জার্মানিতে গত ২৪ সেপ্টেম্বরের সাধারণ
নির্বাচনের পর প্রশ্ন উঠেছে- এখন কোন পথে যাবে জার্মানি? অ্যাঙ্গেলা মার্কেল চতুর্থবারের জন্য চ্যান্সেলর হতে যাচ্ছেন। কিন্তু
নির্বাচনে তার দল এক অর্থে পরাজিতও হয়েছে। আসন সংখ্যা আগের চেয়ে কমেছে, কমেছে ভোটপ্রাপ্তির হার। একই কথা প্রযোজ্য দ্বিতীয় বড় দল সোশ্যাল
ডেমোক্রেটিক পার্টির (এসপিডি) ক্ষেত্রেও। তাদেরও আসন কমেছে। ভোটও কম পেয়েছে তারা।
গেলবারের সঙ্গে এবারের পার্থক্যটা হচ্ছে- গত নির্বাচনের পর (২০১৩) একটি গ্রান্ড
কোয়ালিশন হয়েছিল। সেই কোয়ালিশনে মার্কেলের নিজের দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক
পার্টি (সিডিইউ) আর এসপিডি এবং সেই সঙ্গে গ্রিন পার্টি মিলে একটি ঐকমত্যের সরকার
গঠিত হয়েছিল। এবারে বদলে যাচ্ছে সেই দৃশ্যপট। কোয়ালিশনে থাকছে না এসপিডি। তারপরও
একটি কোয়ালিশন সরকার হবে, আর তাতে যোগ দেবে ফ্রি
ডেমোক্রেটিক পার্টি (এফডিপি) এবং গ্রিন পার্টি। একটি ত্রিদলীয় ঐক্যজোট হবে, যাদের মোট আসন ৩৯৩। সরকার গঠনের জন্য দরকার ৩৫৪ আসন। সরকার হয়তো গঠিত
হবে, কিন্তু প্রশ্ন থাকবে অনেক। যে রাজনৈতিক
স্থিতিশীলতা জার্মান নেতারা এতদিন নিশ্চিত করেছিলেন, তা কি বজায় থাকবে? শরণার্থী সমস্যা, জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি ইস্যুতে পরস্পরবিরোধী অবস্থান এফডিপি আর গ্রিন
পার্টির। তাহলে এদের মাঝে সহাবস্থান হবে কীভাবে? জার্মানিতে
নব্য নাৎসি দল হিসেবে পরিচিত প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে যাওয়া ‘অলটারনেটিভ ফর জার্মানি’ (এএফডি) পার্টিকেই বা মের্কেল মোকাবেলা করবেন
কীভাবে?
মোট ৭০৯ আসনের সংসদে সিডিইউ-সিএসইউ’র আসন সংখ্যা ২৪৬, এসপিডি’র ১৫৩, এফডিপি’র ৮০, এএফডি’র ৯৪, গ্রিন পার্টির
৬৭ এবং দি লেফটের ৬৯। সিডিইউ-সিএসইউ পেয়েছে ৩৩ ভাগ ভোট (কমেছে ৮ দশমিক ৫ ভাগ), আর এসপিডি পেয়েছে ২০ দশমিক ৫ ভাগ ভোট (আসন কমেছে ৫ দশমিক ২ ভাগ)। তৃতীয়
দল হিসেবে আবির্ভূত নব্য নাৎসি হিসেবে পরিচিত এএফডি পেয়েছে ১২ দশমিক ৬ ভাগ ভোট, এফডিপি ১০ দশমিক ৭ ভাগ ভোট (আসন বেড়েছে ৫ দশমিক ৯ ভাগ), দি লেফট ৯ দশমিক ২ ভাগ ভোট (আসন বেড়েছে শূন্য দশমিক ৬ ভাগ), আর গ্রিন পার্টি পেয়েছে ৮ দশমিক ৯ ভাগ ভোট (আসন বেড়েছে শূন্য দশমিক ৫
ভাগ)।
বলা ভালো, জার্মানিতে নির্বাচনে ‘প্রপোরশনাল রিপ্রেজেনটেশন’ প্রথা চালু রয়েছে। একজন ভোট দেন প্রার্থীকে এবং
একইসঙ্গে দলকেও। চূড়ান্ত বিচারে কোন দল শতকরা কত ভোট পায়, তার ওপর নির্ভর করে ওই দল সংসদে কত আসন পাবে। এখন যে প্রশ্নটি বড় হয়ে
দেখা দিয়েছে তা হচ্ছে, একটি কোয়ালিশন সরকার হবে বটে, কিন্তু তাতে কোন কোন দল থাকবে? সরকার
গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ৩৫৪ আসন প্রাপ্তি সম্ভব হবে যদি এফডিপি ও গ্রিন পার্টি এতে
যোগ দেয়। কেননা দ্বিতীয় বৃহত্তম পার্টি ও সাবেক কোয়ালিশন পার্টনার এসপিডি জানিয়ে
দিয়েছে, তারা সরকারে যোগ দেবে না। তারা বিরোধী দলেই
থাকতে চায়। এ ক্ষেত্রে মের্কেলের এফডিপি ও গ্রিন পার্টি ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
নব্য নাৎসি হিসেবে পরিচিত এএফডির উত্থান শুধু মের্কেলকে নয়, গোটা জার্মান রাজনীতিকেই এখন একটি বড় প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।
পাঠকদের স্মরণ থাকার কথা, গত বছরের এই সময় আমি যখন
জার্মানি সফর করছিলাম, তখন যুগান্তরের পাঠকদের আমি
স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলাম এ দলটি সম্পর্কে। জার্মানিতে তখন (২০১৬) সিরীয় ও ইরাকি
শরণার্থীদের নিয়ে নানা বিতর্ক চলছে। আমি ফ্রাঙ্কফুর্ট নগরীতে অনেক সিরীয়
শরণার্থীকে দেখেছি। তারা জার্মান ভাষা তো জানেই না, ইংরেজিও
বলতে পারে না। ফ্রাঙ্কফুর্ট নগরীর মূল কেন্দ্র ‘সাইল’-এ
আমি অনেক সিরীয় শরণার্থীকে ভিক্ষা পর্যন্ত করতে দেখেছি। এ সময়েই এএফডি পার্টি তার
অবস্থান শক্তিশালী করে। ধীরে ধীরে তারা মুসলমান ও শরণার্থী বিদ্বেষী বক্তব্য দিয়ে
সাধারণ মানুষের মাঝে তাদের অবস্থান শক্তিশালী করছিল। আমি তখন লিখেছিলাম- জার্মানি
বদলে যাচ্ছে! এবার আমার ওই মন্তব্যেরই বাস্তব রূপ দেখলাম সাধারণ নির্বাচনে। তৃতীয়
শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে এএফডি। তাদের নানা বক্তব্য এখন বড় ধরনের শঙ্কার জন্ম
দিচ্ছে। এটা মার্কেলের জন্য চিন্তার কারণ। কেননা এএফডি দক্ষিণপন্থীদের ভোটই
কেড়েছে। এর অর্থ হচ্ছে, যারা একসময় সিডিইউ’র ওপর আস্থা রাখতেন, তারা এখন আর সেই
আস্থাটি রাখতে পারছেন না। তারা সমর্থন করছেন নতুন দল এএফডিকে। মার্কেল তাই
নির্বাচনের পর বলেছেন, তিনি খতিয়ে দেখবেন কেন
ভোটাররা তার দল ছেড়ে গেল আর কেনই বা এএফডি’র মতো কট্টরপন্থী একটি দলকে ভোট দিল। কিন্তু তাতে কি এএফডির উত্থান ঠেকানো
যাবে?
মের্কেল ক্ষমতায় থেকে যাচ্ছেন বটে, কিন্তু এ
নির্বাচন অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। প্রথমত, কট্টর
দক্ষিণপন্থী ও নব্য নাৎসি পার্টি হিসেবে পরিচিত এএফডির উত্থান প্রমাণ করল
জার্মানিতে কট্টরপন্থীদের অবস্থান শক্তিশালী হয়েছে। আগামীতে এরা সিডিইউ-সিএসইউ’র বিকল্প হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে। জার্মানির ১৬টি
রাজ্যের মধ্যে ১৩টির পার্লামেন্টে এদের প্রতিনিধিত্ব আগেই নিশ্চিত হয়েছিল। এখন
কেন্দ্রে এদের অবস্থান তৃতীয়। সবচেয়ে বড় রাজ্য এবং রক্ষণশীলদের তীর্থস্থান হিসেবে
পরিচিত বায়ার্ন প্রদেশে ১৯৪৮ সালের পর এই প্রথমবারের মতো সিএসইউ (সিডিইউ’র বিকল্প দল, শুধু বায়ার্নে)
সবচেয়ে খারাপ ফল করেছে। এখানে এএফডি ভালো করেছে। ফলে আশঙ্কা, ধীরে ধীরে সিডিইউ-সিএসইউ’র বিকল্প হয়ে উঠতে পারে এএফডি। আমরা যেন ভুলে না যাই এডলফ হিটলার ও তার
নাৎসি পার্টি জার্মানিতে নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিলেন এবং হিটলার নির্বাচিত
চ্যান্সেলর হিসেবেই রাষ্ট্রক্ষমতা পরিচালনা করেছিলেন। এখন এএফডি ধীরে ধীরে নাৎসি
পার্টির অবস্থানে যাচ্ছে কিনা সেটিই দেখার বিষয়।
দ্বিতীয়ত, ২০১৫ সালে ইউরোপে
বিপুলসংখ্যক শরণার্থীর (সিরীয়, ইরাকি ও আফগান)
আগমনকে কেন্দ্র করে পুরো ইউরোপের রাজনীতির দৃশ্যপট বদলে যায়। কট্টরপন্থীদের ব্যাপক
উত্থান ঘটে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পের বিজয় এই দক্ষিণপন্থী উত্থানকে আরও
উৎসাহিত করেছে। ওই সময় ১০ লাখেরও বেশি সিরীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে মার্কেল সারা
বিশ্বের প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। কিন্তু পার্শ্ববর্তী তিনটি দেশ তার সমালোচনা করেছিল।
হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড ও চেক রিপাবলিক বরাবরই
সিরীয়-ইরাকি শরণার্থীদের জন্য সীমান্ত খুলে দেয়ার বিপক্ষে ছিল। মার্কেল যখন
জার্মানিতে এসব শরণার্থী আসার সুযোগ করে দেন, তখন এই
তিনটি দেশের সরকারপ্রধান এর সমালোচনা করেছিলেন। এখন তারা নতুন করে যুক্তি তুলবেন
যে, তাদের সিদ্ধান্তই সঠিক ছিল। জার্মান নির্বাচন
ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে কট্টরপন্থীদের আরও উৎসাহিত করবে। আগামী মাসে চেক
রিপাবলিকের নির্বাচন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আন্দ্রেই বাবিস ও তার দল ভালো করবেন
বলে সবার ধারণা। বাবিস অনেকটা ডোনাল্ড ট্রাম্প স্টাইলে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে চান।
তিনি একজন ধনাঢ্য ব্যক্তি। চেক রিপাবলিকে তার বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বিলিয়ন ডলারের
মালিক। বাবিস, হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান
কিংবা পোল্যান্ডের ক্ষমতাসীন দলের নেতা জারুজলাভ কাসিনিস্কির মতো দক্ষিণপন্থী নেতাদের
উত্থান পুরো ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাজনীতির দৃশ্যপট বদলে দিতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে
যেসব মডারেট নেতা আছেন তাদের, বিশেষ করে মার্কেল ও
ম্যাত্রেঁদ্ধার (ফ্রান্স) মতো নেতাদের ভূমিকা সীমিত হয়ে যেতে পারে।
তৃতীয়ত, জার্মানিতে সিডিইউ-সিএসইউ, এফডিপি আর গ্রিন পার্টির সমন্বয়ে কোয়ালিশন সরকার গঠিত হলে সেই সরকারকে
কঠোর বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হবে। এ ক্ষেত্রে অ্যাঙ্গেলা মার্কেল কতটুকু ঐক্য ধরে
রাখতে পারবেন, এটাও একটা প্রশ্ন। কারণ অনেক জাতীয়
ইস্যুতে এফডিপি ও গ্রিন পার্টির মধ্যে নীতিগতভাবে মতপার্থক্য রয়েছে। যেমন, গ্রিন পার্টি চাচ্ছে আগামীতে ২০টি কয়লানির্ভর বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে
দিতে। কিন্তু ব্যবসাবান্ধব এফডিপি এর পক্ষে। তাহলে সমঝোতা হবে কীভাবে? এই মতপার্থক্য জার্মানিতে আগাম নির্বাচনের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পারে।
এ ক্ষেত্রে একটি সংখ্যালঘু সরকার হয়তো গঠিত হতে পারে, কিন্তু মার্কেল তা চাচ্ছেন না।
চতুর্থত, এএফডির বিজয় সরকারকে শরণার্থী ও রাজনৈতিক আশ্রয়
প্রার্থীদের ক্ষেত্রে আরও কড়াকড়ি আরোপে বাধ্য করতে পারে। ২০১৬ সালে প্রায় ৮ লাখ
শরণার্থী জার্মানিতে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছে। তবে ২০১৭ সালে এ সংখ্যা কম।
শুধু তাই নয়, জাতিগত বৈষম্যও বেড়ে যেতে পারে। এএফডি’র শীর্ষ নেতা আলেকজান্ডার গাউল্যান্ড গ্রিন পার্টির
নেতাদের সম্পর্কে যেসব মন্তব্য করেছেন তা অনাকাঙ্ক্ষিত। তিনি বলেছেন, এদের তুরস্কে চলে যাওয়া উচিত। জার্মানির অতীত নিয়ে তিনি প্রশংসামূলক
মন্তব্য করেছেন, যা বিতর্ক বাড়িয়েছে।
কাজেই আগামীতে সরকার পরিচালনা করবে যে কোয়ালিশন, সেই সরকার থাকবে নড়বড়ে। ৭০৯ সিটের পার্লামেন্টে তাদের হাতে থাকবে মাত্র
৩৯৩ আসন। সুতরাং বোঝাই যায় কোনো বড় সিদ্ধান্ত নেয়া মার্কেলের জন্য কঠিন হয়ে
দাঁড়াবে। টানা চার বছর চ্যান্সেলর হয়ে ইতিহাসে নাম লিখিয়েছেন তিনি। এক সময়ের পূর্ব
জার্মানিতে জন্ম নেয়া এই শিক্ষাবিদ (যার রসায়নে পিএইচডি ডিগ্রি রয়েছে) রাজনীতিতে
এসেছিলেন দুই জার্মানি একত্রিত হওয়ার পরই। সঠিক নীতি, সাধারণ জীবনযাপন, শরণার্থীদের ব্যাপারে
সহানুভূতি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ঐক্য ধরে রাখা, ট্রাম্পের কট্টর নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান তাকে বিশ্ব রাজনীতিতে ‘অসাধারণ’ করেছে। তিনি এক সময়ের জার্মান চ্যান্সেলর উইলি ব্র্যান্ডের
জনপ্রিয়তাকেও ছাড়িয়ে গেছেন। কট্টরপন্থীদের অব্যাহত উত্থানের মুখে সীমিতসংখ্যক ‘কোয়ালিশন সিট’ নিয়ে তিনি আগামীতে কীভাবে জার্মানির নেতৃত্ব দেন, সেটিই দেখার বিষয়। তবে যেটা গুরুত্বপূর্ণ তা হচ্ছে, কেন মানুষ এএফডির মতো দলকে ভোট দিল তা খতিয়ে দেখা। মানুষ কি প্রচলিত
রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর আস্থা হারিয়ে এএফডিকে ভোট দিয়েছে? শুধু জাতিগত বৈষম্য, মুসলমান বিদ্বেষ
কিংবা শরণার্থী-বিরোধিতাই কি এএফডিকে জনপ্রিয় করেছে? এসব এখন খতিয়ে দেখতে হবে।
মার্কেল যদি এএফডিকে সন্তুষ্ট করার জন্য ‘বাধ্য’ হয়ে তার নীতিতে
পরিবর্তন আনেন, তাহলে তা জার্মানির জন্য কোনো ভালো
সংবাদ বয়ে আনবে না। এএফডি চাচ্ছে ইউরো জোন থেকে জার্মানি বেরিয়ে আসুক। এটা নিশ্চয়ই
মার্কেল করবেন না। কিন্তু তিনি ‘চাপে’ থাকবেন। এ
ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় কিছু সংস্কার আসতে পারে। ইইউতে
জার্মানি বড় দেশ। দেশটির যে কোনো সিদ্ধান্ত ইইউ’র রাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে। দক্ষিণপন্থীদের ব্যাপক
উত্থান পুরো ইউরোপের চেহারা আগামীতে বদলে দিতে পারে। শরণার্থী ইস্যুকে কেন্দ্র করে
ব্রিটেন ইইউ থেকে বেরিয়ে গেছে। সেখানে নির্বাচনে তেরেসা মে সুবিধা করতে পারেননি।
তিনি অতিমাত্রায় নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন আরেকটি দলের ওপর। এখন অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের
অবস্থা হতে যাচ্ছে তেমনটি। কট্টরপন্থী এএফডিকে ব্যালেন্স করার জন্য তাকে এখন
কোয়ালিশন পার্টনার এফডিপি ও গ্রিন পার্টিকে ছাড় দিতে হবে। এ দল দুটির মাঝেও সমন্বয়
সৃষ্টি করতে হবে। তিনি যদি ব্যর্থ হন, তাহলে আগাম
নির্বাচন অবশ্যম্ভাবী।