রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির অগ্রযাত্রা

 
স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বিকাশ নিয়ে নানা মত ও পথ আছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে যেখানে উন্নয়নকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে, সেখানে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির মূল স্পিরিটটি থাকছে উপেক্ষিত। এটা সত্য সাধারণ মানুষের সমৃদ্ধি ও সুখের জন্য উন্নয়নের প্রয়োজন রয়েছে। আবার এটাও সত্য উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে হলে প্রয়োজন রয়েছে আস্থার সম্পর্ক গড়ে তোলা, যা বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে বেশ অভাব। মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্ম হয়েছিল ১৯৭১ সালে। বাংলাদেশ বিজয়ের ৪৫ বছর পার করেছে। কিন্তু গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় আমাদের অর্জন তেমন আশাপদ নয়। আমাদের সংবিধানের প্রস্তাবনায় বলা আছে, ‘জাতীয় মুক্তির জন্য ঐতিহাসিক সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীন ও সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করিয়াছি।’ একই সঙ্গে প্রস্তাবনায় আরও বলা হয়েছে, ‘আমাদের রাষ্ট্রের অন্যতম মূল লক্ষ্য হইবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এমন এক শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা- যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হইবে’। এই যে ‘গণতন্ত্র’, গত ৪৫ বছরে এই ‘গণতন্ত্রের’ অনেক উত্থান-পতন আমরা দেখেছি। একদলীয় শাসন, বহুদলীয় শাসন, সামরিক ছদ্মাবরণে গণতন্ত্রের নয়া রূপ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় অ-নির্বাচিত ব্যক্তিদের কর্তৃত্ব- গত ৪৫ বছরে গণতন্ত্রের যে ‘বহুরূপ’ আমরা দেখেছি, তার সাথে ধ্রুপদী গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যাবে না। সংসদে বিরোধী দল থাকা গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির একটি অংশ। এতে করে এক ধরনের ‘চেকস অ্যান্ড ব্যালেন্স’ নিশ্চিত হয়। বিরোধী দল না থাকলে সরকার একদলীয় হয়ে পড়ে এবং সেখানে তখন ব্যক্তিস্বার্থ, গোষ্ঠীস্বার্থ, দলীয় স্বার্থ প্রধান্য পায়। তবে উন্নয়নশীল বিশ্বের কোথাও কোথাও এমন এক ধরনের গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটছে, যেখানে উন্নয়নটাই আসল। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতটা অনেকটা সে রকমই। এটা অনেকেই স্বীকার করছেন যে, ব্রিটেনের ‘ওয়েস্ট মিনিস্টার টাইপ’-এর গণতন্ত্র এ দেশে অচল। আমরা গণতন্ত্র চাই বটে, কিন্তু তাতে দরকার ব্যাপক ঐকমত্য। উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়ে অনেক ‘মত ও পথ’ নিয়ে একটি সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তোলা প্রয়োজন। সেখানে অবশ্যই আইনের শাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, মানুষের ন্যূনতম অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়টি থাকতে হবে। এগুলো একটির সঙ্গে অন্যটি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। একটিকে বাদ দিয়ে অন্যটির অস্তিত্ব অর্থহীন। ১৯৭২ সালের সংবিধান আমাদের সেই নিশ্চয়তাটুকু দিয়েছিল বটে, কিন্তু দীর্ঘ ৪৫ বছরের রাজনীতিতে তাতে পরিবর্তন এসেছে। আইনের শাসন আর মানবাধিকারের সঙ্গে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির প্রশ্নটি সরাসরিভাবে জড়িত। আইনের শাসন না থকলে যেমন গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি বিকশিত হয় না, ঠিক তেমনি রাষ্ট্র যদি তার নাগরিকদের মানবাধিকার নিশ্চিত করতে না পারে, তাহলে সে দেশকে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রও বলা যাবে না। তাই একটা দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে কিংবা গণতন্ত্রকে স্থায়ী একটি রূপ দিতে হলে সে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার রক্ষা করা প্রয়োজন। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এ বিষয়গুলো খুবই জরুরি। বাংলাদেশে গণতন্ত্র বিনির্মাণ নিয়ে হাজারটা প্রশ্ন থাকলেও, আমাদের সংবিধানে গণতন্ত্রকে অন্যতম রাষ্ট্রীয় আদর্শ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে সংবিধানে আইনের শাসনের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে এবং মানবাধিকার রক্ষার অঙ্গীকারও করা হয়েছে।

বাংলাদেশের সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগে ৮নং অনুচ্ছেদে যে চারটি রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, গণতন্ত্র হবে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি। আর ১১নং অনুচ্ছেদে এর পূর্ণ ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ‘প্রজাতন্ত্র হইবে একটি গণতন্ত্র, যেখানে মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকিবে, মানবসত্তার মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত হইবে।’ সংবিধানের তৃতীয়ভাগে মৌলিক অধিকারের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এতে [১৬(২)] স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ‘রাষ্ট্র এই ভাগের কোনো বিধানের সহিত অসামঞ্জস্য কোনো আইন প্রণয়ন করিবে না এবং অনুরূপ কোনো আইন প্রণীত হইলে তাহা এই ভাগের কোনো বিধানের সহিত যতখানি অসামঞ্জস্যপূর্ণ, ততখানি বাতিল হইয়া যাইবে।’ এ অনুচ্ছেদ থেকেই এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে, রাষ্ট্র মানবাধিকার প্রত্যয়টির ব্যাপারে কত গুরুত্ব দিচ্ছে। একই প্রক্রিয়ায় সংবিধানে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। সংবিধানে ২৭নং অনুচ্ছেদ (আইনের দৃষ্টিতে সমতা), ৩১নং অনুচ্ছেদ (আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার), ৩২নং অনুচ্ছে (জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার রক্ষণ) ৩৬ ও ৩৭নং অনুচ্ছেদ (চলাফেরা ও সমাবেশের স্বাধীনতা), ৪১নং অনুচ্ছেদ (ধর্মীয় স্বাধীনতা), ৪৪নং অনুচ্ছেদ (মৌলিক অধিকার বলবৎকরণ) অন্তর্ভুক্তির মধ্য দিয়ে সংবিধান বৃহত্তর প্রেক্ষাপট আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করেছে। যদিও এ ধারার প্রয়োগ, কিংবা ব্যবহার নিয়ে প্রায়শই প্রশ্ন ওঠে। ক্ষমতাসীনরা বরাবরই ‘তাদের স্বার্থে’ সংবিধানের এসব ধারার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে কোনো কোনো বিষয়ে উচ্চ আদালতকে পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্রের বিকাশ নিয়ে আলোচনা করতে গেলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশ্নটি এসে যায়। বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে হলে অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন ছাড়া, তা সম্ভব নয়। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সূচকগুলো একেবারে খারাপ নয়। জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ ভাগের ওপরে ধরে রাখা, রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত, দরিদ্রতা কমিয়ে আনা (২৪ ভাগ), তৈরি পোশাকে ৭৭ লাখ উদ্যোক্তা ও ২৫ লাখ লোকের কর্মসংস্থান, শান্তিসূচকে ৯৮তম স্থান, ডিজিটাল স্বাধীনতায় ৬৩তম স্থান (৮৬টি দেশের মধ্যে) ইত্যাদি প্রতিটি সূচক আশার কথা বলে। কিন্তু বড় ব্যর্থতা প্রধান বিরোধী দলকে সরকার আস্থায় নিতে পারেনি। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে যেখানে ‘কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজারস’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, আমরা তা প্রতিষ্ঠিত করতে পারিনি। সর্বশেষ ৫ জানুয়ারি (২০১৪) একটি নির্বাচন হয়েছে বটে যেখানে ‘সকল দলের অংশগ্রহণ’ ছিল না। রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় প্রধান বিরোধী দলের অংশগ্রহণ সীমিত হয়ে পড়েছে। রাজনীতি এখন হয়ে পড়েছে অনেকটা একদলীয়। দুর্নীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারি দলের প্রভাব-প্রতিপত্তি সমাজের সর্বক্ষেত্রে এত প্রকট যে, গণতন্ত্র এখানে অনেকটা ‘নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্র’-এর পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। এমনকি বিরোধী দলের টানা তিন মাসের ‘আন্দোলন’ বাংলাদেশে একটি ‘বোমাবাজির রাজনীতি’র জন্ম দিয়েছিল। এই ‘রাজনীতি’ সুস্থ গণতান্ত্রিক চর্চার কথা বলে না। রাজনীতিতে বিরোধিতা থাকবে। কিন্তু সেই ‘বিরোধিতা’ থাকা উচিত কর্মসূচিভিত্তিক। অর্থাৎ কোন দল কোন প্রক্রিয়ায় সাধারণ মানুষকে তাদের ন্যূনতম অধিকার নিশ্চিত করবে, দলগুলো সেই পরিকল্পনা উপস্থাপন করবে এবং মানুষ তার একটিকে বেছে নেবে। এখানে কোনো কোনো দল সেই কর্মসূচি দিচ্ছে বটে, কিন্তু তাতে রয়ে যাচ্ছে বেশ অস্পষ্টতা। গত ৪৫ বছরের রাজনীতি যদি পর্যালোচনা করা যায়, তাহলে দেখা যাবে রাজনীতি মূলত বিভক্ত হয়ে পড়েছে দুটি বড় দলের মাঝে। অর্থাৎ একদিকে রয়েছে আওয়ামী লীগ, অন্যদিকে আওয়ামী লীগের বিকল্প বিএনপি। তৃতীয় কোনো শক্তি এখানে দাঁড়াতে পারেনি।

দ্বিতীয়ত, একটি ‘কোয়ালিশনের যুগেও’ প্রবেশ করেছে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি। অর্থাৎ দুটি বড় দলের নেতৃত্বেই গড়ে উঠেছে দুটি জোট। দক্ষিণপন্থী ও ইসলামপন্থীরা রয়েছে একটি জোটে। অপরদিকে মডারেট, লিবারেল ও ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির সমর্থকরা রয়েছেন দ্বিতীয় জোটে। মাঝখানে বামপন্থীরা কিছুটা সক্রিয় থাকলেও, নির্বাচনী রাজনীতিতে এদের অবস্থান অত্যন্ত দুর্বল। এরা দুটি বড় দল ও জোটের বাইরে থাকলেও, জোট রাজনীতিতে এদের কোনো ভূমিকা নেই।

তৃতীয়ত, রাজনীতিতে একটি স্পষ্ট ধারা লক্ষণীয়। একটি বড় জোট প্রতিনিধিত্ব করছে বাঙালি সংস্কৃতির, যেখানে ধর্মনিরপেক্ষতা প্রাধান্য পাচ্ছে। অন্যদিকে অপর জোট প্রতিনিধিত্ব করছে বাংলাদেশী সংস্কৃতির, যেখানে ইসলাম ধর্মকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। চতুর্থত, পরিপূর্ণভাবে ইসলামী দর্শননির্ভর কিছু রাজনৈতিক দলের জন্ম হলেও, এরা ব্যক্তিনির্ভর এবং সংসদীয় রাজনীতিতে এদের কোনো অবস্থান নেই। পঞ্চমত, বড় দলগুলোর মাঝে রাজনৈতিকভাবে যতটা না বিভক্তি, তার চেয়ে বেশি বিভক্তি দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের নিয়ে। এ ‘বিভক্তি’ চলমান রাজনীতিতে বড় প্রভাব ফেলে। এখানে দলের চেয়ে ব্যক্তি বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। ষষ্ঠত, এক ধরনের ‘পপুলিজম’-এর রাজনীতির জন্ম হয়েছে। অর্থাৎ সাধারণ মানুষকে একটি বিশেষ মত ও পথে আকৃষ্ট করা হচ্ছে। এক ধরনের ‘মোহাবিষ্ট’ রাজনীতিতে তারা আকৃষ্ট হচ্ছে। রাজপথে তারা সক্রিয় হচ্ছে। বিরোধী পক্ষকে সহ্য না করার মানসিকতা তৈরি হচ্ছে এবং প্রায় ক্ষেত্রে রাজনীতি একটি নির্দিষ্ট পথে পরিচালিত হচ্ছে। এ ‘পপুলিজম’ সারা বিশ্বেই দেখা যায়, যা গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির পরিপন্থী। সপ্তমত, আস্থার সম্পর্ক একদমই গড়ে ওঠেনি। মাঝে মধ্যে দু-একটি ঘটনা (এরশাদবিরোধী আন্দোলন, ৫ম সংসদে ১৯৯২ সালে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন) উজ্জ্বল হয়ে উঠলেও, অচিরেই তা ম্লান হয়ে যায়। এখানে ‘এক পক্ষ অপর পক্ষকে সহ্য না করার মানসিকতা’ নিয়ে রাজনীতিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমাজ।

দীর্ঘ ৪৫ বছর একটা জাতির জন্য একেবারে কম সময় নয়। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে আমরা সাংবিধানিকভাবে গ্রহণ করে নিয়েছি বটে। কিন্তু আমাদের রাজনৈতিক দল, জাতীয় নেতারা গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে ব্যক্তিগত ও দলীয়ভাবে ধারণ করেন না। ফলে গণতন্ত্রের মূল স্পিরিটটি রয়েছে উপেক্ষিত। দীর্ঘ ৪৫ বছরে আমাদের অনেক অর্জন রয়েছে। একটি শক্তিশালী তরুণ প্রজন্মের জন্ম হয়েছে, যাদের কাছে একটি ‘আদর্শিক সমাজ’ আমরা এখনও উপস্থাপন করতে পারিনি। আস্থা ও বিশ্বাসের রাজনীতির অভাবে আমাদের সব অর্জনকে ম্লান করে দিয়েছে। এ আস্থা ও বিশ্বাস যদি স্থাপন করতে না পারি, যদি পরস্পরকে ঘৃণা করার মানসিকতা পরিত্যাগ করতে না পারি, তাহলে আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব না এবং গণতন্ত্রকে একটি শক্তিশালী ভিত্তি দিতে পারব না এ দেশে।
Daily Jugantor
01.02.2017

1 comments: