রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

উগ্র জাতীয়তাবাদী রাজনীতি ও ট্রাম্পের বৈদেশিক নীতি


ইউরোপে ব্যাপক হারে সিরীয় অভিবাসীর আগমনকে কেন্দ্র করে সেখানে যে উগ্র জাতীয়তাবাদী রাজনীতির জন্ম হয়েছে, তা কী বিশ্ব ব্যবস্থাকে বদলে দেবে? প্রশ্নটি এখন ইউরোপের তিনটি দেশের নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে মুসলমান অভিবাসীদের আগমন ও সন্ত্রাসী কর্মকা-ে জড়িয়ে পড়ার কারণে সেখানে সাধারণ মানুষের মাঝে যে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে, তার প্রতিক্রিয়ায় তিনটি দেশের নির্বাচন উগ্র জাতীয়তাবাদীরা ভালো করতে পারে। আগামী ২৩ এপ্রিল ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন হবে ৭ মে। ফ্রান্সের ব্যাপক অভিবাসন আগমনের কারণে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ওলাঁদ এবার দলের মানোনয়নই পাননি। সেখানে দক্ষিণপন্থি রাজনীতিবিদ ফিলোনের বিজয়ের সম্ভাবনা বেশি অভিবাসন নিয়ে বিপদে আছেন জার্মানি চ্যান্সেলর মার্কেলও। নির্বাচনে দক্ষিণপন্থি দল অলটারনেটিভ যার জার্মানিপার্টির উত্থান এবং জার্মানি পার্লামেন্ট প্রথমবারের মতো আসার সম্ভাবনা সেখানে উজ্জ্বল। সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে সেখানে পার্লামেন্ট নির্বাচন। হল্যান্ডেও উগ্র দক্ষিণপন্থিদের উত্থান ঘটতে পারে। সেখানে পার্টি ফর ফ্রিডম পার্টির নেতা গ্রেট উইডোর্স নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে বড় ভূমিকা পালন করতে পারেন। ১৫ মার্চ সেখানে পার্লামেন্ট নির্বাচন। পাঠক স্মরণ করতে পারে ২০১৬ সালের শেষের দিকে ইতালির গণভোটে রেনজি পরাজিত হয়ে পদত্যাগ করেছিলেন। ইতালি এখন ইউরো জোন থেকে বেরিয়ে যাবার পথে। আর ১ মার্চ লিসবন চুক্তির ৫০ ধারা কার্যকর করার মধ্য দিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে ইউরোপীর ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের হয়ে যাওয়ার প্রথম ধাপ সামলাবেন একদিকে ইউরোপে ব্যাপক অভিবাসন আগমন, অন্যদিকে ট্রাম্পের বিজয় উগ্র জাতীয়তাবাদী রাজনীতির জন্ম হয়েছে। এরা স্থানীয় নির্বাচনে ভালো করছে। এবং কোথাও কোথাও সনাতন ট্রেডিশনাল রাজনীতির পরাজয় হয়েছে। ইউরোপের এ উগ্র রাজনীতির সঙ্গে ট্রাম্পের উত্থানের আশ্চর্য এক মিল রয়েছে। ইউরোপে ন্যাশনাল ফ্রন্ট (ফ্র্যান্স), অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (জার্মানি) কিংবা ল অ্যান্ড জাস্টিস পার্টির (পোল্যান্ড) মতো উগ্র কট্টরপন্থি রাজনৈতিক দলগুলো অভিবাসনের বিরোধী ভূমিকাকে পুঁজি করে অন্যতম রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। তেমনি ট্রাম্পের ইসলাম বিদ্বেষ আর অভিবাসনবিরোধী ভূমিকা তাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী করেছে। তিনি আগামী ২০ জানুয়ারি শপথ নেবেন। কিন্তু এর আগে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে তার বিরুদ্ধে একটা জনমত শক্তিশালী হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন ৩০ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেবেন। এটা সত্য অবৈধ মেক্সিকান অভিবাসীরা ডিপোট অথবা এক ধরনের স্কিনিংয়ের সম্মুখিন হতে পারেন, তারা নানা প্রশাসনিক জটিলতায় পড়তে পারেন। মুসলমানরা এ ক্ষেত্রে বড় ঝামেলায় পড়বেন। আমি অনেক বছর ধরে নিয়মিত যুক্তরাষ্ট্রে যাতায়াত করি। এখানে এক ধরনের বর্ণবাদ রয়েছে। এখন ট্রাম্পের শাসনামলে এ বর্ণবাদ আরও শক্তিশালী হবে। ট্রাম্পের বিজয়ে বণবাদীরা এবং মুসলমান ধর্মবিরোধীরা আরও উৎসাহিত হবে। ফলে বর্ণবাদ হামলা আরও বাড়বে। ইতিমধ্যেই সংখ্যালঘু অভিবাসীদের ওপর আক্রমণের খবর সংবাদপত্রে খবর প্রকাশিত হয়েছে। ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম বিদ্বেষজনিত হামলা আগের তুলনায় ৬৭ শতাংশ বেড়েছে। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর (নাইন-ইলেভেন) সন্ত্রাসী হামলার পর এটি সর্বাধিক সংখ্যক হেইট ক্রাইম। এই হেইট ক্রাইমের মধ্যে ধর্মীয় ও বর্ণবিদ্বেষমূলক হামলার ঘটনা সবচেয়ে বেশি। ট্রাম্পের বিজয় হেইট ক্রাইমকে এখন উসকে দেবে। ট্রাম্প উগ্র জাতীয়তাবাদকে উসকে দিয়েছেন। ট্রাম্প নিজে অভিবাসী সন্তান হয়েও (তার পূর্ব পুরুষ জার্মান থেকে এসেছে ১৮৮৫ সালে) শুধু তার রাজনীতির স্বার্থে এই অভিবাসীদের বিষয়টিকে ইস্যু করেছেন। তিনি যদি তার নীতিতে অটল থাকেন, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মেক্সিকো তথা ল্যাতিন আমেরিকার স্প্যানিশ ভাষাভাষি দেশগুলোর সম্পর্কের অবনতি ঘটবে। এ ছাড়া ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে তিনি বড় পরিবর্তন আনবেন।
সেই পরিবর্তনটি যে কী তা এ মুহূর্তে স্পষ্ট নয়। তবে এটা সত্য ইউরোপের কট্টরপন্থীরা তার আগমনে উৎসাহিত হয়েছেন। ট্রাস্পের ইসলাম তথা অভিবাসীবিরোধী মন্তব্য ইউরোপের দক্ষিণপন্থি্থরা গ্রহণ করেছেন। ফলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে সমগ্র ইউরোপে এই ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাব ছড়িয়ে গেছে। নয়া বিধান ব্যবস্থার এটা একটা নতুন দিক। স্নায়ু যুদ্ধের অবসানের পর এভাবে কখনও ইসলাম বিদ্বেষ রাজনীতি লক্ষ্য করা যায়নি এমনকি নাইন-ইলেভেন ২০০১-এর ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রে মুসলমান বিরোধী একটা মনোভাব ছিল বটে। কিন্তু ইউরোপে তা তেমন একটা প্রভাব ফেলেনি। কিন্তু সিরিয়া সংকটের কারণে ব্যাপক সিরিয়া নাগরিকের দেশত্যাগ, ইউরোপে অগমনকে কেন্দ্র করে দৃশ্যপট বদলে যায়। উগ্র দক্ষিণপন্থিরা এটাকে তাদের স্বার্থে ব্যবহার করে।
পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে ট্রাম্পের ভূমিকা কী হবে, এ বিষয়টি এখন বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কেন না নির্বাচনের আগে রাশিয়ার সঙ্গে তার সম্পর্ক। পুতিনকে ওবামার চাইতে ভালো নেতা হিসেবে আখ্যায়িত করা এবং ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে রাশিয়া দেখতে চায়_ এ ধরনের সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর একটা প্রশ্ন এখন অনেকের কাছে উঠেছে আর তা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার সম্পর্ক এখন কোন পর্যায়ে উন্নীত হবে। যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করে। এমনটি রাশিয়াকে জি-৮ থেকেও বহিষ্কার করা হয়। এখন পরিস্থিতি কি বদলে যাবে? নির্বাচনের আগে ট্রাম্প বলেছিলেন তিনি রাশিয়ার উপর থেকে অর্থনৈতিক অবরোধ প্রত্যাহারের পক্ষে। ৮ নভেম্বর নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর টেলিফোনে ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের কথা হয়েছিল। ওই দুজনের ফোনালাপকে তখন 'গভীর বন্ধুত্বের সুর' হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। ১৯৯১ সালের ডিসেম্বরে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর স্নায়ুযুদ্ধের অবসান হয়েছিল। কিন্তু বিশ্ব রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের একক কর্তৃত্ব করার প্রবণতা ও বিভিন্ন আঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক আগ্রাসন নতুন করে স্নায়ুযুদ্ধের (স্নায়ুযুদ্ধ-২) জন্ম হয়েছিল। এবং রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের একক কর্তৃত্ব করার প্রবণতাকে চ্যালেঞ্জ করতে শুরু করেছিল। এখন কী যুক্তরাষ্ট্র একটি ইউটার্ন নেবে? এতে করে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থ কতটুকু রক্ষিত হবে? যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে, বিশেষ করে পেন্টাগনে যেসব কট্টরপান্থীরা রয়েছেন, 'তারা কী রাশিয়ার প্রতি ঝুঁকে যাবার' এই প্রবণতাকে মেনে নিবেন? সিনিয়র জেনারেলদের ভূমিকাই বা কী হবে এখন? রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্র 'মৈত্রী' কী ইতিহাসকে আবার স্মরণ করে দেবে? দ্বিতীয় ইয়াল্টার কী জন্ম হচ্ছে? পাঠক স্মরণ করতে পারেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ পর্যায় ইউরোপের ভূমিকা কী হবে, এটা নিয়ে আলোচনার জন্য ইয়াল্টায় (১৯৪৫ সালের ফেব্রুয়ারি) চার্চিল (যুক্তরাজ্য), রুজবেল্ট (যুক্তরাষ্ট্র) ও স্ট্যালিন (সোভিয়েত ইউনিয়ন) এক শীর্ষ বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন। সেই পরিস্থিতি কী তাহলে আবার ফিরে আসছে? এ ক্ষেত্রে যে কোনো রুশ-মার্কিন 'ঐক্য' সিরিয়ার পরিস্থিতির ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলবে? আসাদ ইতোমধ্যে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। সম্ভাব্য এই ঐক্য আসাদকে আরও কিছুদিন ক্ষমতায় থাকার সুযোগ করে দেবে মাত্র। কিন্তু তাতে করে যুদ্ধ সেখানে নামবে বলে মনে হয় না। যদিও ট্রাম্প বলেছেন তিনি আসাদবিরোধী বুসরা ফ্রন্ট (পরিবর্তিত নাম ব্যবহার করতে আল শাম) অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করবেন না। কিন্তু তাতে করে কী আইএসকে ধ্বংস করা সম্ভব হবে? অনেকেই জানেন আইএস পরোক্ষভাবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে 'সহযোগিতা' পেয়ে থাকে। ট্রাম্পের সময় আইএস কী তার অস্তিত্ব বজায় রাখতে পারবে? এ ক্ষেত্রে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে এক ধরনের 'স্নায়ুযুদ্ধ' এর জন্ম হবে। ট্রাম্প যদি সত্যি সত্যিই ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক সমঝোতা চুক্তি সমর্থন করতে অস্বীকার করেন, তাহলে ইরান এই 'স্নায়ুযুদ্ধের' সম্ভাবনাকে উসকে দেবে। আল-কায়দা কিংবা আইএসের মতো সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো সেই পুরনো 'স্পাইডার অয়েভ' তত্ত্বে ফিরে যাবে! এরা ছোট ছোট গ্রুপে বিভক্ত হয়ে গুপ্ত হামলা চালাবে। ফলে একটি স্থিতিশীল মধ্যপ্রাচ্য দেখার সম্ভাবনা ক্ষীণ। চীনের সঙ্গে সম্পর্ক বিয়েও প্রশ্ন আছে। চীনের সঙ্গে এক ধরনের ট্রেড ওয়ার শুরু হয়ে যেতে পারে। চীনা পণ্যের ওপর শতকরা ৪৫ ভাগ হারে শুল্ক আরোপ করলে (যা তিনি প্রস্তাব করেছেন) চীন বিষয়টি খুব সহজভাবে নেবে বলে মনে হয় না। মেস্কিকোর সঙ্গে সীমান্তে উঁচু দেয়াল নির্মাণের বিষয়টিও অত সহজ হবে না। তবে একটা আশঙ্কার জায়গা হচ্ছে নয়া প্রশাসনে জাতীয় নিরাপত্তা প্রধান হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল মাইকেল কুলাইন এর নিযুক্তি। স্কালাইন অত্যন্ত কট্টরপন্থী, ইসলামবিরোধি এবং পুতিনের মতো নেতৃত্বকে পছন্দ করেন। তিনি সম্প্রতি একটি বই লিখেছেন। তাতে তিনি যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের হেরে আসার পেছনে রাজনৈতিক সঠিক লাইন এর অভাব বলে মনে করেন। এবং ইসলাম বিদ্বেষকে তিনি যুক্তিযুক্ত বলে মনে করেন। ফলে স্কালাইন এর মতো কট্টরপন্থীদের নিযুক্তি প্রমাণ করে ট্রাম্প তার পূর্বের অবস্থান থেকে সরে আসছেন না। ট্রাম্প যদি তার পূর্বের অবস্থান দৃঢ় রাখেন এবং মুসলমানদের যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করার আইন প্রণয়ন করেন, তাহলে বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে বাধ্য। দু-একটি মুসলমানপ্রধান দেশে সন্ত্রাসী কর্মকা- রয়েছে। এবং এর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নীতিকেই দায়ী করা হয়। এ জন্য সব মুলসমানপ্রধান দেশগুলোকে দায়ী করা ঠিক হবে না। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ট্রাম্পের প্রশাসনে একের পর এক যেভাবে কট্টরপন্থীদের ভিড় বাড়ছে, তাতে করে তারা ট্রাম্পকে একটি কঠোর ইসলামবিরোধী ভূমিকা নিতে বাধ্য করতে পারেন। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান সংখ্যালঘুদের (এক্ষেত্রে মুসলমানদের) অধিকার নিশ্চিত করলেও, সংবিধানের এই 'অধিকার' এখন অকার্যকর হয়ে যেতে পারে। কেননা নতুন করে আইন প্রণয়ন করতে এবং কংগ্রেসে তা পাস করিয়ে নিতে ট্রাম্পের কোনো সমস্যা হবে না। সিনেট এবং প্রতিনিধি পরিষদে এখন রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। এমনকি সুপ্রিম কোর্টে তিনজন কনজারভেটিভ বিচারপতিকে তিনি নিয়োগ দিতে পারেন। সেই ক্ষমতা এখন তার আছে। ফলে তিনি যদি সংবিধান সংশোধন করার কোনো উদ্যোগ নেন, তাহলে তিনি তা পারবেন। নূ্যনতম অভিবাসন বিরোধী তথা ইসলাম বিরোধী কোনো আইন পাস করতে তার কোনো সমস্যা হবে না। সুতরাং খুব দ্রুত বদলে যেতে পারে বিশ্ব রাজনীতি। এক্ষেত্রে একটি বড় শক্তি হিসেবে ট্রাম্প প্রশাসনের যে কোনো বিশ্ব রাজনীতিতে বড় প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে ইউরোপে দক্ষিণপন্থীদের উৎসাহিত করতে পারে। ট্রাম্প যেভাবে 'সেইফ আমেরিকা গ্রেট' সস্নোগান ব্যবহার করে নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন ইউরোপে দক্ষিণপন্থী নেতারা, বিশেষ করে তিনটি বড় অর্থনীতির দেশ জার্মানি, ফ্রান্স ও ইতালির নেতারা আবারও স্ব-স্ব দেশে কট্টর জাতীয়তাবাদী রাজনীতিকে উসকে দিতে পারে। এসব দেশের অতীত ইতিহাস আমরা জানি। কট্টর জাতীয়তাবাদী রাজনীতি এ অঞ্চলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা করেছিল। এখন দেখার পালা যে কট্টর রাজনীতি ইউরোপে জন্ম হয়েছে, তা বিশ্বকে কোথায় নিয়ে যায়। তাই ২০ জানুয়ারির মধ্যে সারাবিশ্ব তাকিয়ে থাকবে ডোনাল্ট ট্রাম্পের রাজনীতির দিকে।
Daily Jai Jai Din04.01.2017

0 comments:

Post a Comment