রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

সঙ্কট আর অস্থিতিশীলতার বছর

একটা বছর আমরা পার করলাম। ২০১৩ সাল ছিল সারা বিশ্বব্যাপী একটা সঙ্কট আর অস্থিতিশীলতার বছর। রাজনৈতিক সঙ্কট ছিল প্রায় প্রতিটি অঞ্চলে, আরব বিশ্ব থেকে শুরু করে দক্ষিণ এশিয়া পর্যন্ত। খোদ যুক্তরাষ্ট্রও এই সঙ্কট থেকে পুরোপুরিভাবে বের হয়ে আসতে পেরেছে বলে মনে হয় না। তবে দেশে দেশে সঙ্কটের মাত্রা ছিল ভিন্ন ভিন্ন। আরব বিশ্বের রাজনৈতিক সঙ্কটের সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক সঙ্কটকে মেলান যাবে না। ঠিক তেমনি বছরের শেষ দিকে ওবামা কংগ্রেসের সঙ্গে যে 'বিতর্কে' জড়িয়ে গিয়েছিলেন, তার মাত্রাও ছিল ভিন্ন। আরব বিশ্বের সঙ্কটটা ছিল গণতন্ত্রের। এক সময় মিসরের তাহরীর স্কোয়ারের ১৭ দিনের 'অবস্থান ধর্মঘট' হোসনি মোবারককে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল। কিন্তু ২০১১ সালের সেই 'বিপ্লব'-এর প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে তাহরির স্কোয়ার আবার গর্জে উঠেছিল। একটি সামরিক অভ্যুত্থান মিসরে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত একজন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল জুলাই মাসে। মুরসির ক্ষমতাচ্যুতির বিষয়টাকে চিহ্নিত করা হয়েছে 'আরব বসন্ত'-এর ব্যর্থতা হিসেবে। মিসরের সমাজ যে গণতন্ত্রের জন্য উপযুক্ত নয়, সেটা আবার প্রমাণিত হলো। ড. মুরসি ছিলেন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। মিসরে দীর্ঘদিনের দেশরক্ষামন্ত্রী ও সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল তানতাবিকে বরখাস্ত করেছিলেন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুরসি। পরে যে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল, সেই জেনারেল সিসিকে তিনিই সেনা প্রধান করেছিলেন। তবে এটা ঠিক মুরসি খুব দ্রুত এগুতে চাচ্ছিলেন। তিনি খুব দ্রুত মিসরকে একটি ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিলেন। তিনি শারীয়াহ্ আইন প্রবর্তন করেছিলেন। ফলে সুযোগের অপেক্ষায় ছিল সেনাবাহিনী। তারাই ক্ষমতাচ্যুত করল মুরসিকে। জানুয়ারিতে (২০১৪) সেখানে নয়া সংবিধানের পক্ষে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এবং জেনারেল সিসি যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, তা আর কাউকে বলার প্রয়োজন নেই। দুর্ভাগ্য এখানেই যে, 'আরব বসন্ত' যে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির সম্ভাবনার জন্ম দিয়েছিল, তা এখন 'মৃত'। শুধু মিসর কেন বলি, তিউনেশিয়া কিংবা লিবিয়া এবং ইরাকেও যেখানেই 'আরব বসন্ত' স্বৈরাচারী সরকারের পতন ডেকে এনেছিল, সেখানে কোনো স্থিতিশীলতা উপহার দিতে পারেনি, গণতন্ত্রতো দূরের কথা। তিউনেশিয়ায় ইসলামপন্থীদের বিজয় ও সেখানে একটি কোয়ালিশন সরকার গঠিত হলেও, গেল বছর (২০১৩ সেখানে একের পর এক বিরোধী দলের নেতাদের হত্যাকা-ের ঘটনা, সেখানে সুস্থ রাজনৈতিক চর্চাকে বাধাগ্রস্ত করে। শেষঅব্দি সাবেকমন্ত্রী মেহদি জোমাকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে উভয়পক্ষ মেনে নেয়। ২০১৪ সালে সেখানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। লিবিয়াতে গাদ্দাফি পরবর্তী রাজনীতিতে ইসলামী জঙ্গিরা একটি শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এদের হাতেই মারা গিয়েছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। আর ইয়েমেনেও স্থিতিশীলতা ফিরে আসেনি। আল কায়দা এখানে শক্তিশালী। যে কারণে মার্কিন ড্রোন বিমান হামলা এখানে বেড়েছে। ন্যাশনাল ডায়লগ কনফারেন্সের নামে দীর্ঘদিন ধরে যে সংলাপ চলে আসছে, তা কোনো ঐকমত্যে উপস্থিত হতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে ইয়েমেন নিয়ে প্রশ্ন থেকে গেছে। আর ইরাকে আত্মঘাতী বোমাবাজি সংস্কৃতি ইরাকে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে পারেনি। ফলে 'আরব বসন্ত' নিয়ে একটি প্রশ্ন থেকে গেছে। বস্তুত 'আরব বসন্ত' তার লক্ষ্যে পেঁৗছতে পারেনি। দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে। ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপে দ্বিতীয় দফা ভোটের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে এবং আবদুল্লাহ ইয়ামিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। এবং ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট নাশিদ তা মেনে নিয়েছেন। পাকিস্তানে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে এবং নওয়াজ শরিফ আরো একবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। একইসঙ্গে দুটো গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনও সাধিত হয়েছে পাকিস্তানে। প্রধান বিচারপতি এবং সেনাপ্রধান অবসরে গেছেন। গত ৫ বছর প্রধান বিচারপতি ইফতেখার চৌধুরী নিয়ম-মাফিক অবসরে যাওয়ার পর তাসাদ্দুক হোসেন জিলানী প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নিয়েছেন। আর জেনারেল কায়ানির টার্ম শেষ হয়ে যাওয়ার পর জেনারেল রাহিল শরীফ নয়া সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। তবে শরীফের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে তাহরিক ই-তালিবানকে নিষ্ক্রিয় করা ও তাদের জঙ্গিবাদী তৎপরতা বন্ধ করা। মূলত তাহরিক-ই তালিবান সীমান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছেন। এ অঞ্চল এখন ইমরান খানের দল তাহরিক-ই ইনসাফ সরকার গঠন করেছে। ধারণা করা হয় ইমরান খানের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদী জঙ্গি দল হিসেবে পরিচিত তাহরিক-ই তালিবানের একটা সম্পর্ক রয়েছে। অন্যদিকে সীমান্ত অঞ্চলে মার্কিন ড্রোন বিমান হামলা বন্ধ হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শরিফ এই হামলা বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ জানালেও তা রক্ষিত হয়নি। এটা খোদ নওয়াজ শরিফের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। পাকিস্তানের জন্য এটা বড় খবর হলো যে একটা নির্বাচিত সরকার তার ৫ বছরের টার্ম পূরণ করল। আর ভারতে নয়াদিলি্লতে আরবিন্দ বেজরিওয়ালার সরকার গঠন ছিল অন্যতম আলোচিত বিষয়। ২০১৪ সালে আফগানিস্তান থেকে সব বিদেশি সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়া হবে। ওবামা এই প্রতিশ্রুতি দিলেও, তিনি এই প্রতিশ্রুতি কতটুকু রাখতে পারবেন, সেটা একটা প্রশ্ন। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে আফগানিস্তানের কারজাই সরকারের সঙ্গে একটা নিরাপত্তা চুক্তি করতে চাইলেও, তা হয়নি। এক্ষেত্রে চলতি বছর আফগানিস্তানের দিকে দৃষ্টি থাকবে অনেকের। অনেকেরই ধারণা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর উপস্থিতি সেখানে থাকবেই। এক্ষেত্রে পাকিস্তানেও জঙ্গি তৎপরতা বাড়বে। পাকিস্তানের কথা শুধু নয়, খোদ নেপালও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন সম্পন্ন করল। এই দুটো দেশ নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন সম্পন্ন করে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করল। নেপালে মাওবাদীরা সাংবিধানিক পরিষদের নির্বাচনে ভালো ফলাফল করেনি। তবে ভালো খবর হলো, তারা শেষঅব্দি অধিবেশনে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে যেসব দেশ গণতন্ত্র চর্চা করে, তাদের জন্য 'খারাপ' খবর আছে। বিশেষ করে থাইল্যান্ড আর ইউক্রেনে সরকারবিরোধী আন্দোলনের নতুন একটি মাত্রা পায়। বিশেষ করে থাইল্যান্ডে সরকারবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে রাজনীতি মূলত দুই পক্ষের মধ্যে ভাগ হয়ে যায়। একদিকে 'রেড মার্ট' আন্দোলন, যারা সরকার সমর্থক হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে 'হলুদ মার্ট' আন্দোলন, যারা সরকারবিরোধী হিসেবে পরিচিত। আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে প্রধানমন্ত্রী ইংলাক আগামী ফেব্রুয়ারিতে নয়া নির্বাচনের ঘোষণা দিলেও 'হলুদ মার্ট' আন্দোলনকারীদের কাছে তা গ্রহণযোগ্য হয়নি। একপর্যায়ে সেনাপ্রধান গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হয়ে ওঠেন এবং সামরিক অভ্যুত্থানের গুজব ছড়িয়ে পড়ে। 'রেড মার্ট' আর 'হলুদ মার্ট' আন্দোলনের কারণে থাইল্যান্ডের গণতন্ত্র একটি বড় প্রশ্নের মধ্যে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী ইংলাক এভাবে 'রেড মার্ট' আন্দোলনকারীদের উসকে দিয়েই ক্ষমতায় এসেছিলেন। তার বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ তিনি তার ভাই থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে (সাবেক ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী) দায়মুক্তি দেয়ার উদ্দেশ্যে সংসদে একটি বিল এনেছেন। ইউক্রেনের অবস্থাও ঠিক তেমনি। ২০০৪ সালের 'কমলা বিপ্লব' এখন ব্যর্থ হতে চলেছে। ইউক্রেনের ইউরোপীয় ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্তি বাতিল ও রাশিয়ার সঙ্গে তার সম্পর্ক বৃদ্ধি এখন নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। গত বছর (২০১৩) ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হুগো স্যাভেজের মৃত্যু ও ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে হাসান রুহানীর অভিষেক আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে বিবেচিত। দীর্ঘদিন ক্যান্সারের সঙ্গে 'যুদ্ধ' করে এক সময় হেরে গিয়েছিলেন হুগো স্যাভেজ। তার মৃত্যুর পর তিনি যে 'সমাজতন্ত্রের নতুন এক ধারা' প্রবর্তন করেছিলেন, তার স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তার উত্তরসূরী মাদুরো এই ধারা কতটুকু রক্ষা করতে পারেন, সেটাই আলোচিত হতে থাকবে বারে বারে। অন্যদিকে ইরানের নয়া প্রেসিডেন্ট রুহানী স্পষ্ঠতই বিশ্বে ইরানের বিচ্ছিন্নতাকরণের অবস্থা থেকে বের করে আনার উদ্যোগ নিয়েছেন। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যে বিতর্ক ছিল, তার আপাতত 'সমাধান' হয়েছে। ইরান ছয় জাতি আলোচনাকারীদের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে। তবে ইরান ওই চুক্তির প্রতি কতটুকু সম্মান দেখাবে, সেটাই দেখার বিষয়। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নবম পর্যায়ের সম্মেলন। ওই সম্মেলনে 'বালি ঘোষণা' স্বাক্ষরিত হয়। 'বালি ঘোষণা থেকে বড় কোনো অর্জন নেই বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর। অবিশ্যি ২০০৫ সালে হংকং দেয়া অঙ্গীকার মেনে ৯৭ শতাংশ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা কার্যকরে রাজি হয়েছে ধনী দেশগুলো। তবে প্রশ্ন তো আছেই। তৈরি পোশাকসহ প্রধান রপ্তানি পণ্যগুলো বাদ দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া জিএসপি সুবিধা বাংলাদেশের বাণিজ্য বাড়াতে কোনো ভূমিকাই রাখছে না। তার ওপর শ্রম অধিকার ইস্যুতে গত জুন থেকে সেই সুবিধাটুকুও স্থগিত করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাই বালি ঘোষণা নিয়ে প্রশ্ন থাকবেই। ২০১৪ সালে করা ২০ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে পেরুতে। আর ষষ্ঠ 'ব্রিক' (অর্থনৈতিক জোট, ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা) শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে ব্রাজিলের ফোর্টালেজা শহরে। আগামী জুন মাসে বিশ্বকাপ ফুটবলের আসরও বসবে ব্রাজিলে। গেল বছর সিরিয়া ও দক্ষিণ সুদানের গৃহযুদ্ধ আন্তর্জাতিক আসরে যথেষ্ট বিতর্কের ঝড় তোলে। ধারণা করা হচ্ছে চলতি ২০১৪ সালেও এর একটা প্রভাব থেকে যাবে। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ সেখানে কয়েক লাখ মানুষের মৃত্যু আর লাখ লাখ মানুষকে দেশত্যাগ করতে বাধ্য করেছে। আর একটা এলার্মিং সংবাদ হচ্ছে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের ফলশ্রুতিতে সেখানে আল কায়দার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গ্রুপগুলো শক্তিশালী হয়েছেন। কোনো কোনো অঞ্চল এখন এই জঙ্গি সংগঠনগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে। এরা সিরিয়াকে একটি 'ইসলামিক আমিরাত' এ পরিণত করতে চায়। এখানে আফগানিস্তানের তালেবানদের সঙ্গে তাদের একটা মিল লক্ষ্য করা যায়। আফগান তালেবানরাও আফগানিস্তানকে একটি 'আমিরাত' এ পরিণত করতে চায়। সিরিয়ার পাশাপাশি আফ্রিকায়, বিশেষ করে মালিতে কিংবা কেনিয়াতে আল কায়দার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর তৎপরতা মিসর নেতাদের অনেক চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। মালিতে ফ্রান্সের সামরিক হস্তক্ষেপ পর্যন্ত হয়েছে। অন্যদিকে নাইরোবিতে (কেনিয়া) আল সাহাব গোষ্ঠীর তৎপরতাও মার্কিন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের এ অঞ্চলের ব্যাপারে নতুন স্ট্রাটেজি রচনায় উদ্বুদ্ধ করছে। ২০১৩ সালটি আমরা পার করলাম অনেক সঙ্কট আর অস্থিরতার মধ্যদিয়ে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর ঋণ পরিস্থিতি, বিশেষ করে চলতি ২০১৪ সালে গ্রিস, পর্তুগাল, স্পেন, আয়ারল্যান্ডের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির দিকে নজর থাকবে অনেকের। গেল বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ওবামা কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন। অক্টোবরের 'শাট ডাউনের' মতো পরিস্থিতি আবারো সৃষ্টি হতে পারে। অন্যদিকে জেনেভায় আলোচনায় সিরিয়া সঙ্কটের যদি কোনো সমাধান না হয়, তাহলে সিরিয়ায় আরেকটি মার্কিন বিমান হামলার সম্ভাবনা তৈরি করবে। চলতি ২০১৪ সালেও তাই বিশ্ব রাজনীতিতে এক ধরনের অস্থিরতা তৈরি করবে।+

0 comments:

Post a Comment