রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

গাদ্দাফির মৃত্যু ও পরবর্তী রাজনীতি

শেষ পর্যন্ত হেরে গেলেন গাদ্দাফি। দীর্ঘ আট মাস বিদ্রোহী বাহিনীর আগ্রাসন তিনি ঠেকিয়ে রাখতে পেরেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারলেন না। বিদ্রোহীরা তাঁকে হত্যা করল। কিন্তু এখন কেমন হবে গাদ্দাফি-পরবর্তী লিবিয়ার রাজনীতি? প্রেসিডেন্ট ওবামা লিবিয়ায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন। কিন্তু সেই কাজটি কি খুব সহজ হবে? তবে বলতে দ্বিধা নেই, যুক্তরাষ্ট্র তথা ন্যাটোর বিমান হামলা লিবিয়ায় সরকার পরিবর্তনের ঘটনায় একটা বাজে দৃষ্টান্ত হয়ে রইল। মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশে এখন সরকার পরিবর্তনে (যাদের যুক্তরাষ্ট্র মিত্র মনে করে না) এ ধরনের ব্যবস্থা নিতে পারে পশ্চিমা শক্তিগুলো। লিবিয়ায় গাদ্দাফির ৪২ বছরের শাসনের পতন ঘটতে পারত অন্যভাবে। বিশেষ করে মিসর কিংবা তিউনিসিয়ায় যেভাবে গণ-অভ্যুত্থান হোসনি মুবারক ও বেন আলীর পতন ঘটিয়েছিল, ঠিক সেভাবে গণ-অভ্যুত্থানে পতন ঘটতে পারত গাদ্দাফির। তেমনটি হয়নি। একটি যুদ্ধের মধ্য দিয়ে গাদ্দাফির উৎখাত ও মৃত্যু ঘটল। এমনকি নিরাপত্তা পরিষদ লিবিয়ার ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তাতে সরকার পরিবর্তনের কোনো সিদ্ধান্ত ছিল না। বলা হয়েছিল 'মানবিক হস্তক্ষেপ'-এর কথা। আর তথাকথিত 'মানবিক হস্তক্ষেপ'-এর নামে ন্যাটোর বিমানবহর শেষ দিন পর্যন্ত সেখানে বিমান হামলা চালিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র তথা পশ্চিমা শক্তির এই ভূমিকা নিঃসন্দেহে আন্তর্জাতিক আসরে বিতর্ক বাড়াবে। কেমন হবে এখন লিবিয়া?
প্রথমত, সেখানে গণতন্ত্র উত্তরণের পথটি খুব সহজ হবে না। কেননা গাদ্দাফির দীর্ঘ ৪২ বছরের শাসনামলে সেখানে কোনো গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি বিকশিত হয়নি। সেখানে কোনো সংবিধান ছিল না। একটি দেশ সংবিধান ছাড়া কিভাবে চলতে পারে, লিবিয়া ছিল এর বড় উদাহরণ। গাদ্দাফি নিজে দেশটির প্রেসিডেন্টও ছিলেন না। তাঁকে অভিহিত করা হতো নেতা হিসেবে। একজন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বটে; কিন্তু গাদ্দাফিই ছিলেন মূল ব্যক্তি। তাঁর নামে দেশটি চালিত হতো। গাদ্দাফির ভাষায়, লিবিয়া ছিল 'জনগণের রাষ্ট্র'। 'পিপলস কংগ্রেস' এক ধরনের সংসদ হিসেবে কাজ করত, যার মাধ্যমে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছিলেন গাদ্দাফি। তাঁর রচিত 'গ্রিন বুক'ই ছিল লিবিয়ার তথাকথিত সংবিধান। ওই গ্রিন বুকে লিপিবদ্ধ ছিল লিবিয়ার সরকার কিভাবে পরিচালিত হবে। এখন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে লিবিয়ায় একটি সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে। লিবিয়া এখন প্রেসিডেন্ট শাসিত সরকার দ্বারা পরিচালিত হবে, নাকি সংসদীয় সরকারব্যবস্থা সেখানে প্রবর্তন করা হবে-এটা নিয়েও প্রশ্ন আছে। প্রেসিডেন্ট শাসিত সরকারব্যবস্থা সেখানে প্রবর্তন করা হয়, তাহলে আরেকজন স্বৈরাচারী একনায়কতন্ত্রের আবির্ভাব হওয়া বিচিত্র কিছু নয়। দ্বিতীয়ত, মুস্তাফা আবদেল জলিলের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন সেখানে যুদ্ধ পরিচালনা করেছে এবং গাদ্দাফি-পরবর্তী রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছে। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসনে দ্বন্দ্ব রয়েছে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী মাহমুদ জিবরিলের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে থাকবে। অতীতে আবদেল জলিল গাদ্দাফির বিচারমন্ত্রী ছিলেন। পক্ষ ত্যাগ করে তিনি বিদ্রোহীদের দলে যোগ দেন। কিন্তু জিবরিল যুক্তরাষ্ট্রে থাকতেন। পিটার্সবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করে সেখানেই বসবাস করতেন। সম্ভবত তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। জলিলের চেয়ে জিবরিল যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের খুব কাছের ব্যক্তি হবেন। তৃতীয়ত, যুদ্ধের কারণে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র সাধারণ মানুষের কাছে চলে গেছে। গাদ্দাফি নিজেও অস্ত্রভাণ্ডার খুলে দিয়েছিলেন। ন্যাটোর বিমান থেকেও বিদ্রোহীদের জন্য অস্ত্র ফেলা হয়েছিল। এসব অস্ত্রের হদিস পাওয়া খুব কঠিন হবে। বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে ওইসব অস্ত্রশস্ত্রের মধ্যে। এই অস্ত্র আল-কায়েদার কাছে পেঁৗছে যাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। ফলে গাদ্দাফি-পরবর্তী লিবিয়ায় অস্ত্র একটি বড় ভূমিকা পালন করবে, যা গণতন্ত্রের উত্তরণে কোনো সাহায্য করবে না। চতুর্থত, গাদ্দাফি-পরবর্তী লিবিয়ায় ইসলামী জঙ্গিরা অন্যতম একটি শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে। বেশ কয়েকটি জঙ্গি গ্রুপের খবর পাওয়া যায়, যারা গাদ্দাফির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। যেমন_-বলা যেতে পারে Islamic Fighting Group (IFG), Abu Ubaidah bin Jamuah Brigade, Abdel Hakim Belhadj Group, Tripoli Military Council wKsev Salafi Group-এর কথা। এদের কারো কারো সঙ্গে আল-কায়েদার যোগাযোগ রয়েছে বলেও ধরে নেওয়া হয়। একসময় IFG-কে পশ্চিমা শক্তি সমর্থন করেছিল। ১৯৯৬ সালে গাদ্দাফিবিরোধী আন্দোলনে IFG-কে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করেছিল। এখন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক কী দাঁড়ায়, সেটা দেখার বিষয়। পঞ্চমত, গণতন্ত্রে উত্তরণের জন্য যা দরকার, তা হচ্ছে রাজনৈতিক দল ব্যবস্থাপনা, একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন, নিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থা-যা লিবিয়ায় নেই। এখানে কোনো রাজনৈতিক দল নেই। এখন অন্তর্বর্তী প্রশাসনের সদস্যরা একাধিক দলের জন্ম দিতে পারেন এবং পরস্পরের বিরুদ্ধে ক্ষমতার দ্বন্দ্বে লিপ্ত হতে পারেন। ষষ্ঠ, লিবিয়ায় বেকার সমস্যা প্রকট। জনগোষ্ঠীর ৩০ শতাংশ বেকার। লিবিয়ায় বিশাল তেলের রিজার্ভ থাকলেও, তেলনির্ভর শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি। লিবিয়ার জনগোষ্ঠীর ৪০ শতাংশ হচ্ছে তরুণ। এদের মূল ধারায় নিয়ে আসা, চাকরির ব্যবস্থা করা হবে কঠিন কাজ। না হলে চিরস্থায়ী একটি অস্থিতিশীলতা থাকবেই। সপ্তম, লিবিয়া গোত্রকেন্দ্রিকভাবে বিভক্ত। গোত্রের লোকজন একত্রিত হয়ে মরুভূমি তথা পাহাড়ের নিচে বসবাস করেন। তাঁরা আধুনিকমনস্ক নন। গাদ্দাফি যে গোত্রের প্রতিনিধিত্ব করেন, তাঁরা গাদ্দাফির মৃত্যুকে সহজভাবে নেবেন না। ফলে এক ধরনের বিরোধিতা থেকেই যাবে। উপরন্তু দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের বিরোধের জন্ম হয়েছে। তেলকূপগুলো পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল দক্ষিণাঞ্চল থেকে। অষ্টম, গাদ্দাফির পতনের পর লিবিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা শক্তিগুলোর প্রভাব বাড়বে। পশ্চিমা শক্তিগুলোর আগ্রহ মূলত লিবিয়ার তেল ও গ্যাসের কারণে। বিশ্বের রিজার্ভের ৩৫ শতাংশ তেল রয়েছে লিবিয়ায়, যার পরিমাণ ৬০ মিলিয়ন ব্যারেল। গ্যাস রিজার্ভ রয়েছে এক হাজার ৫০০ বিলিয়ন কিউবিক মিটার। যুদ্ধের আগে প্রতিদিন তেল উত্তোলিত হতো ১ দশমিক ৩ মিলিয়ন ব্যারেল থেকে ১ দশমিক ৬ মিলিয়ন ব্যারেল। ভূমধ্যসাগরের নিচ দিয়ে পাইপের সাহায্যে এই গ্যাস যায় ইতালিতে (Green-stream Pipeline)। লিবিয়ার অভ্যন্তরে মাত্র এক ডলারে এক ব্যারেল তেল পাওয়া যেত। অথচ আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যারেলপ্রতি তেলের মূল্য ১০০ ডলার। সুতরাং আন্তর্জাতিক তেল কম্পানিগুলোর স্বার্থটা কোথায়, তা সহজেই অনুমেয়। লিবিয়ার পুনর্গঠনের নামে তখন লিবিয়ায় ব্যবসা খুঁজছে মার্কিন কম্পানিগুলো। আর লিবিয়া সরকারকে তেল বিক্রি করে (অতিরিক্ত তেল উত্তোলন করে) পুনর্গঠনের বিল পরিশোধ করতে হবে। ঠিক যেমনটি হয়েছে ইরাকে। নবম, যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্র্যাটেজিতে লিবিয়ার অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পেন্টাগন Rebuilding American Defense শীর্ষক যে দীর্ঘ পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে, তাতে লিবিয়া একটি ফ্যাক্টর। লিবিয়ার প্রশাসনকে যদি হাতে রাখা যায়, তাহলে উত্তর আফ্রিকা নিয়ন্ত্রণ করা সহজ। লিবিয়া নিয়ন্ত্রণে এলে পার্শ্ববর্তী শাদ ও নাইজার নিয়ন্ত্রণে আসবে। শাদ ও নাইজারে রয়েছে তেল ও ইউরেনিয়াম, যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য খুবই প্রয়োজন। একুশ শতকে যে নতুন অফ্রিকার জন্ম হতে যাচ্ছে, সেখানে ফ্রাঞ্চ ভাষাভাষী অঞ্চলে কর্তৃত্ব বাড়বে যুক্তরাষ্ট্রের। কঙ্গো, রুয়ান্ডা, আইভরি কোস্ট ছিল একসময় ফ্রান্সের কলোনি। ফরাসি ভাষা এখানে সরকারি ভাষা। এ অঞ্চলে তখন বাড়বে যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃত্ব। ইতিমধ্যেই আফ্রিকায় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে নতুন একটি মিলিটারি কমান্ড AFRICOM। এ জন্য লিবিয়ায় 'বন্ধুপ্রতিম' সরকারের খুব প্রয়োজন ছিল। গাদ্দাফির মৃত্যু এই হিসাবটা সহজ করে দিল। দশম, লিবিয়ার ঘটনাবলি দিয়ে এটা প্রমাণিত হয়ে গেল যে পৃথিবীর যেকোনো রাষ্ট্রের সরকারকে উৎখাত করার ক্ষমতা যুক্তরাষ্ট্র রাখে। তবে অবশ্যই সেই সরকারকে যুক্তরাষ্ট্রের অপছন্দের হতে হবে। অতীতে গাদ্দাফিকে যুক্তরাষ্ট্র তার স্বার্থে ব্যবহার করেছে। ইরাকে সাদ্দামের বিরুদ্ধে অভিযানের সময়ও যুক্তরাষ্ট্র গাদ্দাফিকে তার স্বার্থে ব্যবহার করেছিল। এখন প্রয়োজন ফুরিয়ে যাওয়ায় গাদ্দাফিকে চলে যেতে হলো। এভাবে একটি স্বাধীন দেশে ন্যাটোর বিমানবহর দিয়ে হামলা কোনো আন্তর্জাতিক আইন অনুমোদন করে না। লিবিয়ায় যুদ্ধ শুরু করার জন্য ওবামা নিজেও আজ যুক্তরাষ্ট্রে অভিযুক্ত। কেননা প্রেসিডেন্ট যুদ্ধ শুরু করতে পারেন না। যুদ্ধ শুরু করার অধিকার কংগ্রেসের। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানও আগ্রাসীদের বিরুদ্ধে। ১৯২৮ সালের Kellogg-Briand Pact ও যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক কোনো যুদ্ধের অনুমোদন দেয় না। জাতিসংঘের সনদে যেখানে অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ ঘটনায় হস্তক্ষেপ না করার কথা বলা হয়েছে, সেখানে ওবামা লিবিয়ার অভ্যন্তরীণ ঘটনায় হস্তক্ষেপ করেছেন। অথচ শান্তির জন্য ওবামাকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। গাদ্দাফি যদি মানবতার বিরুদ্ধে কোনো অপরাধ করে থাকেন, তাহলে International War Tribunal-এ তাঁর বিচার হতে পারত। এখন লিবিয়ায় ন্যাটোর বিমান হামলা চালানোর অনুমতি দিয়ে এবং National Transitional Council-কে ক্ষমতা দখল করার সুযোগ করে দিয়ে ওবামা আজ নিজেই অপরাধী হলেন। লিবিয়ার পর সিরিয়া ও ইরান এখন ঝুঁকির মুখে থাকল। এ দেশ দুটিতে যেকোনো সময় হামলা হতে পারে। আসলে ওবামার জন্য যুদ্ধটা দরকার ছিল। যুদ্ধ মানেই ব্যবসা। ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক দুরবস্থার মুখে 'যুদ্ধ অর্থনীতি' ওবামাকে একটি 'রাজনৈতিক জীবন' দিতে পারে।
গাদ্দাফির মৃত্যুর মধ্য দিয়ে একটি 'ইতিহাসের' অবসান ঘটল। গাদ্দাফি জীবদ্দশায় নিন্দা যেমন কুড়িয়েছেন, তেমনি প্রশংসিতও হয়েছেন। উন্নয়নশীল বিশ্বের অনেক দেশ তাঁকে বন্ধু মনে করত। যে কয়জন ব্যক্তি আন্তর্জাতিক আসরে উন্নয়নশীল বিশ্বের পক্ষে কথা বলতেন, গাদ্দাফি ছিলেন তাঁদের একজন। তাঁর মৃত্যু নিঃসন্দেহে একজন 'বন্ধুকে' হারাল তৃতীয় বিশ্ব। তাঁর এই মৃত্যু কাম্য ছিল না। তিনি যদি আগে সংস্কারটা শুরু করতেন, তাহলে তাঁর পতন এভাবে হতো না। তবে লিবিয়া নিয়ে অনেক প্রশ্ন থেকে গেল। তাঁর মৃত্যু সেই সব প্রশ্নের কোনো জবাব দেবে না।
ড. তারেক শামসুর রেহমান
অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়,
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক সদস্য,
tsrahmanbd@yahoo.com 

2 comments: