নিশ্চিত করা না যায় তাহলে সত্যিকার গণতন্ত্রের স্বাদ তুরস্কের জনগণ পাবে না। অভ্যুত্থান পরবর্তী তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের কাছে প্রত্যাশা তাই অনেক বেশী। তাই সংগতকারণেই যে প্রশ্নটি সামনে চলে আসে তা হচ্ছে এই ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থান থেকে এরদোয়ান আদৌও কিছু শিখবেন কীনা?
তার বক্তব্যের মধ্যে এটা তিনি স্পষ্ট করেছেন যে এই ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের পেছনে কলকাঠি নেড়েছেন ফাতেউল্লাহ গুলেন। তিনি মূলত তুরস্কের অধ্যাত্মিক গুরু। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসেলভেনিয়াতে বসবাস করেন। ফাতেহউল্লাহ গুলেন অনেকটা আমাদের দেশের সুফীবাদের ধারায় ইসলামকে ব্যাখ্যা করেছেন। ইসলাম সম্পর্কে তার প্রচুর বই রয়েছে। তার আদর্শকে ধারণ করেই তুরস্কে গড়ে উঠেছে গুলেন মুভমেন্ট। গুলেন কট্টরবাদ, জঙ্গিবাদের সমালোচনা করেছেন। ইসলামকে তিনি সত্যিকার অর্থেই শান্তির ধর্ম হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। তুরস্কে রাজনৈতিক দলগুলো মূলত দু’ধারায় রাজনীতিতে বিভক্ত হয়ে আছে।
একদিকে রয়েছে ইসলামপন্থীরা অন্যদিকে ধর্মনিরপেক্ষবাদীরা। উভয় শক্তি মূলত গণতান্ত্রিক আদর্শকে ধারণ করে। দীর্ঘদিন তুরস্কের রাজনীতিতে এই ধর্মনিরপেক্ষবাদ বড় ধরনের প্রভাব বিস্তার করে আসছে। তুরস্কের জাতির পিতা কামাল পাশা এই ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির প্রবক্তা। সেনাবাহিনী তার আদর্শেই গড়ে উঠেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থানও তেমনি। দশ বছর আগেও স্কার্ফ পরে কোনো মেয়েকে ক্যাম্পাসে দেখা যেত না। মাথায় স্কার্ফ পরা ছিল নিষিদ্ধ। কিন্তু ১৯৯০ সালের পর বদলে যেতে থাকে দৃশ্যপট। আধুনিক মনস্ক ইসলামপন্থীরা ধীরে ধীরে ক্ষমতা করায়ত্ব করে। এখন তারা অন্যতম একটি শক্তি। মেয়েদের মাথায় স্কার্ফ পরা সংক্রান্ত যে নিষেধাজ্ঞা ছিল, তা তুলে নেয়া হয়। একসময় কামাল আতাতুর্কের সময় যে মাদ্রাসাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল, এরদোয়ান সেগুলো আবার খোলার অনুমতি দিয়েছেন।
এ ক্ষেত্রে ধর্মীয় গুরু ফাতেহউল্লাহ গুলেনের অবদান ছিল বেশি। এরদোয়ান এ সময় তার ভাবশিষ্য ছিলেন। তার আদর্শকে তিনি ধারণ করেছিলেন। কিন্তু ২০১৩ সালের পর থেকে তার সঙ্গে গুলেনের সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে। এর পর এরদোয়ানের ভয়টা হচ্ছে এখানে যে গুলেনপন্থীরা সেনাবাহিনী, সিভিল প্রশাসন আর পার্টি নেতৃত্বে বড় প্রভাব ফেলছে। এই প্রভাব এরদোয়ানকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে পারে। ব্যক্তিগতভাবে গুলের ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করেননি। তিনি ক্ষমতা চানও না। কিন্তু তার অনুসারীরা ক্ষমতা সংহত করেছেন। এরদোয়ানের ভয়টা এখানেই।
তুরস্কের ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থান প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের জন্য একটি ‘শিক্ষা’। তিনি যদি সকল ক্ষমতা নিজের হাতে কেন্দ্রীভূত করেন, যার সম্ভাবনা এখন বেশি, তাহলে তিনি ভুল করবেন। এবং সে ক্ষেত্রে কাল আরেকটি সামরিক অভ্যুত্থান তাকে মোকাবিলা করতে হবে।
ডালাস, যুক্তরাষ্ট্র থেকে।
Poriborton
21.07.2016

0 comments:

Post a Comment