রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

সতর্কবার্তাটি অনুধাবন করুন


সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ আবার মুখ খুলেছেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি বলেছেন, রাজনৈতিকভাবে সমাধান না হলে ফের এক-এগারো। তার এমন বক্তব্য গুরুত্বের সঙ্গে ছাপা হয়েছে গত ২৭ জানুয়ারির সংবাদপত্রে। এক-এগারো নিয়ে এমন নানা কথা নানা মহলে। কিছুদিন আগে বুদ্ধিজীবীকেন্দ্রিক একটি সেমিনারেও প্রায় একই সুরে কথা হয়েছিল। এখন বললেন এরশাদ। তিনি একটি জোটে আছেন। এই জোট ক্ষমতায়। তার দল মন্ত্রিসভায়ও আছে। তবে ব্যক্তিগতভাবে প্রায়ই তিনি দুঃখ করে বলেন, তিনি প্রতারিত হয়েছেন। কিছুই পাননি। তার কথাকে আমি গুরুত্ব দিতে চাই। তিনি এর আগেও এ ধরনের কথা বলেছেন। এককভাবে নির্বাচনের কথা তিনি বলে আসছেন গত ৫-৬ মাস থেকেই।
কিন্তু আসলে পরিস্থিতিটা কী? আসলেই কি এক-এগারো আসবে? পরিস্থিতি সংঘাতময়, এ ব্যাপারে আমার দ্বিমত নেই। তাই বলে আবারও এক-এগারো আসবে? আমার তা মনে হয় না। আমি একাধিক যুক্তি তুলে দেখাতে পারব আদৌ এক-এগারোর কোন সম্ভাবনা নেই। প্রথমত, ২০০৭ সালের পরিস্থিতি আর আজকের পরিস্থিতির মধ্যে ‘কিছুটা’ মিল থাকলেও যে বড় অমিলটি রয়েছে তা হচ্ছে, একটি রাজনৈতিক সরকার এখন ক্ষমতায়। ২০০৭ সালে রাজনৈতিক কোন সরকার ক্ষমতায় ছিল না। একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় ছিল, যা ছিল সেনাসমর্থিত। আজকে সে রকম পরিস্থিতি নেই। দ্বিতীয়ত, এক-এগারোর সময় কিছু উচ্চাভিলাষী সেনা কর্মকর্তা একটি সিভিল প্রশাসনকে সামনে রেখে ক্ষমতা ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন। আজকের পরিস্থিতি সে কথা বলে না। আমাদের সেনাবাহিনী এখন পরিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক নেতৃত্বে পূর্ণ আস্থাশীল। সেনাবাহিনীর বর্তমান নেতৃত্ব এটা বারবার নিশ্চিত করেছেন যে, রাজনৈতিক নেতৃত্বই বাংলাদেশের গণতন্ত্র চর্চাকে আরও উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যাবে। যে পরিস্থিতিতে সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ সংবিধান লংঘন করে নিজেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন, সেটা কাম্য ছিল না। তার অর্থহীন সিদ্ধান্ত দেশে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে দেশের দুই শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকালীন তারা যে মানসিক নির্যাতনের সম্মুখীন হয়েছিলেন, তা তারা জানেন ও বোঝেনও। তাই আমার মনে হয়, দেশে এমন কোন পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে না, যাতে করে ২০০৭ সালের মতো একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সাবেক রাষ্ট্রপতি হয়তো পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে ‘সতর্ক’ করে দিয়েছেন। তার এই বক্তব্যের মাঝে যে বার্তাটি কাজ করছে, তা হচ্ছে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি সমঝোতা প্রয়োজন।
বহুল আলোচিত এক-এগারোর সঙ্গে তৃতীয় শক্তির বিষয়টিও সরাসরি সম্পৃক্ত। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক-এগারোর (১১ জানুয়ারি ২০০৭) ঘটনার পরও আমরা একটি তৃতীয় শক্তির কথা শুনেছিলাম। সেই তৃতীয় শক্তি বিকশিত হয়নি। আজ ঠিক পাঁচ বছর পর আবার তৃতীয় শক্তির কথা উঠেছে। গত ৭ জুন নাগরিক ঐক্যের উদ্যোগে আয়োজিত এক সেমিনারে এই তৃতীয় শক্তি গড়ার কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে দুই বড় দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে তৃতীয় ধারা সৃষ্টির প্রয়াস অনেকদিন ধরেই নেয়া হচ্ছে। কিন্তু সমাজে তা আদৌ কোন প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। এক সময় জাতীয় পার্টি বা বাম ধারার দলগুলোকে তৃতীয় ধারার অন্তর্ভুক্ত বলে মনে করা হতো। জাতীয় পার্টি সেই অর্থে সংসদকেন্দ্রিক একটি তৃতীয় শক্তি। উত্তরবঙ্গকেন্দ্রিক জনপ্রিয়তা দলটিকে একটি শক্তিতে পরিণত করেছে। কিন্তু বাম দলগুলোর আদৌ কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই। মাহমুদুর রহমান মান্নার উদ্যোগে গড়ে ওঠা নাগরিক ঐক্য আদৌ একটি তৃতীয় ধারার সূচনা করবে, এ বিশ্বাস রাখতে পারছি না। কিংবা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা একটি তৃতীয় ধারার জš§ দেবেন, এটিও মনে হয় না।
এটা স্বীকার করতেই হবে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুটি অবিসংবাদিত শক্তি। আওয়ামী লীগ একটি ঐতিহ্যমণ্ডিত দল। তাদের রয়েছে দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা। যে কারণে ১৯৭৫ সালের বিয়োগান্তক ঘটনার পরও দলটি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ১৯৯৬ ও ২০০৯ সালে দু-দু’বার সরকারও গঠন করেছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের বিকল্প হিসেবে বিএনপি একটি ধারা তৈরি করেছে। বিএনপি আওয়ামী লীগের বিকল্প শক্তি। এই বিকল্প শক্তি বাংলাদেশে একটি দ্বিদলীয় রাজনীতির সূচনা করেছে। পরিসংখ্যান বলে, সংসদীয় রাজনীতিতে এ দল দুটোর অবস্থান অত্যন্ত শক্তিশালী। প্রথম সংসদ থেকে শুরু করে সর্বশেষ নবম সংসদ পর্যন্ত সংসদীয় রাজনীতির যে ধারা তাতে দেখা যায়, যেখানে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে, সেখানে বিএনপির অবস্থান বিরোধী শিবিরে। শক্তিশালী তৃতীয় কোন পক্ষ বিকশিত হয়নি। স্বতন্ত্ররা প্রথম সংসদে (৪টি আসন), মুসলিম লীগ-আইডিএল দ্বিতীয় সংসদে (২০ আসনে), জাতীয় পার্টি (৫ম, ৭ম, ৮ম, ৯ম) তৃতীয় অবস্থানে থাকলেও বরাবরই সরকারের অংশীদার। ফলে তৃতীয় শক্তি বিকশিত হতে পারেনি। এখন বাংলাদেশে একটি তৃতীয় শক্তির প্রয়োজনীয়তার কথাও আকারে ইঙ্গিতে বলছেন দাতারা। দুর্নীতির প্রশ্নটি এখন সামনে চলে এসেছে। বলা হচ্ছে, তথাকথিত তৃতীয় শক্তি দুর্নীতিমুক্ত থাকবে। এই দুর্নীতিমুক্ত রাজনীতির কথা বলছে নাগরিক ঐক্য। পদ্মা সেতু নিয়ে সরকারের সঙ্গে বিশ্বব্যাংক তথা দাতাগোষ্ঠীর একটি ‘বিরোধ’ তৈরি হয়েছে। বিশ্বব্যাংক সরাসরি দুর্নীতির প্রশ্ন তুলেছে। এই ‘দুর্নীতি’র ইস্যুটি বিশ্বব্যাংক তথা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে খুব জনপ্রিয় একটি শব্দ। এটা ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র তৃতীয় বিশ্বে সরকার পরিবর্তন করায়। পাকিস্তানে তারা ইমরান খানকে সামনে নিয়ে এসেছে। মিসরে ‘আরব বসন্তে’ দুর্নীতির বিষয়টি ছিল মুখ্য। মজার ব্যাপার হচ্ছে, যারা মিসরে ‘আরব বসন্ত’ সংঘটিত করেছিল, তাদের নেতৃত্বে অনেকেই ওয়াশিংটনে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। এখন মিসরে পরিবর্তন এসেছে। যুক্তরাষ্ট্র উন্নয়নশীল বিশ্বে গণতন্ত্র বিনির্মাণে তরুণ সমাজ, সুশীল সমাজকে ‘প্রমোট’ করে। পাঠক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের বাংলাদেশ সফরের কথা স্মরণ করুন। হিলারি ক্লিনটন তৃতীয় বা চতুর্থ রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে দেখা না করলেও তরুণ সম্প্রদায়ের সঙ্গে মিলিত হয়েছিলেন এবং রাষ্ট্র গঠন প্রক্রিয়ায় তরুণদের ভূমিকার প্রশংসা করেছিলেন। এখন যারা নাগরিক ঐক্যের ব্যানারে সংগঠিত হয়েছেন, তাদের রাজনৈতিক পরিচয় তেমন একটা নেই। তারা মূলত সুশীল সমাজেরই প্রতিনিধিত্ব করছেন। সঙ্গত কারণেই যে আশংকাটা থেকে যায় তা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র যে সুশীল সমাজকে ‘প্রমোট’ করছে, তারাই কি নাগরিক ঐক্যের ব্যানারে সংগঠিত হচ্ছে? অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী কিংবা ড. কামাল হোসেনেরও তেমন গ্রহণযোগ্যতা নেই।
এক-এগারোর প্রশ্নটা এলো এ কারণেই যে, দুই বড় দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি আগামী নির্বাচন সামনে রেখে দেশে একটি বড় ধরনের সংকট তৈরি করেছে। বিগত পঞ্চম সংসদের পর প্রতিটি সংসদ নির্বাচন (ষষ্ঠ সংসদ বাদে) তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার হচ্ছে একটি দলনিরপেক্ষ সরকার, যারা নির্বাচন পরিচালনা করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়েছে। এই নিরপেক্ষ সরকারের ধারণা বহির্বিশ্বে যথেষ্ট সমর্থন পেয়েছে। এক সময় এ কথাও বলা হয়েছিল যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণা তৃতীয় বিশ্বের জন্য একটি মডেল হতে পারে। বর্তমানে পাকিস্তানও এ ধরনের একটি ধারণা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। পাকিস্তানে পরবর্তী নির্বাচন তত্ত্বাবধান করবে একটি নিরপেক্ষ সরকার। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণার ‘মৃত্যু’ ঘটিয়েছিলেন।
আমাদের জন্য এটা ছিল সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার জনপ্রিয়তা পেলেও এ মুহূর্তে আমরা এ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলতে পারছি না। কেননা সংবিধানে এই মুহূর্তে এ ধরনের কোন ব্যবস্থা নেই। যদিও সম্প্রতি বেশ কটি পত্রিকা যে জনমত জরিপ প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, জনমত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে। সংশোধিত সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা না থাকলেও একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে এ ধরনের ব্যবস্থা ছাড়া কোন বিকল্পও নেই। ইতিমধ্যে জাতি দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। এক পক্ষ চাচ্ছে নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার, অন্যদিকে অপর পক্ষ চাচ্ছে সাংবিধানিক ধারা অনুসরণ করে ক্ষমতাসীন সরকার তথা প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতায় রেখেই একটি নির্বাচন সম্পন্ন করতে। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কথা বলেছেন, যেখানে বিরোধী দল বিএনপিও সেই সরকারে অংশ নিতে পারে। কিন্তু বিএনপি এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। এখানে বলা ভালো, সরকারি দল নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতায় রেখেই দশম জাতীয় সংসদ আয়োজনের পক্ষে। অন্যদিকে বিএনপি তথা ১৮ দল চাচ্ছে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এখানে এই দুটি বড় দল বা জোটের বাইরে যারা রয়েছেন, তারাও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে। এমনকি মহাজোটের শরিকদের মাঝেও কেউ কেউ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে। এ অবস্থায় আগামী নির্বাচন নিয়ে একটা বড় ধরনের সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপি তথা ১৮ দল যদি নির্বাচনে অংশ না নেয়, তাহলে ওই নির্বাচনের কোন গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না।
দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়েছিল ১৯৯৬ সালে। সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়েছিল। কিন্তু উচ্চ আদালতের একটি রায়ের ফলে এ ব্যবস্থা বাতিল হয় এবং পরবর্তী সময়ে সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তা রহিত হয়। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পশ্চিমা সংস্কৃতির ধারায় ক্ষমতাসীন সরকারকে রেখে যে নির্বাচন, সেই সংস্কৃতি গড়ে ওঠেনি। পরস্পরের প্রতি বিদ্বেষ, ক্ষমতা ধরে রাখার প্রবণতা, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ইত্যাদি কারণে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ছাড়া নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই।
তাই সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ যখন এক-এগারোর কথা বলেন, তখন এটাকে হালকাভাবে নেয়ার কোন সুযোগ নেই। আমরা চাই না অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতা পরিচালনা করুক। এক্ষেত্রে ১৯৯৬ সালের মডেলে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার না হোক, একটি নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। সংসদে নির্বাচিত এমন কেউ নিশ্চয়ই আছেন, যিনি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য একটি নিরপেক্ষ সরকারের নেতৃত্ব দিতে পারেন। তবে তার নিজের নিরপেক্ষতার স্বার্থে তিনি আর দশম নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না। স্পিকার প্রবীণ ব্যক্তি। জীবনের শেষ সময়ে এসে তিনি নিজেও দেশকে এই সংকট থেকে উদ্ধার করতে পারেন। তিনি নিজে এ নিরপেক্ষ সরকারের নেতৃত্ব দিতে পারেন। এক্ষেত্রে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ থেকে সমসংখ্যক প্রতিনিধি নিয়ে একটি সরকার গঠন করতে পারেন। মোট কথা, একটি নির্বাচন আমরা চাই। আর সেই নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য এবং ওই নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ থাকবে। এইচ এম এরশাদ সাবেক রাষ্ট্রপতি। তার আশংকার প্রতি যদি সরকার দৃষ্টি দেয়, বিষয়টির গভীরতা অনুভব করে, তাহলে সবারই মঙ্গল।
Daily JUGANTOR
09.02.13

0 comments:

Post a Comment