কেমন হবে ২০১৪ সালের বিশ্ব রাজনীতি? ২০১৩ সালের বিশ্ব রাজনীতিতে উৎকণ্ঠা, অস্থিরতা, দ্বন্দ্ব থাকলেও তা কি ২০১৪ সালের রাজনীতিতে আদৌ কোনো প্রভাব ফেলবে? মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গেল বছর কংগ্রেসের সঙ্গে বাজেট তথা সরকারের ব্যয় নিয়ে বড় ধরনের বিবাদে জড়িয়ে গিয়েছিলেন, এর রেশ কি চলতি বছরেও থাকবে? যারা আন্তর্জাতিক রাজনীতি নিয়ে কাজ করেন তারা জানেন, গেল বছরের বিশ্ব রাজনীতির কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা চলতি বছরের বিশ্ব রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলবে এবং বিশ্ব রাজনীতিতে উত্তেজনা থাকবে। বিশেষ করে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের ব্যাপ্তি এবং সেখানে আল কায়দার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সশস্ত্র গ্র“পগুলোর উত্থান শুধু ওই অঞ্চলের রাজনীতিই নয়, বরং বিশ্ব রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলবে এবং মার্কিন নীতিনির্ধারকদের একটা বড় চিন্তায় ফেলে দেবে।
চলতি বছর ভারতসহ বেশ ক’টি গণতান্ত্রিক দেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং ভারত একজন নয়া প্রধানমন্ত্রী পাবে। এক্ষেত্রে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন জোট নির্বাচনে বিজয়ী হলেও মনমোহন সিং আর প্রধানমন্ত্রী হবেন না। চলতি বছরের শুরুতে তিনি এ কথা জানিয়ে এটা বলতেও ভুল করেননি, তিনি চান রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বটি নিক। যদিও এটা স্পষ্ট নয় রাহুলের আদৌ প্রস্তুতি রয়েছে কিনা। দলীয় রাজনীতিতে জড়িত থাকলেও প্রশাসনে তিনি কখনও থাকেননি। তার অভিজ্ঞতা নেই। কংগ্রেস জোট ক্ষমতা পেলেও রাহুল গান্ধীর জন্য বিষয়টি খুব সহজ হবে বলে মনে হয় না। প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার আরও অনেকে। অন্যদিকে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিজেপির প্রার্থী। গেল বছরের শেষের দিকে ভারতে ৫টি রাজ্যের নির্বাচনে বিজেপির বড় বিজয় নরেন্দ্র মোদির জন্য একটা সম্ভাবনা তৈরি করেছে। তবে নরেন্দ্র মোদির বিজেপির মনোনয়ন লাভ খোদ ভারতের গণতন্ত্রের জন্য একটি কলংক। কারণ ২০০২ সালে গুজরাটের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার জন্য মোদিকে অভিযুক্ত করা হয়। ওই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় এক হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। যাদের প্রায় সবাই ছিলেন মুসলমান। গত ১০ বছরেও মোদি এ অভিযোগ কাটিয়ে উঠতে পারেননি।
তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ থাকায় যুক্তরাষ্ট্র সরকার তাকে কখনও ভিসা দেয়নি। আগামী এপ্রিল-মে মাসে ভারতে লোকসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে ভারতের রাজনীতিতে বেশ কিছুদিন ধরেই একটা প্রবণতা চলছে, আর তা হচ্ছে কোয়ালিশন রাজনীতি। কংগ্রেসের নেতৃত্বে রয়েছে ইউপিএ বা ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স। ইউপিএ জোটে রয়েছে বেশ ক’টি আঞ্চলিক দল। বিজেপির নেতৃত্বেও রয়েছে একটি জোট- ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক এলায়েন্স (এনডিএ)। বামদের নেতৃত্বেও রয়েছে একটি জোট। ধারণা করা হয়, চলতি লোকসভা নির্বাচনের পরও এ জোট রাজনীতির ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। কংগ্রেস অথবা বিজেপির পক্ষে এককভাবে বিজয়ী হওয়া সম্ভব নয়। তবে এটা বলতেই হবে, দিল্লির রাজ্য সরকারের নির্বাচনে আম আদমি পার্টি তথা অরবিন্দ কেজরিওয়ালার উত্থান (যিনি এখন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী) ঘটলেও জাতীয় রাজনীতিতে তার দলের আদৌ কোনো ভূমিকা থাকবে না। কেননা ভারতব্যাপী এ দলের কোনো অস্তিত্ব নেই। স্থানীয় নির্বাচনে তিনি ‘চমক’ দেখিয়েছিলেন। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনটা একটা ভিন্ন বিষয়। চলতি বছর ভারতের পাশাপাশি আফগানিস্তান, ইরাক, দক্ষিণ আফ্রিকা, কলম্বিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, ব্রাজিল ও যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে।
সম্প্রতি দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে বেশকিছু পরিবর্তন এসেছে। ছোট দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপে দ্বিতীয় দফা ভোটের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে এবং আবদুল্লাহ ইয়ামিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন এবং ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট নাশিদ তা মেনে নিয়েছেন। গেল বছর পাকিস্তানে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে এবং নওয়াজ শরিফ আরও একবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। একই সঙ্গে দুটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনও সাধিত হয়েছে পাকিস্তানে। প্রধান বিচারপতি ও সেনাপ্রধান অবসরে গেছেন। প্রধান বিচারপতি ইফতেখার চৌধুরী নিয়মমাফিক অবসরে যাওয়ার পর তাসাদ্দুক হোসেন জিলানি প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নিয়েছেন। আর জেনারেল কায়ানির টার্ম শেষ হয়ে যাওয়ার পর জেনারেল রাহিল শরীফ নয়া সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। তবে চলতি বছর শরিফের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে তাহরিক-ই-তালিবানকে নিষ্ক্রিয় করা এবং তাদের জঙ্গিবাদী তৎপরতা বন্ধ করা। মূলত তাহরিক-ই-তালিবান সীমান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে। এ অঞ্চলে বর্তমানে ইমরান খানের দল তাহরিক-ই-ইনসাফ সরকার গঠন করেছে। ধারণা করা হয়, ইমরান খানের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদী জঙ্গি দল হিসেবে পরিচিত তাহরিক-ই-তালিবানের একটা সম্পর্ক রয়েছে। অন্যদিকে সীমান্ত অঞ্চলে মার্কিন ড্রোন বিমান হামলা বন্ধ হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শরিফ এ হামলা বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ জানালেও তা রক্ষিত হয়নি। এটা খোদ নওয়াজ শরিফের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। পাকিস্তানের জন্য একটা বড় খবর হল, একটা নির্বাচিত সরকার তার ৫ বছরের টার্ম পূরণ করেছে। ২০১৪ সালে আফগানিস্তান থেকে সব বিদেশী সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়া হবে। ওবামা এ প্রতিশ্র“তি দিলেও তিনি তা কতটুকু রাখতে পারবেন, সেটা একটা প্রশ্ন। যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে আফগানিস্তানের কারজাই সরকারের সঙ্গে একটা নিরাপত্তা চুক্তি করতে চাইলেও তা হয়নি। এক্ষেত্রে চলতি বছর আফগানিস্তানের দিকে দৃষ্টি থাকবে অনেকের। ৬ এপ্রিল সেখানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। কারজাই আর তৃতীয়বারের মতো দাঁড়াতে পারছেন না। অনেকেরই ধারণা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর একটা উপস্থিতি সেখানে থাকবেই। সেক্ষেত্রে পাকিস্তানেও জঙ্গি তৎপরতা বাড়বে। খোদ নেপালও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন সম্পন্ন করল। পাকিস্তান ও নেপাল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন সম্পন্ন করে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করল। নেপালে মাওবাদীরা সাংবিধানিক পরিষদের নির্বাচনে ভালো ফলাফল করেনি। তবে ভালো খবর হল, তারা শেষ অবধি অধিবেশনে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে যেসব দেশ গণতন্ত্র চর্চা করে, তাদের জন্য ‘খারাপ’ খবর আছে। বিশেষ করে থাইল্যান্ড আর ইউক্রেনে সরকারবিরোধী আন্দোলন নতুন একটি মাত্রা পেয়েছে। থাইল্যান্ডে সরকারবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে রাজনীতি মূলত দু’পক্ষের মধ্যে ভাগ হয়ে গেছে। একদিকে ‘রেড শার্ট’, আন্দোলন, যারা সরকার সমর্থক হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে ‘হলুদ শার্ট’ আন্দোলন, যারা সরকারবিরোধী হিসেবে পরিচিত। আন্দোলনের ফলে প্রধানমন্ত্রী ইংলাক ২ ফেব্র“য়ারি নতুন নির্বাচনের ঘোষণা দিলেও ‘হলুদ শার্ট’ আন্দোলনকারীদের কাছে তা গ্রহণযোগ্য হয়নি। একপর্যায়ে সেনাপ্রধান গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হয়ে ওঠেন এবং সামরিক অভ্যুত্থানের গুজব ছড়িয়ে পড়ে। ‘রেড শার্ট’ আর ‘হলুদ শার্ট’ আন্দোলনের কারণে থাইল্যান্ডের গণতন্ত্র একটি বড় প্রশ্নের মাঝে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী ইংলাক এভাবে ‘রেড শার্ট’ আন্দোলনকারীদের উস্কে দিয়েই ক্ষমতায় এসেছিলেন। তার বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ, তিনি তার ভাই থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে (সাবেক ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী) দায়মুক্তি দেয়ার উদ্দেশ্যে সংসদে একটি বিল এনেছেন। ইউক্রেনের অবস্থাও ঠিক তেমনি। ২০০৪ সালের ‘কমলা বিপ্লব’ এখন ব্যর্থ হতে চলেছে। ইউক্রেনের ইউরোপীয় ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্তি বাতিল এবং রাশিয়ার সঙ্গে তার সম্পর্ক বৃদ্ধি এখন নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। গেল বছর (২০১৩) ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হুগো শ্যাভেজের মৃত্যু এবং ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে হাসান রুহানির অভিষেক আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে বিবেচিত। দীর্ঘদিন ক্যান্সারের সঙ্গে ‘যুদ্ধ’ করে একসময় হেরে গেছেন হুগো শ্যাভেজ। তার মৃত্যুর পর তিনি যে ‘সমাজতন্ত্রের নতুন এক ধারা’ প্রবর্তন করেছিলেন, তা কতদিন স্থায়িত্ব পায় এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক কোন পর্যায়ে উন্নীত হয় সে ব্যাপারেও দৃষ্টি থাকবে অনেকের। আরব বিশ্বে ‘আরব বসন্ত’ যে সম্ভাবনার জন্ম দিয়েছিল, তার এখন ‘মৃত্যু’ ঘটেছে। ‘আরব বসন্ত’ সেখানকার দীর্ঘদিনের শাসকদের (তিউনিশিয়ায় জইন আবেদিন বেন আলী, মিসরে হোসনি মোবারক, ইয়েমেনে সালেহ, লিবিয়ায় গাদ্দাফি) ক্ষমতা থেকে উৎখাত করলেও সেখানে গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটেনি। উপরন্তু মিসরে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ড. মুরসি ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন। তিউনিশিয়ায় একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধানের ব্যাপারে ঐকমত্য হয়েছে। চলতি বছরে সেখানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে ‘আরব বসন্ত’ পুরো আরব বিশ্বে জঙ্গিবাদী রাজনীতির উত্থান ঘটিয়েছে। বিশেষ করে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের ফলে সেখানে একটি বিস্তীর্ণ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে ইসলামী জঙ্গিদের একটি কোয়ালিশন। লিবিয়ায়ও এরা শক্তিশালী। আর ইরাকে জঙ্গিদের তৎপরতা দেশটির অস্তিত্বকেই একটি বড় হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। সিরিয়ায় গেল বছর মার্কিন বিমান হামলা এড়ানো গেছে সত্য, কিন্তু যদি সেখানে কোনো সমঝোতা না হয়, তাহলে বিমান হামলা হতে পারে। জেনেভা-২ আলোচনা জানুয়ারিতে শুরু হবে। কিন্তু একটা প্রশ্নের কোনো সমাধান এখনও হয়নি- আর তা হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট আসাদ ক্ষমতায় থাকবেন নাকি একটা নতুন সরকারের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার পরিহার করবেন? চলতি বছরের মাঝামাঝি সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এ নির্বাচনে তিনি যদি প্রার্থী না হন, তাহলে সমাধানের একটা পথ বের হতে পারে। তাই জেনেভা আলোচনার দিকে দৃষ্টি থাকবে অনেকের। তবে চূড়ান্ত বিচারে এ আলোচনায় সিরীয় সরকারের প্রতিনিধিরা যদি অংশ না নেন, তাহলে তা কোনো ‘ফল’ বয়ে আনবে না। সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ নিয়ে আরও একটা ভয়- তা হচ্ছে, প্রায় ৫৫ হাজার শরণার্থী বর্তমানে জর্ডানে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের যদি স্বদেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা না হয়, তাহলে তারা জর্ডানে অস্থিতিশীলতা তৈরি করে সেখানকার সরকারের পতন ঘটাতে পারে। এ শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘকে ব্যয় করতে হবে ৫৩০ কোটি ডলার। দীর্ঘদিন এ ব্যয় বহন করা জাতিসংঘের জন্য সম্ভবও নয়। তাই জেনেভা আলোচনায় কোনো ফল পাওয়া না গেলে সীমিত বিমান হামলার (লিবিয়ার মতো) সম্ভাবনা ২০১৪ সালে বাড়বে। তুরস্কে কী পরিবর্তন আসে, সে ব্যাপারেও দৃষ্টি থাকবে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের। আগস্টে সেখানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এই প্রথমবারের মতো সেখানে সরাসরি জনগণের ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে এরদোগান তিনবারের বেশি আর প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না। ধারণা করা হচ্ছে, তায়িপ এরদোগান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হবেন। তুরস্কের রাজনীতির উত্থান-পতনের সঙ্গে সিরিয়ার রাজনীতির একটা সম্পর্ক রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বড় স্বার্থ রয়েছে তুরস্কে। কারণ সিরিয়ায় সরকার পরিবর্তনে (যা তুরস্কও চাইছে) পশ্চিমা বিশ্বের তুরস্কের সমর্থন প্রয়োজন। সুতরাং এ অঞ্চলের রাজনৈতিক উন্নয়নের ব্যাপারে দৃষ্টি থাকবে অনেকের। সেই সঙ্গে পূর্ব চীন সাগরে উত্তেজনা কিংবা ইন্দোনেশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন (৯ জুলাই) দৃষ্টি কাড়বে অনেকের। সুতরাং ২০১৩ সালের ধারাবাহিকতায় ২০১৪ সালের বিশ্ব রাজনীতিতেও উত্তেজনা থাকবে। নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের এক-তৃতীয়াংশ (সিনেটের ৩৫) আসনের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বোঝা যাবে কে হতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী। এক্ষেত্রে হিলারি ক্লিনটনের দিকে দৃষ্টি থাকবে অনেকের। বাংলাদেশে একটি নতুন সরকার ক্ষমতা নিয়েছে। তারা কীভাবে বিশ্ব সম্প্রদায়ের আস্থা অর্জন করেন, সে ব্যাপারেও দৃষ্টি থাকবে অনেক পর্যবেক্ষকের। মোদ্দাকথা, ২০১৪ সালেও বিশ্ব রাজনীতিতে থাকবে উত্তেজনা ও সংকট।
Daily JUGANTOR ১৪ জানুয়ারি, ২০১৪
0 comments:
Post a Comment