রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

সর্বত্র একই প্রশ্ন- দেশ কোন পথে?

শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র গিয়েছিলাম। ছিলাম বেশ কিছুদিন। হৃদযন্ত্রে ছোটখাটো অপারেশনও হয়েছে। নিউইয়র্কের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে স্বাস্থ্য উদ্ধারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অনেক জায়গাতেই ঘুরে বেড়িয়েছি দীর্ঘ চার মাস। নিউইয়র্ক থেকে ওয়াশিংটন, ডালাস, অস্ট্রিন, হিউস্টন ও পেনসেলভেনিয়া- যেখানেই গেছি, বাংলাদেশীরা একটা প্রশ্নই আমাকে করেছেন : কোন পথে বাংলাদেশ? রাজনীতি বিজ্ঞান আর আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ছাত্র হিসেবে আমি বুঝতে চেষ্টা করেছি তাদের মনোভাব। কিন্তু সত্যিকার অর্থেই তাদের সবার প্রশ্নের জবাব দেয়া আমার জন্য অত সহজ ছিল না। দ্বিতীয় দফা ৬০ ঘণ্টার হরতালের মাঝে আমার ঢাকায় ফেরা। ঢাকায় ফিরে সেই পুরনো প্রশ্নের মুখোমুখি আমি। যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি আমি হয়েছিলাম যুক্তরাষ্ট্রের সর্বত্র। দুই নেত্রীর মাঝে ফোনালাপ হল। তা মিডিয়ায় ফাঁসও করা হল। এটি কতটুকু সঠিক হয়েছে, কিংবা এর সঙ্গে নৈতিকতার প্রশ্নটি কতটুকু জড়িত- এ প্রশ্নটি আমার কাছে যতটুকু না গুরুত্বপূর্ণ, তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ এই ফোনালাপের বক্তব্য আমাদের জাতীয় নেতাদের ‘ইমেজ’ বৃদ্ধিতে আদৌ সাহায্য করেছে কি-না? নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে আমার জার্মানি প্রবাসী বন্ধু মুকিত চৌধুরী এবং স্থানীয় একটি বাংলা পত্রিকার সম্পাদক নাজমুল আশরাফের সঙ্গে আলাপচারিতায়ও আমি এর কোনো জবাব দিতে পারিনি।
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে দুই নেত্রীর ওপর- এটা অস্বীকার করা যাবে না। এটা বাস্তবতা। কিন্তু লন্ডনের বহুল পঠিত ও গ্রহণযোগ্য নিউজ ম্যাগাজিন ‘দি ইকোনমিস্ট’ দুই নেত্রীর ফোনালাপকে যখন ‘বৃথা’ ও ‘স্রেফ ঝগড়া’ কিংবা বাংলাদেশের রাজনীতিকে ‘পুতুল নাচে’র সঙ্গে তুলনা করে, তখন আমার মাথা হেট হয়ে যায়। দুই নেত্রীর মধ্যকার আলাপের বিষয়বস্তু হওয়া উচিত ছিল নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে, সেখানে অতীত টেনে আনা উচিত হয়নি। একজন অপরজনকে অভিযুক্ত করার প্রবণতাও ভালো নয়। এ দেশের মানুষ জানে কে কতবার হরতাল দিয়েছে। এখন একে অপরের ওপর দোষ চাপানোর প্রবণতা বর্তমান সংকট নিরসনে আদৌ কোনো ভূমিকা রাখবে না। ঢাকায় এসে সংবাদপত্রে দেখলাম, প্রধানমন্ত্রী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশাল জনসভায় বলেছেন, আলোচনার পথ খোলা আছে। আবার বেগম জিয়া ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় দু’দলের মহাসচিব পর্যায়ে সংলাপের প্রস্তাব করেছেন। তাহলে কোথায় সেই ‘আলোচনা’ বা ‘সংলাপ’? দু’দল কি তাদের নিজেদের স্বার্থের বাইরে যেতে পারছে? আমি যুক্তরাষ্ট্রে এ প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছি অজস্রবার।
আসলে আমাদের জাতীয় নেতাদের মনমানসিকতায় যদি পরিবর্তন আনা না যায়, তাহলে সমস্যা যা আছে, তাই থেকে যাবে। আমি গভীর উদ্বেগের সঙ্গে এটাও লক্ষ্য করেছি, সরকারের নীতিনির্ধারকরা বলেছেন, ‘খালেদা দুর্বৃত্তপনার আশ্রয় নিয়েছেন’ (যায়যায়দিন, ৪ নভেম্বর)। প্রধানমন্ত্রী যখন স্বয়ং সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন, তখন বিরোধীদলীয় নেত্রীকে এভাবে আক্রমণ করে বক্তব্য রাখা কতটুকু যৌক্তিক তা আমার মাথায় আসে না। প্রবীণ জাসদ নেতা মাঈনুদ্দিন খান বাদলের একটি বক্তব্যও প্রকাশিত হয়েছে অনলাইন সংবাদপত্রে (বাংলামেইল ২৪ ডটকম)। তাতে বেগম জিয়াকে উদ্দেশ করে তিনি বলেছেন, ‘হু ইজ শি, কুলাঙ্গার নেত্রী’। বেগম জিয়া কে, সমাজে, রাজনীতিতে তার অবস্থান কোথায়, জনাব বাদলের তা অজানা নয়। এভাবে একজন জাতীয় নেতা সম্পর্কে অভদ্রজনিত মন্তব্য বেগম জিয়াকে নয়, বরং জনাব বাদলকেই খাটো করেছে। জনাব বাদল প্রথমবারের মতো সংসদে এসেছেন, তাও আবার তার নেতা হাসানুল হক ইনুর মতো নৌকা মার্কা প্রতীক নিয়ে। জাসদের ‘মশাল’ মার্কায় তিনি বিজয়ী হননি। মধ্য ষাটের দশকের এই প্রবীণ নেতা শিক্ষিত। তিনিই যদি বিরোধীদলীয় নেত্রী সম্পর্কে অভদ্রজনিত শব্দ ব্যবহার করেন, তা কি পরোক্ষভাবে তার কর্মীদের উৎসাহিত করবে না এ ধরনের শব্দ ব্যবহার করতে! আসলে আমাদের রাজনীতিকরা একটা বৃত্তে আবদ্ধ হয়ে আছেন। পরস্পরকে ঘৃণা করা, বিরোধী পক্ষকে আক্রমণ করে অভদ্রজনিত শব্দ ব্যবহার করা যেন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। অনেক মন্ত্রীও এ ধরনের শব্দ ব্যবহার করেন। এতে করে তাদের মর্যাদা বাড়ে না। বিদেশে তাদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয় না। বেগম জিয়াকে ‘কুলাঙ্গার’ হিসেবে আখ্যায়িত করে জনাব বাদল কাউকে কাউকে খুশি করে থাকতে পারেন, কিন্তু নিজের নামের প্রতি তিনি সুবিচার করেননি। তার শিক্ষা, তার সংস্কৃতির প্রতি তিনি অবিচার করেছেন।
ঢাকার সংবাদপত্রগুলোয় এখন খবর একটাই- একটি সর্বদলীয় সরকার হচ্ছে, যেখানে বিএনপির কোনো প্রতিনিধিত্ব থাকছে না। প্রধানমন্ত্রী বলছেন, বিএনপি যে ক’টি মন্ত্রণালয় চায়, যে মন্ত্রণালয় চায়, তা তাদের দেয়া হবে। কিন্তু সর্বদলীয় সরকারে যোগ দেয়া তো বড় কথা নয়- বড় কথা ও মূল কথা হচ্ছে, সর্বদলীয় সরকারের প্রধান কে হবেন? মন্ত্রীদের কথায় তো এটা স্পষ্ট হয়েছে, শেখ হাসিনাই হচ্ছেন এ সরকারের প্রধান। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নিজে কখনও বলেননি, তিনি এ দায়িত্বটি নেবেন না। মূল সমস্যাটা তো এখানেই। তিনি একটি দলের প্রধান। তিনি যদি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হোন, তাহলে নিরপেক্ষ নির্বাচনের নিশ্চয়তা কোথায়? কারা সেই সরকারের মন্ত্রিসভায় থাকবেন, তাদের নামধামও পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। আমু, তোফায়েল, মেনন, ইনুর নাম পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। তারা কি নিরপেক্ষ? তারা মন্ত্রী হবেন, আবার নির্বাচনও করবেন- সেই নির্বাচন কি নিরপেক্ষ হবে? তারা এক একজন হাইপ্রোফাইল নেতা। মন্ত্রী হলে প্রটোকল নিয়ে নিজ নির্বাচনী এলাকায় যাবেন। এতে করে কি পরোক্ষভাবে তিনি বা তারা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তার করবেন না? দলীয় লোকদের নিয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা যাবে না।
প্রধানমন্ত্রী একটা কথা প্রায়ই বলেন, তিনি সংবিধানের বাইরে যাবেন না। এটা ভালো। কিন্তু সংবিধান তো বাইবেল নয় যে তাতে পরিবর্তন আনা যাবে না। এর আগের এক লেখায় আমি উল্লেখ করেছি, জাতির বৃহত্তম স্বার্থে, নির্বাচনের নিরপেক্ষতার স্বার্থে অনেক দেশেই একটি নির্বাচনকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। দেশের সংসদীয় ইতিহাসের একটি বড় দুর্বলতা হচ্ছে, এখানে ক্ষমতাসীন দল নানা প্রক্রিয়ায় নির্বাচনের ফলাফলকে তাদের অনুকূলে নেয়ার চেষ্টা করে। দলীয় সরকারের অধীনে যখনই নির্বাচন হয়েছে, তখনই এ প্রবণতা বেড়েছে। ১৯৭৩ সালের প্রথম সংসদ নির্বাচনের ‘কিছু ঘটনার’ পুনরাবৃত্তি হতে আমরা দেখেছি পরেও। মাগুরা উপ-নির্বাচনের দৃষ্টান্ত দেয়া হয়। কিন্তু বর্তমান জোট সরকারের আমলে ভোলার উপ-নির্বাচনে কী হয়েছিল, তা সংবাদপত্র সাক্ষ্য দেয়। তাই আমু-তোফায়েল-মেনন কিংবা ইনুর মতো হেভিওয়েট নেতাদের মন্ত্রিসভায় নিয়ে নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা যাবে না। বরং এটা পরিণত হবে মহাজোট সরকারের ক্ষুদ্র সংস্করণে। তাতে মূল সমস্যার সমাধান হবে না। এর বাইরে ক্ষুদ্র দলগুলোর (যেমন সিপিবি, বাসদ ইত্যাদি) প্রতিনিধিত্বও যদি থাকে, সে ক্ষেত্রেও প্রশ্ন উঠবে- যেখানে প্রধানমন্ত্রী বারবার বলছেন, অনির্বাচিতদের দিয়ে গঠিত সরকার তিনি মেনে নেবেন না, সেখানে এসব ছোট ছোট দলের সংসদে প্রতিনিধিত্ব কোথায়? বিএনপিকে সর্বদলীয় সরকারে নেয়ার দায়িত্ব সরকারের। বলা হয়েছে, বিএনপিকে দুটি কিংবা তিনটি মন্ত্রণালয় দেয়া হবে। এটা কি হাস্যকর ব্যাপার নয়! দুটি বা পাঁচটি মন্ত্রীর জন্য কি বিএনপি বা ১৮ দল আন্দোলন করছে! কোনো কোনো মহল বিএনপিকে ভেঙে ফেলার যে অলিক চিন্তা করছে, তা কতটুকু সফল হবে, সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত নই। বিএনপির অনেক নেতার নামও আসছে, যারা ‘তৃণমূল বিএনপি’ নামে সংগঠিত হতে চায়। কিন্তু ইতিহাস বড় নির্মম। মূলধারার বাইরে গিয়ে কেউই সফল হতে পারেনি।
‘রাজনীতির বল’টা এখন সরকারের কোর্টে। সরকার যদি চায় বিএনপিকে নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে মাইনাস করতে, তাতে সরকার সফল হবে সন্দেহ নেই। কিন্তু এতে সমস্যার সমাধান হবে না। নির্বাচন একটা হবে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে। নতুন একটি মহাজোট সরকারের রূপই আমরা দেখব নির্বাচনের পর। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, একটি নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা সরকারকে গ্রহণ করতেই হবে এবং আমার ধারণা ‘একতরফাভাবে’ যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, তার বয়স হবে দু’বছর এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়েই আমরা নির্বাচনকালীন সরকারের একটি স্থায়ী রূপ পাব। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নির্বাচনকালীন সরকারের একটি স্থায়ী রূপ দরকার। রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক- কাদের নিয়ে এ সরকার গঠিত হবে, সে বিষয়টি ভেবে দেখতে হবে। সরকার প্রয়োজনে একটি কমিশন গঠন করতে পারে, যারা সরকারকে মতামত দেবেন। তবে এটা নিশ্চিত, ক্ষমতাসীন সরকারের প্রধানকে রেখে যে ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার’, তা সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য হবে না। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থেই এমন একটি ‘কর্তৃপক্ষ’ প্রতিষ্ঠা করা দরকার, যাদের কাজ হবে তিন মাসের মধ্যে জাতিকে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেয়া। কীভাবে এটা করা যায়, কীভাবে একে সংবিধানের অংশ করা যায়, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেয়া যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে একাধিক বিকল্প ভাবনা আসতে পারে। নির্বাচন কমিশনকে সাংবিধানিকভাবে নিরপেক্ষ করা, সিইসি তথা নির্বাচন কমিশনারদের বাছাই প্রক্রিয়া একটি সার্চ কমিটির মাধ্যমে করা, তিন মাসের জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করা, সাংবিধানিক পদের অধিকারীদের নিয়ে এই কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করা, একটি গার্ডিয়ান কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করা ইত্যাদি নানা ভাবনা আসতে পারে। মূল বিষয় একটিই- একটি দলনিরপেক্ষ কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করা, যারা নিরপেক্ষ নির্বাচনের নিশ্চয়তা দেবে। রাষ্ট্রপতি কিংবা স্পিকারের কথা ভাবনায় থাকলেও বাস্তবতা হচ্ছে উভয়েই দলীয়ভাবে নির্বাচিত। স্পিকার আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হবেন। তাহলে তিনি কি নিরপেক্ষ? রাষ্ট্রপতি এখন আর রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। কিন্তু দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে কি তিনি থাকতে পেরেছেন? নিরপেক্ষ একটি কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয়তা এ কারণেই।
দুই নেত্রীর ফোনালাপের তিক্ততার পর আদৌ সংলাপ হবে বলে আমার মনে হয় না। তাই সরকার বড় ধরনের একটি ‘রাজনৈতিক ঝুঁকি’ সামনে রেখেই এগোচ্ছে। দু’দফা ৬০ ঘণ্টার হরতালের পর এখন ৮৪ ঘণ্টার হরতাল চলছে। এটা সত্য, এতে করে ১৮ দলের লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। কিন্তু হরতালে সহিংসতা বেড়েছে। হরতালে কোনো নেতা ‘প্রাণ’ হারাননি। প্রাণ হারিয়েছেন কয়েকজন সাধারণ মানুষ, যারা জীবিকার জন্য, খেয়ে-পরে বেঁচে থাকার জন্য রাস্তায় বের হয়েছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রে অনেকেই আমাকে বলেছেন, তারা আর বাংলাদেশের চলমান রাজনীতির ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না। অনেকেই এখন আর বাংলাদেশে আসতে চাচ্ছেন না। এক ধরনের হতাশায় পেয়ে বসেছে প্রবাসীদের। চার মাস আগে যখন দেশ ছেড়েছিলাম তখন যে পরিস্থিতি ছিল, আজ তাতে এতটুকুও পরিবর্তন আসেনি। বরং ‘রাজনৈতিক ঘৃণা’, ‘রাজনৈতিক তিক্ততা’, ‘ক্ষমতায় থেকে যাওয়ার স্পৃহা’ আরও বেড়েছে। যদি ‘সমঝোতা’ না হয়, যার সম্ভাবনাই বেশি, তাহলে সরকারকে একটি বড় ‘রাজনৈতিক ঝুঁকি’ নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। এতে জাতির কতটুকু মঙ্গল হল, সে প্রশ্ন থেকেই গেল।
দৈনিক যুৃগান্তর, ১৩ নভেম্বর ২০১৩
ড. তারেক শামসুর রেহমান : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
tsrahmanbd@yahoo.com - See more at: http://www.jugantor.com/window/2013/11/12/41157#sthash.m8052gvz.MD2IsW7k.dpuf

0 comments:

Post a Comment