পরীক্ষামূলক ট্রানজিট বিষয়ক বিশেষ সাক্ষাতকারে অধ্যাপক তারেক শামসুর রেহমান
পরীক্ষামূলক ট্রান্সশিপমেন্টের নামে বিনা ফিতে দ্বিতীয় চালানের প্রথম দফায় যেসব পণ্য ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে গেল। এর ফলে আন্তর্জাতিক আইন লংঘিত হওয়ার পাশপাশি বাংলাদেশ তার ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হয়েছে। কোন ফি নির্ধারণ হওয়ার আগেই এভাবে ৪২ চাকাবিশিষ্ট ভারতীয় ট্রেইলারে পণ্য পরিবহনের ঘটনা দেশবাসীর মনে নানা প্রশ্নের জবাব দেবে। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে ভারতের জোরজবরদস্তিমূলক মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বলে আমি মনে করি। এতে সরকারের ভাবমূর্তি যথেষ্ট নষ্ট হয়েছে। ৪২ চাকাবিশিষ্ট বিশালাকার ও ভারি ট্রেইলারের চলাচলে ওই এলাকার রাস্তাঘাট ও পরিবেশের যথেষ্ট ক্ষতিসাধন হয়েছে। এরই মধ্যে সেখানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি এটা স্থানীয় যানবাহনসমূহের চলাচলের ক্ষেত্রেও তৈরি করছে মারাত্বক প্রতিবন্ধকতা। উদ্ভূত পরিস্থিতির মোকাবেলা কিভাবে করা হবে তা বিবেচনায় এনে আগেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা উচিত ছিল।
ট্রান্সশিপমেন্টের কাজে নিয়োজিত ভারতীয় যানবাহন চলাচলের ফলে সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ যে ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হবে তা কিভাবে পুষিয়ে নেয়া হবে, সেটি এখন পর্যন্ত নির্ধারিত হয়নি। ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্ট নিয়ে ইতিমধ্যে যেসব অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে, তারও কোন সুস্পষ্ট জবাব সরকারের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হওয়া উচিত। সেই সঙ্গে এ আলোচনা সামনে রেখে বিরোধী দলের সংসদে যাওয়া অপরিহার্য বলে মনে করি আমি।
ড. তারেক শামসুর রেহমান
অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
মূল সাক্ষাতকার পর্বটি পাবেন এখানে
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment