২০ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। তাঁর এই দায়িত্ব গ্রহণের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ এশিয়া তথা বিশ্বরাজনীতিতে কী ধরনের পরিবর্তন আসবে, সেটা দেখার জন্য আগ্রহ থাকবে অনেকের।
তিনি কী ওবামা প্রশাসনের বিদেশনীতি অনুসরণ করবেন, নাকি তাতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনবেন—সেটাই হবে আলোচনার মূল বিষয়। বলা ভালো, ওবামা প্রশাসনের আমলে চীনকে ঘিরে ফেলার একটি মহাপরিকল্পনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে গিয়েছিল। ওবামা তাঁর পররাষ্ট্রনীতিতে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলকে গুরুত্ব দিয়ে ‘Pivot to Asia’ পলিসি গ্রহণ করেছিলেন। এখন ট্রাম্প কি এই নীতি অব্যাহত রাখবেন—এটি ব্যাপক আলোচিত একটি বিষয়। নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ট্রাম্পকে ফোন করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে সংলাপ হয়েছে এবং এই ফোনালাপকে ‘গভীর বন্ধুত্বের সুর’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছিল। চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও কথা হয়েছিল ট্রাম্পের। অন্যদিকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদ এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি সন্ত্রাস দমনে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সহযোগিতা চান। যুক্তরাষ্ট্র এত দিন আসাদবিরোধী নুসরা ফ্রন্টকে সমর্থন দিয়ে আসছিল। এখন ট্রাম্প বলেছেন, তিনি নুসরা ফ্রন্টকে অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করবেন না। কিন্তু আইএস উত্খাতে তাঁর অবস্থান কী, তা স্পষ্ট নয়। তবে নিঃসন্দেহে এটা বলা যায়, একটি রুশ-মার্কিন সমঝোতা আসাদের হাতকেই শক্তিশালী করবে মাত্র! তবে পর্ষবেক্ষকরা বলছেন, দক্ষিণ চীন সাগর হবে ট্রাম্পের জন্য একটি ‘টেস্ট কেস’। এই অঞ্চলে বিশাল জ্বালানি প্রাপ্তির সম্ভাবনা শুধু চীনকেই এ অঞ্চলের ব্যাপারে আগ্রহী করে তুলছে না, বরং যুক্তরাষ্ট্রেরও যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে। এখানে বলা ভালো, এই অঞ্চল, তথা এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল আগামী দিনে প্রত্যক্ষ করবে এক ধরনের প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতায় অনিবার্যভাবে ভারত একটি শক্তি। এরই মধ্যে দক্ষিণ চীন সাগরে ভারত চারটি যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছিল। ফলে এটা বোঝাই যায়, আগামী দিনগুলোয় এ অঞ্চলের রাজনীতির উত্থান-পতনে ভারত একটি ‘শক্তি’ হতে চায়। এ ক্ষেত্রে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ মূলত এক ও অভিন্ন। অর্থাৎ চীনের কর্তৃত্ব কমানো। নীতিগত প্রশ্নে এ ব্যাপারে ওবামা প্রশাসন ও ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকার কথা নয়। ভারত এরই মধ্যে ভারত মহাসাগরে চীনের কর্তৃত্ব চ্যালেঞ্জ করতে শুরু করেছে। উল্লেখ করা প্রয়োজন, গত মার্চ মাসের শেষের দিকে বঙ্গোসাগরে সাবমেরিন থেকে পরমাণুবোমা বহনে সক্ষম ব্যালিস্টিক মিসাইল পরীক্ষা চালিয়েছিল ভারত। এতে চীনের কোনো প্রতিক্রিয়ার খবর সংবাদপত্রে প্রকাশিত না হলেও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একটি প্রতিক্রিয়া তখন সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছিল। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মার্ক টোনার তখন বলেছিলেন, এই মিসাইল পরীক্ষা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে ক্ষুণ্ন করবে। তিনি এ অঞ্চলের দেশগুলোকে পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার ও উন্নয়ন কমিয়ে আনারও আহ্বান জানিয়েছিলেন। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা লক্ষ করেছেন, ভারত মহাসাগরে তিনটি পরাশক্তির (যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ভারত) তত্পরতা সাম্প্রতিক সময়গুলোয় বেড়েছে। এতে এ অঞ্চলে ‘প্রভাববলয় বিস্তারের’ রাজনীতিকে কেন্দ্র করে একদিকে চীন ও ভারত, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়ছে। এই ‘দ্বন্দ্ব’কে কেন্দ্র করে ভারত মহাসাগরের অঞ্চলভুক্ত দেশগুলোও ‘আক্রান্ত’ হচ্ছে! চীন যখন তার ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ কর্মসূচির আওতায় এ অঞ্চলের দেশগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করছে, ঠিক তখনই ভারত এগিয়ে এসেছে তার প্রাচীন ‘কটন রুট’ নিয়ে। ভারত এরই মধ্যে ভারত মহাসাগরভুক্ত অঞ্চলে তার তত্পরতা বাড়িয়েছে। ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন ও ব্রুনেইয়ের সঙ্গে চুক্তি করে সেখানে তার সামরিক তত্পরতা নিশ্চিত করেছে। এর আগে ভারত শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপে যুদ্ধজাহাজ বিক্রমাদিত্যকে পাঠিয়েছিল। চীন-ভারত দ্বন্দ্বের প্রতিক্রিয়া হিসেবে চীন আন্দামান ও নিকোবর অঞ্চল তার বলে দাবি করেছে। পাঠকরা নিশ্চয়ই স্মরণ করতে পারেন, কলম্বোয় চীনা ডুবোজাহাজের উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে শ্রীলঙ্কায় সরকার পর্যন্ত পরিবর্তন হয়েছিল। এই ডুবোজাহাজের উপস্থিতিকে ভারত দেখেছিল তার নিরাপত্তার প্রতি হুমকি হিসেবে। শ্রীলঙ্কান সাবেক প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসে ছিলেন অতিমাত্রায় চীননির্ভর। চীন শ্রীলঙ্কার হামবানতোতা ও কলম্বোয় দুটি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করে দিয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি সহজভাবে দেখেনি ভারত। শেষ পর্যন্ত ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা সেখানে এক ধরনের ‘হস্তক্ষেপ’ করে এবং গিরিসেনাকে রাজাপাকসের ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ হিসেবে দাঁড় করায়। নির্বাচনে গিরিসেনা বিজয়ী হয়েছিলেন এটা সত্য। ভারতে মোদি ক্ষমতায় আসার পর ভারতীয় মহাসাগর তথা মহাসাগরভুক্ত অঞ্চলকে ঘিরে নয়া ভারতীয় স্ট্র্যাটেজি রচিত হয়েছে। গেল বছর (মার্চ) ভারতের ওড়িশার ভুবনেশ্বরে ভারতীয় মহাসাগরভুক্ত দেশগুলোর সমন্বয়ে গঠিত ‘ইন্ডিয়ান ওসেন রিম’-এর একটি শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বাংলাদেশও তাতে অংশ নিয়েছিল। ওই সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ সুস্পষ্ট করেই বলেছিলেন, ভারত মহাসাগরে চীনের প্রবেশ ভারতের কাছে কাঙ্ক্ষিত নয়। ভুবনেশ্বর শীর্ষ সম্মেলনের আগে সৌদি সরকার মরিশাসে একটি ভারতীয় ঘাঁটি স্থাপনের ব্যাপারে একটি চুক্তি করেছে। মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে একটি মৈত্রী জোট গড়ারও উদ্যোগ নিয়েছিল ভারত। এই জোটে মরিশাস ও সিসিলিকে পর্যবেক্ষক হিসেবে রাখারও উদোগ নেওয়া হয়েছে। তাই এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল তথা ভারত মহাসাগর আগামী দিনে প্রত্যক্ষ করবে এক ধরনের প্রভাব বিস্তার করার প্রতিযোগিতা। এই দুটি অঞ্চলে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু ‘সামরিক তত্পরতা’ লক্ষণীয়। দক্ষিণ চীন সাগরে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার সমন্বয়ে একটি সামরিক ঐক্য জোট গঠিত হয়েছে। উদ্দেশ্য হচ্ছে, চীনের ওপর ‘চাপ’ প্রয়োগ করা। অন্যদিকে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীন তার নৌবাহিনীর তত্পরতা বাড়িয়েছে। দক্ষিণ চীন সাগর থেকে মালাক্কা প্রণালি হয়ে ভারত মহাসাগর অতিক্রম করে অ্যারাবিয়ান গালফ পর্যন্ত যে সমুদ্রপথ তার নিয়ন্ত্রণ নিতে চায় চীন। কারণ এ পথ তার জ্বালানি সরবরাহের পথ। চীনের জ্বালানি চাহিদা প্রচুর। এদিকে ভারতও ভারত মহাসাগরে তার কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায়। ভারতের নৌবাহিনীর ‘নিউ ইস্টার্ন ফ্লিট’-এ যুক্ত হয়েছে বিমানবাহী জাহাজ। রয়েছে পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন। আন্দামান ও নিকোবরে রয়েছে তাদের ঘাঁটি। ফলে এক ধরনের প্রতিযোগিতা এরই মধ্যে চীন ও ভারতের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে। এশিয়া-প্যাসিফিক ও দক্ষিণ এশিয়ার কর্তৃত্ব নিয়ে চীন ও ভারতের অবস্থান এখন অনেকটা পরস্পরবিরোধী। যেখানে চীনা নেতৃত্ব একটি নয়া ‘মেরিটাইম সিল্ক রুট’-এর কথা বলছে, সেখানে মোদি সরকার বলছে, ‘ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক করিডর’-এর কথা। স্বার্থ মূলত এক ও অভিন্ন—এ অঞ্চলে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা। আর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে গিয়েই এশিয়ার এই দুটি বড় দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব অনিবার্য। আর এটাকেই কাজে লাগাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প প্রশাসনের ভূমিকা কী—সেটাই এখন দেখার বিষয়।
একসময় মার্কিন গবেষকরা একটি সম্ভাব্য চীন-ভারত অ্যালায়েন্সের কথা বলেছিলেন। জনাথন হোলসলাগ ফরেন পলিসি ম্যাগাজিনে লিখিত একটি প্রবন্ধে Chindia (অর্থাৎ চীন-ভারত)-এর ধারণা দিয়েছিলেন। চীনা প্রেসিডেন্টের ভারত সফরের (২০১৪ ও ২০১৬) পর ধারণা করা হয়েছিল যে দেশ দুটি আরো কাছাকাছি আসবে। কিন্তু শ্রীলঙ্কার অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ভারতের ভূমিকা, চীন-ভারত সীমান্ত নিয়ে দ্বন্দ্ব এবং সর্বশেষ চীনের আন্দামান-নিকোবর অঞ্চলের দাবি দেখে মনে হয়েছে এই সম্ভাবনা অনেক ক্ষীণ। নতুন আঙ্গিকে ‘ইন্ডিয়া ডকট্রিনের’ ধারণা আবার ফিরে এসেছে। এই ‘ইন্ডিয়া ডকট্রিন’ মনরো ডকট্রিনের দক্ষিণ এশীয় সংস্করণ। অর্থাৎ দক্ষিণ এশিয়ায় অন্য কারো কর্তৃত্ব ভারত স্বীকার করে নেবে না। একসময় এই এলাকা, অর্থাৎ ভারত মহাসাগরীয় এলাকা ঘিরে ‘প্রিমাকভ ডকট্রিন’ (২০০৭ সালে রচিত। শ্রীলঙ্কা, চীন, ইরাক ও রাশিয়ার মধ্যকার ঐক্য)-এর যে ধারণা ছিল, শ্রীলঙ্কায় গিরিসেনার বিজয়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ধারণা এখন আর কাজ করছে না। ফলে বাংলাদেশ তার পূর্বমুখী ধারণাকে আরো শক্তিশালী করতে বিসিআইএম (বাংলাদেশ, চীনের ইউনান রাজ্য, ভারতের সাতবোন, মিয়ানমার) যে আগ্রহ দেখিয়েছিল, তাতে তখন শ্লথগতি আসতে পারে। সামরিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তার প্রশ্নে ভারত এখন আর বিসিআইএম ধারণাকে ‘প্রমোট’ করবে না। আর বাংলাদেশের একার পক্ষে চীনকে সঙ্গে নিয়ে বিসিআইএম ধারণাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াও সম্ভব হবে না। শুধু তাই নয়, ভারত নয়া উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা বিবিআইএনকে (বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল) বেশি গুরুত্ব দেওয়ায় বিসিআইএম এখন গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ছাত্ররা জানেন, সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের নৌ স্ট্র্যাটেজি এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলকে ঘিরেই আবর্তিত হচ্ছে। অর্থাৎ একসময় যুক্তরাষ্ট্রের নৌ স্ট্র্যাটেজি শুধু প্যাসিফিক অঞ্চলকে ঘিরে রচিত হলেও তা সম্প্রসারিত হয়েছে ভারত মহাসাগরে। একই স্ট্র্যাটেজির আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে ভারত মহাসাগরকে, যা ওবামার Pivot to Asia পলিসির অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশ এই স্ট্র্যাটেজির আওতায়। এই স্ট্র্যাটেজির অন্তর্ভুক্ত চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াও। উল্লেখ করা প্রয়োজন যে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থানকে শক্তিশালী করার জন্য এখানে মোতায়েনরত যুক্তরাষ্ট্রের ষষ্ঠ ফ্লিটের ছয়টি যুদ্ধজাহাজকে ভারত মহাসাগরে মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে এ অঞ্চলের গুরুত্ব আরো বেড়েছে। এতে চীনা নেতাদের উদ্বেগ ও শঙ্কা বাড়ছে। গেল বছর ওয়াশিংটনে (১ এপ্রিল ২০১৬) যে চতুর্থ পারমাণবিক নিরাপত্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেখানে ওবামার সঙ্গে চীনা প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের আলাপচারিতায় চীনা নেতা তাঁদের উদ্বেগ ও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এর কারণ হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে Terminal High Altitude Area Defense (THAAD) আলোচনা শুরু করেছে। যদিও বলা হচ্ছে, THAAD এক ধরনের মিসাইল প্রতিরক্ষাব্যবস্থা (৪০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার উচ্চতায় আগত শত্রুপক্ষের মিসাইল ধ্বংস করা। THAAD ক্যাটারি প্রতিস্থাপনে খরচ পড়বে ৮২৭ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার), কিন্তু চীন মনে করছে, এই প্রতিরক্ষাব্যবস্থা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হবে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ চীন সাগরে যুদ্ধজাহাজ পাঠানোকে চীন মনে করছে তাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি এক ধরনের হুমকিস্বরূপ। ওবামা-শি চিনপিং আলোচনায় এই প্রসঙ্গগুলো উত্থাপিত হয়েছিল এবং শি চিনপিং এটা স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন যে চীন এ ধরনের ‘কর্মকাণ্ড’ সহ্য করবে না। স্পষ্টতই এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ভূমিকা’ নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। এমনকি একজন ‘ব্যবসায়ী কাম প্রেসিডেন্ট’ ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ‘ওয়ান চায়না’ নীতি পরিত্যাগ করেন কি না, সেটা একটা বহুল আলোচিত বিষয়। সব মিলিয়ে মার্কিন নীতিতে একটি ‘পরিবর্তনের’ সম্ভাবনা জন্ম নিয়েছে। ট্রাম্পের দায়িত্ব নেওয়ার পরই বোঝা যাবে এই ‘পরিবর্তন’ দক্ষিণ এশিয়া তথা বিশ্বরাজনীতিতে কী ধরনের পরিবর্তন ডেকে আনে।
Daily Kalerkontho
11.01.2017
0 comments:
Post a Comment