রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

একটি সর্বদলীয় মন্ত্রিসভা!



একটি 'সর্বদলীয়' মন্ত্রিসভা হয়েছে। এই মন্ত্রিসভায় আছে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টি। তবে মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়ে বড় বিতর্ক সৃষ্টি করেছে 'জাতীয় পার্টি'। ব্যক্তি এরশাদ তার 'শক্তি ইমেজ' নিয়ে কতটুকু চিন্তিত আমি জানি না। কিন্তু তার সর্বশেষ সিদ্ধান্ত তাকে আরো বিতর্কিত করেছে। পটুয়া কামরুল ইসলাম তাকে নিয়ে এক সময় বিখ্যাত কার্টুন 'বিশ্ব বেহায়া' এঁকেছিলেন। অন লাইন মিডিয়ায় এখন ভরা সেই ছবি। বলা হচ্ছে পটুয়া কামরুল হাসান বেঁচে থাকলে দ্বিতীয় আরেকটি কার্টুন তিনি অাঁকতেন এরশাদকে নিয়ে।
গত এক সপ্তাহে তার বক্তব্যগুলো যদি বিশ্লেষণ করা যায়, তাহলে দেখা যাবে, তিনি বারবার বলে আসছেন তিনি এককভাবে আর নির্বাচন করবেন না, বিএনপি নির্বাচনে না এলে সেই নির্বাচনের কোনো গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না, তিনি 'জাতীয় বেঈমান' হিসেবে পরিচিত হতে চান না ইত্যাদি ইত্যাদি। তিনি হাটহাজারীতে গিয়েছিলেন মওলানা শফীর দোয়া নিতে। এই দোয়া নেয়ার কাহিনী তার আরো আছে। আটরশির পীরের মুরিদ ছিলেন তিনি এক সময়। এখন মওলানা শফীর 'বাজার' ভালো। ছুটে গেলেন সেখানে। দোয়া নিলেন। বললেন 'বড় হুজুর' তাকে দোয়া করেছেন। কিন্তু পরদিনই মওলানা শফীর পক্ষ থেকে বলা হলো হুজুর তাকে আদৌ দোয়া করেননি। এতে এরশাদের কিছু যায় আসে না। 'স্বপ্নে দেখা নামাজ পড়ার' কাহিনী তিনি আমাদের শোনাননি। কিন্তু মহাজোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরই তার দলের 'লোকজনরা' আবার মন্ত্রী হয়ে গেলেন। একজন হলেন উপদেষ্টা। তিনি যে নিজেকে বারবার হাস্যস্পদ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন, এ কথাটা সম্ভবত তিনি মাঝে-মধ্যে ভুলে যান। বিকল্প একটি জোট হতে পারে। কিন্তু তিনি আবারো প্রমাণ করলেন আওয়ামী লীগের প্রভাব বলয়ের বাইরে তিনি যেতে পারবেন না। আওয়ামী লীগ কেন্দ্রিক জাতীয় পার্টির রাজনীতি আজকের নয়। ১৯৯৬ সালে সপ্তম জাতীয় সংসদে বিজয়ী হয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি সরকার গঠিত হলে জাতীয় পার্টি সেই সরকারে যোগ দিয়েছিল। আনোয়ার হোসেন মঞ্জু মন্ত্রীও হয়েছিলেন। পরবর্তী কালে মঞ্জুকে পদত্যাগের নির্দেশ দিলেও মঞ্জু তা মানেননি। শেষ পর্যন্ত দলটি ভেঙে গিয়েছিল। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছিল ২০০৯ সালে, যখন আওয়ামী লীগ পুনরায় সরকার গঠন করে। এবারো এরশাদ তার ছোট ভাই জিএম কাদেরকে মন্ত্রিসভায় পাঠান। প্রশ্ন হচ্ছে, জাতীয় পার্টির এই ভূমিকা তৃতীয় একটি জোট গঠনে আদৌ সহায়ক কিনা?
জাতীয় পার্টির যে রাজনীতি, তার সাথে বিএনপির রাজনীতিরই 'মিল' বেশি। দুই পার্টির আদর্শ ও উদ্দেশ্যের মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নেই। এরশাদ ক্ষমতা গ্রহণ করে ক্ষমতাকে নিয়মসিদ্ধ করার জন্যই গঠন করেছিলেন জাতীয় পার্টি। প্রথমে জনদল (১৯৮৩) ও পরে জাতীয় পার্টি (১৯৮৬) গঠনের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী (১৯ দফা) 'অপর একটি' দলের আত্মপ্রকাশ ঘটলেও গত ২৭ বছরে দলটি সঠিক একটি নীতি ও আদর্শের ওপর দাঁড়াতে পারেনি। ব্যক্তি এরশাদকে কেন্দ্র করে দলটি আবর্তিত হলেও দলটি বাংলাদেশে বিকল্প একটি রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। উত্তরবঙ্গে ব্যক্তি এরশাদের জনপ্রিয়তাই হচ্ছে দলটির মূল শক্তি। তবে বলতেই হবে দুই প্রধান দলের বাইরে নির্বাচনী রাজনীতিতে জাতীয় পার্টি তৃতীয় শক্তি। সর্বজন গ্রহণযোগ্য পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (১৯৯১) জাতীয় পার্টি ২৭২ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১৮ আসনে বিজয়ী হয়েছিল (ভোটের হার ১১.৯২)। সপ্তম সংসদে (১৯৯৬) ২৯৩ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জাতীয় পার্টি আসন পেয়েছিল ৩২ (প্রাপ্ত ভোট ১৬.৩৯) ২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির আসন ১৪ (প্রতিদ্বন্দ্বিতা ২৮১ আসনে, প্রাপ্ত ভোট ৭.২৫ ভাগ)। এই সময় এরশাদ কিছু ইসলামিক দল নিয়ে ইসলামী জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছিলেন। কিন্তু তা কাজে আসেনি। এবং ফ্রন্ট তার অস্তিত্বও বজায় রাখেনি। আর সর্বশেষ ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রাপ্ত আসন ২৬, আর প্রাপ্ত ভোট ৭.০৫ ভাগ। এখন যে দল মাত্র শতকরা ৭ ভাগ ভোট পায় (যেখানে সর্বশেষ নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রাপ্ত ভোটের হার যথাক্রমে শতকরা ৪৮.০৬ ও ৩২.৪৫ ভাগ) সেখানে ওই দলের নেতৃত্বে একটি জোট গঠনের ভিত্তি কতটুকু শক্তিশালী? যদিও কাজী জাফর বলেছিলেন তারা 'নির্বাচনী জোট' করছেন না, বরং 'আন্দোলনের জোট' করছেন। অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্যই তারা একটি জোট গঠন করতে যাচ্ছেন। এখানে প্রশ্ন আছে। কাদের সাথে জোট হচ্ছে? কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বিকল্প ধারা, আসম আবদুর রবের জেএসডি, কিংবা ড. কামাল হোসেনের গণফোরাম? ওদের গণভিত্তি কী? কাদের সিদ্দিকী মুক্তিযোদ্ধা। দেশের মানুষ তাকে সম্মান করে। কিন্তু তিনিও বিতর্কের ঊধর্ে্ব নন। এই প্রজন্ম তাকে চেনে না। (২০০১ সালের নির্বাচনে তার দল পেয়েছিল ০.৪৭ ভাগ ভোট)। গণফোরাম? ড. কামাল হোসেন নামি-দামি ব্যক্তি। কিন্তু তার কোনো গণভিত্তি নেই। তরুণ প্রজন্ম তাকে চেনে না (১৯৯৬ সালে দলের প্রাপ্তভোট ০.১২ ভাগ)। আর জেএসডি? আসম আবদুর রবের দলের প্রাপ্তভোট ০.২৩ ভাগ (১৯৯৬)। এরা মূলত ব্যক্তি সর্বস্ব। সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী ক্লিন ইমেজের লোক। মুন্সীগঞ্জের বাইরে তার অবস্থান কোথায়? তার ছেলে মাহি বি চৌধুরী বাবার ইমেজে চলেন। আর মেজর (অব.) মান্নান প্রচুর টাকার মালিক। কিন্তু টাকা দিয়ে কি সবসময় রাজনীতি হয়? এরা সবাই মূলত ব্যক্তিনির্ভর এক একটি দল, যাদের কোনো গণভিত্তি নেই। এদের দিয়ে 'মিডিয়া কভারেজ' হতে পারে, কিন্তু কোনো তৃতীয় শক্তি গড়ে ওঠার আদৌ সম্ভাবনা নেই।
বিবিসিকে দেয়া কাজী জাফরের বক্তব্য আর এরশাদের 'সর্বদলীয়' সরকারে যোগ দেয়ার মধ্যে কোনো মিল নেই। জাফর নিজেও অবাক হয়েছেন, যখন তিনি শুনেছেন যে তার দল সরকারে যোগ দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যে বিভক্তি তা স্পষ্ট হলো। আসলে সত্যিকার অর্থেই জাতীয় পার্টি কোনো দল হিসেবে গড়ে ওঠেনি। ব্যক্তি এরশাদই হচ্ছেন মূল ব্যক্তি। 'হামগো ছাওয়াল'-এর যে ইমেজ, সেই ইমেজ তাকে বারবার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করে। একজন জাতীয় পর্যায়ের নেতা হিসেবে যে ইমেজ, সততা, ন্যায়নিষ্ঠতা, কমিটমেন্ট লক্ষ্য দরকার, তার তার নেই। তিনি সুযোগ-সন্ধানী, যেখানে সুযোগ পাবেন, সেখানেই যাবেন। বেগম জিয়া এখন অনেকটা বেকায়দায় আছেন। তাই তার কাছে তিনি যাননি। নতুবা বেগম জিয়ার ছত্রচ্ছায়াই তিনি থাকতেন। জাতীয় পার্টি ভেঙে যাওয়ারও কোনো সম্ভাবনা নেই। কেননা জাতীয় পার্টিতে যারা আছেন, তারা মূলত 'সুযোগের' অপেক্ষায় থাকেন। যারা মন্ত্রী হলেন, তাদের গণভিত্তি নিয়ে আমার প্রশ্ন আছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তারা আদৌ নির্বাচিত হতে পারবেন কিনা, আমার সন্দেহ রয়েছে। তারা গণমানুষের জন্য রাজনীতি করেন না, রাজনীতি করেন নিজেদের জন্য। তাই দলের নেতার ভূমিকার ব্যাপারে যতই সোচ্চার হোন না কেন চূড়ান্ত বিচারে তাদের মধ্যে এই সুবিধাবাদী প্রবণতা কাজ করে বেশি। জাতীয় পার্টির একটা সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু দলীয় প্রধানের বিভ্রান্তিকর কথাবার্তা, তার ব্যক্তিচরিত্র, রাজনীতির প্রতি কোনো কমিটমেন্ট না থাকা, নিজেকে বেঈমান হিসেবে তুলে ধরা_ সব মিলিয়ে জাতীয় পার্টির সম্ভাবনার মৃত্যু ঘটেছে। জাতীয় পার্টির এরশাদের অবর্তমানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে বিলীন হওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
এখন একটি 'সর্বদলীয়' সরকার গঠিত হয়েছে। সংবিধানে এভাবে কোথাও 'সর্বদলীয়' সরকারের ব্যাখ্যা নেই। সরকারপ্রধান সংবিধানের ৫৬(২) ধারা বলে একটি মন্ত্রিসভা গঠন করতে পারেন, কিন্তু তাকে যে কোনো নামে ডাকা যেতে পারে। কিন্তু 'সর্বদলীয় সরকার' নামে ডাকা যাবে না। সর্বদলীয় সরকার হতে পারত যদি সেখানে বিএনপির প্রতিনিধিত্ব থাকত। এখন মূলত যাদের মন্ত্রিসভায় প্রতিনিধিত্ব রয়েছে তাদের গণভিত্তি নেই। যেমন বলা যেতে পারে জাসদের কথা। ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে জাসদ ২৩৭টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কওে একটিতে বিজয়ী হয়েছিল। প্রাপ্তভোটের হার ৬ দশমিক ৫২ ভাগ। ১৯৭৯ সালে ২৪০টি আসনে (দ্বিতীয় সংসদ) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৮টিতে বিজয়ী হয়েছিল। প্রাপ্তভোটের হার ৪ দশমিক ৮৩ ভাগ। ১৯৮৬ সালে রবের জাসদ পেয়েছিল ৪ দশমিক ৫৪ ভাগ ভোট। ১৯৯১ সালে একটি আসন (১৬১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে) ০.৭৯ ভাগ ভোট। ১৯৯৬ সালে রব জাসদ একটি আসন, প্রাপ্তভোট ০.২৩ ভাগ ভোট। আর ইনু জাসদ কোনো আসন নেই, ০.০২ ভাগ ভোট মাত্র। অথচ এরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল ৬৭ ও ৩১টি আসনে। ২০০১ সালে জাসদ ৭৬টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কোনো আসন পায়নি, প্রাপ্তভোট ০.২১ ভাগ। ২০০৮ সালে আসন ৩, প্রাপ্তভোট ০.৭৪ ভাগ। মজার কথা ইনু আর মঈনুদ্দিন বাদলরা 'নৌকা' মার্কা নিয়ে বিজয়ী হয়েছিল। ওইসব আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিল না। এবার আসুন ওয়ার্কার্স পার্টির ক্ষেত্রে। ২০০৮ সালে নৌকা মার্কা নিয়ে মেনন ও বাদশা সাহেব দুটো আসন নিশ্চিত করেছেন, কিন্তু প্রাপ্তভোট মাত্র ০.৩৮ ভাগ। ২০০১ সালে প্রাপ্তভোট (বাম দলগুলোর সঙ্গে) ০.২৫ ভাগ। ১৯৯৬ ও ১৯৯১ সালে প্রাপ্তভোট যথাক্রমে ০.১৩ ভাগ ও ০.১৯ ভাগ। এরশাদীয় জমানায় ১৯৮৬ সালে ৩টি আসন পেয়েছিল বটে (০.৫৩ ভাগ), কিন্তু ওই নির্বাচনের কোনো গ্রহণযোগ্যতা ছিল না। জাতীয় পার্টিকে কিছুটা গ্রহণযোগ্যতা দেয়া যেতে পারে। ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালে জাতীয় পার্টির প্রাপ্তভোট গড়ে ৭ শতাংশের উপরে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যাদের গণভিত্তি এত দুর্বল, তাদের নিয়ে সরকার গঠন করে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ঐক্য কিভাবে নিশ্চিত করবেন? একটি জাতীয় ঐকমত্য প্রয়োজন। সমঝোতা দরকার। যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীও বললেন সে কথা। সংলাপ, সমঝোতা কিছুই হলো না। বরং বিএনপির ৫ নেতা এখন কারাগারে। বেগম জিয়া দেখা করেছেন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে। আমাদের সংবিধানে রাষ্ট্রপতির ভূমিকা সীমিত। তার পক্ষে কিছু করা সম্ভব নয়। তিনি তা করবেনও না। সিদ্ধান্ত এখনো প্রধানমন্ত্রীর হাতে। কিন্তু বিএনপির দাবি অনুযায়ী একটি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার তিনি গঠন করবেন, সেটা এখন চিন্তাও করা যায় না। এর অর্থ এখন পরিষ্কার_ একটি নির্বাচন হতে যাচ্ছে। যারা মন্ত্রী হলেন, তারা মন্ত্রী থেকেই নির্বাচন করবেন। এখানে প্রশাসন কতটুকু নিরপেক্ষ থাকবে সে প্রশ্ন করাই যায়।
আর সে নির্বাচনে বিএনপি তথা ১৮ দল অংশ নেবে, তা মনে হয় না। ফলে সঙ্কট থেকেই গেল। এখন বিএনপি কী কর্মসূচি নেয়, সেটাই দেখার বিষয়। বিএনপি যদি লাগাতার কর্মসূচির সিদ্ধান্তও নেয় তাতে করে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে আটকে রাখা যাবে না। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণেই নির্বাচন হবে এবং একটি সংসদ হবে। হয়তো আমরা সেই পুরনো মুখগুলোকেই দেখতে পাব দশম জাতীয় সংসদে। তবে প্রশ্ন তো থাকলই_ ওই সংসদের মেয়াদ হবে কত দিনের।
Daily Jai Jai Din 25.11.13

0 comments:

Post a Comment