রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

ট্রাম্প বিশ্বকে কতটুকু ঝুঁকির মাঝে ঠেলে দিচ্ছেন?

পূর্ববর্তী সংবাদ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা নেয়ার তিন সপ্তাহের মাঝে একের পর এক যেসব সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তা খোদ যুক্তরাষ্ট্রেই বিতর্কের সৃষ্টি করেনি বরং সারাবিশ্বকেই একটি ঝুঁকির মাঝে ঠেলে দিয়েছে। সাতটি মুসলামান দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করে আদালতের দেয়া রুলের বিরুদ্ধে করা আপিল খারিজ করে দেয়া সত্ত্বেও সারাবিশ্ব এখনও এক ধরনের আতঙ্কের মাঝে আছে। গেল সপ্তাহে হাজার হাজার মানুষ লন্ডনে বিক্ষোভ করে ট্রাম্পের ব্রিটেন সফরের প্রতিবাদ জানিয়েছে। সংবাদপত্রে খবর বেরিয়েছে যে, ব্রিটেনের রানী নিজে বিব্রতবোধ করছেন তার সম্ভাব্য ব্রিটেন সফর নিয়ে। জার্মানি তার ব্যাপারে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের নয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারস দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করে বিবৃতি দিয়েছেন। চীন তার পাল্টা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে। ভারপ্রাপ্ত এটর্নি জেনারেল শেলী ইয়েটসকে বরখাস্ত করা ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলে তার উপদেষ্টা স্টেড ব্যাননকে বেশি গুরুত্ব দেয়ার জন্য জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ধন্যবাদ ও জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের পদকে অবনমিত করা ইত্যাদি নানা কারণে তিনি বির্তকিত হয়েছেন। বিতর্ক যে তাকে ছাড়ছেই না। সাংবাদিকদের সঙ্গে তার একটা ব্যবধান তৈরি হয়েছে। তার ভাষায় সাংবাদিকরা পৃথিবীর অসৎ ব্যক্তি ও দুর্নীতিবাজ। সমসাময়িক মার্কিন প্রেসিডেন্টদের মধ্যে তিনি সবচেয়ে কম গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করেছেন। তার গ্রহণযোগ্যাতা ছিলমাত্র শতকরা ৪০ ভাগ। অথচ ওবামা যখন দায়িত্ব নেন (২০০৯), তখন তার গ্রহণযোগ্যতা ছিল ৭৯ ভাগ। বুশের (২০০১) ছিল ৬২ ভাগ, ক্লিনটনের (১৯৯৩) ৬৮ ভাগ (ওয়াশিংটন পোস্ট ও এবিসি পোল, জানুয়ারি ১২-১৫-২০১৭)। এটা যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্টের জন্য কোনো ভালো খবর নয়। শুধু তাই নয়, ক্যাবিনেটকে তিনি ধনীদের কল্যাণে পরিণত করেছেন। মন্ত্রিসভায় যাদের তিনি মনোনীত করেছিলেন এবং সিনেট যাদের অনুমোদন করেছে তাদের মাঝে শতকরা ১৪ ভাগ হচ্ছে বিলিওনিয়ার। অর্থাৎ ১০০ কোটি ডলার সম্পদ রয়েছে এ সংখ্যা একাধিক। অথচ পরিসংখ্যান বলছে ওবামা ও বুশের আমলে কোনো বিলিওনিয়ার মন্ত্রী ছিলেন না। শপথ নেয়ার পর তিনি যে ভাষণ দেন, তা নীতিনির্ধারণী ভাষণ না হলেও, তাতে তার পররাষ্ট্রনীতির কিছুটা দিক-নির্দেশনা ছিল। যেমন ইসলামী মৌলবাদের বিরুদ্ধে তার কট্টর অবস্থান কিংবা 'স্বপ্নের যুক্তরাষ্ট্র গড়ার' তার প্রত্যয়ের কথা প্রমাণ করে তিনি ওবামা প্রাশাসনের আমলে গৃহীত নীতি থেকে সরে আসছেন। ফলে তার পররাষ্ট্রনীতিতে কিছুটা নতুনত্ব থাকবে, এমনটাই আশা করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশেষজ্ঞরা ৯টি ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করেছেন, যেখানে ট্রাম্প পরিবর্তন আনবেন। এই ৯টি জায়গা বা ক্ষেত্র হচ্ছে; প্রথমত, ইসলামিক স্টেটের ক্ষেত্রে, দ্বিতীয়ত, আফগানিস্তানের ক্ষেত্রে, তৃতীয়ত, উত্তর কোরিয়ান পারমাণবিক কর্মসূচি, চতুর্থত, ইউক্রেনে সংকট ও রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক, পঞ্চমত, চীনের সঙ্গে সম্পর্ক ও সম্ভাব্য একটি বাণিজ্য যুদ্ধ, ষষ্ঠত, ইউরোপীয় ঐক্যের প্রশ্নে তার অবস্থান, সপ্তমত, ইরাকের সঙ্গে পারমাণবিক সমঝোতার ভবিষ্যৎ, অষ্টমত, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে তার ভূমিকা। এবং নবমত, মেক্সিকোর সঙ্গে তার সম্পর্ক।
তিনি 'মেইফ আমেরিকা গ্রেট' এই সস্নোগান তুলে বিজয়ী হয়েছিলেন। বলেছিলেন, ২৪ মিলিয়ন চাকরির ব্যবস্থা করবেন। জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪৩ নিয়ে যাবেন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে অটোমেশনের কারণে শিল্প প্রতিষ্ঠানে এখন শতকরা ১৮ ভাগ লোক কম লাগে। আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্য বাইরে থেকে এনে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার করা হয়। ফলে চাকরির ব্যবস্থা করার কথা বলা যত সহজ, বাস্তব ক্ষেত্রে অত সহজ নয়। তিনি শপথ নেয়ার পর কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিষয়ে তেমন নতুন কিছু শোনাননি। তিনি বারাক ওবামা ও তার স্ত্রীর প্রশংসা করেছেন। এটা তার বদৈন্যতা। তার একের পর এক বক্তব্যে শঙ্কার কথা আছে, তবে এ ক্ষেত্রে আশার কথা কম। যদিও তিনি আবারো আশার কথা শুনিয়েছেন। স্বপ্নের যুক্তরাষ্ট্র গড়ার প্রতিজ্ঞা করেছেন। বলেছেন, তার কাজ হবে সবার উপরে যুক্তরাষ্ট্রের স্থান দেয়া। কিন্তু বাস্তবতা বলে ভিন্ন কথা। বিশ্বায়নের এই যুগে তিনি বিশ্বয়ানের বিরোধিতা করেছেন। বিশ্বায়ন হচ্ছে বর্তমান যুগের বাস্তবতা। এই বাস্তবতাকে অস্বীকার করে 'সবার উপরে যুক্তরাষ্ট্রের স্থান' দেবেন কীভাবে? বিশ্বায়নের এই যুগে তিনি যদি একলা চলতে চান, তাহলে পিছিয়ে যাবেন। তার যে কোনো সংরক্ষণবাদি নীতি তাকে সামনে নয় বরং পেছনের দিকে ঠেলে দেবে। চীন তার নিজস্ব আঙ্গিকে 'চীনা মডেলের শিল্পায়ন' শুরু করেছে। চীন আফ্রিকা ও ল্যাতিন আমেরিকাতে তার বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। 'ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড। কর্মসূচির আওতার মধ্যে এশিয়ার তেল ও জ্বালানি সম্পদ সমৃদ্ধ দেশগুলোকে এক পাতাকাতলে নিয়ে আসছে। চীনা প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরের সময় বাংলাদেশও এ কর্মসূচীকে সমর্থন করেছে। ফলে চীনা বিশ্বায়ন নতুন একটি মাত্রা নিয়ে এসেছে একুশ শতকে। এখন যুক্তরাষ্ট্র যদি এই 'চীনা শিল্পায়নে নিজেকে সম্পৃক্ত না করে, তাহলে খোদ যুক্তরাষ্ট্রই পিছিয়ে পড়বে। গেল মাসে দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং। সেখানে একটি অনুষ্ঠানে তিনি জানিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন মডেলের একটি সম্পর্ক শুরু করতে চায় বেইজিং। যদিও এই নয়া সম্পর্ক নিয়ে শি জিন পিং বিস্তারিত কিছু বলেননি। তবে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক যে আগামীতে অন্যতম আলোচিত বিষয় হয়ে থাকবে, সে ব্যাপারে দ্বিমত করার কোনো সুযোগ নেই। ইতিমধ্যে ইউরোপ, এমনকি জার্মানি সম্পর্কে তিনি যেসব মন্তব্য করছেন, তা তাকে আরো বিতর্কিত করেছে। জার্মানিতে ১০ লাখ সিরীয় অভিবাসীদের সে দেশে আশ্রয় দেয়ার ঘটনাকে ট্রাম্প আখ্যায়িত করেছিলেন 'সর্বনাশা ভুল' হিসেবে। জার্মানরা এটা পছন্দ করেনি। জার্মান চ্যান্সেলর মার্কেল এর প্রতিউত্তরে বলেছিলেন তাদের ভাগ্য তাদের হাতে ছেড়ে দেয়ার জন্য। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ওলাঁদ এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে বলেছিলেন তাদের বাইরের কোনো লোকের উপদেশের প্রয়োজন নেই। ট্রাম্প ন্যাটোকে আখ্যায়িত করেছিলেন সেকেলে হিসেবে। এটা নিয়ে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোকে এক ধরনের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ট্রাম্প ব্রেক্সিটকে সমর্থনে করেছিলেন। ব্রিটেন এখন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আলাদা হয়ে যাচ্ছে। অন্যান্য ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলো ব্রিটেনকে অনুসরণ করুক, এটাও ট্রাম্প চান। ফলে ইইউর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যে ট্রেডিশনাল সম্পর্ক, তাতে এখন একটি অবিশ্বাসের জন্ম হয়েছে। নির্বাচনে বিজয়ের পর তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার ফোনালাপ একটি সম্ভাবনার জন্ম হয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্র এক চীনা নীতি পরিত্যাগ করতে পারে। চীন বিষয়টাকে খুব সহজভাবে নেয়নি। চীন তার 'টুইটার কূটনীতি' বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। তবে একটা বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন রেক্স টিলারসন, যিনি এখন যুক্তরাষ্ট্রের নয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী। টিলারসন বলেছেন, দক্ষিণ চীন সাগরে চীনকে কৃত্রিম দ্বীপ বানাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত সেখানে চীনাদের যাবার পথ বন্ধ করে দেয়া। এর প্রতিবাদে চীন বলছে যুক্তরাষ্ট্র যদি তা করে, তাহলে তা এক 'ভয়ঙ্কর সংঘাতে' রূপ নেবে। তবে রাশিয়া সম্পর্কে তিনি বরাবরই নরম মনোভাব দেখিয়ে আসছেন। যুক্তরাষ্ট্র ওবামার শাসনামলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করে। এমনকি রাশিয়াকে জি-৮ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। রাশিয়া এখন চাইছে সেই অবরোধ প্রত্যাহার হোক এবং জি-৮ এ পুনরায় রাশিয়ার অন্তর্ভুক্তিকে সমর্থন করুন যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ট্রাম্পের জন্য কাজটি খুব সহজ নয়। গত তিন সপ্তাহে তিনি একের পর এক যেসব সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন এবং তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিচ্ছেন, তা তার নিজ দল তথা বিশ্ববাসীর কাছে তার গ্রহণযোগ্যতাকে একটি প্রশ্নের মাঝে ফেলে দিয়েছে। রিপাবলিকান দলীয় সিনেটর ম্যাককেইন ট্রাম্পের 'মুসলমান নিষিদ্ধ' করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করবেন বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে ওবামা প্রশাসনের দু'জন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি জন কেরি (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) ও সুসান রাইস (জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা) সানফ্রানসিসকোর এপিল কোর্টে একটি লিখিত বক্তব্যে জানিয়েছেন ট্রাম্পের এই মুসলমান নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত কোনো মতেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাদের ভাষায় এসব দেশের নাগরিকরা কোনো ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকিতেও ছিলেন না।
ফলে বোঝা যায় ট্রাম্পের ওই সিদ্ধান্ত খোদ যুক্তরাষ্ট্রেই বড় বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। এটা এখনও স্পষ্ট নয় ট্রাম্প যে একশ দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করতে যাচ্ছেন, তাতে কী কী বিষয় অন্তর্ভুক্ত করবেন। তবে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে তার নিজের অজ্ঞতা এবং তার প্রশাসনে যথেষ্ট যোগ্য লোকের অভাব থাকায় আগামী দিনের যুক্তরাষ্ট্রের একটা ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাবে। উপরন্তু জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত কপ-২১ চুক্তি (যা প্যারিসে ও জাতিসংঘে স্বাক্ষরিত হয়েছে) সমর্থন না করা, কিউবার সঙ্গে 'সমঝোতা'কে অস্বীকার করা, চীনের সঙ্গে এক ধরনের 'বাণিজ্য যুদ্ধ' ন্যাটোতে যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণ কমিয়ে আনা, ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক সমঝোতা অস্বীকার 'মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বাতিল ইত্যাদি আগামীতে বিশ্বে ট্রাম্পের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে না। তা গ্রহণযোগ্যতা হ্রাস পাবে। এখন আমাদের দেখতে হবে_ তার এই 'রাজনীতি' একুশ শতকের তৃতীয় দশকে যুক্তরাষ্ট্রকে কোথায় নিয়ে যায়। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনো সিদ্ধান্ত বিশ্বে বড় পরিবর্তন ডেকে আনার জন্য যথেষ্ট। তার বিষয়ে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের যে হতাশা ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে, তা যে কোনো প্রেসিডেন্টের জন্য খারাপ খবর। মানসিকভাবে তিনি কতটুকু সুস্থ, সে ব্যাপারে ইতোমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছ। বহুল প্রচারিত ইকোনমিস্ট পত্রিকায় গত ৪ ফেব্রুয়ারি তাকে নিয়ে যে প্রচ্ছদ প্রতিবেদন তৈরি করেছে (অহ ষহংঁৎমবহঃ রহ ঃযব যিরঃব যড়ঁংব) তা শুধু লজ্জাজনকই নয়, বরং একটি আতঙ্কের কারণও বিশ্ববাসীর জন্য। প্রচ্ছদের ছবিতে দেখা যাচ্ছে ট্রাম্প একটি 'মনোটোভ ককটেল' নিক্ষেপ করছেন। এই 'ছবি' অনেক কিছুই বলে। সাপ্তাহিক ইকোনমিস্টের মন্তব্যও এখানে উল্লেখ করা যায়। সাময়িকীটি মন্তব্য করেছে এভাবে । ্তুওঃ রং হড়ঃ ঃড়ড় ষধঃব ভড়ৎ যরস ঃড় পড়হপষঁফব যড় িসঁপয ড়িৎংব, ঃড় ফরঃপয যরং নড়সন-ঃযৎড়বিৎং ধহফ ংরিঃপয পড়ঁৎংবং. ঞযব ড়িৎষফ ংযড়ঁষফ যড়ঢ়ব ভড়ৎ ঃযধঃ ড়ঁঃ পড়সব. ইঁঃ রঃ সঁংঃ ঢ়ৎবঢ়ধৎব ভড়ৎ ঃৎড়ঁনষব্থ। বিশ্ব তৈরি থাকবে নতুন সংকটের জন্য। আমরা জানি না এই 'সংকট' টা নয়া বিশ্ব ব্যবস্থাকে কীভাবে প্রভাবিত করবে। তবে মাও তিন সপ্তাহের মাঝে তিনি যে একের পর এক বিতর্ক সৃষ্টি করে চলেছেন, তা আমাদের জন্য কোনো ভালো সংবাদ নয়।
Daily Jai Jai Din13.02.2017

0 comments:

Post a Comment