রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাজনীতি কোন পথে



গত ২৩ জুন ব্রিটেনের গণভোটের সিদ্ধান্তের পর ইউরোপের তিন বড় অর্থনৈতিক শক্তি জার্মানি, ফ্রান্স ও ইতালির শীর্ষ নেতারা গত ২২ আগস্ট ইতালির দ্বীপ ভেন্টোটেনে অবস্থিত একটি বিমানবাহী জাহাজে মিলিত হয়েছিলেন। জার্মানির চ্যান্সেলর মার্কেল, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফঁসোয়া ওলান্দ আর ইতালির প্রধানমন্ত্রী ম্যাটিও বেনজির মধ্যকার এই বৈঠকের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। কেননা আগামী মাসে বাটিসলোভা শহরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে ইইউর এই শীর্ষ তিন নেতা নিজেদের মধ্যে প্রাথমিক আলাপ-আলোচনাটা সেরে নিলেন। ব্রিটেনের ইইউ ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্তের পর সবার চোখ এখন জার্মানির দিকে। জার্মানি প্রথম থেকেই ইউরোপের ঐক্যকে ধরে রাখার চেষ্টা করছে। মূলত এঞ্জেলা মার্কেলের উদ্যোগেই এই মিনি শীর্ষ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হলো। যদিও তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত এই মিনি সামিটে নেয়া হয়নি। তবে তিন নেতা ইউরোপীয় ঐক্যকে ধরে রাখা, নিজেদের মধ্যে নিরাপত্তা বাড়ানো এবং তরুণদের আরো ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি করার আহ্বান জানিয়েছেন। এই তিন নেতা বিমানবাহী জাহাজ 'গারিবল্ডি'তে এক সংবাদ সম্মেলনেরও আয়োজন করেন। এই মিনি শীর্ষ সম্মেলনের পর জার্মানি নেতা এঞ্জেলা মার্কেল ইউরোপের ৪টি দেশ সফরে যাচ্ছেন। সেখানে তিনি ৮ জন ইউরোপীয় নেতার সঙ্গে শীর্ষ বৈঠকে মিলিত হবেন। বোঝাই যাচ্ছে, ব্রিটেনের ইইউ ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের পর জার্মানির ওপর বড় দায়িত্ব বর্তিয়েছে ইউরোপের ঐক্যকে ধরে রাখার। তবে এটা বলতেই হবে ইউরোপ একটি বড় ধরনের সংকটের মাঝে আছে। লাখ লাখ সিরীয়-ইরাকি নাগরিকের উপস্থিতি ইউরোপের রাজনৈতিক চরিত্রকে কিছুটা হলেও বদলে দিয়েছে। ফ্রান্সে আইএসের সন্ত্রাসী কর্মকা- বেড়েছে। জার্মানিতে এই তৎপরতা এখনো বড় আকারে দেখা দেয়নি। তবে আইএস যে একটা সমস্যা সৃষ্টি করেছে, তা বোঝাই যায়। ইতালির বড় সমস্যা আফ্রিকা থেকে আসা 'অর্থনৈতিক শরণার্থীদের' নিয়ে। ইইউ আফ্রিকাতে ব্যাপক সাহায্য দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও এই শরণার্থী আসা বন্ধ করা যাচ্ছে না। উপরন্তু ইতালির অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও ভালো নয়। সেখানে দারিদ্র্যতা বেড়েছে। ভূমধ্যসাগর অতিক্রম করে আসা অভিবাসীদের নিয়ে 'হাউজিং' সংকট সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ব্রিটেনের সিদ্ধান্ত ইইউকে একটি বড় অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। যদিও নয়াব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে ২০১৭ সালের যে ডেটলাইন, সেই সময়সীমা আরো কিছুদিন বাড়াতে চান।
ইইউ মূলত একটি অর্থনৈতিক জোট হলেও সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক আসরে এর গুরুত্ব বেড়েছে। প্রায় ৪৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৮২ বর্গকিলোমিটার আয়তন বেষ্টিত ইইউর জনসংখ্যা ৫০৮ মিলিয়ন। ২৮টি দেশ একটি অর্থনৈতিক ইউনিয়নে আবদ্ধ হলেও নিজস্ব পার্লামেন্ট, নিজস্ব সরকার ও নিজস্ব সংবিধান তারা বজায় রেখেছে। ফলে দেখা যায় পৃথিবীর প্রায় প্রত্যেকটি দেশেই ইইউর অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর নিজস্ব দূতাবাস রয়েছে। ওই দেশগুলোতে আবার ইইউর মিশনও রয়েছে (যেমন বাংলাদেশ)। নিঃসন্দেহে ইইউ অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তি।
ক্রয় ক্ষমতার ভিত্তিতে (পিপিপি) ইইউর জিডিপির পরিমাণ ১৯ দশমিক ২০৫ ট্রিলিয়ন ডলার (সাধারণ হিসেবে ১৬ দশমিক ২২০ ট্রিলিয়ন ডলার), যা বিশ্বের তৃতীয় বড় অর্থনীতি। মাথাপিছু আয়ের পরিমাণ ৩৭ হাজার ৮৫২ ডলার (পিপিপি, সাধারণ হিসেবে ৩১ দশমিক ৯১৮ ডলার), যা বিশ্বের ১৮তম। এই অর্থনৈতিক শক্তির বলেই ইইউ বর্তমানে অন্যতম একটি রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। দেখা গেছে অনেক আন্তর্জাতিক ইস্যুতে ইইউ একটি 'অবস্থান' নিয়েছে। কোন কোন ক্ষেত্রে ইইউর সেই 'অবস্থান' যুক্তরাষ্ট্রের 'অবস্থান' এর বাইরে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গণতন্ত্রায়ণ ও মানবাধিকার রক্ষার প্রশ্নে ইইউ সোচ্চার। এখন খুব সঙ্গত কারণেই ব্রিটেন ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ায়, ইইউ দুর্বল হয়ে যাবে। এতে করে বিশ্ব আসরে তার গ্রহণযোগ্যতা হ্রাস পাবে।
প্রশ্ন হচ্ছে ব্রিটেন কখন ইইউ থেকে বেরিয়ে যাবে। জনমতে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে রায় হয়েছে বটে, কিন্তু এর আইনগত ভিত্তি কী? ইইউর গঠনের জন্য যে লিসবন চুক্তির প্রয়োজন ছিল, তার ৫০তম ধারায় বলা আছে যে কোন দেশ ইইউর কাঠামো থেকে বেরিয়ে যেতে পারবে। সে ক্ষেত্রে ওই দেশের সাংবিধানিক আইন প্রযোজ্য হবে। অর্থাৎ ওই দেশের পার্লামেন্ট, জনগণ এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। ব্রিটেনের জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখন ব্রিটেনের পার্লামেন্ট তা অনুমোদন করবে। ব্রিটেনের পার্লামেন্ট এই সিদ্ধান্ত বাতিল করতে পারবে না। তবে ব্রিটেন এখন থেকে দু'বছর সময় পাবে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে। তবে এই গণভোটের রায়ের একটি ভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছেন ব্রিটিশ আইনজীবী ডেভিড এ্যালেন গ্রিন। ফিন্যান্সিয়াল টাইমস এ একটি প্রবন্ধ লিখে তিনি মন্তব্য করেছেন যে এই রায়টি বাধ্যতামূলক নয়, বরং এক ধরনের উপদেশমূলক। তিনি বোঝাতে চেয়েছেন সরকার এই রায় 'উপেক্ষা' করতে পারে। এ ব্যাপারে পার্লামেন্ট সিদ্ধান্তে নেবে, এটা তার অভিমত। বাস্তবতা হচ্ছে এই রায় উপেক্ষা করার কোনো সুযোগ নেই। পার্লামেন্টে এ এই রায় অনুমোদিত হবে, এটাই স্বাভাবিক।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ব্রিটেনের ইইউতে থাকার পক্ষে ক্যাম্পেইং করেছিলেন। কিন্তু ভোটাররা তার কথা শোনেননি। বেক্সিট বিরোধী ক্যাম্পেন এ বিরোধী লেবার পার্টির যে ভূমিকা রাখা উচিত ছিল, তা তারা করেনি। অথচ লেবার পার্টির এমপিদের প্রায় ৯০ ভাগই ছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার পক্ষে। যে অভিযোগটি উঠেছিল ইইউ ছাড়লে ব্রিটিশ আরো গরিব হয়ে যাবে। এই অভিযোগটির কোনো সত্যতা খুঁজে পায়নি ভোটাররা। মূলত ইউরোপে ব্যাপক অভিবাসন এই গণভোটে একটি বড় ভূমিকা পালন করে। অতি সাম্প্রতিককালে ব্যাপকহারে সিরীয়, ইরাকি ও আফগান নাগরিকদের ইউরোপে আগমন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশে পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত ব্রিটেনের ভোটারদের মধ্যে একটি মারাত্মক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছিল। তাদের মাঝে এমন একটা শংকার জন্ম হয় যে ব্যাপক সংখ্যক অভিবাসন গ্রহণের ফলে ব্রিটেন তার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি হারিয়ে ফেলবে। এদের মাঝে একটা ইসলাম ফোবিয়াও কাজ করেছিল। এটা উস্কে দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বেক্সিটকে সমর্থন করেছিলেন। এবং গণভোটে বেক্সিট এর পক্ষে রায় পড়লে, তিনি তাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। ক্যামেরন বেক্সিটের বিপক্ষে, অর্থাৎ ইইউর পক্ষে জনসংযোগ করলেও মন্ত্রিসভার দুই সদস্য মাইকেল গেভি ও বরিস জনসন এর বিরোধিতা করেছিলেন। অর্থাৎ তারা ছিলেন বেক্সিটের পক্ষে। ব্রিটেনের প্রবীণদের সমর্থন নিশ্চিত করতে পারেননি ক্যামেরন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিরোধীরা যুক্তি তুলে ধরেছিলেন একটিই- ইইউ বা যুক্তরাজ্য। ইউকে ইনডিপেনডেন্স পার্টির নেতা বাইজেল ফরাজ সেস্নাগান তুলে ধরেছিলেন যুক্তরাজ্যের পক্ষেই। তাতে তিনি জয়ী হলেন। তিনি দলীয় নেতৃত্ব ছেড়ে দিয়েছেন বটে, তবে এই জয় তাকে যদি ভবিষ্যৎ এ যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর পদে একধাপ এগিয়ে নিয়ে যায়, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। নিঃসন্দেহে ফরাজ এখন যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে অন্যতম একটি নাম। তার দিকে লক্ষ্য থাকবে অনেকের। মানুষ তার কথায় আস্থা রেখেছিল। গেল বছর ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে ক্যামেরনের নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভ পার্টি বিজয়ী হয়েছিল। কিন্তু ক্রমবর্ধমান অভিবাসন আগমন, ব্রিটেনের দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ইত্যাদি কারণে ক্যামেরন বাধ্য হয়েছিলেন গণভোট দিতে। সেই গণভোটেই শেষ পর্যন্ত তার পরাজয় ঘটেছিল। তিনি যা চেয়েছিলেন, তাতে কোনো সমর্থন ছিল না যুক্তরাজ্যবাসীর। তিনি পরাজয় মেনে নিয়েছেন। তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে পরে তা কার্যকরও করেছেন। টেরেসা মে এখন নয়া প্রধানমন্ত্রী।
টেরেসা মে'র ওপর চাপ এখন বাড়ছে। তিনি এই মুহূর্তে বুঝতে চেষ্টা করছেন কীভাবে তিনি ব্রিটেনকে আগামী দিনে নেতৃত্ব দেবেন। তিনি ইইউর সঙ্গে এখনই আলোচনা শুরু করছেন না। তিনি সময় নিচ্ছেন। তার সমস্যা প্রধানত দুটি। প্রথমত, অর্থনীতি। ব্রিটেনের অর্থনীতিকে তিনি ঠিকমতো পরিচালনা করতে পারবেন কি-না, দ্বিতীয়ত, উত্তর আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের রাজনীতি। অর্থনীতিকে শক্তিশালী একটি ভিত্তি দেয়ার কাজটি তার জন্য সহজ হবে না। উপরন্তু তার জন্য উত্তর আয়ারল্যান্ড ও সেই সঙ্গে স্কটল্যান্ডের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি লক্ষ্য করার মতো। ব্রিটেনের এই গণভোট শুধুমাত্র স্কটিশ আর আইরিস কট্টরপন্থীদেরকেই উৎসাহিত করবে না। বরং দেখা গেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত আরো বেশ কটি দেশের কট্টরপন্থীরা এতে করে আরো উৎসাহিত হয়েছেন। অস্ট্রিয়ার ফ্রিডম পার্টির সাবেক সভাপতি হোয়ারও চান অস্ট্রিয়াকে ইইউ থেকে বের করে আনতে। বিশ্লেষকরা অনেকেই বলার চেষ্টা করেছেন যে যুক্তরাজ্যের পর অস্ট্রিয়া দ্বিতীয় রাষ্ট্র, যারা ইইউতে থাকা না থাকা নিয়ে গণভোট করতে পারে। এ কাতারে আরো আছেন বেলজিয়ামের ফ্লেমিন ন্যাশনালিস্ট পার্টির প্রধান টমভ্যান গ্রাইকেন। ডেনমার্কের ড্যানিশ পিপলস পার্টির ক্রিশ্চিয়ান থালেসেন, ফ্রান্সে ন্যাশনাল ফ্রন্টের মারিয়েন লি. পেন, জার্মানির অলটারনেটিভ ফর জার্মানির ফ্রক পেট্টি, হাঙ্গেরীর প্রধানমন্ত্রী ন্যাশনাল কনজারভেটিভ ফ্রিডেসজ পার্টির ভিক্টর অরবান, ইতালির ফাইভ স্টার স্যুভমেন্টের বেপ্পে প্রিল্লও, হল্যান্ডের ডাচ পার্টি ফর ফ্রিডমের নিয়ন্ট উইল্ডাস। এই উগ্র জাতীয়তাবাদী শক্তি এখন বেক্সিটের ঘটনায় উৎসাহিত হবে। ফলে আগামী দিনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অবস্থান ইউরোপীয় রাজনীতিতে কী রকম হবে, এর স্টাকচার কী হবে, এ প্রশ্ন থাকলই। বলতে দ্বিধা নেই ইউরোপে হাজার হাজার সিরীয় ও ইরাকি অভিবাসীর উপস্থিতি পুরো ইউরোপ জুড়ে যে অভিবাসন বিরোধী একটা জনমত গড়ে ওঠে, তার রেশ ধরেই ব্রিটেনের নাগরিকরা সিদ্ধান্ত নেবে ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার। স্পষ্টতই যে ধারণাকে কেন্দ্র করে ১৯৯৩ সালের নভেম্বরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তার যাত্রা শুরু করেছিল, তা তখন মুখ থুবড়ে পড়ল। ইউরোপে আরো পরিবর্তন আসবে।
গত দু'সপ্তাহ আমি ইউরোপে অবস্থান করছি। খুব কাছ থেকে দেখছি পরিবর্তনটাকে। দেখেছি জার্মানি কীভাবে বদলে যাচ্ছে। একটি ভিন্ন শংকর জাতির জন্ম হয়েছে। আগামী বছর জার্মানিতে জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচন ফ্রান্সেও। সাবেক প্রেসিডেন্ট সারকোজি আবারো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা ঘোষণা করেছেন। উভয় দেশেই সিরীয় অভিবাসী তথা আইএসের তৎপরতা যে নির্বাচনে একটি ইস্যু হয়ে দেখা দেবে, এটা নিশ্চিত করে বলা যায়। জার্মানিতে দুটো বড় দল সিডিইউ এবং এসপিডি এখন এখানে একটি 'গ্র্যান্ড কোয়ালিশন' গঠন করেছে। এই কোয়ালিশন আগামীতে থাকবে কি-না, সেটাও একটা প্রশ্ন।
আগামী মাসে ইইউর শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এই প্রথম ব্রিটেনকে সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হবে না। ইইউর নেতারা ইউরোপীয় ঐক্যকে ধরে রাখার কথা বলছেন বটে। কিন্তু যদি অর্থনীতিতে একটি গতি আনা না যায়, যদি দেশগুলোর ভেতরকার বৈষম্য কমিয়ে আনা সম্ভব না হয়, যদি সন্ত্রাসী কর্মকা- বন্ধ না হয়, তাহলে এই ঐক্য টিকে থাকবে না। জার্মানি বড় দেশ। এঞ্জেলা মার্কেল ঐক্যের কথা বারবার বলছেন বটে। কিন্তু এটি সহজ নয়। আগামী দিনগুলোই বলবে এই ঐক্য কিভাবে এবং কোন পর্যায়ে টিকে থাকবে।
ফ্রাঙ্কফুট, জার্মানি
Daily Jai Jai Din30.08.2016

0 comments:

Post a Comment