রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

‘অক্যুপাই শাহবাগ’ আন্দোলনের প্লাস-মাইনাস

‘অক্যুপাই শাহবাগ’ আন্দোলন আপাতত: একটি পরিসমাপ্তির দিকে গিয়েছিল। গত ২১ ফেব্র“য়ারি গণজাগরণ মঞ্চ থেকে ঘোষণা করা হয় ছয় দফা কর্মসূচি। আগামী ২৬ মার্চের মধ্যে জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার আহ্বান জানিয়েছেন ব্লগার ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট নেটওয়ার্কের নেতারা। চব্বিশ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি আর থাকবে না; তবে আন্দোলন চলবে ভিন্ন মাত্রায় এই ছিল সেদিনের সিদ্ধান্ত। কিন্তু গত শুক্রবার বিপক্ষরা ঢাকাসহ সারাদেশে যে কর্মকাণ্ড চালায় এর পরিপ্রেক্ষিতে তরুণরা আবার অবস্থান নেয় শাহবাগে। এই আন্দোলন থেকে আমাদের অনেক কিছু পাওয়ার আছে। এদেশে তরুণ সমাজ যে একটি শক্তি, তা প্রমাণিত হলো। আগামী দিনের রাজনীতিতে এ তরুণ সমাজকে গ্রহণ করে নিতে হবে বড় দলগুলোকে এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও শাস্তি দাবি করে যে আন্দোলন গড়ে উঠেছে তাতে একটি জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টি হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষেই এ ‘সত্যটি’ অস্বীকার করা এখন কঠিন। তবে শুধু যে জামায়াতে ইসলামীর মাঝেই যুদ্ধাপরাধী আছে তা নয়; বরং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং জাতীয় পার্টির মধ্যেও যুদ্ধাপরাধী আছে এই অভিযোগ নানা মহল থেকে উঠেছে। বর্তমান সমাজে নানা সমস্যা বিরাজমান। বিশেষ করে সব স্তরে দুর্নীতি এখন ‘ওপেনসিক্রেট’।
দুর্নীতিবাজদের বিচার হয় না। ক্ষমতাসীনদের এখন এ বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে; না হলে ‘দ্বিতীয় আরেকটি শাহবাগে’র জš§ হওয়া বিচিত্র কোনো বিষয় নয়। নিঃসন্দেহে এই আন্দোলন বিএনপিকে অনেক পেছনে ফেলে দিয়েছে। তবে তাই বলে সরকারের উৎফুল্ল হওয়ারও কোনো কারণ নেই। বরং এখান থেকে সরকার আÍস্থ করার মতো অনেক কিছু নিতে পারে। একই সঙ্গে নানা বিষয়ে তাদের অধিকতর সতর্কতার ব্যাপারটিও আমলে রাখা দরকার।
বাংলাদেশের চলমান রাজনীতি তথা আগামী রাজনীতির জন্য এ আন্দোলন একটি বড় ভূমিকা রাখবে। বিশেষ করে এ আন্দোলনের নেতা ব্লগার ডা. ইমরানের একটি কথা আমি এখানে উল্লেখ করতে চাই। তিনি বলেছেন, এই আন্দোলন তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে হবে। এখন দেখতে হবে শাহবাগ আন্দোলনকারীরা এ আন্দোলনকে একটি সাংগঠনিক রূপ দেন কি না, কিংবা কীভাবে এ আন্দোলনকে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দেন। তাদের সঙ্গে সরকারি দলের সম্পর্কও কোন পর্যায়ে যায়, তা-ও দেখার বিষয়।
কেননা ইমরানের অতীত ইতিহাস ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তবে এ আন্দোলনে তার সহযোদ্ধারা বাম মতাদর্শে বিশ্বাসী এবং বিভিন্ন বাম সংগঠনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। এই আন্দোলন যদি বেশি মাত্রায় সরকার ঘেঁষা হয়ে যায় ও জনমনে স্পর্শ করে এমন সব বিষয় নিয়ে কোনো বক্তব্য না আসে, তাহলে এ আন্দোলন তার আবেদন হারিয়ে ফেলবে। যুদ্ধাপরাধীর ব্যাপারে একটা জনমত সৃষ্টি হয়েছে। সরকার ইতিমধ্যে আইনও সংশোধন করেছে। ৬০ দিনে চূড়ান্ত বিচার সম্পন্ন হবে। তবে জামায়াতের কর্মকাণ্ড যদি আমাদের উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার জন্য বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে হোক জামায়াত নিষিদ্ধ। আমরা তাতে স্বস্তি পাই। কিন্তু ইতিহাস বড় নির্মম। অতীতে জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ, জাসদ তথা বাম মনা কয়েকটি রাজনৈতিক দল বিএনপির বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল।
একসঙ্গে জামায়াত নেতাদের সঙ্গে তোলা ছবি এখনও ফেসবুকে আছে। এর যুক্তি যা-ই হোক না কেন, সেদিন আমাদের রাজনীতিবিদদের মাঝে জামায়াতের মানবতাবিরোধী অপরাধ বড় হয়ে দেখা দেয়নি। আমি ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী ব্যারোনেস সৈয়দা ওয়ার্সির সঙ্গে একমতÑগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সব সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত। জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার বিপক্ষে যুক্তরাজ্য। কিন্তু বাংলাদেশের তরুণ প্রজš§ জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে, তাই বিষয়টি সরকার জনমত যাচাই করে দেখতে পারে।  আর যদি জামায়াতকে নিষিদ্ধও করা হয়, কিন্তু তাদের শত শত কর্মীকে নিষিদ্ধ করা যাবে কী? এরা তখন কোথায় যাবে? তারা তখন বাধ্য হবে আরেকটি দল করতে। অনেকেরই মনে থাকার কথা, স্বাধীনতার বেশ কিছুদিন পর জামায়াত প্রথমবারের মতো ইসলামিক ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ব্যানারে আÍপ্রকাশ করেছিল। ১৯৭৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুসলিম লীগের সঙ্গে ঐক্য করে তারা নির্বাচনও করেছিল। পরবর্তীকালে তারা জামায়াতে ইসলামী নাম নিয়ে আবার রাজনীতি শুরু করে। বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের ‘ঐক্য’ নিয়ে নানা কথা হয়। কিন্তু এই জামায়াতই ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ‘মিত্র’ ভেবে একসঙ্গে নির্বাচন করেছিল। ওই নির্বাচনে জামায়াত পেয়েছিল ১০টি আসন। আর আওয়ামী লীগ ৭৬টি। বিএনপি ওই নির্বাচনে অংশ নেয়নি।
১৯৯১ সালের নির্বাচনেও জামায়াত বিএনপির সঙ্গে ঐক্য করেনি। ওই নির্বাচনে জামায়াত ২১২ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হয়েছিল ১৮টিতে। তবে বিএনপির সঙ্গে ঐক্য হয়েছিল নির্বাচনের পর। তুরস্কে ইসলামপন্থি হিসেবে পরিচিত ইসলামিক ওয়েলফেয়ার পার্টিকে সেনা নেতৃত্ব নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। অথচ দলটির নেতা নেকমাতিন এরবাকানের নেতৃত্বে এবং ধর্মনিরপেক্ষ দল হিসেবে পরিচিত ট্র–পাথ পার্টির (সাবেক প্রধানমন্ত্রী তানসু সিলারের নেতৃত্বে) সমন্বয়ে নব্বইয়ের শেষের দিকে একটি সরকার গঠিত হয়েছিল। সেনাবাহিনীর চাপে ১৯৯৭ সালের জুন মাসে এরবাকান পদত্যাগ করেন।
পরে দলটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। অতঃপর সংগঠনের কর্মীরা সেখানে জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির ব্যানারে সংগঠিত হন। দলটি পর পর তিনবার (২০০২, ২০০৭, ২০১২) জনগণের ভোটে ক্ষমতায়। আরো একটি কথা, ইসলামপন্থিরা আর ধর্মনিরপেক্ষবাদীরা যে একসঙ্গে কাজ করতে পারেন, সরকার গঠন করতে পারেন, আরব বিশ্বের সাম্প্রতিক রাজনীতি তার বড় প্রমাণ। শুধু তুরস্কের কথা কেন বলি, তিউনিসিয়ায় ‘জেসমিন বিপ্লব’-এর পর ২০১১ সালে যে নির্বাচন হয়েছিল, তাতে বিজয়ী হয়েছিল ইসলামপন্থি দল হিসেবে পরিচিত এন্নাহদা পার্টি। জয়নুল আবেদিন বিন আলির দীর্ঘ ২৩ বছরের শাসনামলে এ দলটি সেখানে নিষিদ্ধ ছিল।
দলটির নেতা ঘান্নুচি দীর্ঘদিন লন্ডনে নির্বাসিত জীবনযাপন করেছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের পর এন্নাহদা ধর্মনিরপেক্ষবাদী দল কংগ্রেস ফর দ্য রিপাবলিক ও এত্তাকাতুল পার্টির সঙ্গে কোয়ালিশন সরকার গঠন করেছিল। একই ঘটনা আমরা দেখেছি মরক্কোতে। সেখানে ২০১২ সালে যে নির্বাচন হয়েছিল, তাতে ইসলামপন্থি দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি বিজয়ী হয়েছিল। কিন্তু তারা ধর্মনিরপেক্ষ তথা সমাজতন্ত্রীদের সঙ্গে একটি জোট সরকার গঠন করেছে। সুতরাং দল নিষিদ্ধ করা কোনো সমাধান নয়। বাংলাদেশে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলেও তারা অন্য ব্যানারে আবির্ভূত হবে। এমন নজির বাংলাদেশে আছে।
এ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যু হারিয়ে গেছে। আন্দোলনকারী তথা সুুশীল সমাজ এ ইস্যু নিয়ে এখন আর কথা বলেন না। মানুষের কেন্দ্রবিন্দু এখন শাহবাগ। বিএনপি এ আন্দোলনকে আবার চাঙ্গা করতে পারবে কি না কিংবা জনগণকে আবার এই ইস্যুতে একত্রিত করতে পারবে কি না, তা এক কঠিন প্রশ্ন।
যদিও বিএনপি নেতারা বলছেন, ১৮ মার্চের কাউন্সিলের পর তারা আন্দোলনে নামবেন। কিন্তু বিষয়টি যত সহজভাবে বলা হচ্ছে, তত সহজ নয়। শাহবাগ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সরকারের লাভ হয়েছে অনেক এক. তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যু হারিয়ে গেছে। দুর্নীতির বিষয়গুলো, বিশেষ করে পদ্মা সেতুর বিষয়টি এখন চাপা পড়ে গেছে। দুই. জামায়াতকে চাপের মুখে রেখে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের সম্পর্কে ফাটল ধরাতে সক্ষম হয়েছে। তিন. জামায়াতের নেতৃত্বে একটি বিকল্প ‘ইসলামী জোট’ গঠন, যাতে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা থাকবে, তা হয়তো এখন সময়ের ব্যাপারমাত্র। চার. তরুণ প্রজš§কে বিএনপির কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে সরকার সক্ষম হয়েছে। পাঁচ, তরুণ প্রজš§ এ আন্দোলন সংগঠিত করলেও এর অন্যতম ‘বেনিফিশিয়ারি’ আওয়ামী লীগ।
শাহবাগ আন্দোলন এখন নতুন দিকে টার্ন নিয়েছে। তারা ২১ ফেব্র“য়ারি গণজাগরণ মঞ্চে ছয় দফা দিয়েছে। শাহবাগে তরুণ প্রজšে§র ডাকে আবার সর্বস্তরের মানুষ জড়ো হয়েছে। তারা চূড়ান্ত সময়সীমা (২৬ মার্চ) নির্ধারণ করে দিয়েছে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার। এখন রাজনীতিকে সঠিক পথে চালিত করার দায়িত্ব সরকারের। শাহবাগ আন্দোলন বাংলাদেশের আগামী দিনের আন্দোলনকে আরো প্রভাবিত করবে। শাহবাগ আন্দোলনের বার্তাগুলো খুব স্পষ্ট। আগেই বলেছি এই আন্দোলন সরকারকে অনেক কিছু দিয়েছে কিন্তু এর মর্ম আÍস্থ করতে না পারলে সাধারণ মানুষের আকাক্সক্ষা মাঠে মারা যাবে। এখন সরকার কতটুকু সচেতন হবে, তা দেখার বিষয়। তত্ত্বাবধায়ক না হোক, একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যাপারে সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এক্ষেত্রে বিএনপির সঙ্গে কথা বলা ও একটি ‘ডায়ালগ ওপেন’ করা বাঞ্ছনীয়।
মনে রাখতে হবে, এককভাবে নির্বাচন করলে সেই নির্বাচনের কোনো গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না। দাতাগোষ্ঠী সবাই সব দলের অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন চান। বিএনপিকে অবশ্যই নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। আর সেই নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করার দায়িত্ব সরকারের। শাহবাগ আন্দোলন নিয়ে আÍতুষ্টিতে ভোগার কোনো কারণ নেই। ২০১১ সালে নিউইয়র্কে যে ‘অক্যুপাই মুভমেন্ট’-এর জš§ হয়েছিল, আজ সেই আন্দোলনের খবর কেউ জানে না। তিউনিসিয়ায় ‘জেসমিন বিপ্লব’ শুধু বেন আলির পতনই ত্বরান্বিত করেনি, বরং ‘আরব বসন্ত’ শুরু করেছিল। আর ‘আরব বসন্ত’ মিসর, ইয়েমেন, লিবিয়ায় পরিবর্তন ডেকে এনেছিল।
কায়রোর তাহরির স্কয়ারের বিপ্লব ২০১১ সালে হোসনি মোবারকের পতন ডেকে এনেছিল। সেই আবেদনও এখন আর নেই। ‘আরব বসন্ত’ আরব বিশ্বে পরিবর্তন ডেকে এনেছিল। ক্ষমতাসীনদের পতন ত্বরান্বিত করেছিল। বাংলাদেশে পার্থক্য এখানেই যে, তারা সরকারের পতন ঘটায়নি; তাদের উদ্দেশ্যও তেমনটি নয়। তবে সরকারকে তারুণ্যের এই স্পিরিটকে বুঝতে হবে। তরুণ সমাজ পরিবর্তনের পক্ষে (যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ডাক দিয়ে তারা সমাজে পরিবর্তন আনতে চেয়েছে)। দুর্নীতিমুক্ত সমাজ তারা চায়। চায় সুশাসন। জনগণের অধিকার।
শাহবাগের আন্দোলন সব অন্ধকারের বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে, সময়ের তাগিদ অনুভব করে তারুণ্যের আহ্বানে এ আন্দোলন গড়ে উঠেছে। তারুণ্যই এখানে মূল শক্তি। এই তারুণ্য সব দেশে সব সমাজেই বড় শক্তি। এই অধিকার যদি নিশ্চিত করা না যায়, তাহলে ‘আরেকটি শাহবাগে’র জš§ হওয়া বিচিত্র কোনো বিষয় নয়। আমার বিশ্বাস, সরকার এটা অনুধাবন করতে পারবে এবং সমাজে যে অসংগতি, তা দূর করার উদ্যোগ নেবেন। শাহবাগ আন্দোলন আমাদের চোখ খুলে দিল। বিরোধী দল নয়, বরং সরকারকেই এখন এ আন্দোলন থেকে বেশি শিক্ষা নিতে হবে।
অনেকের অনেক ভুল শুধরে নেয়ার তাগিদটাও শাহবাগ আন্দোলন থেকে এসেছে। ২১ ফেব্র“য়ারি গণজাগরণ মঞ্চে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতি এ আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে। অভিযোগ উঠতে পারে, ছাত্রলীগের উদ্যোগে(?) এই আন্দোলন পরিচালিত হয়েছে এবং এর পেছনে সরকারের ইন্ধন আছে। আমি ঠিক বুঝতে পারি না, কেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ওখানে গেলেন। তারা তো আগেই সংহতি জানিয়েছিলেন। কর্মসূচি দেয়ার সময় তাদের উপস্থিতির প্রয়োজন ছিল না। তরুণ প্রজš§ আগামীতে এসব ব্যাপারে যদি সতর্ক থাকে, তাহলে ভালো। সাধারণ মানুষ এই আন্দোলনকে দলনিরপেক্ষ আন্দোলন হিসেবেই দেখাতে চাচ্ছে। সুতরাং আন্দোলনের সংগঠকরা যদি এটা বোঝেন, তাহলেই কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জন হবে, জাতিরও মঙ্গল হবে। বারবার এমন গণসাধারণ ঘটে না।
Daily Manobkontho
26.2.13

0 comments:

Post a Comment