রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

রাজনৈতিক আস্থা: নতুন বছরের চ্যালেঞ্জ

একটি ছোট্ট ঘটনা। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ছুটে গেছেন হেরে যাওয়া প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানের বাসায়। সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন মিষ্টি। টিভি ক্যামেরা তাকে অনুসরণ করছিল। তিনি বললেন, তিনি সাখাওয়াত সাহেবের সঙ্গে তার সহযোগিতা নিয়েই নারায়ণগঞ্জের উন্নয়ন প্রক্রিয়া এগিয়ে  নেবেন। ঘটনাটি ছোট্ট। কিন্তু এর একটি সুস্পষ্ট  মেসেজ আছে আর তা হচ্ছে  একটি আস্থার সম্পর্ক। সেলিনা আইভী নির্বাচনে বিজয়ী হয়েও আস্থার সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাইছেন বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানের সঙ্গে। সাধারণত এ রকম দৃশ্য দেখা যায় না। এই দুটি বড় দলের মাঝে আস্থার সম্পর্কের অভাব বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করছে। এখন যে প্রশ্নটি অনেকের মাঝেই উঠেছে তা হচ্ছে, একটি ‘আস্থার সম্পর্ক’ গড়ে তোলার যে দৃষ্টান্ত ডা. আইভী স্থাপন করলেন, তা কি চলতি বছর জাতীয় রাজনীতিতে বহাল থাকবে? আমরা বারবার বলে আসছি রাজনীতিবিদরা যদি তাদের মানসিকতায় পরিবর্তন না আনেন, তাহলে এ দেশে গণতন্ত্র বিকশিত হবে না।
নারায়ণগঞ্জের সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন আমাদের জন্য একটা আশার আলো জাগিয়েছিল। যে নির্বাচনী সংস্কৃতিতে ভোট কেন্দ্র দখল, প্রতিপক্ষ শিবিরে হামলা ও আহত করা ছিল সংস্কৃতি কিংবা অত্যন্ত স্বাভাবিক ঘটনা সেখানে নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনে এ রকম কিছুই হয়নি। নির্বাচনে তিনটি পক্ষ সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং রাজনৈতিক দল সবাই ‘কমিটেড’ ছিল একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে। ফলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। এর অর্থ পরিষ্কার এই তিনটি পক্ষ, বিশেষ করে সরকার যদি সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে ‘কমিটেড’ থাকে তাহলে এ দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব। এটা নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে যখন জেলা পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন হলো স্পিরিটটি আর থাকল না। জেলা পরিষদ নির্বাচনে ‘সব দলের অংশগ্রহণ’ নিশ্চিত হয়নি। উপরন্তু অনেক কারণের জন্য ওই নির্বাচনটি ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। প্রথমত, পাকিস্তানি জমানায় ‘বেসিক ডেমোক্রেসি’ অর্থাৎ মৌলিক গণতন্ত্রী মডেলে এই নির্বাচনটি সম্পন্ন হয়েছে। সেখানে সাধারণ মানুষের ভোটাধিকারের কোনো সুযোগ ছিল না। ভোট দিয়েছেন স্থানীয় সরকার অর্থাৎ উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা। দ্বিতীয়ত, ওই নির্বাচনে শুধু আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাই অংশ নেন। বিএনপি কিংবা জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেয়নি। এরপরও ‘এক দলীয় নির্বাচনে’ ২৩ জন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তৃতীয়ত, ভোট কেনাবেচার একটি অভিযোগ সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছে। চতুর্থত, জেলা পরিষদের এই নির্বাচন ছিল সংবিধানের স্পিরিট (সংবিধানের ১১নং অনুচ্ছেদ) এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক যেখানে ‘নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ’ এর কথা বলা হয়েছে। এমনকি সংবিধানের প্রস্তাবনায় যে ‘গণতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে জেলা পরিষদের নির্বাচন এই স্পিরিটের পরিপন্থী। ফলে একটা আস্থার সম্পর্কের ভিত্তি রচিত হওয়ার যে সম্ভাবনা ছিল তা নষ্ট হয়ে যায়।
আমরা এক কঠিন সময় পার করছি। ৫ জানুয়ারির (২০১৪) অভিজ্ঞতা আমাদের ভালো নয়। একদিকে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা, অন্যদিকে নির্বাচন বয়কট ও নির্বাচন বয়কটকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সহিংসতা আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির একটি ‘কালো দিক।’ ‘ভোটারবিহীন’ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রক্ষা করা গেছে বটে কিন্তু দেশে নির্বাচনী সংস্কৃতির মৃত্যু ঘটেছে। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির জন্য এটা কোনো ভালো খবর নয়। দেশে সুস্থ গণতান্ত্রিক চর্চার জন্য শক্তিশালী একটি বিরোধী দল থাকা দরকার। আমরা ইতোমধ্যে একটি হাস্যস্পদ সংসদের জš§ দিয়েছি। জাতীয় পার্টি সংসদে বিরোধী দলের ‘আসনে’ আছে বটে আবার তাদের দল থেকে মন্ত্রীও হয়েছেন। পার্টিপ্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দলের ওপর কর্তৃত্ব আছে বলে মনে হয় না। ফলে জাতীয় পার্টি বিএনপির বিকল্প হিসেবে দাঁড়িয়ে যাওয়ার যে সম্ভাবনা ছিল তা হয়নি। এ কারণে একটি শক্তিশালী বিরোধী দল সংসদে থাকা দরকার। না হলে গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে না। গত তিন বছরে অনেক জাতীয় ইস্যু সংসদে আলোচিত হয়নি। অনেক সময় সংসদ সদস্যদের অনুপস্থিতির কারণে নির্দিষ্ট সময়ে সংসদ বসেনি। এর অর্থ অনেক সংসদ সদস্যই সংসদীয় কার্যক্রমের ব্যাপারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিলেন। এখন সেই ‘পরিস্থিতি’ থেকে ফিরে আসতে হবে। বিএনপি আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে। কেননা এই সংসদ নির্বাচনে (২০১৯ জানুয়ারি) বিএনপি অংশ না নিলে বিএনপির নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে। উপরন্তু নেতাকর্মীদের স্থানীয়ভাবে ‘নিরাপত্তা’ নিশ্চিত করার স্বার্থেও বিএনপির নির্বাচনে অংশ নেয়া জরুরি। তাই বিএনপির জন্য একটি ‘স্পেস’ দরকার। তবে বড় কথা হলো আমাদের মানসিকতায় আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন।
বিএনপি নিঃসন্দেহে এখন যথেষ্ট দুর্বল। মামলা-মোকদ্দমা আর কোর্টে যাওয়া আসার মধ্য দিয়ে তাদের দিন যাচ্ছে। সিনিয়র অনেক নেতা এখন আর সক্রিয় নন। কোনো বড় আন্দোলনও তারা গড়ে তুলতে পারছেন না। তারপরও বিএনপির একটা বড় জনসমর্থন আছে। বিএনপিকে আস্থায় নিয়েই নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আমার বিবেচনায় সার্চ কমিটি নয় বরং বিএনপি যদি সিইসিসহ কমিশনারদের নাম প্রস্তাব করে সেখান থেকে অন্তত দুটি নামকে বিবেচনায় নেয়া যেতে পারে। আর যদি সার্চ কমিটি গঠন করতে হয় সেক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদে যারা আছেন তাদেরসহ সাবেক বিচারপতি ও শিক্ষাবিদদের সমন্বয়ে একটি সার্চ কমিটি গঠন করা যেতে পারে। সাবেক বা এখনো রাষ্ট্রীয় পদে আছেন এমন আমলাদের সার্চ কমিটির প্রধান করা ঠিক হবে না। আমলাদের অনেকের মাঝে সরকারের কাছ থেকে সুযোগ-সুবিধা নেয়ার একটা প্রবণতা থাকে। এমনকি অবসরের পরেও তারা সরকারি দলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন। এক্ষেত্রে একজন বিচারপতিকে সার্চ কমিটির প্রধান করা শ্রেয়। এখনো বিচারপতিরা আমাদের শ্রদ্ধার পাত্র। তাদের ওপর আস্থা রাখা যায়। রাষ্ট্রপতি অনেক ছোট দলের সঙ্গে সংলাপ করছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, এদের কি আদৌ কোনো গণভিত্তি আছে? ন্যাশনাল ফ্রন্ট, বিজেপি, তরিকত ফেডারেশন এদের গণভিত্তি কি? কিংবা ওয়ার্কার্স পার্টি? বিগত সংসদ নির্বাচনগুলো পর্যালোচনা করলে এদের ভোটের প্যাটার্ন সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যাবে। তাই আস্থাটা রাখা দরকার দুটি বড় দলের মঝে। বিএনপি ও আওয়ামী লীগ যদি ন্যূনতম ইস্যুতে ‘এক’ হয় তাহলে এ দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। এক্ষেত্রে প্রয়োজন এ দুটি দলের নেতাদের মানসিকতার পরিবর্তন।
মানসিকতায় যদি পরিবর্তন না আসে, তাহলে এ দেশে ‘গণতন্ত্রের হাওয়া’ বইবে না। আর বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে যদি বিভেদ-অসন্তোষ থাকে তাহলে এ থেকে ফায়দা নেবে অসাংবিধানিক শক্তিগুলো। যা গণতন্ত্রের জন্য মঙ্গল নয়। দীর্ঘ ৪৫ বছর আমরা পার করেছি। আমাদের অনেক অর্জন আছে। অনেক সেক্টরে আমরা বিশ্বকে নেতৃত্ব দেয়ার সক্ষমতা রাখি। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীতে আমাদের সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণ, তৈরি পোশাক শিল্পে আমাদের সক্ষমতা, ওষুধ শিল্পের গ্রহণযোগ্যতা ইত্যাদি নানা কারণে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের একটা পরিচিতি আছে। আমরা ‘সফট পাওয়ার’ হিসেবে ইতোমধ্যে পরিচিতি পেয়েছি। ‘নেক্সট ইলেভেন’ এ বাংলাদেশের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। জাতীয় প্রবৃদ্ধি ৭ এর ঘরে থাকবে বলে আন্তর্জাতিক মহল থেকে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এখন এই যে ‘অর্জন’ এই ‘অর্জন’ মুখ থুবড়ে পড়বে যদি রাজনৈতিক দল বিশেষ করে দুটি বড় দলের মাঝে আস্থার সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত না হয়। এই ‘আস্থার সম্পর্ক’ শুধু দেশের বিকাশমান গণতন্ত্রের জন্যই মঙ্গল নয় বরং দেশের স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন, উপরন্তু জনগণের প্রত্যাশা পূরণের জন্যও প্রয়োজন। জনগণ এমনটি দেখতে চায়। সাধারণ মানুষ চায় দুটি বড় দলের নেতারা পরস্পর পরস্পরকে আক্রমণ করে কোনো বক্তব্য রাখবেন না। পরস্পরকে শ্রদ্ধা করবেন। দলের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকবে। এই প্রতিযোগিতা হতে হবে রাজনৈতিক ও কর্মসূচিভিত্তিক। একুশ শতকে বাংলাদেশকে কিভাবে দেখতে চায় দলগুলো, কিভাবে তা বাস্তবায়ন করবে, তা দেখতে চায় সাধারণ মানুষ। এ জন্য ‘রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা’ থাকবে। এটাই গণতন্ত্রের কথা। কিন্তু তা যদি ‘ব্যক্তিগত পর্যায়ে’ চলে যায় তা কোনো মঙ্গল ডেকে আনবে না। তাই ‘আস্থার সম্পর্ক’ থাকাটা জরুরি।
২০১৭ সালটি হবে এই ‘আস্থার সম্পর্ক’ পর্যবেক্ষণ করার সময়। চলতি জানুয়ারি মাসেই বোঝা যাবে এই ‘আস্থার সম্পর্ক’টি কোন দিকে যায়। রাষ্ট্রপতির সংলাপ প্রমাণ করবে এই আস্থার সম্পর্কটি আদৌ স্থায়ী রূপ পাবে কি না? নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতি সংলাপ করছেন। রাষ্ট্রপতি সবার মতামত নিতে চাচ্ছেন এটা নিঃসন্দেহে একটা ভালো খবর। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, রাষ্ট্রপতির এই উদ্যোগ কি ফল বয়ে আনবে? প্রধান বিরোধী দল বিএনপি কি এই সিদ্ধান্ত মেনে নেবে? যদি বিএনপি রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তে খুশি না হয় তাহলে বিএনপি কি সিদ্ধান্ত নেবে? রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের দিকে যেমনি তাকিয়ে আছে সারা  জাতি তেমনি তাকিয়ে আছে বিএনপির দিকেও। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে নির্বাচন কমিশন পুনঃগঠন জরুরি। কেননা এই কমিশনারের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে ফেব্রুয়ারিতে। নতুন একটি কমিশন আসছে যে কমিশন ২০১৯ সালের সম্ভাব্য নির্বাচন পরিচালনা করবে। নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়টি পরিপূর্ণভাবে একটি প্রশাসনিক বিষয়। তবে এখানে রাষ্ট্রপতিকে কিছুটা দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
সংবিধানের ১১৮(১) তে বলা হয়েছে ‘রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ দান করিবেন।’ সমস্যাটা এখানেই। এই যে ‘নিয়োগ দান করিবেন’ কথাটা বলা হয়েছে, এতে রাষ্ট্রপতির একটি ‘স্বাধীন তথা নিরপেক্ষ’ ক্ষমতা কতটুকু? রাষ্ট্রপতি কি এককভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন? সংবিধান বলছে রাষ্ট্রপতিকে দুটি বিষয় বাদে (প্রধান বিচারপতি ও প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ) প্রতিটি বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেবেন। আমরা সংবিধানের এই ধারা নিয়ে ‘ডিকেট’ করব না। রাষ্ট্রপতি আমাদের অভিভাবক। তার সিদ্ধান্ত আমাদের সবাইকে মেনে নিতে হবে। তাই বিএনপি রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে ‘আস্থার সম্পর্কের’ ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক মনোভাব দেখাবে এটাই আমরা প্রত্যাশা করি। সেই সঙ্গে ৫ জানুয়ােিক ঘিরে কোনো ‘অঘটন’ ঘটবে না সেটাও আমরা প্রত্যাশা করি। ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ কিংবা ‘গণতন্ত্র দিবস’ হিসেবে ৫ জানুয়ারিকে আখ্যায়িত করে আমরা যদি ‘রাজনৈতিক ফায়দা উঠাতে চেষ্টা করি তা গণতন্ত্রের জন্য কোনো ভালো বার্তা বয়ে আনবে না। এমনকি ‘আস্থার সম্পর্ক’কে আরো শক্তিশালী করতে তা কোনো অবদান রাখবে না। চলতি বছর তাই আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আস্থার সম্পর্ককে আরো শক্তিশালী করার মধ্য দিয়েই আমরা গণতন্ত্রকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারব। Daily Manobkontho 02.01.2017

0 comments:

Post a Comment