বাংলাদেশে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা বাড়ছে। সাম্প্রতিক সময়গুলোতে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মজিনার তৎপরতা ও বাংলাদেশের সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য তার দিল্লি গমন প্রমাণ করে নির্বাচনকে ঘিরে দিল্লি-ওয়াশিংটন অক্ষের ভূমিকা বাড়ছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ছাত্র মাত্রই জানেন সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে এবং ভারতে পারমাণবিক প্রযুক্তি সরবরাহসহ মার্কিন বিনিয়োগ বেড়েছে। দক্ষিণ এশিয়াকে ঘিরে যে মার্কিন স্ট্র্যাটেজি, তাতে ভারত অন্যতম একটি ফ্যাক্টর। এই অঞ্চলে মার্কিন ও ভারতীয় স্বার্থ অভিন্ন। যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে তার সব সৈন্য প্রত্যাহার করে নিচ্ছে ২০১৪ সালে। কিন্তু মার্কিন প্রশাসন চায় ২০১৪ সাল-পরবর্তী আফগানিস্তানে ভারত একটি বড় ভূমিকা পালন করুক, যার মাধ্যমে মার্কিনি স্বার্থ রক্ষিত হবে। তাই বাংলাদেশের ব্যাপারে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র একটি যৌথ এপ্রোচ গড়ে উঠছে। যদিও এটা স্পষ্ট নয়, এই এপ্রোচ এক ও অভিন্ন কি-না। মজিনার নয়াদিল্লি গমন ও সাউথ ব্লকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় প্রমাণ করে যুক্তরাষ্ট্র তার ‘কনসার্ন’কে ভারতের সঙ্গে শেয়ার করতে চায়। এখানে বলা ভালো যে, ন্যাটোর লিসবন সম্মেলনে (২০১০) একটি ধারণাপত্র গ্রহণ করা হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে দক্ষিণ এশিয়া থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছে না, এটা তার বড় প্রমাণ। ওই ধারণাপত্রের মূল বিষয়টি হচ্ছে ন্যাটোর সম্প্রসারিত ভূমিকা। ন্যাটোর কর্মকাণ্ড এখন আর শুধু ইউরোপেই সীমাবদ্ধ নেই; বরং তা দক্ষিণ এশিয়াতে সম্প্রসারিত হয়েছে। অনেকেরই স্মরণ থাকার কথা যুক্তরাষ্ট্র তার নৌবাহিনীর প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কর্মকাণ্ড ভারত মহাসাগর এলাকায় সম্প্রসারিত করেছে। আগামীতে মার্কিন ষষ্ঠ ফ্লিটের বেশক’টি জাহাজ দক্ষিণ এশিয়ার সমুদ্রসীমায় মোতায়েন করা হবে। যে কারণে বাংলাদেশে সম্ভাব্য মার্কিনি ভূমিকা নিয়ে একটা প্রশ্ন থেকে যায়। অনেকেরই জানার কথা বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইতোমধ্যে একটি অংশীদারিত্ব সংলাপ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই তথাকথিত ‘অংশীদারিত্ব সংলাপ’ চুক্তির আওতায় দৃশত বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদ দমন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ, পরিবেশ, শ্রমমান, পণ্যের শুল্ক ইত্যাদি বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করলেও মূল বিষয় একটিই যুক্তরাষ্ট্রের গৃহীত নীতির ব্যাপারে বাংলাদেশকে সম্পৃক্ত করা। ‘সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় যৌথ কর্মসূচি গ্রহণ’-এর আড়ালে এ অঞ্চলে মার্কিন সেনা মোতায়েনের বিষয়টি উড়িয়ে দেয়া যায় না। বলা ভালো, প্রতি বছর একবার ‘অংশীদারিত্ব সংলাপ চুক্তির’ আওতায় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র মিলিত হবে। প্রথম সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল গেল বছরের ১৯-২০ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটনে। আর এবার দ্বিতীয় সংলাপ হলো ঢাকায় গত ২৬ মে। সংলাপ শেষে একটি ব্রিফিং করা হয় বটে, কিন্তু ‘ভেতরের অনেক কথাই’ জানানো হয় না। তাই বাংলাদেশ যখন ন্যাটোর স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করে, তখন গুজবের ডাল-পালা বেড়েছে এবং আগামীতে তা আরো ছড়াবে। গেল বছরের ১৮ জুন ইউরোপের দেশ ক্রোয়েশিয়ায় একটি ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ন্যাটোর ২৫টি সদস্য দেশের বাইরেও মোট ৫৫ দেশ অংশ নিয়েছিল। ওই সম্মেলনকে তারা বলছে Strategic Military Partnership Coference. যারা সরাসরি ন্যাটোর সদস্য রাষ্ট্র নয়, তারাও এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছিল। ন্যাটোর সঙ্গে কাজ করতে পারে, এমন দেশগুলোকে ন্যাটোর নীতি-নির্ধারকরা মোট ৪ ভাগে ভাগ করেছে, যারা ন্যাটোর সদস্য নয়। তবে ন্যাটোর সহযোগী। যেমন ইউরোপের ১২টি দেশকে নিয়ে গঠিত হয়েছে The Partnership for Peace. ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলভুক্ত আলজেরিয়া, তিউনেসিয়ার মতো দেশগুলোকে নিয়ে গঠিত হয়েছে Maditerrian Diatogue Members. সৌদি আরব কিংবা ওমানের মতো দেশগুলোকে নিয়ে গঠিত হয়েছে Istambul Cooperation Initiative. অস্ট্রেলিয়া কিংবা জাপানের মতো দেশগুলোকেও ন্যাটো Pautners Accross the alobe-এর ব্যানারে একত্রিত করেছে। আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানও এই ব্যানারে রয়েছে। দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতে ন্যাটোর কোনো কর্মকাণ্ড নেই। এখন এলসালভাদর ও কলাম্বিয়ার মতো দেশও ন্যাটোর সঙ্গে জড়িত হতে যাচ্ছে। মজার ব্যাপার, ইউরোপে ন্যাটোর কমান্ডার এডমিরাল স্টাভরিডিস সম্প্রতি বলেছেন, তারা ভারত ও ব্রাজিলের মতো দেশকে নিয়ে ভাবছেন এবং আশা করছেন এই দেশ দুটি Partners Accross the alobe-এর ব্যানারে আগামীতে ন্যাটোর কর্মকাণ্ডে শরিক হবে। ২০১০ সালে ন্যাটো লিসবন সম্মেলনে ন্যাটোর Strategic concept গ্রহণ করেছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ক্রোয়েশিয়ায় সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। এর মাধ্যমে এটা প্রমাণিত হয়ে গেল একুশ শতকে ন্যাটো নতুন এক কৌশলগত ধারণা নিয়ে উপস্থিত হচ্ছে। ন্যাটোরে এই ভূমিকা অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক বিশ্বকে কর্তৃত্ব করার প্রবণতা নতুন করে স্নায়ুযুদ্ধের জন্ম দিতে পারে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের প্রভাব বলয়কে কেন্দ্র করে জন্ম হয়েছিল স্নায়ুযুদ্ধের। আর ১৯৯১ সালের ডিসেম্বরে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মধ্য দিয়ে সেই স্নায়ুযুদ্ধের অবসান ঘটেছিল। আশির দশকে সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্বে গড়ে উঠা ওয়ারশ সামরিক জোট ভেঙে দেয়া হলেও ন্যাটো জোট ভেঙে দেয়া হয়নি; বরং এর সম্প্রসারণ ঘটেছিল। স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালীন ন্যাটো ও ওয়ারশ জোটের মধ্যে সামরিক প্রতিযোগিতা এমন একটা পর্যায়ে গিয়ে উন্নীত হয়েছিল যে, ইউরোপে একাধিকবার ‘পারমাণবিক যুদ্ধ’-এর আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল। সেই ‘যুদ্ধ’ হয়নি বটে, কিন্তু বিংশ শতাব্দীর পুরোটা সময় এই দুই শক্তির মাঝে প্রতিযোগিতা বজায় ছিল। দুই পরাশক্তিই ইউরোপে পারমাণবিক বোমা বহনযোগ্য অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র মোতায়েন করেছিল। শুধু সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পরই এই স্নায়ুযুদ্ধের অবসান ঘটে। এর প্রধান কারণ ছিল একটি রাশিয়া এখন আর ইউরোপের নিরাপত্তার প্রতি হুমকি নয়। দুটি আদর্শের (সমাজতন্ত্র বনাম পুঁজিবাদ) মাঝে যে দ্বন্দ্ব ছিল, সেই দ্বন্দ্বেরও অবসান ঘটে। যখন রাশিয়া আদর্শ হিসেবে মুক্তবাজার ও পুঁজিবাদকে গ্রহণ করে। উপরন্তু সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার অনেক আগেই ১৯৮৮ সালে গর্বাচেভ ‘ওয়ারশ’ সামরিক জোট ভেঙে দিয়েছিলেন। যে কারণে ইউরোপে রাশিয়ার উত্থান যুক্তরাষ্ট্র তথা ইউরোপের নিরাপত্তার প্রতি হুমকি নয়। আর তাই নতুন করে এই অঞ্চলে স্নায়ুযুদ্ধের জšে§র সম্ভাবনাও ক্ষীণ। এখন ভারত মহাসাগর হচ্ছে সম্ভাব্য ক্ষেত্র, যেখানে নতুন করে স্নায়ুযুদ্ধের জন্ম হতে যাচ্ছে। এর একমাত্র কারণ হচ্ছে চীন। চীনকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভয় ও শঙ্কা এখন অনেক বেশি। প্রথমত, তত্ত্বগতভাবে চীন এখন আর সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র নয়। কিন্তু একটি অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে চীন এখন বিশ্বকে কর্তৃত্ব করছে। চীন বিশ্বের অন্যতম অর্থনৈতিক পরাশক্তিতে পরিণত হওয়ায় তা এখন মার্কিন স্বার্থকে আঘাত করছে। দ্বিতীয়ত, যুক্তরাষ্ট্র চীনের কাছ থেকে ঋণ গ্রহণ করে নিজের অভ্যন্তরীণ বাজারকে সচল রাখছে। এটা মার্কিন নীতি-নির্ধারকদের অনেকেরই অপছন্দের। গত ৮ জুন নয়া চীনা প্রেসিডেন্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন। এই সফরে ওবামার সঙ্গে শীর্ষ বৈঠক হয়েছে, কিন্তু তারপরও বেশ কিছু ইস্যুতে বিরোধ রয়েছে। তৃতীয়ত, দক্ষিণ এশিয়া তথা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চীনের প্রভাব বাড়ছে। এটা মার্কিনিদের চিন্তার কারণ। বিশেষ করে ভারত মহাসাগর ও আফগানিস্তানের ব্যাপারে তাদের আশঙ্কার কারণ রয়েছে যথেষ্ট। ২০১৪ সালে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সৈন্য ও সেই সঙ্গে সব বিদেশি সৈন্য প্রত্যাহার করা হবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এ অঞ্চলে তার স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিচ্ছে না। এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র তার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চায়। এ কারণেই তথাকথিত ‘অংশীদারিত্ব চুক্তি’ করছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটোকে ব্যবহার করে এ অঞ্চলে তার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চায়। ন্যাটোর স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ প্রোগ্রাম এক ধরনের কর্মসূচি, যার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র এ অঞ্চলে তার উপস্থিতিকে নিশ্চিত করতে চায়।
দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে একটা পরিবর্তন এসেছে। পাকিস্তানে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে নওয়াজ শরিফ তৃতীয়বারের মতো সে দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। তিনি ইতোমধ্যে পাকিস্তানে মার্কিনি ড্রোন বিমান হামলা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। ভারতে আগামী বছর নির্বাচন হওয়ার কথা। সেই নির্বাচন নিয়ে ইতোমধ্যে নানা প্রশ্নের জন্ম হয়েছে। নেপালে আগামীতে নির্বাচন হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আওতায়। আর বাংলাদেশে এই নভেম্বরেই সর্বদলীয় সরকার গঠিত হবে। এর পর দু’মাসের মধ্যে নির্বাচন। সুতরাং এ অঞ্চলে সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মার্কিনি নীতির ব্যাপারটিও লক্ষণীয়। এ অঞ্চলে, বিশেষ করে ভারত মহাসাগরে মার্কিনি স্বার্থ রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কখনো চাইবে না তার স্বার্থ বিঘিœত হোক।
আর তার স্বার্থ টিকিয়ে রাখতে হলে তার ভারতের সাহায্য ও সহযোগিতা প্রয়োজন। ভারত উঠতি শক্তি। সামরিক তো বটেই, অর্থনৈতিক শক্তিও বটে। মার্কিন স্বার্থ বিঘিœত হবে যদি ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। যুক্তরাষ্ট্র সেটা কখনোই চাইবে না। বাংলাদেশের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র কখনো একক কোনো নীতি গ্রহণ করেনি। বাংলাদেশের ব্যাপারে মার্কিন নীতি ভারতীয় মনোভাব দ্বারা প্রভাবান্বিত। বাংলাদেশের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে একটি সংকট তৈরি হয়েছে। দাতা দেশগুলোর উদ্যোগ কিংবা জাতিসংঘের মহাসচিবের ফোনের পরও সংকটের কোনো সমাধান হয়নি। সরকার এককভাবে হাঁটছে। আর বিএনপি যাচ্ছে হার্ডলাইনে। সংলাপ প্রত্যাশিত হলেও আদৌ সংলাপের কোনো সম্ভাবনা আছে বলে মনে হয় না। সংলাপ নিয়েও পরস্পর বিরোধী মন্তব্য লক্ষ্য করা যায়। তাই স্পষ্টতই মজিনার নয়াদিল্লি সফর নানা জল্পনা-কল্পনার জন্ম দিয়েছিল। নয়াদিল্লি সফর শেষ করে মজিনা ওয়াশিংটন গেছেন। ওয়াশিংটনে তিনি যে বাংলাদেশের সংঘাতময় পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন, তা আর কাউকে বলে দিতে হয় না। প্রশ্ন হচ্ছে এখানে দিল্লি ও ওয়াশিংটনের অবস্থান এক এবং অভিন্ন কি-না। অর্থাৎ বাংলাদেশের নির্বাচনকে ঘিরে এই দুই দেশের মনোভাব এক কি-না। এখানেও একটি বিভ্রান্তি রয়েছে। এখানে মার্কিন নীতি-নির্ধারকদের অবস্থান স্পষ্ট। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চায় সব দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। সর্বশেষ বাংলাদেশ সফর করে গেলেন মার্কিন কংগ্রেসের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল সম্পর্কিত পররাষ্ট্র বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান স্টিভ ম্যাবট। তিনি বললেন, ‘অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের’ কথা। ঢাকায় অবস্থানকালে তিনি দেখা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে। চলতি নভেম্বর মাসেই ঢাকা সফরে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক নবনিযুক্ত সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে বাংলাদেশের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের যথেষ্ট স্বার্থ রয়েছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের এই নীতি কী ভারতীয় নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক? ভারতীয় নীতি-নির্ধারকরা কী মনে করেন সব দলের অংশগ্রহণে বাংলাদেশে একটি নির্বাচন হোক? এখানে ভারতীয় পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত নিবন্ধ ও নীতি-নির্ধারকদের মন্তব্য থেকে এটা কিছুটা স্পষ্ট হয়েছে যে, বাংলাদেশে নির্বাচনের প্রশ্নে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কিছুটা মতপার্থক্য সৃষ্টি হয়েছে। ভারত বিএনপি ও জামায়াতকে তাদের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য কিছুটা হলেও ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে। বিএনপিকে তারা ঠিক আস্থায় নিতে পারছে না। বাংলাদেশে তাদের ‘বড় স্বার্থ’ রয়েছে। এই ‘বড় স্বার্থ’ বিঘিœত হতে পারে এমন অভিযোগ কোনো কোনো ভারতীয় বিশ্লেষকের। আবার তারা এটাও মনে করে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। নয়াদিল্লির সাউথ ব্লকের (পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) কর্মকর্তাদের অভিমত, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন একটি সরকার তাদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারবে বেশি! বেগম জিয়ার বহুল আলোচিত ও সমালোচিত নয়াদিল্লি সফরের পরও বিএনপির ব্যাপারে ভারতীয় নেতাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে এতটুকু পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়নি। এটা বেগম জিয়ার ব্যর্থতা। তার পররাষ্ট্র উপদেষ্টাদের এটা একটা বড় ব্যর্থতা যে, তারা ভারতীয় নীতি-নির্ধারকদের আস্থায় নিতে পারেননি। তাই বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন ও সব দলের অংশগ্রহণ নিয়ে মার্কিন এবং ভারতীয় নীতি-নির্ধারকদের দৃষ্টিভঙ্গির কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। তবে চূড়ান্ত বিচারে ভারতীয় এই ‘অবস্থান’কেই সমর্থন জানাবে ওবামা প্রশাসন। কেননা ভারতে তাদের স্বার্থ অনেক বেশি। ভারতকে যুক্তরাষ্ট্র যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়। গত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ওয়াশিংটনে ওবামা আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে। বাংলাদেশসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ দেশের নেতা, যারা জাতিসংঘের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন, তারা হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ পাননি। ২০১৪ সালে ভারত মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্র একটি বড় ধরনের নৌ-মহড়ার আয়োজন করেছে। ওয়াশিংটন চায় ওই নৌ-মহড়ায় ভারতীয় নৌবাহিনী অংশ নিক। ন্যাটোর যে Strategic Concept, অর্থাৎ ন্যাটোর সম্প্রসারিত ভূমিকাতে ভারত সহযোগী সদস্য হিসেবে অংশ নিক, এটাও চাইছে মার্কিন সামরিক স্ট্র্যাটেজিটরা। ন্যাটোর Partners Accross the alobe অথবা Istambul Cooperation Initiative ধারণায় ভারত আগামীতে অন্যতম সহযোগী মিত্র হিসেবে অংশ নিতে পারে। ভারত তার সনাতন জোটনিরপেক্ষ নীতিতে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে বলেই মনে হয়। বিশ্ব রাজনীতিতে ভারতের যে নিরপেক্ষ অবস্থান, তা পুরোপুরি নেই। অর্থনীতি, বিশেষ করে বিনিয়োগের স্বার্থে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার সম্পর্ক অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। তাই বাংলাদেশ তার কাছে যতটা না গুরুত্বপূর্ণ, তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ভারত। চূড়ান্ত বিচারে বাংলাদেশের ব্যাপারে ভারতীয় ‘অবস্থান’কেই সমর্থন করবে যুক্তরাষ্ট্র। একটি নির্বাচন হতে যাচ্ছে বাংলাদেশে। এটা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। ওই নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলেও কিংবা তার কোনো গ্রহণযোগ্যতা না থাকলেও বাস্তবতা হচ্ছে আগামী ২০১৪ সালে বাংলাদেশ একটি নতুন সরকার পাবে। ওই সরকারকে ক্ষমতায় রেখে ভারত স্বস্তি পাবে। যার মধ্য দিয়ে এ দেশে মার্কিনি স্বার্থের কোনো নড়বড় হবে না। মার্কিনি স্বার্থের ‘স্ট্যাটাস কো’ বজায় থাকবে। স্মরণ থাকার কথা বাংলাদেশ ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়ে দিয়েছে যে, বাংলাদেশ টিকফা বা Trade and Investment Cooperation Framewort Agreement (TICFA) চুক্তি করতে রাজি। নভেম্বরের শেষ দিকে এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হতে যাচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বড় ধরনের স্বার্থ রক্ষিত হবে। যুক্তরাষ্ট্র অনেক দিন ধরেই এই চুক্তিটি স্বাক্ষর করতে চাচ্ছিল। এই চুক্তিটি স্বাক্ষরের আগ্রহ প্রকাশ করে বাংলাদেশ ওয়াশিংটনকে এই মেসেজটিই দিতে চায় যে, তারা ওয়াশিংটনের স্বার্থের বাইরে যাবে না। তাই বিএনপি তথা ১৮ দলের প্রবল আপত্তি ও বিরোধিতার পরও বাংলাদেশে জানুয়ারিতে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন হবে এবং নয়া সরকার ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের বাইরে গিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না।
দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে একটা পরিবর্তন এসেছে। পাকিস্তানে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে নওয়াজ শরিফ তৃতীয়বারের মতো সে দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। তিনি ইতোমধ্যে পাকিস্তানে মার্কিনি ড্রোন বিমান হামলা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। ভারতে আগামী বছর নির্বাচন হওয়ার কথা। সেই নির্বাচন নিয়ে ইতোমধ্যে নানা প্রশ্নের জন্ম হয়েছে। নেপালে আগামীতে নির্বাচন হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আওতায়। আর বাংলাদেশে এই নভেম্বরেই সর্বদলীয় সরকার গঠিত হবে। এর পর দু’মাসের মধ্যে নির্বাচন। সুতরাং এ অঞ্চলে সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মার্কিনি নীতির ব্যাপারটিও লক্ষণীয়। এ অঞ্চলে, বিশেষ করে ভারত মহাসাগরে মার্কিনি স্বার্থ রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কখনো চাইবে না তার স্বার্থ বিঘিœত হোক।
আর তার স্বার্থ টিকিয়ে রাখতে হলে তার ভারতের সাহায্য ও সহযোগিতা প্রয়োজন। ভারত উঠতি শক্তি। সামরিক তো বটেই, অর্থনৈতিক শক্তিও বটে। মার্কিন স্বার্থ বিঘিœত হবে যদি ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। যুক্তরাষ্ট্র সেটা কখনোই চাইবে না। বাংলাদেশের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র কখনো একক কোনো নীতি গ্রহণ করেনি। বাংলাদেশের ব্যাপারে মার্কিন নীতি ভারতীয় মনোভাব দ্বারা প্রভাবান্বিত। বাংলাদেশের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে একটি সংকট তৈরি হয়েছে। দাতা দেশগুলোর উদ্যোগ কিংবা জাতিসংঘের মহাসচিবের ফোনের পরও সংকটের কোনো সমাধান হয়নি। সরকার এককভাবে হাঁটছে। আর বিএনপি যাচ্ছে হার্ডলাইনে। সংলাপ প্রত্যাশিত হলেও আদৌ সংলাপের কোনো সম্ভাবনা আছে বলে মনে হয় না। সংলাপ নিয়েও পরস্পর বিরোধী মন্তব্য লক্ষ্য করা যায়। তাই স্পষ্টতই মজিনার নয়াদিল্লি সফর নানা জল্পনা-কল্পনার জন্ম দিয়েছিল। নয়াদিল্লি সফর শেষ করে মজিনা ওয়াশিংটন গেছেন। ওয়াশিংটনে তিনি যে বাংলাদেশের সংঘাতময় পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন, তা আর কাউকে বলে দিতে হয় না। প্রশ্ন হচ্ছে এখানে দিল্লি ও ওয়াশিংটনের অবস্থান এক এবং অভিন্ন কি-না। অর্থাৎ বাংলাদেশের নির্বাচনকে ঘিরে এই দুই দেশের মনোভাব এক কি-না। এখানেও একটি বিভ্রান্তি রয়েছে। এখানে মার্কিন নীতি-নির্ধারকদের অবস্থান স্পষ্ট। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চায় সব দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। সর্বশেষ বাংলাদেশ সফর করে গেলেন মার্কিন কংগ্রেসের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল সম্পর্কিত পররাষ্ট্র বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান স্টিভ ম্যাবট। তিনি বললেন, ‘অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের’ কথা। ঢাকায় অবস্থানকালে তিনি দেখা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে। চলতি নভেম্বর মাসেই ঢাকা সফরে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক নবনিযুক্ত সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে বাংলাদেশের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের যথেষ্ট স্বার্থ রয়েছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের এই নীতি কী ভারতীয় নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক? ভারতীয় নীতি-নির্ধারকরা কী মনে করেন সব দলের অংশগ্রহণে বাংলাদেশে একটি নির্বাচন হোক? এখানে ভারতীয় পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত নিবন্ধ ও নীতি-নির্ধারকদের মন্তব্য থেকে এটা কিছুটা স্পষ্ট হয়েছে যে, বাংলাদেশে নির্বাচনের প্রশ্নে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কিছুটা মতপার্থক্য সৃষ্টি হয়েছে। ভারত বিএনপি ও জামায়াতকে তাদের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য কিছুটা হলেও ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে। বিএনপিকে তারা ঠিক আস্থায় নিতে পারছে না। বাংলাদেশে তাদের ‘বড় স্বার্থ’ রয়েছে। এই ‘বড় স্বার্থ’ বিঘিœত হতে পারে এমন অভিযোগ কোনো কোনো ভারতীয় বিশ্লেষকের। আবার তারা এটাও মনে করে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। নয়াদিল্লির সাউথ ব্লকের (পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) কর্মকর্তাদের অভিমত, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন একটি সরকার তাদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারবে বেশি! বেগম জিয়ার বহুল আলোচিত ও সমালোচিত নয়াদিল্লি সফরের পরও বিএনপির ব্যাপারে ভারতীয় নেতাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে এতটুকু পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়নি। এটা বেগম জিয়ার ব্যর্থতা। তার পররাষ্ট্র উপদেষ্টাদের এটা একটা বড় ব্যর্থতা যে, তারা ভারতীয় নীতি-নির্ধারকদের আস্থায় নিতে পারেননি। তাই বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন ও সব দলের অংশগ্রহণ নিয়ে মার্কিন এবং ভারতীয় নীতি-নির্ধারকদের দৃষ্টিভঙ্গির কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। তবে চূড়ান্ত বিচারে ভারতীয় এই ‘অবস্থান’কেই সমর্থন জানাবে ওবামা প্রশাসন। কেননা ভারতে তাদের স্বার্থ অনেক বেশি। ভারতকে যুক্তরাষ্ট্র যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়। গত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ওয়াশিংটনে ওবামা আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে। বাংলাদেশসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ দেশের নেতা, যারা জাতিসংঘের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন, তারা হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ পাননি। ২০১৪ সালে ভারত মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্র একটি বড় ধরনের নৌ-মহড়ার আয়োজন করেছে। ওয়াশিংটন চায় ওই নৌ-মহড়ায় ভারতীয় নৌবাহিনী অংশ নিক। ন্যাটোর যে Strategic Concept, অর্থাৎ ন্যাটোর সম্প্রসারিত ভূমিকাতে ভারত সহযোগী সদস্য হিসেবে অংশ নিক, এটাও চাইছে মার্কিন সামরিক স্ট্র্যাটেজিটরা। ন্যাটোর Partners Accross the alobe অথবা Istambul Cooperation Initiative ধারণায় ভারত আগামীতে অন্যতম সহযোগী মিত্র হিসেবে অংশ নিতে পারে। ভারত তার সনাতন জোটনিরপেক্ষ নীতিতে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে বলেই মনে হয়। বিশ্ব রাজনীতিতে ভারতের যে নিরপেক্ষ অবস্থান, তা পুরোপুরি নেই। অর্থনীতি, বিশেষ করে বিনিয়োগের স্বার্থে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার সম্পর্ক অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। তাই বাংলাদেশ তার কাছে যতটা না গুরুত্বপূর্ণ, তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ভারত। চূড়ান্ত বিচারে বাংলাদেশের ব্যাপারে ভারতীয় ‘অবস্থান’কেই সমর্থন করবে যুক্তরাষ্ট্র। একটি নির্বাচন হতে যাচ্ছে বাংলাদেশে। এটা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। ওই নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলেও কিংবা তার কোনো গ্রহণযোগ্যতা না থাকলেও বাস্তবতা হচ্ছে আগামী ২০১৪ সালে বাংলাদেশ একটি নতুন সরকার পাবে। ওই সরকারকে ক্ষমতায় রেখে ভারত স্বস্তি পাবে। যার মধ্য দিয়ে এ দেশে মার্কিনি স্বার্থের কোনো নড়বড় হবে না। মার্কিনি স্বার্থের ‘স্ট্যাটাস কো’ বজায় থাকবে। স্মরণ থাকার কথা বাংলাদেশ ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়ে দিয়েছে যে, বাংলাদেশ টিকফা বা Trade and Investment Cooperation Framewort Agreement (TICFA) চুক্তি করতে রাজি। নভেম্বরের শেষ দিকে এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হতে যাচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বড় ধরনের স্বার্থ রক্ষিত হবে। যুক্তরাষ্ট্র অনেক দিন ধরেই এই চুক্তিটি স্বাক্ষর করতে চাচ্ছিল। এই চুক্তিটি স্বাক্ষরের আগ্রহ প্রকাশ করে বাংলাদেশ ওয়াশিংটনকে এই মেসেজটিই দিতে চায় যে, তারা ওয়াশিংটনের স্বার্থের বাইরে যাবে না। তাই বিএনপি তথা ১৮ দলের প্রবল আপত্তি ও বিরোধিতার পরও বাংলাদেশে জানুয়ারিতে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন হবে এবং নয়া সরকার ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের বাইরে গিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না।
দৈনিক মানবকন্ঠ, ১০ নভেম্বর ২০১৩।
লেখক: অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় - See more at: http://manobkantha.com/2013/11/10/146278.html#sthash.itcd8Vox.KXOShtT2.dpuf
লেখক: অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় - See more at: http://manobkantha.com/2013/11/10/146278.html#sthash.itcd8Vox.KXOShtT2.dpuf
0 comments:
Post a Comment