রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

ঠেঙ্গারচরে রোহিঙ্গা পুনর্বাসন সব সমস্যার সমাধান নয়

রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন নিয়ে অতিসম্প্রতি দুইটি সংবাদ ছাপা হয়েছে সংবাদপত্রে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গেল সপ্তাহে জার্মানির মিউনিখে একটি নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মরকেলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় ঠেঙ্গারচরে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের ব্যাপারে জার্মানির সহযোগিতা চেয়েছেন। অপর সংবাদটিও রোহিঙ্গা পুনর্বাসন সংক্রান্ত। বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউএনএইচসিআরের বাংলাদেশ প্রধান শিনজি কুবো জানিয়েছেন, ১ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ভিন্ন কোনো দেশে পুনর্বাসনের জন্য তারা বাংলাদেশ সরকারের অনুমতি চেয়েছেন। তবে নতুন যে ১০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন, তাদের মধ্য থেকে এ ১ হাজার রোহিঙ্গাকে বেছে নেয়া হবে বলে মনে হয় না। কুবো জানিয়েছেন, বাংলাদেশের দুইটি শরণার্থী ক্যাম্পে প্রায় ৩৪ হাজার নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে। সেখান থেকেই এ ১ হাজার রোহিঙ্গাকে বাছাই করা হবে। এ দুইটি সংবাদই রোহিঙ্গা শরণার্থী পুনর্বাসন প্রশ্নে একটি বড় সংবাদ। কিন্তু এতে করে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হবে না। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশ সরকার কক্সবাজারে অবৈধভাবে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের হাতিয়া উপজেলার একটি বিরান চর ঠেঙ্গারচরে সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে স্পষ্ট করে বলা হয়নি কবে নাগাদ সেখানে পুনর্বাসনের কাজ শুরু হবে। এরই মধ্যে সেনাবাহিনীকে একটি দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সেখানে অবকাঠামো গড়ে তুলতে। ঠেঙ্গারচরে রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের প্রশ্নে কিছু কিছু দ্বিমত থাকলেও বাস্তবতা হচ্ছে, রোহিঙ্গাদের কক্সবাজার থেকে সরিয়ে নেয়া প্রয়োজন। কেননা বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গার কক্সবাজারে উপস্থিতি শুধু পরিবেশগত সমস্যাই বাড়িয়ে দিচ্ছে না, বরং নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনাকে ঝুঁকির মাঝে ফেলে দিয়েছে।
রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে এ ধরনের সংবাদ প্রমাণ করে, রোহিঙ্গা সমস্যাটি ধীরে ধীরে একটি আন্তর্জাতিক রূপ পেতে যাচ্ছে। সংগতকারণেই তাই প্রশ্নটি উঠেছে, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান কোন পথে? বাংলাদেশও এক্ষেত্রে কী করতে পারে? দুই সপ্তাহ আগে একটি টিভি চ্যানেলে রোহিঙ্গা নিয়ে এক আলোচনায় আমি অংশ নিয়েছিলাম। আমার সঙ্গে ছিলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত ড. মোমেন, যিনি অর্থমন্ত্রীর ছোট ভাই। সেখানেও ওই প্রশ্নটি উঠেছিলÑ বাংলাদেশ এখন কী করবে? বাংলাদেশ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সমস্যাটি বিবেচনা করে সাময়িকভাবে আশ্রয় দিয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এতে করে কি সমস্যাটির সমাধান হবে? আমার বিবেচনায় এতে করে সমস্যার সমাধান হবে না। বরং সমস্যার গভীরতা আরও বাড়বে। বাংলাদেশ শুধু রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে ‘বসে’ থাকতে পারে না। বাংলাদেশের অনেক কিছু করার আছে। এক. বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সমস্যাটির আরও আন্তর্জাতিককরণ করার উদ্যোগ নিতে পারে। এক্ষেত্রে ঢাকায় একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করতে পারে বাংলাদেশ।
দুই. দ্বিপক্ষীয় আলোচনার (বাংলাদেশ-মিয়ানমার) পাশাপাশি বাংলাদেশ চীন ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে পারে এবং তাদের মাধ্যমে মিয়ানমার সরকারের ওপর ‘চাপ’ প্রয়োগ করতে পারে।
তিন. মিয়ানমারের ভেতরেই একটি ‘সেফ হ্যাভেন’ প্রতিষ্ঠা করে আন্তর্জাতিক তদারকিতে সেখানে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার কথা বলতে পারে বাংলাদেশ।
চার. যেহেতু জাতিসংঘ রোহিঙ্গা নির্যাতনকে গণহত্যা বলছে, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে এ গণহত্যার বিষয়টি তুলতে পারে।
পাঁচ. এটা সত্য, মিয়ানমারে আমাদের স্বার্থ রয়েছে। আমাদের পূর্বমুখী পররাষ্ট্রনীতির আলোকে এ সম্পর্কের গুরুত্ব অনেক। ন্যূনতম দুই আঞ্চলিক সংস্থায় (বিসিআইএন ও বিমসটেক) বাংলাদেশ ও মিয়ানমার একসঙ্গে কাজ করছে; কিন্তু রোহিঙ্গা সমস্যাটিকে এ সম্পর্কের বাইরে রাখা যাবে না। এজন্য দরকার ‘স্মার্ট ডিপ্লোম্যাসি’। সম্পর্ককে গুরুত্ব দিয়েই রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে।
ছয়. রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য মিয়ানমারের সিভিল সোসাইটির সঙ্গে একটা সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। বলা ভালো, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে অং সান সু চি’র কাছ থেকে প্রত্যাশা ছিল অনেক বেশি। দুঃখজনক হলেও সত্য, ২০১২ সালের পর থেকে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা সমস্যার ব্যাপকতা পেলে এবং শত শত রোহিঙ্গাকে নৌকাযোগে মালয়েশিয়া যাওয়ার ব্যাপারেও ওই সময় সু চি’র কোনো বক্তব্য ছিল না। মিয়ানমারের বর্তমান সরকার রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিচ্ছে না। মিয়ানমার সরকার মনে করে, রোহিঙ্গারা মূলত বাংলাদেশের নাগরিক! অথচ ইতিহাস বলে, শত বছর ধরেই রোহিঙ্গা মুসলমানরা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বসবাস করে আসছে। উগ্রপন্থী বৌদ্ধরা মিয়ানমারকে একটি বৌদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাচ্ছে। সু চি এ প্রক্রিয়ার পুরোপুরি বাইরে নন। তিনি জানেন, ক্ষমতায় থাকার জন্য তার উগ্র বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সমর্থনের প্রয়োজন আছে। তাই উপ্রপন্থীরা যখন মুসলমানদের হত্যা করছে, তাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিচ্ছে, তাদের বাধ্য করছে বাংলাদেশে ‘পুশ ইন’ করতে, তখন তিনি নিশ্চুপ। মিয়ানমারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারেও তার কোনো সুস্পষ্ট বক্তব্য নেই। ক্ষমতায় থাকার জন্য তিনি যে স্ট্র্যাটেজি বহন করেছেন, তা সুবিধাবাদিতায় ভরা। সর্বজন গ্রহণযোগ্য একজন নেত্রী তিনি, এ কথাটা বলা যাবে না। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচনের আগে একদিকে তিনি সেনাবাহিনীর সঙ্গে এক ধরনের ‘সহাবস্থানে’ গিয়েছিলেন, অন্যদিকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে সব ধরনের অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে নিশ্চুপ থেকে তিনি উগ্র বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অবস্থানকেই সমর্থন করেছিলেন। এতে করে তিনি ‘বিজয়ী’ হয়েছেন, এটা সত্য। কিন্তু সর্বজন গ্রহণযোগ্য একটি সমাজ ব্যবস্থা সেখানে কতটুকু প্রতিষ্ঠিত হবে, সে প্রশ্ন আছে। একটি জনগোষ্ঠী যখন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকার হয়, তখন সেই সমাজকে একটি গণতান্ত্রিক সরকারও বলা যায় না। বিপুল ভোটে মিয়ানমারের জনগণ সু চি’কে নির্বাচিত করেছে; কিন্তু তিনি বাহ্যত একটি শ্রেণীর স্বার্থেই কাজ করছেন। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ন্যূনতম অধিকার তিনি নিশ্চিত করেননি।
এখন যে অভিযোগটি মিয়ানমারের কোনো কোনো মহল থেকে উচ্চারিত হয়, রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক নন, এর পেছনে আদৌ কোনো সত্যতা নেই। ইতিহাস বলে, রোহিঙ্গারা অষ্টম শতাব্দী থেকেই আরাকান অঞ্চলে বসবাস করে আসছেন। ১৪৩০ সালের দিকে তৎকালীন আরাকান শাসক বৌদ্ধরাজা নারামাইখলা (Narameikhla), যিনি মিন স মুন (Min Saw mun) নামেও পরিচিত ছিলেন, তার শাসনামলে তিনি রোহিঙ্গা মুসলমানদের এ অঞ্চলে নিয়ে এসেছিলেন এবং আরাকানে বসবাস করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। সেই থেকে রোহিঙ্গারা সেখানে বংশ পরম্পরায় বসবাস করে আসছেন। সুতরাং আজ নতুন করে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা অর্থহীন এবং তা গ্রহণযোগ্য নয়।
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে দুই ভাগে বাংলাদেশকে এখন এগোতে হবে। প্রথমত, আন্তর্জাতিক আসরে রোহিঙ্গা সমস্যাটা তুলে ধরা এবং দ্বিতীয়ত, রোহিঙ্গাদের সীমিত সময়ের জন্য ‘নিজস্ব একটি বাসস্থান’ তৈরি করা। উভয় ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ একটি ‘পজেটিভ’ অবস্থান নিয়েছে। জার্মানি সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মরকেলের সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি তুলে ধরেছেন। এর মধ্য দিয়েই বাংলাদেশ একটি বড় পরিসরে রোহিঙ্গা সমস্যাটি তুলে ধরল। এটা প্রশংসাযোগ্য। জার্মানি নিজেও জানে অভিবাসী সমস্যার গভীরতা। জার্মানি সাম্প্রতিক সময়ে প্রায় ১০ লাখ সিরীয় ও ইরাকি অভিবাসীকে তার দেশে আশ্রয় দিয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত মধ্যপ্রাচ্য থেকে এসব শরণার্থী জার্মানিতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। এরা যুদ্ধ শরণার্থী। মানবিক দিকটি বিবেচনা করে জার্মানি এদের আশ্রয় দিয়েছে। বাংলাদেশের অবস্থাও অনেকটা তেমনি। রোহিঙ্গারা নিজ দেশ থেকে উৎখাত হয়েছেন। সেখানে এক ধরনের ‘এথনিক ক্লিনসিং’ হচ্ছে। অর্থাৎ জাতিগত উচ্ছেদ অভিযান। এ ধরনের ‘এথনিক ক্লিনসিং’ আমরা প্রত্যক্ষ করেছিলাম বসনিয়ায়, যেখানে সার্বরা মুসলমানদের নিজ বাসভূম থেকে উৎখাত করেছিল। হাজার হাজার মুসলমানকে নিজ বাসভূমিতে হত্যা করা হয়েছিল। সেই গণহত্যাকারী সার্ব জেনারেলদের হেগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচার পর্যন্ত হয়েছিল। মিয়ানমারে আজ রোহিঙ্গারা সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধদের দ্বারা ‘এথনিক ক্লিনসিং’ এর শিকার হয়েছেন। বাধ্য হয়ে তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। বাংলাদেশ মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের আশ্রয় দিয়েছে। বাংলাদেশ একটি ছোট্ট দেশ। এত বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গার ‘স্থায়ী আবাস’এর নিশ্চয়তা দিতে পারে না বাংলাদেশ। এর আগেও ১৯৭৯ সালের পর থেকে যেসব রোহিঙ্গা কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়েছিলেন মিয়ানমার তাদের অনেককেই ফিরিয়ে নেয়নি। একমাত্র মিয়ানমার সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগ করেই সম্ভব রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন। এ কাজটি বাংলাদেশ শুরু করেছে। এখন বিষয়টি ওআইসি ও জাতিসংঘেও তুলতে হবে। আমরা ইইউর সহযোগিতাও নিতে পারি। এরই মধ্যে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযান বন্ধের কথা বলেছে সে দেশের সরকার এবং কিছু রোহিঙ্গা ফিরে গেছে বলে সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে। আমার ধারণা, এটি মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর একটি কৌশল হতে পারে, যাতে করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরানো যায়। কিছু রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিয়ে ওই প্রত্যাবাসন আবার বন্ধ করে দেবে মিয়ানমার সরকার। জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াং হি সম্প্রতি বাংলাদেশ ঘুরে গেছেন। তিনি রোহিঙ্গাদের অবস্থান জানতে বাংলাদেশে এসেছিলেন। বাংলাদেশে অবস্থানকালে তিনি লেদা, নয়াপাড়া শরণার্থী শিবির, শামলাপুর অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট জাতিসংঘের মহাসচিবকে দেবেন। এটা বিবেচনায় নিয়েই মিয়ানমার সরকার কিছু রোহিঙ্গাকে নিজ দেশে ফিরে আসতে সুযোগ করে দিয়েছে। তবে যারা এরই মধ্যে বাংলাদেশে এসে গেছেন, তাদের দ্রুত ঠেঙ্গারচরে পুনর্বাসন প্রয়োজন। ঠেঙ্গারচরটি বর্তমানে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার অন্তর্ভুক্ত। হাতিয়ার মূল ভূখ- থেকে পূর্ব দিকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার এবং নলচিরা ঘাট থেকে পূর্বদিকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে জেগে ওঠা একটি চর। প্রায় ১০ হাজার একর জমি রয়েছে এখানে। বন বিভাগ এখানে বিশাল একটি বনাঞ্চল তৈরি করেছে। বিরান এ জনপদে দ্রুত অবকাঠামো গড়ে তোলা প্রয়োজন। প্রয়োজন রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করাও। ঘূর্ণিঝড় থেকে রক্ষার জন্য শেল্টার হোম তৈরি করারও প্রয়োজন। এ চরাঞ্চলে গো-চাষের বিশাল এক সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশ ইইউর কাছ থেকে এ ব্যাপারে সাহায্য ও সহযোগিতা পেতে পারে। এজন্য দরকার ‘দক্ষ কূটনীতি’। আমরা যেন এটা ভুলে না যাই, রোহিঙ্গাদের একটা অংশ এখন নানা ধরনের অসামাজিক কাজে লিপ্ত রয়েছে। অবৈধ অভিবাসীরা ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত রয়েছে, এমন সংবাদও ছাপা হয়েছে পত্রপত্রিকায়। এতে করে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিও নষ্ট হচ্ছে। ফলে যত দ্রুত আমরা রোহিঙ্গাদের সাময়িকভাবে পুনর্বাসন করতে পারব, ততই আমাদের জন্য মঙ্গল।
Daily Alokito Bangladesh
26.02.2017

0 comments:

Post a Comment