রোহিঙ্গা সংকট নতুন একটি মাত্রা পেয়েছে। গত প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে রোহিঙ্গারা আবার ব্যাপকহারে বাংলাদেশে আসতে শুরু করেছে। বেশ কয়েক হাজার রোহিঙ্গা ইতিমধ্যে ঢুকেও গেছে এবং অবৈধভাবে কক্সবাজার এলাকায় অবস্থিত রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। নতুন করে এ শরণার্থীদের বাংলাদেশে প্রবেশ শুরু হয়েছে তথাকথিত রোহিঙ্গা বিদ্রোহী কর্তৃক রাখাইন রাজ্যের কয়েকটি পুলিশ ফাঁড়ি আক্রমণের পর। এ পুলিশ ফাঁড়ি আক্রমণের ঘটনায় জড়িয়ে আছে আরাকান স্যালভেশন আর্মি নামে কথিত একটি বিদ্রোহী গ্রুপ! এই আক্রমণে নিহতদের সংখ্যা একশ’ ছাড়িয়েছে, যার মধ্যে ১২ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যও রয়েছে। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, রাখাইন রাজ্যের বাথেটং শহরের আশপাশের প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। স্যাটেলাইট থেকে তোলা এ ছবি প্রচার করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়ার্চ এর নিন্দা করেছে। নিন্দা করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিবও। শুধু তাই নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান এড রয়েস মিয়ানমারে মানবাধিকার লংঘিত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। বলা ভালো, নতুন করে রোহিঙ্গা সংকট শুরু হয়েছে কফি আনান কমিশন তার রিপোর্ট মিয়ানমার সরকারের কাছে জমা দেয়ার পর। আনান কমিশন রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিতে চাচ্ছে না।
এখন রিপোর্টটি প্রকাশিত হওয়ার পর যে প্রশ্নটি উঠেছে তা হচ্ছে, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান তাহলে কোন পথে? এভাবেই কি রোহিঙ্গারা নিজ দেশে পরবাসী হয়ে বছরের পর বছর কাটিয়ে দেবেন? কিংবা অত্যাচার আর নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশান্তরিত হবেন- কখনও আশ্রয় নেবেন বাংলাদেশে, কখনোবা সাগরে ভাসবেন! মিয়ানমার সরকার তো সেটাই চাইছে। রাখাইন রাজ্যকে তারা রোহিঙ্গামুক্ত করতে চায়। মিয়ানমারে দীর্ঘদিন ধরে একধরনের সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস চলছে। বৌদ্ধ ভিক্ষুরা মিয়ানমারকে একটি বৌদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। মিয়ানমার তিন দশকের মধ্যে তাদের প্রথম আদমশুমারির ফল প্রকাশ করে ২০১৪ সালে। এতে দেখা যায় তাদের জনসংখ্যা ৫ কোটি ১০ লাখ। আর দেশটিতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ। মিয়ানমারে প্রায় ১৩৫টি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী থাকলেও এদের মধ্যে রোহিঙ্গাদের কোনো স্বীকৃতি নেই। অং সান সুচি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেলেও একাধিকবার স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক নন। তারা বাঙালি।’ সুচির এ বক্তব্যের পেছনে কোনো সত্যতা নেই। ইতিহাস বলে, রোহিঙ্গারা ৮ম শতাব্দী থেকেই আরাকান অঞ্চলে বসবাস করে আসছে। ১৪৩০ সালের দিকে তৎকালীন আরাকান শাসক বৌদ্ধরাজ নারামাইখলা (Narameikhla), যিনি সিন স মন নামেও পরিচিত ছিলেন, তিনি তার শাসনামলে রোহিঙ্গা মুসলমানদের এ অঞ্চলে নিয়ে এসেছিলেন এবং আরাকানে বসবাস করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। সেই থেকে রোহিঙ্গারা সেখানে বসবাস করে আসছে। কিন্তু মিয়ানমারের বিগত সামরিক শাসক ও বর্তমান শাসকদের নিপীড়নের শিকার হয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেয়। এ মুহূর্তে বাংলাদেশে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ৩৪ হাজার। কিন্তু অবৈধভাবে প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গা বৃহত্তর কক্সবাজারে বসবাস করছে। কিছুদিন আগে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, এক হাজার রোহিঙ্গাকে ইউরোপসহ অন্যত্র পুনর্বাসন করা হবে। বাংলাদেশ সরকারও একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, রোহিঙ্গাদের হাতিয়ার ঠেঙ্গারচরে পুনর্বাসন করা হবে। কিন্তু কোনো ক্ষেত্রেই তেমন অগ্রগতি নেই।
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে এখন দু’ভাবে বাংলাদেশকে এগোতে হবে। প্রথমত, আন্তর্জাতিক আসরে রোহিঙ্গা সমস্যাটা তুলে ধরা এবং দ্বিতীয়ত, রোহিঙ্গাদের জন্য সীমিত সময়ের জন্য ‘নিজস্ব একটি বাসস্থান’ তৈরি করা। উভয় ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ একটি ‘পজেটিভ’ অবস্থান নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জার্মানি সফরের সময় জার্মান চ্যান্সেলর এঙ্গেলা মার্কেলের সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ একটি বড় পরিসরে রোহিঙ্গা সমস্যাটি তুলে ধরেছিল। এটা প্রশংসাযোগ্য। জার্মানি নিজেও জানে অভিবাসী সমস্যার গভীরতা। জার্মানি সাম্প্রতিক সময়ে প্রায় ১০ লাখ মিসরীয় ও ইরাকি অভিবাসীকে তার দেশে আশ্রয় দিয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত মধ্যপ্রাচ্য থেকে এসব শরণার্থী জার্মানিতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। এরা যুদ্ধ-শরণার্থী। মানবিক দিক বিবেচনা করে জার্মানি এদের আশ্রয় দিয়েছে। বাংলাদেশের অবস্থাও অনেকটা তেমনি। রোহিঙ্গারা নিজ দেশ থেকে উৎখাত হয়েছেন। সেখানে এক ধরনের ‘এথনিক ক্লিনসিং’ হচ্ছে, অর্থাৎ জাতিগত উচ্ছেদ অভিযান। এ ধরনের ‘এথনিক ক্লিনসিং’ আমরা প্রত্যক্ষ করেছিলাম বসনিয়ায়, যেখানে সার্বরা মুসলমানদের নিজ বাসভূম থেকে উৎখাত করেছিল। হাজার হাজার মুসলমানকে নিজ বাসভূমিতে হত্যা করা হয়েছিল। সেই গণহত্যাকারী সার্ব জেনারেলদের নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচার পর্যন্ত হয়েছিল। মিয়ানমারে আজ রোহিঙ্গারা সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধদের দ্বারা ‘এথনিক ক্লিনসিং’য়ের শিকার হচ্ছেন। বাধ্য হয়ে তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। বাংলাদেশ মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের আশ্রয় দিয়েছে। কিন্তু আয়তনের দিক থেকে বাংলাদেশ একটি ক্ষুদ্র রাষ্ট্র। এত বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে ‘স্থায়ী আবাসের’ নিশ্চয়তা দিতে পারে না বাংলাদেশ। এর আগে, ১৯৭৯ সালের পর থেকে যেসব রোহিঙ্গা কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়েছিলেন, মিয়ানমার তাদের অনেককেই ফিরিয়ে নেয়নি। একমাত্র মিয়ানমার সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগ করেই সম্ভব রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন। এ কাজটি বাংলাদেশ শুরু করেনি। এখন বিষয়টি ওআইসি ও জাতিসংঘে তুলতে হবে। আমরা ইইউর সহযোগিতাও নিতে পারি। ইতিমধ্যে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযান চলেছে। ওই সেনা অভিযানের খবর, রোহিঙ্গা নির্যাতনের খবর মিডিয়ায় এসেছে। আমার ধারণা, এটি মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর একটি ‘কৌশল’, যাতে করে অভিযান অব্যাহত রেখে রোহিঙ্গাদের উৎখাত করা যায়।
জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াং হি কিছুদিন আগে বাংলাদেশ ঘুরে গেছেন। তিনি রোহিঙ্গাদের অবস্থান জানতে এসেছিলেন। বাংলাদেশে অবস্থানকালে তিনি লেদা, নয়াপাড়া শরণার্থী শিবির, শামলাপুর অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছিলেন, রোহিঙ্গারা সেখানে অত্যাচারিত। তিনি এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট জাতিসংঘের মহাসচিবকে দেবেন বলেও জানিয়েছিলেন। এটা বিবেচনায় নিয়েই মিয়ানমার সরকার তখন কিছু রোহিঙ্গাকে নিজ দেশে ফিরে আসার সুযোগ করে দিয়েছিল। তবে যারা ইতিমধ্যে বাংলাদেশে এসে গেছেন, তাদের ঠেঙ্গারচরে পুনর্বাসন করা যেতে পারে। হাতিয়ার মূল ভূখণ্ড থেকে পূর্বদিকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার এবং নলচিরা ঘাট থেকে পূর্বদিকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে জেগে ওঠা একটি চর এটি। প্রায় ১০ হাজার একর জমি রয়েছে এখানে। বনবিভাগ এখানে বিশাল একটি বনাঞ্চল তৈরি করেছে। বিরান এ জনপদে দ্রুত অবকাঠামো গড়ে তোলা প্রয়োজন। প্রয়োজন রয়েছে শিল্প প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করারও। ঘূর্ণিঝড় থেকে রক্ষার জন্য শেল্টার হোম তৈরি করাও প্রয়োজন। এ চরাঞ্চলে গো-চাষের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশ ইইউর কাছ থেকে এ ব্যাপারে সাহায্য ও সহযোগিতা পেতে পারে। এজন্য দরকার ‘দক্ষ কূটনীতি’।
আমরা যেন ভুলে না যাই, রোহিঙ্গাদের একটা অংশ এখন নানা ধরনের অসামাজিক কাজে লিপ্ত রয়েছে। অবৈধ অভিবাসীরা ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত রয়েছে এমন সংবাদও ছাপা হয়েছে পত্রপত্রিকায়। এতে করে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিও নষ্ট হচ্ছে। ফলে যত দ্রুত আমরা রোহিঙ্গাদের সাময়িকভাবে পুনর্বাসন করতে পারব, ততই মঙ্গল। কিন্তু দুঃখজনক হচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নির্লিপ্ততা। আসিয়ান কিংবা ওআইসির তেমন তৎপরতা চোখে পড়ে না। গত ২ আগস্ট চারদিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছিলেন ওআইসি মহাসচিব ইউসুফ বিন আহমাদ আল ওসাইমিন। ওই সময় তিনি রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার এবং পূর্ণ নাগরিকত্ব দেয়ার জন্য মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি ঢাকায় স্পষ্ট করে বলেছিলেন, রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয় ও স্বীকৃতি দেয়া প্রয়োজন। তিনি কক্সবাজার ও টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পও পরিদর্শন করেছিলেন। এ ব্যাপারে ওআইসি আগামীতে কী ভূমিকা নেয়, সেটাই আমাদের দেখার বিষয়।
রোহিঙ্গা সমস্যাটা আন্তর্জাতিক আসরে তুলে ধরার ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের বড় ভূমিকা রয়েছে। সেই ভূমিকাটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পুরোপুরিভাবে করতে পেরেছে বলে মনে হয় না। এ প্রসঙ্গে গত ২১ জুন বিবিসি বাংলার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম যে কথা বলেছিলেন, তা বেশ প্রণিধানযোগ্য। তিনি বলেছিলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যু ঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারেনি বাংলাদেশ। যেরকমভাবে এটা (রোহিঙ্গা ইস্যু) প্রকাশ্যে নিয়ে আসা উচিত ছিল এবং বিভিন্ন মহলের যেরকম চাপ দেয়ার কথা ছিল, সেরকমভাবে তো করেন নাই।’ এ মন্তব্যটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। একজন উপদেষ্টা যখন এ ধরনের মন্তব্য করেন, তখন তা হালকাভাবে নেয়া যায় না। আসলে এটাই হচ্ছে মোদ্দাকথা। রোহিঙ্গা সমস্যাটা আন্তর্জাতিকীকরণের মাধ্যমে মিয়ানমার সরকারের ওপর ‘চাপ’ দেয়ার প্রয়োজন রয়েছে। এক্ষেত্রে আমরা চীন ও আসিয়ানের শীর্ষ পর্যায়ে বিষয়টি উত্থাপন করতে পারি। চীনের সঙ্গে মিয়ানমারের সম্পর্ক ভালো। চীনকে ব্যবহার করা যায়। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোকেও আমরা আমাদের স্বার্থে ব্যবহার করতে পারি। এটা সত্য, মিয়ানমারে আমাদের যথেষ্ট স্বার্থ রয়েছে। বাংলাদেশ ও মিয়ানমার বিমসটেক তথা প্রস্তাবিত বিসিআইএম জোটে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অং সান সুচির একাধিকবার কথা হয়েছে। কিন্তু এ ব্যাপারে অগ্রগতি হয়েছে কম। এখন তাই সময় এসেছে রোহিঙ্গাদের মানবাধিকারের বিষয়টি আন্তর্জাতিক ফোরামে শক্তভাবে তুলে ধরার। এ সমস্যাটি দীর্ঘদিনের। রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেয়া হচ্ছে না- সমস্যার মূলে রয়েছে এটাই। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এখন স্ট্র্যাটেজি ঠিক করতে হবে।
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে রোহিঙ্গারা অমানবিক জীবনযাপন করছে। তাদের অনেকে নানা অসামাজিক কাজে জড়িয়ে গেছে। শুধু তাই নয়, তারা পরিবেশেরও যথেষ্ট ক্ষতি করছে। গাছ, পাহাড় কেটে পরিবেশ ধ্বংস করছে। এ ক্ষেত্রে ঠেঙ্গারচরে এদের পুনর্বাসন যুক্তিযুক্ত। এটা যত দ্রুত করা যায়, ততই মঙ্গল। যত দেরি হবে, ততই আমাদের ক্ষতি। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ঢাকায় এসেছিলেন মিয়ানমার সরকারের বিশেষ দূত ও সেদেশের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী কিউ টিন। সে সময় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে এবং দেশটিতে জাতিগত নির্যাতন বন্ধের জন্য চাপ দেয়া হয়। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি। মিয়ানমার মূলত সময়ক্ষেপণ করছে। তারা যে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেবে না, এটা স্পষ্ট। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারকেই উদ্যোগী হয়ে এ সমস্যার সমাধানে ‘বড় ভূমিকা’ পালন করতে হবে। একদিকে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন, অন্যদিকে রোহিঙ্গা সমস্যা আন্তর্জাতিকীকরণ করে এ সমস্যার সমাধানে একটি ‘বড় ভূমিকা’ পালন করতে পারে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের নিয়মিত অধিবেশন বসছে চলতি মাসে (সেপ্টেম্বর)। প্রধানমন্ত্রী এ অধিবেশনে যোগ দেবেন। বাংলাদেশ সেখানে রোহিঙ্গা সমস্যাটা তুলতে পারে। সাইড লাইনে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায়ও প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যার গভীরতা নিয়ে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে পারেন। বাস্তবতা হচ্ছে, মিয়ানমার সরকারকে ‘চাপে’ না রাখলে এ সমস্যার সমাধান করা যাবে না।
0 comments:
Post a Comment