রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

কেমন হলো নির্বাচন কমিশন


নতুন নির্বাচন কমিশন গঠিত হওয়ার পর এই কমিশন নিয়েও ‘বিতর্ক’ শুরু হয়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি এই কমিশনের প্রতি তাদের ‘আস্থা’ রাখলেও বিএনপি সতর্ক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। বিতর্ক সেখান থেকেই। ইতোমধ্যে যেসব খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তাতে দেখা যায়, নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা দুটি বড় দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নামের তালিকায় ছিলেন না। কমিশনের বাকি ৪ জন সদস্যের মধ্যে বলা হচ্ছে একজন (মাহবুব তালুকদার) ছিলেন বিএনপির তালিকায়। বিতর্কের কারণ সিইসির নিয়োগ নিয়ে। মির্জা ফখরুল বলেছেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে প্রধানমন্ত্রীর পছন্দের প্রতিফলন ঘটেছে! তার মন্তব্য- ‘নুরুল হুদার নেতৃত্বে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব হবে না।’ ১৯৯৬ সালে তিনি জনতার মঞ্চের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বিএনপির শাসনামলে (২০০২) তিনি বাধ্যতামূলক অবসরে যান এবং আওয়ামী লীগের শাসনামলে তিনি ভূতাপেক্ষ সচিব হিসেবে অবসরে যান। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তিনি ৯নং সেক্টরের সাবসেক্টর কমান্ডার ছিলেন (তখন তার পরিচয় ছিল ক্যাপ্টেন হুদা হিসেবে) এবং ১৯৭৩ সালে ‘বিশেষ ক্যাডার’-এর সদস্য হিসেবে তিনি প্রশাসনিক ক্যাডারে যোগ দিয়েছিলেন। তার নাম আওয়ামী লীগ প্রস্তাব করেনি। কিন্তু আওয়ামী লীগের শরিক দলগুলো প্রস্তাব করেছে। ঠিক তেমনিভাবে ৪ জন কমিশনারের নামের তালিকা এসেছে আওয়ামী লীগ তথা আওয়ামী লীগের শরিক দলগুলোর কাছ থেকে। নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটির অসন্তুষ্টির খবরও আমরা পত্রপত্রিকা থেকে পেয়েছি। সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, তাদের প্রত্যাশা ছিল অন্তত একজন কমিশনার নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে নেওয়া হলে তিনি খুশি হতেন। সার্চ কমিটিও কম বিতর্কিত হয়নি। যেভাবে সার্চ কমিটি নিবন্ধিত প্রতিটি দলের কাছে ‘নাম’ চাইল তার কোনো প্রয়োজন ছিল না। দলগুলো নাম দিল। পত্রপত্রিকায় তা ছাপা হলো। ফলে কিছু লোককে এখন তাদের ‘রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা’ নিয়ে প্রশ্নের মুখে থাকতে হবে। যখনই এসব ব্যক্তি কোনো কথা বলবেন, তখন তাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে প্রশ্ন তুলবে বিরোধী পক্ষ। যেভাবেই হোক, একজন ব্যক্তি এখন সিইসি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হলেন। তিনি ও তার সহকর্মীরা শপথ নেবেন ১৫ ফেব্রুয়ারি। তার পরও কথা থেকে যায়। একজন ব্যক্তি এককভাবে কোনো ‘পরিবর্তন’ আনতে পারেন না। সার্চ কমিটি আরও একবার বিতর্কিত হয়েছিল যখন একজন ‘বিশিষ্ট’ ব্যক্তিকে তারা আমন্ত্রণ জানালেন, তিনি আবার মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) পদবির অধিকারী, তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েও পরে সেই আমন্ত্রণ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধে মামলা রয়েছে, এটা সার্চ কমিটি জানল না কেন? আমন্ত্রণ জানিয়ে পরে আমন্ত্রণ প্রত্যাহার করে নিয়ে তাকে কি প্রকারান্তরে অপমান করা হলো না? সার্চ কমিটি কি তাকে অপমান করার অধিকার রাখে? এখানে আরও প্রশ্ন আছে- কোন ‘ক্রাইটেরিয়ায়’ বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীদের নাম নির্ধারণ করা হয়েছিল? তাদের বাইরে কী আর কোন বুদ্ধিজীবীকে অন্তর্ভুক্ত করা যেত না? আসলে নয়া নির্বাচন কমিশন একটি ‘রুটিন ম্যাটার’। এর জন্য এত ঢাকঢোল পিটিয়ে সার্চ কমিটি গঠন, এত টক শোর প্রয়োজন ছিল না। প্রথমে ২০টি নাম তারা ঠিক করেছিলেন এবং ৬ তারিখের মধ্যে ১০টি নাম চূড়ান্ত করে তা তারা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়েছিলেন। রাষ্ট্রপতি সেখান থেকে একজন সিইসিসহ মোট ৫ জনকে নিয়োগ দেন, যা এখন ব্যাপক আলোচিত। সার্চ কমিটি নিজেরাও নাম দিতে পারতেন। সার্চ কমিটিতে যারা আছেন, সেখানে সরকারি কর্মচারী ও সরকারি দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা ছিলেন। এ ক্ষেত্রে ওই কমিটির সিদ্ধান্তে সরকারের ইচ্ছা-অনিচ্ছা প্রতিফলিত হতে পারে, এমন অভিযোগ ইতোমধ্যেই উঠেছে। যিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে এখনো জড়িত, আওয়ামী লীগের প্যানেল থেকে নির্বাচন করে শিক্ষক সমিতি নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন, প্রোভিসি হয়েছেন, তিনি যখন একটি কমিটিতে থাকেন, তিনি কি নিরপেক্ষ? কিংবা যিনি ৫ জানুয়ারির নির্বাচন সম্পন্ন করে (২০১৪) ইসিতে থাকাকালীন নিজে বিতর্কিত হয়েছিলেন, পরে অবসরকালীন ছুটি ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই পিএসসির চেয়ারম্যানের পদ পেয়ে গেলেন, তিনি কতটা নিরপেক্ষ? হিসাব মহানিরীক্ষক শপথ নিয়েছেন। কিন্তু তিনি সরকারি চাকুরে। তিনি কি পারেন সরকারের ‘ইচ্ছা-অনিচ্ছা’ উপেক্ষা করতে? বাংলাদেশের বাস্তবতা বলে, তারা কেউই পারেননি। ফলে আমার কাছে এই সার্চ কমিটির কোনো ‘মূল্য’ ছিল না। এত ঢাকঢোল পেটানোর প্রয়োজন ছিল না। প্রথম দফায় ১২ জন বুদ্ধিজীবী, দ্বিতীয় দফায় ৪ জন বুদ্ধিজীবীÑ তারা কী পরামর্শ দিয়েছিলেন, তা কতটুকু গ্রহণ করা হয়েছে আমি জানি না। জানার আগ্রহও আমার নেই। তবে একটা ‘হিসাব’ আমি কষতে পারি। সাংবিধানিকভাবে সিইসি ও কমিশনারদের নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। তিনি এককভাবেও নিয়োগ দিতে পারতেন। তিনি তা করেননি। সার্চ কমিটি যে নামগুলো পাঠিয়েছিল চূড়ান্ত করে, একজন অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ জানেন সংবিধানের ৪৮(৩)নং অনুচ্ছেদে কী লেখা আছে, তিনি এর বাইরে যাননি। যেতে পারতেন না। অর্থাৎ তত্ত্বগতভাবে সার্চ কমিটির প্রস্তাবিত নামের তালিকায় প্রধানমন্ত্রীর অপছন্দের কোনো ব্যক্তি যদি থাকত তাহলে ওই নাম ৫ জনের তালিকায় থাকত না। এ ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের তথা শরিকদের প্রস্তাবিত নামের তালিকার পুরোটাই থাকল এমনটি স্বাভাবিক। বিএনপির দেওয়া তালিকা থেকে একজনকে এবং অন্য দলগুলোর তালিকা থেকে বাকি ৪ জনকে (সিইসিসহ) নেওয়া হলো এখন। তারা খুশি। তবে নিশ্চিত করেই বলতে পারি, আওয়ামী লীগের তথা শরিকদের তালিকা থেকেই সিইসি হয়েছেন। এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ ছিল না। তবে এবার হয়তো সার্চ কমিটি হয়ে গেল। কিন্তু একটি আইন এবার হবে। সংসদে সেই আইনটি পাস করাতে হবে। সেই আইনটি যাতে ত্রুটিমুক্ত থাকে, সবার কাছে যাতে তা গ্রহণযোগ্য হয়, সেদিকে দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। এখন একটি নির্বাচন কমিশন গঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি। আমি দিব্যি দিয়ে বলতে পারি, যারা নিয়োগপ্রাপ্ত হলেন এবং দায়িত্ব নেবেন, তাদেরও বিতর্কিত করা হবে! এই ‘বিতর্কের’ ভয়েই অনেক শুভবুদ্ধির মানুষ নির্বাচন কমিশনে দায়িত্ব নিতে অতীতে আগ্রহী হননি। সম্মানের ভয়ে কেউই আসতে চাননি। ফলে একটি নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে বটে, কিন্তু এই কমিশন একাদশ সংসদ নির্বাচন কতটুকু সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারবে, তা নিয়েও একটা শঙ্কা রয়ে গেল। একটি ‘গ্রহণযোগ্য ও সব দলের অংশগ্রহণে’ নির্বাচন প্রয়োজন। ৫ জানুয়ারি (২০১৪) একটি নির্বাচন হয়েছিল বটে। কিন্তু ওই নির্বাচনের কোনো গ্রহণযোগ্যতা ছিল না। এর পর থেকে দাতাগোষ্ঠী বারবার বলে আসছে ‘সকল দলের অংশগ্রহণে’ একটি নির্বাচনের কথা। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর একটি বক্তব্যও সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছিল, যেখানে বলা হয়েছিল, ‘প্রধানমন্ত্রী কোনো প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন চান না।’ জানি না প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের সভায় কথাটা এভাবেই বলেছিলেন কিনা। বাস্তবতা হচ্ছে, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনটা ভালো ছিল না। এর জন্য যে বক্তব্যই দেওয়া হোক না কেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন এ দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আমরা নিশ্চয়ই আগামী নির্বাচনটাও এমন দেখতে চাই না। একটি নির্বাচন হবে এবং তাতে সব দল অংশ নেবে, এটাই কাম্য। সে জন্যই নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বটা অনেক বেশি। সংবিধান নির্বাচন কমিশনকে অনেক স্বাধীনতা দিয়েছে। সমস্যা হচ্ছে স্পর্শকাতর ব্যবহার নিয়ে। রকিব কমিশন স্বাধীনভাবে নির্বাচন কমিশন পরিচালনা করতে পারেনি। তাই যারা আসছেন, তাদের নিয়েও প্রশ্ন থাকবে অনেক। এখন দেখার পালা কমিশনে যারা আসছেন, তারা আস্থার জায়গাটা কতটুকু তৈরি করতে পারেন।
সংলাপের এক পর্যায়ে রাষ্ট্রপতি বলেছিলেন, বড় দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য কমিয়ে আনার। এটাই বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বড় সমস্যা। প্রতিটি ইস্যুতে মতপার্থক্য খুব বেশি। নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রশ্নেও এই মতপার্থক্য রয়ে গেল। তবুও আশা করব সার্চ কমিটির মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি যাদের নিয়োগ দিলেন, তারা গ্রহণযোগ্যতা পাক, তাদের নিয়ে বিতর্ক কম হোক। কেননা এ ধরনের বিতর্ক কোনো সমাধান ডেকে আনবে না। বরং সংকট বাড়বে। সাবেক কোনো আমলাকে সিইসি পদে প্রস্তাব না করাই মঙ্গল ছিল। সে ক্ষেত্রে একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নাম প্রস্তাব করা যেতে পারত। কমিশনার হিসেবে শিক্ষাবিদরা অথবা সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরাও আসতে পারতেন। সাবেক জেলা জজ কিংবা সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র অফিসাররাও যে বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকতে পারেন না, রকিব কমিশন এর বড় প্রমাণ। তাই নয়া সিইসির দায়িত্ব অনেক বেশি। আগামী জাতীয় নির্বাচন তাদের পরিচালনা করতে হবে। বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের আস্থা তাদের অর্জন করতে হবে। কাজটি খুব সহজ নয়। বিএনপি যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, তা যদি সিইসি মনে রাখেন, তিনি ‘ভুল’ করবেন। আমার বিবেচনায় তার প্রথম কাজটি হবে বিএনপির আস্থা অর্জন করা। রকিব কমিশন যে ভুলগুলো করেছিল, তা নিশ্চয়ই তিনি দেখেছেন। নির্বাচন কমিশন পরিচালনার ক্ষেত্রে এই ‘ভুল’গুলো তিনি করবেন না, এটা নিশ্চয়ই আশা করা যায়। প্রত্যাশা তার কাছে অনেক।
আমরা চাই এ দেশে সুস্থ গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিকশিত হোক। বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থার সম্পর্ক গড়ে উঠুক। এই আস্থার সম্পর্ক গড়ে না উঠলে, বারবার সংকটের জন্ম হবে। সরকারের যে কোনো সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করবে প্রধান বিরোধী দল। আর প্রধান বিরোধী দলের নানা সমালোচনায় মুখর থাকবে সরকারি দল। আমরা গণতন্ত্র চাই বটে। কিন্তু ভুলে যাই পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস আর আস্থা স্থাপনের নামই গণতন্ত্র। সেই গণতন্ত্র এখন বাংলাদেশে মুখ থুবড়ে পড়েছে। নির্বাচন কমিশন নিয়ে যে আস্থার ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে, তা যেন বেড়ে না যায় এ প্রত্যাশা সবার। প্রত্যাশা একটাইÑ ২০১৯ সালে অনুষ্ঠেয় একাদশ সংসদ নির্বাচনও যেন না থাকে একটি প্রশ্নের মুখে। ইতোমধ্যে দাতাগোষ্ঠী আবার সক্রিয় হয়েছে। দাতাগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন। আগামী নির্বাচন নিয়েই তারা কথা বলতে চেয়েছিলেন। প্রশ্ন হচ্ছে, নির্বাচনের বিষয়টি একান্তভাবেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশের সংবিধানে এ ব্যাপারে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা আছে। তাই বাইরের কোনো ‘শক্তি’র এ ব্যাপারে কথা বলার কোনো সুযোগ নেই। আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ‘আস্থার সম্পর্কে’ ঘাটতি থাকায় সুযোগ নিচ্ছেন দাতাগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনে যারা এলেন, তারা যদি আস্থার সম্পর্ক তৈরি করতে না পারেন এবং বিএনপি যদি তাদের প্রত্যাখ্যান করে, তাহলে জটিলতা বাড়বে এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনও প্রশ্নবিদ্ধ হবে। দাতাগোষ্ঠীর চাপ তখন আরও বাড়বে। রাষ্ট্রপতি দাতাগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের কোনো সাক্ষাৎকার দেননি। এটা ভালো দিক। রাষ্ট্রপতিকে সাধুবাদ জানাই। এখন একটি নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে বটে। কিন্তু যেতে হবে বহুদূর। আর সিইসির দায়িত্বটি অনেক বেশি। তাকেই প্রমাণ করতে হবে, তিনি ‘সবার’। তিনি কোনো দল বা সরকারের নন। অতীতে তিনি কী ছিলেন, এটা যেন শুধু অতীতই থাকে। সবাইকে নিয়ে তিনি নির্বাচন করতে চান- এ কথাটা তিনি বলেছেন বটে। কিন্তু তাকে এ কথাটা প্রমাণ করতে হবে।
Daily Amader Somoy
12.02.2017

0 comments:

Post a Comment