রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

বরফ গলবে কি?

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের একদিন পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক সংবাদ সম্মেলনে বেশ কতগুলো কথা বলেছেন। একই দিন রাতে বিবিসি বাংলার সঙ্গে খালেদা জিয়া একটি একান্ত সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। বিবিসি পুরো বিষয়টির ওপর মন্তব্য করার জন্য আমাকে তাদের স্টুডিওতে ডেকেছিল। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এ দুটি সাক্ষাৎকার নিয়ে আমি মন্তব্য করেছি। প্রথমে আসা যাক প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য বিশ্লেষণ করলে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো পাওয়া যায়-১. নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে, ২. সন্ত্রাসবাদ তথা জঙ্গিবাদী তৎপরতা সহ্য করা হবে না, ৩. স্বাধীনতাবিরোধীরাই নির্বাচনে অংশ নেয়নি, ৪. বিএনপির সঙ্গে আলোচনা হতে পারে, যদি বিএনপি জামায়াতকে ছেড়ে আসে, ৫. আগামী নির্বাচন সম্পর্কে এখনই তিনি কিছু বলতে চান না ইত্যাদি। অন্যদিকে খালেদা জিয়া বিবিসিকে যা বলেছেন, তা অনেকটা এরকম- ১. আলোচনায় তিনি রাজি, তবে সরকারকে পরিবেশ তৈরি করতে হবে, ২. দলীয় নেতা ও কর্মীদের মুক্তি দিতে হবে, ৩. জামায়াতের সঙ্গে তিনি সম্পর্ক রাখবেন কিনা, সেটা সম্পূর্ণ তার দলের নিজস্ব ব্যাপার, ৪. তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। এখন যে প্রশ্নটি দাঁড়ায় তা হচ্ছে দুই নেত্রীর এই বক্তব্য কি পরস্পরবিরোধী নয় এবং তা কি বরফ গলার জন্য যথেষ্ট? আলোচনায় যেতে উভয় পক্ষই রাজি। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী একটি শর্ত দিয়েছেন। আর খালেদা জিয়ার অভিমতÑ বিষয়টি তার দলের এখতিয়ার এবং স্পষ্টতই তিনি চান না আলোচনায় কোনো পূর্বশর্ত থাকুক। আমি বিবিসিকে একই কথা বলেছিÑ এই একটি ইস্যুতে আলোচনা শুরু করাটা আটকে যেতে পারে। জামায়াতের এ মুহূর্তে নির্বাচন কমিশনে কোনো নিবন্ধন নেই। অর্থাৎ আগামী নির্বাচনে জামায়াত অংশগ্রহণ করতে পারবে না। এটা তো অস্বীকার করা যাচ্ছে না যে, অতীতে একটি নিবন্ধিত দল হিসেবেই জামায়াত নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। ১৯৮৬ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে যেখানে বিএনপি অংশ নেয়নি, কিন্তু আওয়ামী লীগ অংশ নিয়েছিল, ওই নির্বাচনে জামায়াতও অংশ নিয়েছিল এবং ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারির বিতর্কিত ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতও অংশ নেয়নি। এখন দশম সংসদে আওয়ামী লীগের হাতে রয়েছে ২৩৩ জন সংসদ সদস্য। তারা আবার সংবিধান সংশোধনও করতে পারে। এক্ষেত্রে সাংবিধানিকভাবে জামায়াত নিষিদ্ধও হতে পারে। জামায়াত প্রশ্নে যদি কোনো ‘শর্ত’ আরোপ করা হয়, তাহলে প্রশ্ন ওঠাটাই স্বাভাবিক। আর সে প্রশ্নটিই তুলেছেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। তবে আলোচনার পরিবেশ সৃষ্টির সঙ্গে সরকার গ্রেফতারকৃত বিএনপির নেতা ও কর্মীদের ছেড়ে দিতে পারে। খালেদা জিয়াকে ‘অন্তরীণ’ অবস্থা থেকেও ‘মুক্তি’ দিতে পারে সরকার। এতে করে সরকারের উদারতা প্রমাণিত হবে। তবে খালেদা জিয়ার বক্তব্যে একটি জিনিস স্পষ্ট হয়েছে, তা হচ্ছে কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। এর অর্থ হরতাল আর অবরোধের যে কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল বিএনপি, তা চলতে থাকবে। এই কর্মসূচি চলতে থাকলে সংলাপের সম্ভাবনা ক্ষীণ। নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রীকে বেশ উৎফুল্ল দেখা গেছে। তিনি এখন অনেক কনফিডেন্ট। তবে ‘গণতন্ত্র বিজয়ী হয়েছে’ বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সে ব্যাপারে অনেকেরই আপত্তি থাকতে পারে। কেননা সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করার জন্য নির্বাচনটা হয়েছে সত্য, কিন্তু আন্তর্জাতিক এটি কোনো গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। ৭ জানুয়ারি কিছু আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়াও আমরা পেয়েছি। যা কিনা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে সমর্থন করে না। যেমনÑ নতুন একটি নির্বাচনে বসার জন্য আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ব্রিটেন, কানাডা ও কমনওয়েলথের উদ্বেগ ও হতাশা প্রকাশিত হয়েছে। জনপ্রিয় সাপ্তাহিক টাইম বলেছে, গভীরভাবে ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল কম। আর ইকোনমিস্টের মন্তব্য ‘নষ্ট নির্বাচন’। নিউইয়র্ক টাইমসের মতো পত্রিকাও মন্তব্য করেছে- এটি ছিল একটি ‘অদ্ভুত নির্বাচন’। প্রভাবশালী এ পত্রিকাটি বাংলাদেশে গণতন্ত্র নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এসব মন্তব্য বাংলাদেশের গণতন্ত্রের বিকাশের জন্য কোনো ভালো খবর নয়। এমনকি ‘স্বাধীনতাবিরোধীরা নির্বাচনে অংশ নেয়নি’ বলে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যেও হতাশা প্রকাশ করেছেন কাদের সিদ্দিকী ও কর্নেল (অব.) অলির মতো মুক্তিযোদ্ধারা। এরা কেউই নির্বাচনে অংশ নেননি। গণতন্ত্রে একটি নির্বাচিত সরকার যেমনি থাকে, ঠিক তেমনি থাকে একটি শক্তিশালী বিরোধী দলও। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে পারস্পরিক বিশ্বাস ও আস্থা অন্যতম একটি শর্ত। এই আস্থা ও বিশ্বাস না থাকলে গণতন্ত্র বিনির্মাণ করা যায় না। বাংলাদেশে আমরা গণতন্ত্র পেয়েছি। কিন্তু বিশ্বাস ও আস্থা নেই। আর নেই বলেই আমরা সবাই মিলে ‘সকল দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণের’ একটি আবহ তৈরি করতে পারলাম না। এখন দশম সংসদ নির্বাচনকে আমরা কীভাবে ব্যাখ্যা করব? ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত। এর মাঝে ১২৭ জন আওয়ামী লীগের, ওয়ার্কার্স পার্টির দু’জন, জাসদের তিনজন, জাতীয় পার্টির ২০ জন, জেপির একজন। ১৪৭ আসনে যেখানে তথাকথিত নির্বাচন হয়েছে, সেখানে অনেক জায়গায় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে প্রার্থী ছিলেন বিদ্রোহী আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাই। ওইসব আসনে ভোটার ছিল ৪ কোটি ৩৯ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৮ জন। প্রার্থী ছিলেন ৩৯০ জন। মোট ১৮ হাজার ২০৮টি ভোট কেন্দ্রের সবক’টিতে সুষ্ঠু ভোটও হয়নি। ভোটারের উপস্থিতির হার সম্পর্কে ইসির ব্যাখ্যা আমরা পাইনি। তবে সরকারি মতে ৬০ ভাগ। আওয়ামী লীগ এখন নতুন করে দ্বিতীয় আরেকটি মহাজোট সরকার গঠন করবে এবং প্রয়োজনে ২৩৩টি আসন নিয়ে দুই-তৃতীয়াংশ আসন নিশ্চিত করে সংবিধানে আরও ব্যাপক পরিবর্তন আনতে পারে। এরই মধ্যে নবম সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে সংবিধানে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছিল আওয়ামী লীগ। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ আবারও সংবিধানে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে। সংসদীয় রাজনীতির একটা বড় সৌন্দর্য হচ্ছে সংসদে শক্তিশালী বিরোধী দল থাকা। কিন্তু দশম সংসদ নিয়ে এরই মধ্যে একটা ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। এ সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করবে কোন দল? জাতীয় পার্টিকে আপাতত ভাবা হচ্ছে। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, জাতীয় পার্টি মহাজোটের অংশীদার। উপরন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে জাতীয় পার্টির মন্ত্রী ও উপদেষ্টা আছেন একাধিক। ২৭টি আসনে আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী ছিল না। ফলে জাতীয় পার্টিকে কেন্দ্র করে গুজবের ডালপালা বাড়বেই। তবে জাতীয় পার্টি ও এর নেতা এইচএম এরশাদ এরই মধ্যে নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। ‘অসুস্থ’ হয়ে গলফ খেলে তিনি ‘চিকিৎসা নিচ্ছেন’ সিএমএইচে। আর এই গলফ খেলাটা নাকি তার চিকিৎসার অংশ। আমাদের দুর্ভাগ্য ওবায়দুল কাদেরের মতো লোকের কাছ থেকেও আমাদের এ ধরনের কথা শুনতে হয়। ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্য যখন পত্রিকায় ছাপা হয়, তখন আস্থার জায়গাটা আর থাকে না। বলতে দ্বিধা নেই, অতীতে ওবায়দুল কাদের তার বক্তব্য ও নেতৃত্বের গুণে নিজেকে একজন যোগ্য ও খাঁটি নেতা হিসেবে প্রমাণ করতে পেরেছিলেন। যে কারণে দীর্ঘদিন তিনি মন্ত্রিসভায় না থাকলেও মহাজোট সরকারের শেষের দিকে তিনি মন্ত্রিসভায় যোগ দেন। এখন তিনিই কিনা বললেন এ কথা। যারা সংবাদপত্র নিয়মিত পাঠ করেন, তারা দেখেছেন এ নির্বাচনকে ঘিরে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ সম্পর্কে একটি বাজে ধারণার জন্ম হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন, এমনকি রাশিয়া কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাতে অপারগতা প্রকাশ করেছিল। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর বলেছিল, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। প্রভাবশালী কলকাতার বাংলা সংবাদপত্র আনন্দবাজার বলেছিল, খুব দ্রুত একাদশ নির্বাচনের প্রস্তুতির পরামর্শ দিয়েছে ভারত। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সাময়িকী ফরেন পলিসি ম্যাগাজিন ‘ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের তালিকায় বাংলাদেশের’ নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে। যে ১০টি দেশকে তারা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে তার মাঝে বাংলাদেশের নামও আছে। কী দুর্ভাগ্য, যেখানে জাতিসংঘের মহাসচিব বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে দক্ষিণ সুদানে শান্তিরক্ষী পাঠাতে অনুরোধ করেন, সেই বাংলাদেশই কিনা এখন ঝুঁকিপূর্ণ দেশে পরিণত হলো। যে যুক্তি ফরেন পলিসি ম্যাগাজিনের গবেষকরা উল্লেখ করেছেন তা একেবারে ফেলে দেয়ার মতো নয়। অনেকেই জানেন, প্রভাবশালী এই সাময়িকীটি মার্কিন নীতিনির্ধারণে প্রভাব খাটায়। নির্বাচন হয়ে গেল। কিন্তু সব দলের অংশগ্রহণ তাতে থাকল না। আমাদের দুঃখ এখানেই যে, আমাদের রাজনীতিবিদরা দূরদর্শিতার পরিচয় দিতে পারলেন না। এখন প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক বেশি। আস্থার সম্পর্কটা গড়ে তোলার উদ্যোগ নিতে হবে সরকারকেই। পশ্চিমা বিশ্বের যে উৎকণ্ঠা, সেই উৎকণ্ঠা ও উদ্বেগ কমানোর উদ্যোগ নিতে হবে সরকারকেই। কেননা বিএনপি বড় দল। দলটিকে আস্থায় না নিলে তা গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করবে না। নির্বাচনে বিরোধী দল আসেনি। এর জন্য কে দায়ী, কে দায়ী নয়, সে হিসাব না করে এখন যদি বিএনপির সঙ্গে একটা আস্থার সম্পর্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়, তাতে করে দাতাগোষ্ঠীর আস্থা অর্জন করা সম্ভব। আমাদের প্রয়োজনেই দাতাগোষ্ঠীর সঙ্গে এ আস্থার সম্পর্কটা থাকা দরকার। বিএনপির সঙ্গে আস্থার সম্পর্ক গড়ে না তুললে তা ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর প্রভাব ফেলবে। এরই মধ্যে অর্থনীতিতে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫.২-এর কাছাকাছি নেমে আসবে। মুদ্রাস্ফীতি বাড়বে। সবচেয়ে বড় ক্ষতি হবে তৈরি পোশাক খাতে। এরই মধ্যে অনেক অর্ডার বাতিল হয়ে গেছে। ক্রেতারা কম্পুচিয়া ও ভিয়েতনামে চলে গেছে। শিপমেন্টে মালিকদের খরচ বেড়েছে। এক্ষেত্রে অর্ডার পাওয়া না গেলে অনেক কোম্পানি তার কর্মচারীদের বেতন দিতে পারবে না। বন্ধ হয়ে যাবে কারখানা। ফলে একটা দীর্ঘমেয়াদি অসন্তোষ বিরাজ করবে এ সেক্টরে। পরোক্ষভাবে আন্দোলনের ব্যাপারে একটা নেতিবাচক ধারণাও তৈরি হয়েছে। সুতরাং বিরোধী দলকেও এখন চিন্তা করতে হবে সহিংসতা কীভাবে পরিহার করে এই আন্দোলন পরিচালনা করা যায়। যদিও একটা অভিযোগ আছে যে, একটি ‘বিশেষ মহলের’ নির্দেশে এসব সহিংসতা পরিচালিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ায় ‘খুশি’ হয়েছেন। তার হাস্যোজ্জ্বল ছবি ও হালকা রসিকতা (সংবাদ সম্মেলনে) প্রমাণ করে তিনি ‘কনফিডেন্ট’ অর্থাৎ আস্থাশীল। ক্ষমতা সব দলের সমর্থন ছাড়া ধরে রাখাতে গৌরবের কিছু নেই। বরং সুষ্ঠুভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার ব্যাপারে কৃতিত্ব রয়েছে অনেক। ‘নষ্ট নির্বাচন’ (ইকোনমিস্ট) আমরা আর চাই না। চাই অর্থবহ নির্বাচন। আলোচনা হোক। নির্বাচনকালীন সরকারের একটা রূপরেখা প্রণীত হোক। সংলাপ হোক। আমাদের মাঝে স্বস্তি ও স্বাভাবিকতা ফিরে আসুক। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফল তাই সব প্রশ্নের জবাব আমাদের দিল ন Daily ALOKITO BANGLADESH 09.01.14

0 comments:

Post a Comment