রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

সার্চ কমিটি কি আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য যথেষ্ট

শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি একটি সার্চ কমিটি গঠন করেছেন। সংবিধানের ১১৮(১) ধারা মতে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনারদের নিয়োগ দেয়ার ব্যাপারে রাষ্ট্রপতি যে অধিকার ভোগ করেন, সে অধিকার বলেই রাষ্ট্রপতি একটি সার্চ কমিটি গঠন করলেন। এই সার্চ কমিটি এখন সম্ভাব্য সিইসি ও কমিশনারদের নামের একটি তালিকা তৈরি করে রাষ্ট্রপতিকে দেবেন। রাষ্ট্রপতি সেখান থেকে একজনকে সিইসি ও চারজনকে কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেবেন। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে ৯ ফেব্রুয়ারি। সুতরাং এর আগেই সার্চ কমিটিকে নামের একটি তালিকা তৈরি করে রাষ্ট্রপতির বিবেচনার জন্য পাঠাতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন আছে অনেকগুলো। সার্চ কমিটি কতগুলো নামের তালিকা তৈরি করবে বটে; কিন্তু তাতে করে কী দুইটি বড় দলের মাঝে আস্থার সম্পর্ক তৈরি হবে? অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, আস্থার সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনাটি এখনও সুদূরপরাহত। কেননা, যেদিন সার্চ কমিটির নাম ঘোষিত হয়, সেদিনই বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়ে দিলেন, এরা আওয়ামী লীগের পছন্দের লোক। আওয়ামী লীগ ৫ জানুয়ারির (২০১৪) মতো আরেকটি নির্বাচন করতে চায় এমন অভিযোগও মীর্জা ফখরুলের। এর অর্থ পরিষ্কার। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ করে এবং তার ওপর আস্থা রাখার কথা বললেও, বিএনপি সার্চ কমিটি গঠন করার সঙ্গে সঙ্গে তাদের অভিযোগটি উত্থাপন করল। তবে আশার কথা, বিএনপি এই সার্চ কমিটি প্রত্যাখ্যান করেনি। রাজনীতিতে দুইটি বড় দলের মাঝে যে বিভক্তি, সেই বিভক্তি সর্বশেষ সার্চ কমিটি গঠনের পরও কমল না। রাজনীতিতে বিরোধিতা থাকবে, সেটাই কাম্য ও সঠিক। কিন্তু সেই ‘বিরোধিতা’ থাকা উচিত কর্মসূচিভিত্তিক। অর্থাৎ কোন দল কোন প্রক্রিয়ায় সাধারণ মানুষকে তাদের ন্যূনতম অধিকার নিশ্চিত করবে, দলগুলো সেই পরিকল্পনা উপস্থাপন করবে এবং মানুষ তার একটিকে বেছে নেবে। এখানে কোনো কোনো দল সেই কর্মসূচি দিচ্ছে বটে; কিন্তু তাতে রয়ে যাচ্ছে বেশ অস্পষ্টতা। ৪৫ বছরের রাজনীতি যদি পর্যালোচনা করা যায়, তাহলে দেখা যাবে, রাজনীতি মূলত বিভক্ত হয়ে পড়েছে দুইটি বড় দলের মাঝে। অর্থাৎ একদিকে রয়েছে আওয়ামী লীগ, অন্যদিকে আওয়ামী লীগের বিকল্প বিএনপি। তৃতীয় কোনো শক্তি এখানে দাঁড়াতে পারেনি। একটি ‘কোয়ালিশনের যুগেও’ প্রবেশ করেছে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি। অর্থাৎ দুইটি বড় দলের নেতৃত্বেই গড়ে উঠেছে দুইটি জোট। দক্ষিণপন্থী ও ইসলামপন্থীরা রয়েছে একটি জোটে। অন্যদিকে মডারেট, লিবারেল ও ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির সমর্থকরা রয়েছেন দ্বিতীয় জোটে। মাঝখানে বামপন্থীরা কিছুটা সক্রিয় থাকলেও নির্বাচনী রাজনীতিতে এদের অবস্থান অত্যন্ত দুর্বল। এরা দুটি বড় দল ও জোটের বাইরে থাকলেও জোট রাজনীতিতে এদের কোনো ভূমিকা নেই। রাজনীতিতে একটি স্পষ্ট ধারা লক্ষণীয়। একটি বড় জোট প্রতিনিধিত্ব করছে বাঙালি সংস্কৃতির, যেখানে ধর্মনিরপেক্ষতা প্রাধান্য পাচ্ছে। অন্যদিকে অপর জোট প্রতিনিধিত্ব করছে বাংলাদেশী সংস্কৃতির, যেখানে ইসলাম ধর্মকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। পরিপূর্ণভাবে ইসলামী দর্শননির্ভর কিছু রাজনৈতিক দলের জন্ম হলেও এরা ব্যক্তিনির্ভর এবং সংসদীয় রাজনীতিতে এদের কোনো অবস্থান নেই। বড় দলগুলোর মাঝে রাজনৈতিকভাবে যতটা না বিভক্তি, তার চেয়ে বেশি বিভক্তি দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে। এই ‘বিভক্তি’ চলমান রাজনীতিতে বড় প্রভাব ফেলে। এখানে দলের চেয়ে ব্যক্তি বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। এক ধরনের ‘পপুলিজম’ এর রাজনীতির জন্ম হয়েছে বাংলাদেশে। অর্থাৎ সাধারণ মানুষকে একটি বিশেষ মত ও পথে আকৃষ্ট করা হচ্ছে। এক ধরনের ‘মোহবিষ্ট’ রাজনীতিতে তারা আকৃষ্ট হচ্ছে। রাজপথে তারা সক্রিয় হচ্ছে। বিরোধী পক্ষকে সহ্য না করার মানসিকতা তৈরি হচ্ছে এবং প্রায় ক্ষেত্রে রাজনীতি একটি নির্দিষ্ট পথে পরিচালিত হচ্ছে। এই ‘পপুলিজম’ সারা বিশ্বেই দেখা যায়, যা গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির পরিপন্থী। ‘আস্থার সম্পর্ক’ একদমই গড়ে উঠেনি। মাঝেমধ্যে দুই-একটি ঘটনা (এরশাদবিরোধী আন্দোলন, পঞ্চম সংসদে ১৯৯২ সালে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন) উজ্জ্বল হয়ে উঠলেও অচিরেই তা ম্লান হয়ে যাচ্ছে। এখানে ‘এক পক্ষ অপর পক্ষকে সহ্য না করার মানসিকতা’ নিয়ে রাজনীতিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমাজ।
দীর্ঘ ৪৫ বছর একটা জাতির জন্য একেবারে কম সময় নয়। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে আমরা সাংবিধানিকভাবে গ্রহণ করে নিয়েছি বটে; কিন্তু আমাদের রাজনৈতিক দল, জাতীয় নেতৃবৃন্দ গণতন্ত্রিক সংস্কৃতিকে ব্যক্তিগতভাবে ও দলীয়ভাবে ধারণ করেন না। ফলে গণতন্ত্রের মূল স্পিরিটটাই রয়েছে উপেক্ষিত। দীর্ঘ ৪৫ বছরে আমাদের অনেক অর্জন রয়েছে। একটি শক্তিশালী তরুণ প্রজন্মের জন্ম হয়েছে, যাদের কাছে একটি ‘আদর্শিক সমাজ’ আমরা এখনও উপস্থাপন করতে পারিনি। ‘আস্থা ও বিশ্বাসের রাজনীতি’র অভাব আমাদের সব অর্জনকে ম্লান করে দিয়েছে। এ আস্থা ও বিশ্বাস যদি স্থাপন করতে না পারি, যদি পরস্পরকে ‘ঘৃণা’ করার মানসিকতা পরিত্যাগ করতে না পারি, তাহলে আমরা আমাদের লক্ষে পৌঁছতে পারব না এবং গণতন্ত্রকে একটি শক্তিশালী ভিত্তি দিতে পারব না এ দেশে। সর্বশেষ ঘটনায় এটা আবারও প্রমাণিত হলো যে, আমাদের মাঝে বিভক্তি কত বেশি। সার্চ কমিটি গঠন কোনো সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা নয়। সংবিধানে এ সংক্রান্ত কোনো নির্দেশনা নেই। তারপরও রাষ্ট্রপতি করেছেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিল্লুর রহমানও এরকম একটি সার্চ কমিটি গঠন করেছিলেন ২০১২ সালে। ওই কমিটির মাধ্যমেই কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদ প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। সমসাময়িককালে সবচেয়ে বেশি বিতর্কিত ছিল রকিব কমিশন। তার নিজের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা চরম পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছিল, যখন পৌর নির্বাচনের এক পর্যায়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে গিয়েছিলেন। অতি সম্প্রতি তিনি নিজেকে ‘সফল’ বলে দাবি করেছেন, যা তাকে আরও বিতর্কিত করেছে। ফলে সার্চ কমিটিও যে ‘ভালো কমিশন’ ও ‘গ্রহণযোগ্য কমিশন’ উপহার দিতে পারে না, সেটা প্রমাণিত হয়েছিল।
এবারের সার্চ কমিটি নিয়ে বিএনপি প্রশ্ন তুলেছে। ছয় সদস্যবিশিষ্ট যে কমিটি, তাতে দুইজন রয়েছেন বিচারপতি। দুইজন সাংবিধানিক পদের অধিকারী সরকারি কর্মকর্তা, দুইজন শিক্ষাবিদ। দুইজন শিক্ষাবিদ নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। এরা দুইজন আওয়ামী লীগ ঘরানার শিক্ষক হিসেবে পরিচিত। আওয়ামী ঘরানার লোকদের সার্চ কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত না করা হলে ভালো হতো। তবে দুইজন বিচারপতি ও একজন সাংবিধানিক পদের অধিকারী ব্যক্তিকে নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না। রাষ্ট্রপতি নিবন্ধিত প্রতিটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করেছেন। ১৮ জানুয়ারি এই সংলাপ শেষ হয়েছে। সংলাপে তিনটি বিষয় উঠে আসে। এক. একটি সার্চ কমিটি গঠন, যারা নির্বাচন কমিশনারদের নাম প্রস্তাব করবেন, দুই. একটি আইন প্রণয়ন করা, তিন. সার্চ কমিটিতে একজন নারীকে অন্তর্ভুক্ত করা। রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক দলগুলোর দাবির প্রতি সম্মান দেখিয়েই এই সার্চ কমিটি গঠন করেছেন। সুতরাং রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না। তবে এটাও সত্য, রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ধারাই অনুসরণ করেছেন। অর্থাৎ তিনি সংবিধানের ১১৮ নং ধারা ও ৪৮(৩) নং ধারা অনুসরণ করেছেন। ৪৮ অনু (৩) নং ধারায় বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের ব্যাপারে তিনি যাই করুন না কেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করেই তিনি তা করবেন। তিনি তা করেছেনও। অর্থাৎ সার্চ কমিটির নামের তালিকা প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক অনুমোদিত হওয়ার পরই তার সম্মতি নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়। আওয়ামী লীগ বারবার বলে আসছিল, সার্চ কমিটি গঠিত হবে সংবিধানের আলোকেই। বিএনপি তো এটা জানতই যে, সার্চ কমিটি গঠনেও প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির প্রয়োজন আছে। এখন কমিটি ১০ দিনের মধ্যে তাদের নামের তালিকা রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেবে। তবে এটা স্পষ্ট নয়, সার্চ কমিটি সিইসি পদে একাধিক ব্যক্তি এবং চারজন কমিশনারের বিপরীতে ৮ ব্যক্তির নাম প্রস্তাব করবে কিনা? রাষ্ট্রপতিকে সুযোগ দিতে হবে এবং সে কারণে একাধিক ব্যক্তির নাম প্রস্তাব করা উত্তম। আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এই দলগত দ্বন্দ্ব, একদল কর্তৃক অন্য দলকে সহ্য না করার মানসিকতা এমন পর্যায়ে গিয়ে উপনীত হয়েছে যে, কোনো একটি ক্ষেত্রেও কোনো ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না।
রাষ্ট্রপতি একটি সার্চ কমিটি গঠন করলেন। তাও ‘বিতর্কিত’ হয়ে গেল! এবং আমি দিব্যি দিয়ে বলতে পারি, যারা নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন এবং দায়িত্ব নেবেন, তাদেরও বিতর্কিত করা হবে। এ ‘বিতর্কের’ ভয়ে অনেক শুভবুদ্ধির মানুষ নির্বাচন কমিশনে দায়িত্ব নিতে আগ্রহী হবেন না। সম্মানের ভয়ে কেউই আসতে চাইবেন না। ফলে একটি নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে বটে; কিন্তু এ কমিশন একাদশ সংসদ নির্বাচন কতটুকু সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারবে, তা নিয়েও একটা শঙ্কা রয়ে গেল। একটি গ্রহণযোগ্য ও সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন প্রয়োজন। ৫ জানুয়ারি (২০১৪) একটি নির্বাচন হয়েছিল বটে; কিন্তু ওই নির্বাচনের কোনো গ্রহণযোগ্যতা ছিল না। এরপর থেকে দাতাগোষ্ঠী বারবার বলে আসছে, ‘সব দলের অংশগ্রহণে’ একটি নির্বাচনের কথা। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর একটি বক্তব্যও সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী কোনো প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন চান না।’ জানি না, প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের সভায় কথাটা এভাবেই বলেছিলেন কিনা। বাস্তবতা হচ্ছে, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনটা ভালো ছিল না। এর জন্য যে বক্তব্যই দেয়া হোক না কেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন এ দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আমরা নিশ্চয়ই আগামী নির্বাচনটাও এমন দেখতে চাই না। একটি নির্বাচন হবে এবং তাতে সব দল অংশ নেবে, এটাই কাম্য। সে জন্যই নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বটি অনেক বেশি। সংবিধান নির্বাচন কমিশনকে অনেক স্বাধীনতা দিয়েছে। সমস্যা হচ্ছে, স্বাধীনতার ব্যবহার নিয়ে। রকিব কমিশন স্বাধীনভাবে নির্বাচন কমিশন পরিচালনা করতে পারেনি। সুতরাং যারা আসবেন, তাদের নিয়েও প্রশ্ন থেকে যাবে। এখন দেখার পালা কমিশন কাদের নাম প্রস্তাব করে।
সংলাপের এক পর্যায়ে রাষ্ট্রপতি বলেছিলেন, বড় দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য কমিয়ে আনার। এটাই বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বড় সমস্যা। প্রতিটি ইস্যুতে মতপার্থক্য খুব বেশি। সার্চ কমিটি গঠনের প্রশ্নেও এই মতপার্থক্য দেখা গেল। তবুও আশা করব, সার্চ কমিটি যাদের নাম রাষ্ট্রপতির বিবেচনার জন্য প্রেরণ করবে, তাদের নিয়ে বিতর্ক হবে না। কিংবা রাজনৈতিকভাবে যারা পরিচিত, তাদের নাম প্রস্তাব করবেন না। সাবেক কোনো আমলাকে সিইসি পদে প্রস্তাব না করাই মঙ্গল। সে ক্ষেত্রে একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নাম প্রস্তাব করা যেতে পারে। কমিশনার হিসেবে শিক্ষাবিদরা অথবা সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরাও আসতে পারেন। সাবেক জেলা জজ কিংবা সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র অফিসাররাও যে বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকতে পারেন না, রকিব কমিশন এর বড় প্রমাণ। তাই সার্চ কমিটির দায়িত্ব অনেক বেশি।
Daily Alokito Bangladesh
29.01.2017

0 comments:

Post a Comment