রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

রোহিঙ্গা সংকট কি ভারত-চীন সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে ভারত গুরুত্ব দেয়। বিশেষ করে মোদি সরকারের সময় দুই দেশের সম্পর্ক যথেষ্ট উচ্চতায় উপনীত হয়েছে। কিন্তু ভারতের কাছে এ মুহূর্তে বাংলাদেশের চেয়ে মিয়ানমারের গুরুত্ব অনেক বেশি। আর তাই ভারত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নীতিকে সমর্থন করবেÑ এটাই স্বাভাবিক। চীনের অবস্থানও অনেকটা তেমনই রোহিঙ্গা নির্যাতনের খবরে সারা বিশ্ব যখন আজ প্রতিবাদমুখর, যখন সাড়ে ৪ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমান তাদের জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে, তখন ভারত ও মিয়ানমারের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে। ২৫ আগস্ট যখন মিয়ানমারে গণহত্যা শুরু হয়, তার ঠিক এক মাস আগে ৭ জুলাই মিয়ানমারের সিনিয়র জেনারেল ও গণহত্যার অন্যতম রূপকার মিন আউং হ্লাইং ৮ দিনের সফরে ভারতে গিয়েছিলেন। এটা ছিল একটি ব্যতিক্রমধর্মী ঘটনা। কেননা মোদি যখন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন, তখন পার্শ্ববর্তী সব সরকারপ্রধানকে দিল্লি আমন্ত্রণ জানালেও তৎকালীন মিয়ানমারের রাষ্ট্রপ্রধান থেইন সেইনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তখন সেনাপ্রধান জেনারেল হ্লাইংকে দিল্লিতে রেড কার্পেট সংবর্ধনা দেয়া কিংবা মিয়ানমারের ৩৭ দশমিক ৯ মিলিয়ন ডলারের টর্পেডো সরবরাহ করার মধ্য দিয়ে ভারত-মিয়ানমার সম্পর্ক নতুন একটি মাত্রা পেয়েছে। অনেক বিশ্লেষকের ভাষায়, মিয়ানমারে চীনের প্রভাব হ্রাস করার জন্যই ভারত এ ভূমিকা নিয়েছে। ফলে ভারত-চীন সম্পর্ক নতুন করে আবার প্রশ্নের মুখে পড়ল। ডোকলামে স্ট্যাটাস কো বজায় থাকা, শিয়ামেনে (চীনে) সর্বশেষ ব্রিকস সম্মেলনে মোদির যোগদান ও মোদি-শি জিন পিং বৈঠকের পর ধারণা করা হয়েছিল, দুই দেশ বুঝি সম্পর্ক আবার স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। কিন্তু মিয়ানমারের সেনাপ্রধানের দিল্লি সফর, সেখানে মোদিসহ নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক কিংবা মিয়ানমারে ভারতের অস্ত্র বিক্রিÑ সব মিলিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে যে আস্থাহীনতার সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল, তা রয়েই গেল। খুব সংগত কারণেই এতে ব্রিকসের বিকাশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বলা ভালো, পাঁচটি দেশ নিয়ে ব্রিকস গঠিত। চীন ও ভারতের পাশাপাশি ব্রিকসে রয়েছে রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিল। ব্রিকস বিশ্বের বড় অর্থনীতির জোট। চীন বিশ্বের দ্বিতীয় বড় অর্থনৈতিক শক্তি। আর ভারত জাপানকে পাস কাটিয়ে এশিয়ায় দ্বিতীয় বড় অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে। সুতরাং ব্রিকস যদি শক্তিশালী হয়, তাহলে তা যুক্তরাষ্ট্রের একক কর্তৃত্বকে খর্ব করবে। এখানে সাম্প্রতিককালে চীন ও ভারতের মধ্যে একটা আস্থাহীনতার সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া তথা দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের ভূমিকা নিয়ে ভারত সন্দিহান। পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও মালদ্বীপে চীনের প্রভাব বাড়ছে। চীন যে ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড এর এক মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করছে (যাতে ভারত যোগ দেয়নি), তা সন্দেহের চোখে দেখছে ভারত। ভারত মনে করে, এর মাধ্যমে চীন এ অঞ্চলে তার প্রভাববলয়ের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলছে এবং এ অঞ্চলের দেশগুলোকে তার আওতায় নিয়ে নিচ্ছে। ভারত তাই মনে করে, এসব প্রকল্পের মাধ্যমে এ অঞ্চলে চীন তার প্রভাব ও প্রতিপত্তি বাড়াচ্ছে। ভারত মহাসাগরের কর্তৃত্ব নিয়ে এরই মধ্যে চীন ও ভারত একধরনের সূক্ষ্ম প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে। ফলে ব্রিকস কতটুকু সফল হবে কিংবা চীন ও ভারত তাদের বৈরিতা কতটুকু কমিয়ে আনতে পারবে, এ প্রশ্ন ছিল বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। শেষ পর্যন্ত দেখা গেল, বৈরিতা ভুলে মোদি ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিলেন। শি জিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করলেন। এর মধ্য দিয়ে মোদি তার দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছিলেন। ডোকলাম নিয়ে তিনি এখনও ভারতে কট্টরপন্থীদের চাপের মুখে আছেন। কট্টরপন্থীরা চীনের সঙ্গে এখনই একটি যুদ্ধ চাচ্ছেন! কিন্তু যুদ্ধের চেয়েও এ মুহূর্তে মোদির প্রয়োজন উন্নয়ন। প্রয়োজন তরুণ প্রজন্মের জন্য চাকরির ব্যবস্থা করা। এজন্য তার প্রয়োজন চীনের আর্থিক সহযোগিতা। ওই সহযোগিতা চীন নিশ্চিত করেছে। এখানে বলা ভালো, প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ গোল্ডম্যান স্যাকসের (Goldman Sachs) ধারণা অনুযায়ী এ ব্রিকস গড়ে ওঠে। ২০০১ সালে এ সংস্থাটির জন্ম। এটি মূলত তিনটি পর্যায় পার করছে। প্রথম পর্যায় ২০০১ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত। এখন পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা ব্রিকসে যোগ দেয়নি। তখন এই চারটি দেশ শুধু বিনিয়োগ পর্যায়ে তাদের আলোচনা সীমাবদ্ধ রাখে। ২০০৮ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ব্রিকস একটি রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আন্তর্জাতিক আসরে আত্মপ্রকাশ করে। এ সময় দক্ষিণ আফ্রিকা (২০১১) এতে যোগ দেয়। ২০১৫ সাল থেকে শুরু হয় তৃতীয় পর্যায়। ওই সময় ব্রিকস বিশ্বব্যাংক তথা আইএমএফের বিকল্প হিসেবে নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে। এ তৃতীয় পর্যায় থেকে যা এখনও চলমান, ব্রিকসকে আন্তর্জাতিক আসরে যথেষ্ট পরিচিত করেছে এবং বিশ্বমিডিয়া তথা বিশ্লেষকরা ব্রিকসকে মনে করছেন মার্কিন আধিপত্যের বিরুদ্ধে এক ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে। আর্থিক ও বাণিজ্যিক প্রশ্নে ব্রিকসে কোনো বিভক্তি নেই। তবে নেতৃত্বের প্রশ্নে এক ধরনের সূক্ষ্ম প্রতিযোগিতা আছে। বিশেষ করে ব্রিকসের নেতৃত্ব কার কাছে থাকবে, চীন না রাশিয়াÑ এটা নিয়ে এক ধরনের স্নায়বিক প্রতিযোগিতা আছে। অন্যদিকে ভারত ও চীনের মধ্যে রয়েছে এক ধরনের আস্থাহীনতার সম্পর্ক। চীনের অতিমাত্রায় পাকিস্তানপ্রীতি এ আস্থাহীনতার জন্ম দিয়েছে। শুধু ডোকলাম নয়, বরং ভারতের অরুণাচল রাজ্য নিয়েও ভারত ও চীনের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। তবে সর্বশেষ নবম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন প্রমাণ করল, ব্রিকস নেতারা আঞ্চলিক দ্বন্দ্বকে পাস কাটিয়ে তাকাতে চান সামনের দিকে। ব্রিকসের সার্থকতা এখানেই। ব্রিকস বড় অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে এরই মধ্যে আবির্ভূত হয়েছে। জোটটি ভবিষ্যতে সাম্প্রসারিত হবে কিনা, তা এ মুহূর্তে বলা মুশকিল। তবে ব্রিকস যে আঞ্চলিক অর্থনৈতিক শক্তিগুলোকে সংস্থাটির সঙ্গে রাখতে চায়, তা স্পষ্ট। এ কারণেই এবার শীর্ষ সম্মেলনে মিসর, থাইল্যান্ড, মেক্সিকো, তাজিকিস্তান, গায়ানার রাষ্ট্র তথা সরকারপ্রধানরা এ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। এসব দেশ এক-একটি উঠতি অর্থনৈতিক শক্তি। এ দেশগুলো যদি যে কোনো প্রক্রিয়ায় (অনেকটা আসিয়ানের মতো) ব্রিকসে যোগ দেয়, তা ব্রিকসের শক্তিকে আরও শক্তিশালী করবে। তবে এক্ষেত্রে সরাসরি সদস্য হিসেবে যোগ না দিয়ে সহযোগী সদস্য হিসেবে এ দেশগুলো ব্রিকসের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারে। বর্তমানে বিশ্বের শতকরা ৪০ ভাগ মানুষ এ ব্রিকসভুক্ত দেশগুলোয় বসবাস করে। বিশ্ব জিডিপির শতকরা ২৩ ভাগ নিয়ন্ত্রণ করে ব্রিকস। ফলে ব্রিকস যে বিশ্ব রাজনীতিতে আলোচনায় থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। তবে সামনের দিনগুলো ব্রিকসের জন্য যে সহজ, তা বলা যাবে না। এবারের শীর্ষ সম্মেলনের সেøাগান ছিল ভবিষ্যতের জন্য শক্তিশালী সম্মানিত উদ্যোগ। মেসেজটি পরিষ্কারÑ পশ্চিমা আধিপত্য, পশ্চিমা অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করে নতুন এক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার জন্ম দেয়া। এ কারণেই ব্রিকস ২০১৪ সালে নতুন একটি বিনিয়োগ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছে, যার নাম নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক। এ ব্যাংক এরই মধ্যে বিভিন্ন প্রজেক্টে ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। মূলত চীন, ভারত ও রাশিয়ায় এ অর্থ বিনিয়োগ করা হয়েছে। এবারের শীর্ষ সম্মেলনে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধি কীভাবে যৌথভাবে মোকাবিলা করা যায়, এটাও আলোচনা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমান বিশ্বে একটি বহুল আলোচিত বিষয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্যারিস চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার (কপ-২১) সিদ্ধান্ত সম্মেলনে আলোচিত হয়। এখানে একটা প্লাস পয়েন্ট হচ্ছে, ব্রিকসভুক্ত দেশগুলো, বিশেষ করে চীন ও ভারত প্যারিসে জলবায়ু সম্মেলনে যেসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল, তার প্রতি কমিটমেন্ট করেছে। সবুজ এনার্জির কথাও তারা বলেছে। এটা গুরুত্বপূর্ণ এ কারণে যে, বলা হয়ে থাকে চীন ও ভারত হচ্ছে শীর্ষ পরিবেশ দূষণকারী দুইটি দেশ। এ দুইটি দেশে কয়লা পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। এর ফলে পরিবেশ দূষণ হয়। চীন এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি কয়লানির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে। চীন সোলার এনার্জি সেক্টরে বড় ধরনের বিনিয়োগ করেছে এবং একটা পরিবর্তনও এনেছে চীন। চীনের অনেক ছোট ছোট শহর অনেকটাই এখন সোলার এনার্জিনির্ভর। চীন এ সবুজ এনার্জি ছড়িয়ে দিতে চায় বিশ্বের সর্বত্র। এখানেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের পার্থক্য। যুক্তরাষ্ট্র যেখানে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর তাদের নির্ভরতা আরও বাড়িয়েছে এবং তেল ও গ্যাস উত্তোলন কার্যক্রম আরও বৃদ্ধি করেছে, সেখানে চীন ও ভারতের মতো বড় অর্থনীতির দেশ জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর (ফসিল ফুয়েল) তাদের নির্ভরতা কমানোর কথা বলছে।
ফলে ব্রিকসের সম্ভাবনা যখন বিশ্ব আসরে বাড়ছে, তখন চীন ও ভারতের বৈরিতা কোনো ভালো খবর হতে পারে না। রোহিঙ্গা প্রশ্নে দেশ দুইটির মধ্যে মূলত তেমন কোনো মতপার্তক্য নেই। উভয় দেশই রোহিঙ্গা প্রশ্নে মিয়ানমারের অবস্থানকে সমর্থন করছে। অর্থাৎ এখানে বাংলাদেশবিরোধী একটি অবস্থান তারা নিয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে মিয়ানমারে অস্ত্র সরবরাহ নিয়ে। ভারত কর্তৃক মিয়ানমারে অস্ত্র সরবরাহ চীন খুব ভালো চোখে নেবে না। রোহিঙ্গা প্রশ্নটির সঙ্গে দেশ দুইটির যথেষ্ট স্বার্থ রয়েছে। নিজেদের জাতীয় স্বার্থের আলোকেই দেশ দুইটি তাদের রোহিঙ্গা নীতি পরিচালনা করছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশে তাদের স্বার্থ উপেক্ষিত হচ্ছে। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে ভারত গুরুত্ব দেয়। বিশেষ করে মোদি সরকারের সময় দুই দেশের সম্পর্ক যথেষ্ট উচ্চতায় উপনীত হয়েছে। কিন্তু ভারতের কাছে এ মুহূর্তে বাংলাদেশের চেয়ে মিয়ানমারের গুরুত্ব অনেক বেশি। আর তাই ভারত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নীতিকে সমর্থন করবেÑ এটাই স্বাভাবিক। চীনের অবস্থানও অনেকটা তেমনই। বাংলাদেশের ব্যাপারে চীনের স্বার্থ থাকলেও চীন মিয়ানমারকে গুরুত্ব দিয়েছে বেশি। যে প্রয়োজনে বাংলাদেশকে প্রয়োজন ছিল চীনের (বিসিআইএম করিডোর, সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর), সে প্রয়োজন এখন মিয়ানমার মেটাচ্ছে। সোনাদিয়ার বদলে আরাকান উপকূলে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করছে চীন। সেই সঙ্গে রয়েছে আরাকান গভীর সমুদ্রে প্রাপ্ত ও উত্তোলিত গ্যাস পাইপলাইনের মাধ্যমে চীনের ইউনান প্রদেশের রাজধানী কুনমিংয়ে নিয়ে যাওয়া। ফলে চীনের কাছে স্ট্র্যাটেজিক কারণেই বাংলাদেশ গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে।
রোহিঙ্গা প্রশ্নে চীন ও ভারতের অবস্থান এক হলেও প্রভাব বলয় বিস্তারের রাজনীতিকে কেন্দ্র করে চীন ও ভারতের মধ্যে দ্বন্দ্ব থেকে যাবেই। এ দ্বন্দ্ব শেষ পর্যন্ত ব্রিকসের বিকাশকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে! তবে বাংলাদেশের জন্য যা গুরুত্বপূর্ণ, তা হচ্ছে বাংলাদেশের উচিত হবে তার স্বার্থকে আদায় করে নেয়া। রোহিঙ্গা প্রশ্নে বাংলাদেশের অগ্রাধিকার হচ্ছে রোহিঙ্গদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন, সেখানে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং আরাকানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন করা। বাংলাদেশকে এ লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ তিনটি বড় দেশ চীন, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার সম্পর্ককে ব্যবহার করে রোহিঙ্গা প্রশ্নে অগ্রাধিকারগুলো বাস্তবায়ন করতে পারে। এজন্য দরকার স্মার্ট ডিপ্লোম্যাসি।


0 comments:

Post a Comment