রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

টিপাইমুখ প্রকল্প ও আমাদের শঙ্কার কারণ


টিপাইমুখে ভারতের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের আঙ্গিক পরিবর্তন হতে পারে বলে সংসদকে জানিয়েছেন পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। ২৯ জানুয়ারি সংসদের বৈঠকে মন্ত্রীদের জন্য লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। মন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম প্রশ্নের জবাব দেন। (সমকাল, ৩০ জানুয়ারি)। পানিসম্পদমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, টিপাইমুখ প্রকল্পের বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের ওপর এর প্রভাব নিরূপণে একটি যৌথ সমীক্ষা পরিচালিত হচ্ছে। সম্প্রতি ভারত জানিয়েছে, ওই প্রকল্পের আঙ্গিক পরিবর্তন হতে পারে। (সমকাল, ওই)। এ ধরনের একটি সংবাদ আমাদের জন্য চিন্তার অনেক কারণ। কেননা এর আগে ভারতের পক্ষ থেকে আমাদের জানানো হয়েছিল, ভারত টিপাইমুখে এমন কিছু করবে না, যাতে আমাদের ক্ষতি হয়। এখন তারা অস্বীকার করে নিল টিপাইমুখে বিদ্যুৎ প্রকল্প হচ্ছে। তবে এর আঙ্গিক পরিবর্তন হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এই আঙ্গিক পরিবর্তনের অর্থ কী? পানিসম্পদমন্ত্রীও এ কথাটা আমাদের জানাননি।
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে যারা কাজ করেন, তারা জানেন ভারতের মনিপুর রাজ্যের চোরাচাঁদপুর জেলার তুই ভাই ও বরাক নদীর সঙ্গমস্থলে টিপাইমুখ বাঁধটি নির্মিত হচ্ছে। এতে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৯ হাজার কোটি রুপি। কিন্তু এ বাঁধ নিয়ে খোদ মনিপুরেই বিরোধ আছে। ভারতের পরিবেশবাদীরা বারবার বলে আসছিলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার পরিবেশে ব্যাপক প্রভাব পড়বে। অর্থনৈতিকভাবেও বিপন্ন হয়ে পড়বে ওই এলাকার বাসিন্দারা। টিপাইমুখ বাঁধ আমাদের সীমান্তের খুব কাছে। ফলে এর থেকে সৃষ্ট সব ধরনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া বা প্রভাব, যেমন নদীগর্ভে অতিরিক্ত বালুর সঞ্চালন ও সঞ্চয়ন, হঠাৎ বন্যা, অতি বন্যা ইত্যাদির প্রভাব সম্পূর্ণটাই পড়বে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, বিশেষ করে সম্পূর্ণ হাওর জনপদের ওপর। আনুমানিক ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে এ অঞ্চলের হাওর, বিল, ঝিল, বাঁওড়, নদীনালা বালুতে ভরে যাবে। হাওর অঞ্চলের অত্যন্ত উর্বরা ধানের জমি পুরো বালুর স্তরের নিচে চাপা পড়বে। ধ্বংস হয়ে যাবে কৃষি। হারিয়ে যাবে শস্য তথা বোরো, শাইল ও আমন ধানের আঞ্চলিক বৈচিত্র্য। ধ্বংস হয়ে যাবে জীববৈচিত্র্য। সুরমা-কুশিয়ারা ধ্বংস হলে মেঘনার কোনো অস্তিত্বই থাকবে না। সুতরাং শুধু সিলেটের হাওর অঞ্চলই নয়, মহাবিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে মেঘনা নদী অধ্যুষিত জনপদে বসবাসরত এ দেশের প্রায় অর্ধেক মানুষ। তাই পরিবেশগত সমস্যাটাকে হালকাভাবে দেখার কোনো সুযোগ নেই। কেননা পরিবেশগত সমস্যার ব্যাপারে বিশ্ব আজ অত্যন্ত সচেতন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ যে একটি বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে যাচ্ছে, সেটা বলা কোনো অপরাধ নয়। আন্তর্জাতিক নদীর পানি ব্যবহার সংক্রান্ত হেলসিংকি নীতিমালা, ১৯৯২ সালে প্রণীত ডাবলিন নীতিমালা, আন্তর্জাতিক জলপ্রবাহ কনভেনশন, রামসার (কনভেনশন জলাভূমিবিষয়ক), জীববৈচিত্র্য কনভেনশন, প্রতিটি আন্তর্জাতিক আইনে ভাটির দেশের অধিকার রক্ষিত। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ওই আইনে বর্ণিত অধিকার বলেই দেশটির সমস্যার কথা তুলে ধরতে পারে। অতীতে ভারত যখন একতরফাভাবে গঙ্গার পানি প্রত্যাহার করে নিয়েছিল, তখন বাংলাদেশ ১৯৭৬ সালে আন্তর্জাতিক আসরে তার সমস্যার কথা তুলে ধরেছিল। ফলে ১৯৭৭ সালে প্রথমবারের মতো গঙ্গার পানিবণ্টনের ব্যাপারে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ২০১৫ সালের নভেম্বরে জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত সিওপি ২১ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বেশ ক’টি এনজিও বেসরকারি প্রতিনিধিদল হিসেবে ওই সম্মেলনে অংশ নিয়েছিল। তারাও টিপাইমুখে বাঁধ নির্মাণসংক্রান্ত বিষয়টি বিশ্ববাসীকে জানাতে পারেনি। সারা বিশ্বই আজ বড় বড় বাঁধের ব্যাপারে সোচ্চার। বাঁধ নির্মাণের ফলে হাজার হাজার লোক গৃহহীন হয়, স্থানীয় আদিবাসীরা তাদের শত বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হারিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নেয়Ñ এটা আজ আন্তর্জাতিকভাবেই ঘৃণিত একটি কাজ হিসেবে গণ্য হয়। মনিপুরে টিপাইমুখে ওই বাঁধটি নির্মিত হলে ওই এলাকার বেশ কিছু গ্রাম পানির নিচে তলিয়ে যাবে। শত শত স্থানীয় আদিবাসী নিজ ভূমি থেকে উচ্ছেদ হবেন। আন্তর্জাতিক আইন এটা অনুমোদন করে না। ভারত আরও একটি বিষয়ে লুকোচুরির আশ্রয় নিচ্ছে। টিপাইমুখের আরও উজানে আসামের কাছার জেলার ফুলেরতাল নামক স্থানে (সেচের জন্য) ভারত একটি ব্যারাজ তৈরি করছে। এর ফলে বরাক নদী থেকে ভারত কিছু পানি প্রত্যাহার করে নেবে। এ বিষয়টি ভারত খোলাসা করছে না। টিপাইমুখ নিয়ে চুক্তির কথা সংবাদপত্রে প্রকাশিত হলেও ফুলেরতাল ব্যারাজ নিয়ে কোনো সংবাদ প্রকাশিত হয়নি।
টিপাইমুখ নিয়ে মানুষের যে উৎকণ্ঠা, তা যে শুধু বাংলাদেশেই তা নয়। বরং ভারতের ‘সাতবোন’ রাজ্যের মধ্যে তিনটি রাজ্যে মনিপুর, আসাম ও মিজোরামেও এ উৎকণ্ঠা আমরা লক্ষ করেছি। এরই মধ্যে ভারতের ওই রাজ্যগুলোর ৩০টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নিয়ে গঠিত হয়েছে কমিটি অন পিপলস অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট (কোপে)। টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের ফলে ওই অঞ্চলে যে ক্ষতি হবে, তার প্রতিবাদ করতেই তারা ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। বাংলাদেশের পরিবেশবাদীরা এখন ‘কোপের’ সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে পারেন। কোনো আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যৌথভাবেও বিষয়টি উত্থাপন করা যায়। মনে রাখতে হবে, ভারতে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। যতদূর জানা যায়, তাতে দেখা গেছে, ভারত সরকার উত্তর-পূর্ব ভারতে ২২৬টি বড় বাঁধ নির্মাণের সম্ভাব্য স্থান নির্ধারণ করছে, যার লক্ষ্য হবে আগামী ৫০ বছরের মধ্যে ৯৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা। মুখে মুখে ভারতের প্রধানমন্ত্রী যত আশাবাদই দেন না কেন, ভারত অত্যন্ত কৌশলে টিপাইমুখ বাঁধ প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এই যখন পরিস্থিতি, তখন আমরা জেনেছি, আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পের ব্যাপারে উচ্চ আদালতের একটি সিদ্ধান্ত। এক্ষেত্রেও ভারত কৌশলী ভূমিকা অবলম্বন করছে। ভারত অতীতের মতো কূটনৈতিক ভাষা প্রয়োগ করে আবারও বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করছে যে, তারা এমন কিছু করবে না, যাতে বাংলাদেশের ক্ষতি হয়। টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে এ ধরনের আশ্বাসও আমরা পেয়েছিলাম। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, ভারত টিপাইমুখ বাঁধ প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী (মহাজোট সরকার) বেশ ক’বছর আগে একটি সেমিনারে বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের সম্মতি ছাড়া ভারত টিপাইমুখ প্রকল্প বাস্তবায়ন করলে দেশের স্বার্থে প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আদালতে যাব।’ সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রীর এ বক্তব্যের মাঝে ‘রাজনীতি’ কতটুকু, কিংবা ‘বাস্তবতা’ কতটুকু, তা ভিন্ন প্রশ্ন। এ মুহূর্তে যা দরকার, তা হচ্ছে ভারতকে ওইসব প্রকল্প বাতিল করতে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পর্যায়ে উদ্যোগ নেয়া এবং সেই সঙ্গে এ অঞ্চলের পানি ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে হিমালয় অঞ্চলভুক্ত দেশ ও চীনের সমন্বয়ে একটি ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা। আর অভ্যন্তরীণভাবে যে বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি, তা হচ্ছে পরস্পরের প্রতি বিদ্বেষ মনোভাব পরিত্যাগ করে জাতীয় স্বার্থে একটি ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা। কেননা টিপাইমুখ বিষয়টি একটি জাতীয় ইস্যু। এর সঙ্গে কোনো দলের স্বার্থ জড়িত নয়। এখন এ প্রশ্নটি সামনে এলো এই কারণে যে, গেল বছর (২০১৬) ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পের বিশেষ কমিটির পঞ্চম বৈঠকে মানস-সাংকোস-তিস্তা-গঙ্গা সংযোগের মাধ্যমে দক্ষিণে পানি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। (সকালের খবর, ২৩ জুলাই ২০১৬)। ভারতের পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আনোয়ার লাল জাতের উদ্ধৃতি দিয়ে বাংলাদেশের মিডিয়া আমাদের জানিয়েছিল যে, ভারত ওই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট তিনটি রাজ্য আসাম, পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারের সঙ্গে শিগগিরই আলোচনায় বসবে। (যুগান্তর, ১৬ জুলাই ২০১৬)। এর অর্থ কী? এর অর্থ পরিষ্কারÑ ভারত ‘মুখে এ  কথা বললেও’ তারা তাদের ‘কমিটমেন্ট’ থেকে এখন সরে আসছে। টিপাইমুখ ও আন্তঃনদী সংযোগের ব্যাপারে ভারত মোদির ঢাকা সফরের সময় প্রকাশিত যৌথ ইশতেহারে ‘কমিটমেন্ট’ করলেও বাস্তবে তা রক্ষা করছে না! আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প শুরু করার কথাও আমরা জেনেছিলাম। শিগগিরই আমরা জানব ভারত টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণকাজ শেষ করে এনেছে। এখানে বলা ভালো, টিপাইমুখে বাঁধ নির্মাণের ব্যাপারে এরই মধ্যে ভারতে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এটি একটি যৌথ বিনিয়োগ প্রকল্প। যৌথ বিনিয়োগের ওই প্রকল্পে ভারতের কেন্দ্রীয় জলবিদ্যুৎ নিগম এনএইচপিসির ৬৯ ভাগ, রাষ্ট্রায়ত্ত জলবিদ্যুৎ সংস্থা এসজেভির ২৬ ভাগ ও মনিপুর রাজ্য সরকারের ৫ ভাগ বিনিয়োগ থাকবে। অথচ ভারতের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছিল যে, টিপাইমুখে তারা কোনো বাঁধ নির্মাণ করবে না। খোদ মনিপুরে পরিবেশবাদীরা যখন সেখানে দিনের পর দিন প্রস্তাবিত এ বাঁধের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছিলেন, তখন বাংলাদেশের সরকারি দলের সংসদ সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম ২০১০ সালে ওই অঞ্চল সফর করে ঢাকায় ফিরে এসে বলেছিলেন, তারা টিপাইমুখে তেমন কিছু দেখতে পাননি। অথচ তাদের উচিত ছিল মনিপুরে যারা ওই বাঁধের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে, তাদের সঙ্গে কথা বলা। তা তারা করেননি। তারা দিল্লি গিয়েছিলেন। দিল্লির কর্মকর্তাদের শেখানো ‘বুলি’ তারা ঢাকায় এসে বলেছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ তাদের ওই কথায় আস্থা রাখতে পারেনি। এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়াদিল্লি সফরের সময় (জানুয়ারি ২০১০) ভারতের প্রধানমন্ত্রী যখন বলেছিলেন, ‘ভারত এমন কিছু করবে না, যাতে বাংলাদেশের ক্ষতি হয়’, সেদিনও আমরা তার কথায় পুরোপুরি আস্থা রাখতে পারিনি। শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের পর ২০১০ সালের জুলাইয়ে ভারতের নর্থ ইস্টার্ন ইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেডের (নিবকো) ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রেমচান্দ পংকজ যখন সংবাদপত্রে বলেছিলেন, টিপাইমুখে বরাক নদীতে ভারত জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করবেই। (আমার দেশ, ১২ জুলাই)। তখন আমরা প্রস্তাব করেছিলাম, ঢাকায় মোদি-শেখ হাসিনা বৈঠকে টিপাইমুখ বাঁধ প্রসঙ্গটি উত্থাপন করা হোক। সেদিন দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় টিপাইমুখ বাঁধ ও ফুলেরতাল ব্যারাজ প্রসঙ্গটি উত্থাপিত হয়েছিল; কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। আসলে ভারত টিপাইমুখ বাঁধের বিষয়টি নিয়ে এগিয়ে গেছে ধীরে ধীরে। তারা বাংলাদেশকে রেখেছিল অন্ধকারে। আজও যখন বাংলাদেশ ভারতের কাছে এ ব্যাপারে তথ্য-উপাত্ত প্রত্যাশা করে, এই প্রত্যাশা কোনোদিনই পূরণ হবে না। ভারত কোনো তথ্য দেবে না। বাংলাদেশকে অন্ধকারে রেখে ভারত বাংলাদেশের কাছ থেকে একের পর এক সুবিধা আদায় করে নিচ্ছে। তথাকথিত তিস্তা চুক্তির আশ্বাস দিয়ে বাংলাদেশের কাছ থেকে করিডোর আদায় করে নিয়েছে ভারত। অতীতে এই আওয়ামী লীগ সরকারই গঙ্গার পানি চুক্তি করেছিল (১৯৯৬); কিন্তু তিস্তায় পানি পাইনি। এই হচ্ছে ভারতের রাজনীতি। নিজের স্বার্থের ব্যাপারে ভারত অনড়। কিন্তু প্রতিবেশীর স্বার্থ ভারত দেখে না। টিপাইমুখ বাঁধ সর্বশেষ উদাহরণ, যেখানে ভারত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে বাঁধ নির্মাণ করছে। এখন বলা হচ্ছে, এর আঙ্গিক পরিবর্তন করা হচ্ছে। এর অর্থ কী, আমরা তা জানি না। এ ব্যাপারে পানিসম্পদমন্ত্রী একটা ব্যাখ্যা দিলে আমরা খুশি হতাম। কিন্তু তিনি তা দেননি। অন্যকোনো সূত্র থেকেও আমরা তা জানতে পারিনি। সুতরাং বিষয়টি স্পষ্ট হওয়া দরকার। টিপাইমুখ বাঁধে আমাদের কোনো ক্ষতি হবে নাÑ এ বিষয়টি আমরা নিশ্চিত হতে চাই।
Daily Alokito Bangladesh
05.02.2017

0 comments:

Post a Comment