রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

সিইসি নিয়ে বিতর্ক রয়েই গেল



আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চারজন কমিশনার তাদের দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন। এরই মধ্যে রাষ্ট্রপতি পাঁচজনকে নতুন নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ দিয়েছেন। সংবিধানের ১১৮(১) ধারা মতে, রাষ্ট্রপতি এককভাবে এই নিয়োগ দিতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। তিনি একটি সার্চ কমিটি গঠন করেছিলেন। সার্চ কমিটি ‘বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীদের’ সঙ্গে মতবিনিময় করেছিল এবং নিবন্ধিত প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঁচটি করে নাম চেয়েছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিত সার্চ কমিটি প্রতিটি পদের বিপরীতে দুইজনের নাম প্রস্তাব করে। রাষ্ট্রপতি সেখান থেকে পাঁচজনকে বেছে নেন। কিন্তু বিতর্ক যেন ছাড়ছেই না। প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন কে এম নুরুল হুদা, যিনি এরই মধ্যে নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। সার্চ কমিটির সুপারিশে তার নাম ছিল। প্রশ্ন হচ্ছে, সার্চ কমিটি তার অতীত ‘ইতিহাস’ কতটুকু তলিয়ে দেখেছিল?
আমরা বারবার বলার চেষ্টা করেছিলাম সার্চ কমিটিতে দুইজন বিচারপতি বাদে বাকি যে চারজন সদস্য ছিলেন, তাদের ‘নিরপেক্ষতা’ প্রশ্নের মাঝে ছিল। দুইজন শিক্ষক, যারা শিক্ষক রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, কিংবা দুইজন সরকারি চাকুরে, যাদের একজন আবার বিতর্কিত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনের সচিব ছিলেন, এরা ইসিতে সিইসি ও কমিশনারদের মনোনয়নের ব্যাপারে কতটুকু ‘নিরপেক্ষ’ ছিলেন, সে ব্যাপারে প্রশ্ন ছিল। যদিও এরা তিনজন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন। কিন্তু এদের একজনও পাঁচজনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হননি। তারা হতাশ হয়েছেন।
এরই মধ্যে নবনিযুক্ত সিইসি নুরুল হুদা কথা বলেছেন মিডিয়ার সঙ্গে। অনেক অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি ভাইরাল হয়ে আছে। সংবাদও আছে বেশ কিছু। বলা হচ্ছে, তিনি পটুয়াখালী আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা পরিষদের (২০০৮) সভাপতি ছিলেন! সংবাদে বলা হয়েছে, তার ভাই ও পরিবারের সদস্যরা আওয়ামী লীগের স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। যদিও এ ব্যাপারে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এ ব্যাপারে তিনি যদি ব্যাখ্যা না দেন, তাহলে এই বিতর্ক বাড়বেই। দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে, এ দেশের রাজনীতিতে যে ‘বিভক্তি’ তা নির্বাচন কমিশনে মনোনয়ন তথা নিযুক্তির মধ্য দিয়ে আবারও প্রমাণিত হলো। আওয়ামী লীগ তথা ১৪ দলীয় জোট যেখানে এ নিযুক্তিতে সমর্থন করেছে, সেখানে বিএনপি তথা ২০ দলীয় জোট এর বিরুদ্ধাচরণ করেছে। শুধু তাই নয়, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ ৮ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলে এক স্মরণসভায় দাবি করেছেন, সিইসির সরে যাওয়া উচিত। নতুন নির্বাচন কমিশন এখনও দায়িত্ব নেয়নি। এর আগেই দাবি উঠল তার পদত্যাগের। তবে মির্জা ফখরুল অবশ্য আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, এ ব্যাপারে কোনো দলীয় সিদ্ধান্ত হয়নি। এমনকি বিএনপি নির্বাচন বয়কট করবে কিনা, সে ব্যাপারেও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এর অর্থ ২০১৭ সালটি হবে আমাদের জন্য যথেষ্ট তাৎপর্যময়। বিএনপি কী সিদ্ধান্ত নেয়, তার দিকে তাকিয়ে আছে দেশবাসী। তবে বিএনপি এক কঠিন সময় পার করছে। খালেদা জিয়া আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তার সম্ভাব্য ‘শাস্তি’ নিয়ে এক ধরনের আতঙ্কে আছেন দলের নেতারা। নির্বাচনে অংশ না নিলে নিবন্ধন হারানোর ঝুঁকিতেও আছেন তারা। এর মধ্যে এলো নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের খবর। সিইসির নিযুক্তির ব্যাপারে দলগুলোর মতামত ছিল বলা হচ্ছে। কিন্তু দলগুলোর প্রস্তাবিত তালিকায় দেখা যায়, নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা দুইটি বড় দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নামের তালিকায় ছিলেন না। কমিশনের বাকি চারজন সদস্যের মাঝে বলা হচ্ছে একজন (মাহবুব তালুকদার) ছিলেন বিএনপির তালিকায়। ‘বিতর্কের একটা বড় কারণ সিইসির নিয়োগ নিয়ে। মির্জা ফখরুল বলেছেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে প্রধানমন্ত্রীর পছন্দের প্রতিফলন ঘটেছে। তার মন্তব্য, ‘নুরুল হুদার নেতৃত্বে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব হবে না।’ ১৯৯৬ সালে তিনি অর্থাৎ সিইসি ‘জনতার মঞ্চ’ এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন, বিএনপির শাসনামলে (২০০২) তিনি বাধ্যতামূলক অবসরে যান এবং (যুগ্ম সচিব হিসেবে) আওয়ামী লীগের শাসনামলে তিনি ভূতাপেক্ষ সচিব হিসেবে অবসরে যান। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তিনি ৯ নং সেক্টরের সাব-সেক্টর কমান্ডার ছিলেন (তখন তার পরিচয় ছিল ক্যাপ্টেন হুদা হিসেবে) এবং ১৯৭৩ সালে ‘বিশেষ ক্যাডার’ এর সদস্য হিসেবে তিনি প্রশাসনিক ক্যাডারে যোগ দিয়েছিলেন। তার নাম আওয়ামী লীগ প্রস্তাব করেনি। কিন্তু আওয়ামী লীগের শরিক দলগুলো (তরীকত, গণতন্ত্রী পার্টি) প্রস্তাব করেছে। ঠিক তেমনিভাবে চারজন কমিশনারের নামের তালিকা এসেছে আওয়ামী লীগ তথা আওয়ামী লীগের শরিক দলগুলোর কাছ থেকে। নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটির অসন্তুষ্টির খবরও আমরা পত্রপত্রিকা থেকে পেয়েছি। সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, তাদের প্রত্যাশা ছিল অন্তত একজন কমিশনার নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে নেয়া হলে তিনি খুশি হতেন। সার্চ কমিটিও কম বিতর্কিত হয়নি। যেভাবে সার্চ কমিটি নিবন্ধিত প্রতিটি দলের কাছে ‘নাম’ চাইল, তার কোনো প্রয়োজন ছিল না। দলগুলো নাম দিল। পত্রপত্রিকায় তা ছাপা হলো। ফলে কিছু লোককে এখন তাদের ‘রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা’ নিয়ে প্রশ্নের মুখে থাকতে হবে। যখনই এসব ব্যক্তি কোনো কথা বলবেন, তখন তাদের ‘রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলবে বিরোধী পক্ষ। যেভাবেই হোক, একজন ব্যক্তি এখন সিইসি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হলেন। তিনি ও তার সহকর্মীরা শপথ নেবেন ১৫ ফেব্রুয়ারি। তারপরও কথা থেকে যাবে। তিনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। এটা প্লাস পয়েন্ট। কিন্তু আদৌ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন কিনা, এটা নিশ্চয়ই জানা যাবে। সংবাদ মাধ্যম এটা নিশ্চয়ই বের করে আনতে পারবে। এখন তার ওপর নির্ভর করছে তিনি কীভাবে বিএনপিকে আস্থায় নেবেন। যদি তিনি আস্থায় নিতে না পারেন, তাহলে এটা হবে তার জন্য ব্যর্থতা। এরই মধ্যে তিনি জানিয়েছেন, তিনি ‘জনতার মঞ্চ’ এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তিনি ছিলেন তখন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক। এটা সত্য ওই সময় সচিবালয়ে কর্মরত প্রশাসিনক কর্মকর্তারা, সচিব, অতিরিক্ত সচিবরা ‘জনতার মঞ্চ’ এ যোগ দিয়েছিলেন। এরা সবাই ঢাকায় ছিলেন, কথাটা সত্য। কিন্তু যতদূর জানি, জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারাও অনেকে ‘জনতার মঞ্চ’ এর সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছিলেন। সেখানে নুরুল হুদা ছিলেন কিনা, কিংবা তার ভূমিকা কী ছিল, তা বের করা কঠিন কিছু নয়। কিন্তু এটা যদি সত্যও হয়, তারপরও করার কিছু কী আছে? আইনগতভাবে তো তেমন কোনো বাধা নেই। রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দিয়েছেন। এটাকে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না। শুধু সিইসি কেন? বাকি যারা আছেন কমিশনে, আমি দিব্যি দিয়ে বলতে পারি, যারা নিয়োগপ্রাপ্ত হলেন এবং দায়িত্ব নেবেন, তাদেরও বিতর্কিত করা হবে! এই ‘বিতর্কের’ ভয়েই অনেক শুভবুদ্ধির মানুষ নির্বাচন কমিশনে দায়িত্ব নিতে অতীতে আগ্রহী হননি। সম্মানের ভয়ে কেউই আসতে চাননি। ফলে একটি নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে বটে; কিন্তু এ কমিশন একাদশ সংসদ নির্বাচন কতটুকু সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারবে, তা নিয়েও একটা শঙ্কা রয়ে গেল। একটি ‘গ্রহণযোগ্য ও সব দলের অংশগ্রহণ’ নির্বাচন প্রয়োজন। ৫ জানুয়ারি (২০১৪) একটি নির্বাচন হয়েছিল বটে; কিন্তু ওই নির্বাচনের কোনো গ্রহণযোগ্যতা ছিল না। এরপর থেকে দাতাগোষ্ঠী বারবার বলে আসছে ‘সব দলের অংশগ্রহণে’ একটি নির্বাচনের কথা। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর একটি বক্তব্যও সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছিল, যেখানে বলা হয়েছিল ‘প্রধানমন্ত্রী কোনো প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন চান না।’ জানি না প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের সভায় কথাটা এভাবেই বলেছিলেন কিনা। বাস্তবতা হচ্ছে, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনটা ভালো ছিল না। এর জন্য যে বক্তব্যই দেয়া হোক না কেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন এ দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আমরা নিশ্চয়ই আগামী নির্বাচনটাও এমন দেখতে চাই না। একটি নির্বাচন হবে এবং তাতে সব দল অংশ নেবে, এটাই কাম্য। সেজন্যই নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বটি অনেক বেশি। সংবিধান নির্বাচন কমিশনকে অনেক স্বাধীনতা দিয়েছে। সমস্যা হচ্ছে, স্বাধীনতার ব্যবহার নিয়ে। রকীব কমিশন স্বাধীনভাবে নির্বাচন কমিশন পরিচালনা করতে পারেননি। সুতরাং যারা আসছেন, তাদের নিয়েও প্রশ্ন থাকবে অনেক। এখন দেখার পালা, কমিশনে যারা আসছেন, তারা আস্থার জায়গাটা কতটুকু তৈরি করতে পারেন।
সংলাপের এক পর্যায়ে রাষ্ট্রপতি বলেছিলেন, বড় দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য কমিয়ে আনার। এটাই বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বড় সমস্যা। প্রতিটি ইস্যুতে মতপার্থক্য খুব বেশি। নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রশ্নেও এ মতপার্থক্য রয়ে গেল। তবু আশা করব, সার্চ কমিটির মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি যাদের নিয়োগ দিলেন, তারা গ্রহণযোগ্যতা পাক, তাদের নিয়ে বিতর্ক কম হোক। কেননা এ ধরনের বিতর্ক কোনো সমাধান ডেকে আনবে না। বরং সংকট বাড়বে। সাবেক কোনো আমলাকে সিইসি পদে প্রস্তাব না করাই মঙ্গল ছিল। সে ক্ষেত্রে একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির বাম প্রস্তাব করা যেতে পারত। কমিশনার হিসেবে শিক্ষাবিদরা, অথবা সুশীল সামাজের প্রতিনিধিরাও আসতে পারতেন। সাবেক জেলা জজ কিংবা সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র অফিসাররাও যে বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকতে পারেন না, রকীব কমিশন এর বড় প্রমাণ। তাই নয়া সিইসির দায়িত্ব অনেক বেশি। আগামী জাতীয় নির্বাচন তাদের পরিচালনা করতে হবে। বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা তাদের অর্জন করতে হবে। কাজটি খুব সহজ নয়। বিএনপি যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, তা যদি সিইসি মনে রাখেন, তিনি ‘ভুল’ করবেন। আমার বিবেচনায় তার প্রথম কাজটি হবে বিএনপির আস্থা অর্জন করা। রকীব কমিশন যে ভুলগুলো করেছিল, তা নিশ্চয়ই তিনি দেখেছেন। নির্বাচন কমিশন পরিচালনার ক্ষেত্রে এই ‘ভুল’গুলো তিনি করবেন না, এটা নিশ্চয় আশা করা যায়। প্রত্যাশা তার কাছে অনেক বেশি।
আর বিএনপি যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, সেখানেও কথা আছে। এত তাড়াতাড়ি সিইসিকে পদত্যাগ করতে বলা আমার বিবেচনায় ঠিক হয়নি। বিএনপির মিডিয়া টিম এটা নিয়ে গবেষণা করে তথ্য-উপাত্তসহ জাতির সামনে তা উপস্থাপন করতে পারত। সত্যিকার তথ্য পেলে মানুষ বুঝতে পারবে, নতুন সিইসির নেতৃত্বে পূর্ণ আস্থা রাখা যায় কিনা। বিএনপির মিডিয়া তথা গবেষণা সেল অত্যন্ত দুর্বল। বর্তমান যুগ হচ্ছে তথ্য-উপাত্তের যুগ। পূর্ণ তথ্য দিয়ে বিএনপিকে বোঝাতে হবে নবনির্বাচিত সিইসির নেতৃত্বে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না! শুধু মুখের কথায় এটা হবে না। উপরন্তু বিএনপিকে ২০১৯ সালের নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। না হলে নিবন্ধন হারানোর ঝুঁকিতে থাকবে দলটি। সুতরাং একটি বড় দলের কাছ থেকে নির্বাচন কমিশন-প্রধান সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য উঠলেও, সিইসি তথা নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাই হবে এখন দেখার বিষয়। আশা করব, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন তিনি জাতিকে ‘উপহার’ দেবেন আগামীতে।
Daily Alokito Bangladesh
12.02.2017

0 comments:

Post a Comment