রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

শি জিনপিংয়ের সফরের মধ্য দিয়ে কী পেল বাংলাদেশ

 



      
দীর্ঘ ৩০ বছর পর দ্বিতীয় একজন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বাংলাদেশ সফরের মধ্য দিয়ে কী পেল দেশটি? প্রায় ২৪ বিলিয়ন ডলার ঋণের প্রতিশ্রুতি, বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে শি জিনপিংয়ের ঢাকা সফর শেষ হয়েছে। এই সফরের মধ্য দিয়ে চিন ও বাংলাদেশ নতুন করে সম্পর্কের যে ভিত্তি রচনা করল, তার ভিত্তি মূলত রচিত হয়েছিল হাজার বছর আগে।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, তৎকালীন চিনা সম্রাটের প্রতিনিধি হিসেবে জেং হি ুযবহম যব (১৩৭১-১৪৩৩) তৎকালীন বাংলার রাজধানী সোনারগাঁয়ে এসেছিলেন। ১৪০৫ থেকে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত, অর্থাৎ ১৪৩৩ সাল পর্যন্ত তিনি দুবার বাংলায় এসেছিলেন। জেং হি মা হি নামেও পরিচিত ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সফল কূটনীতিক। নৌবাহিনীর একজন দক্ষ নাবিক। তিনি মূলত ইউনান রাজ্যের প্রতিনিধি হিসেবে বাণিজ্যের উদ্দেশে ভারত মহাসাগরভুক্ত দেশগুলোতে অর্থাৎ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে ঘুরে বেড়াতেন। তার ছিল বিশাল এক নৌবহর। আর এভাবেই এ অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে চিনের একটি বাণিজ্যিক সম্পর্ক তিনি স্থাপন করেছিলেন। চিনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তার যে মেরিটাইম সিল্ক রুটের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছেন, তার পেছনে কাজ করছে এই জেং হির চিন্তাধারা। চিন জেং হির অবদানকে এখন স্বীকার করে। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং নিজে জেং হির অবদানের কথা একাধিকবার স্বীকার করেছেন। চিনের প্রস্তাবিত এই মেরিটাইম সিল্ক রুট চিনের সঙ্গে সমুদ্রপথে আফ্রিকা এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোকে সংযুক্ত করবে। এতে করে চিনের বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। চিনের জ্বালানি সরবরাহ সহজ হবে এবং চিনের পণ্য খুব দ্রুততার সঙ্গে পৌঁছে যাবে অন্যত্র। চিন অবশ্য একই সঙ্গে সড়ক ও রেল যোগাযোগ স্থাপন করছে মধ্য এশিয়ার তথা রাশিয়ার সঙ্গে, যাকে তারা নামকরণ করছে ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ কর্মসূচি। বাংলাদেশ এর অন্তর্ভুক্ত। তবে এটা স্পষ্ট নয়, বাংলাদেশ এই কর্মসূচিকে সমর্থন করবে কিনা। কেননা ভারত এই কর্মসূচিকে খুব সহজভাবে নিয়েছে এটা মনে করার কারণ নেই। এখানে আরও একটা কথা বলা প্রয়োজন। জেং হির পাশাপাশি প্রায় হাজার বছর আগে বাংলাদেশের মনীষী অতীশ দীপঙ্কর সুদূর চিন দেশের তিব্বতে গিয়েছিলেন ধর্ম প্রচারের জন্য। আর এভাবেই দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছিল হাজার বছর আগে। ১০৫৩ সালে তিব্বতে অতীশ দীপঙ্করের মৃত্যু হয়েছিল।
বাংলাদেশে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সফরের গুরুত্ব ছিল অনেক। চিনের যথেষ্ট স্বার্থ রয়েছে বাংলাদেশে। ব্যবসায়িক স্বার্থের পাশাপাশি চিনের স্ট্র্যাটেজিক স্বার্থও রয়েছে। চিনা নেতৃবৃন্দ বরাবরই চিন-বাংলাদেশ সম্পর্ককে গুরুত্ব দিয়ে আসছেন। অন্যদিকে বাংলাদেশি নেতৃবৃন্দও চিনের সঙ্গে সম্পর্কে গুরুত্ব দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালে রাষ্ট্রীয় সফরে চিনে গিয়েছিলেন। তখন তিনি শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় মিলিত হয়েছিলেন। শেখ হাসিনা যখন বিরোধী দলের নেতা ছিলেন তখনো চিন সরকার তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। তবে এবারে শি জিনপিংয়ের ঢাকা তথা ভারত সফরের তাৎপর্য অনেক। বিশেষ করে কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব, চিন কর্তৃক পাকিস্তানকে সমর্থন, ভারতীয় মহাসাগরে ক্রমবর্ধমান চিনা প্রভাব বৃদ্ধিতে ভারতীয় উদ্যোগ, ভারত-মার্কিন সামরিক সহযোগিতা ও চিনকে ঘিরে ফেলার মার্কিনি উদ্যোগ ইত্যাদি নানা কারণের পরিপ্রেক্ষিতে চিনা প্রেসিডেন্ট ভারতে গিয়েছিলেন। এমনকি অতি সম্প্রতি চিন-ভারত সীমান্ত উত্তেজনা ও চিনা সৈন্যদল কর্তৃক ভারতীয় এলাকায় প্রবেশ কিংবা চিন কর্তৃক ব্রহ্মপুত্রের পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া ভারত-চিন সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলছে। এক সময় ভারত ও চিনের মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে প্রশ্ন ছিল। বলা হচ্ছিল বিশ্বব্যাপী মার্কিন একক কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করতেই চিন ও ভারত এবং সেই সঙ্গে রাশিয়া একটি ঐক্য গড়ে তুলছে। তবে চিন ও ভারতের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি পেলেও এই দুটো দেশের মধ্যে যে এক ধরনের ‘অবিশ্বাসের’ জন্ম হয়েছিল তা লক্ষ করা যায়। এই অবিশ্বাস বাংলাদেশ-চিন সম্পর্কের ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলছে। প্রথমত, চিন কক্সবাজারের অদূরে সোনাদিয়ায় ১ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে একটি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করতে চেয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর ২০১৪ সালের চিন সফরের সময় ওই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা স্বাক্ষরিত হয়নি। কারণ ভারত এই সমুদ্রবন্দরটিকে, যার পরিচালনার ভার থাকার কথা ছিল চিনাদের হাতে (গাওদারের সমুদ্রবন্দর চিনারা পরিচালনা করে), তা ভারতের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ বলে ভারতীয় নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা অভিমত দিয়েছিলেন। একই অভিমত ছিল শ্রীলংকার হামবানতোতায় চিনারা যে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করেছিল সে ব্যাপারেও। হামবানতোতায় চিনা সাবমেরিনের উপস্থিতিকে ভারত তার নিরাপত্তার প্রতি হুমকিস্বরূপ বলে মনে করেছিল। তাই সোনাদিয়ায় যদি চিনারা একটি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করত, তা ভারতের জন্য এক ধরনের নিরাপত্তা সংকট সৃষ্টি করত বলে ভারতের ধারণা। কিন্তু এই গভীর সমুদ্রবন্দর দিয়ে ভারতও লাভবান হতে পারত। ভারতীয় ‘সাত বোন রাজ্যগুলোর’ পণ্য রপ্তানির একটা সম্ভাবনা সৃষ্টি হতো। কিন্তু ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের আপত্তির কারণে এই বন্দরটি শেষ পর্যন্ত নির্মিত হয়নি। এখন তা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে পায়রা বন্দরে, যেখানে একটি ভারতীয় সংস্থা এটি নির্মাণ করছে। অভিযোগ আছে, ভারতীয় এই সংস্থার এ ধরনের কাজের কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তার পরও চিন এ প্রজেক্টে ভারতের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। ইতোমধ্যে ঢাকায় নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত এ ব্যাপারে তার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। চিনা প্রেসিডেন্টের ঢাকা সফরের সময় বিষয়টি কোনো পর্যায়েই আলোচনা হয়নি। একই সঙ্গে চিনা প্রেসিডেন্টের সফরের সময় চিনের ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড কর্মসূচি নিয়েও আলোচনা হয়নি। অথচ এই ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড প্রকল্প বর্তমান চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ‘ব্রেইন চাইল্ড’। এই প্রকল্পের আওতায় ৬১টি রাষ্ট্রকে চিন এক পতাকাতলে নিয়ে আসতে চাইছে। সামুদ্রিক পথকেও চিন সংযুক্ত করতে চাইছে। চিন ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড কর্মসূচির জন্য ব্যয় বরাদ্দ করেছে ৪৬ বিলিয়ন ডলার। চিন-পাকিস্তান যে অর্থনৈতিক করিডর তৈরি হচ্ছে, যাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ বিলিয়ন ডলার, তা এই ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত। বেলুচিস্তানের গাওদার গভীর সমুদ্রবন্দরটি এই কর্মসূচির অন্তর্গত। এই অর্থনৈতিক করিডর বেলুচিস্তান ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরের পাশ দিয়ে গেছে, যাতে ভারতের আপত্তি রয়েছে। বেলুচিস্তানেরও এ ব্যাপারে অসন্তোষ আছে। এই অর্থনৈতিক করিডর চিনের পশ্চিমাঞ্চলের জিনজিয়ান প্রদেশের খাসগর শহরের সঙ্গে গাওদার সমুদ্রবন্দরকে সংযুক্ত করছে। এতে করে আরব সাগরে চিনের প্রবেশাধিকার সহজ হবে। চিন এই অর্থনৈতিক করিডরে রেলপথ, সড়কপথ ও তেলের পাইপলাইন সংযুক্ত করছে। জ্বালানি তেলের ওপর চিনের নির্ভরশীলতা ও চিনা পণ্য ইউরোপসহ যুক্তরাষ্ট্রে পরিবহনের প্রশ্নে এই করিডর একটি বড় ধরনের সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে চিনের জন্য। চিন বর্তমানে ৬০০ মাইল দূরে অবস্থিত ‘স্ট্রেইট অব হরমুজ’ প্রণালি (যেখান থেকে বিশ্বের ৩৫ ভাগ জ্বালানি তেল সরবরাহ হয়) ব্যবহার করছে। এই অর্থনৈতিক করিডর পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে চিন সময় বাঁচাতে পারবে। এতে করে পণ্যের দামও কমে যাবে। বাংলাদেশ এই ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড কর্মসূচি দিয়ে উপকৃত হতে পারে ভবিষ্যতে। এমনকি ভারতও এই কর্মসূচি থেকে উপকৃত হতে পারে বলে অনেক ভারতীয় বিশ্লেষক (যেমন শ্যাম শরণ, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব) মন্তব্য করেছেন। ২০১৩ সালে বিসিআইএম (বাংলাদেশ, চিন, ভারত, মিয়ানমার) উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রতি চারটি দেশ তাদের সমর্থন জানিয়েছিল। এই বিসিআইএম সহযোগিতা ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড প্রকল্পের সঙ্গেও সম্পৃক্ত। বাংলাদেশের পূর্বমুখী পররাষ্ট্রনীতির জন্য এই বিসিআইএম (ইঈওগ) সহযোগিতা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। ইতোমধ্যে চিন সরকারিভাবে ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোডের যে ম্যাপ প্রকাশ করেছে, তাতে কলকাতা সমুদ্রবন্দরকে অন্তর্ভুক্ত দেখানো হলেও বাংলাদেশের কোনো সমুদ্রবন্দরকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তাই এ ব্যাপারে বাংলাদেশে আরও গবেষণা হওয়া প্রয়োজন। তবে অতি সাম্প্রতিককালে চিন ও ভারতের মধ্যে যে ‘আস্থার’ ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে, তাতে ভারত চিনের এই ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড কর্মসূচির সঙ্গে কতটুকু সম্পৃক্ত হবে, সেটা একটা প্রশ্ন বটে। আর বাংলাদেশ ভারতকে উপেক্ষা করে এই প্রকল্পে যোগ দিতেও পারবে না। তাই ভারতের অংশগ্রহণটা এই মুহূর্তে জরুরি।
চিনা প্রেসিডেন্টের ঢাকা সফরের সময় প্রায় ২৪ বিলিয়ন ডলারের সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। প্রায় ২৫টি প্রজেক্টে এই সাহায্য দেওয়া হবে। তবে আমাদের জন্য যা অগ্রাধিকার তা হচ্ছে ১. অবকাঠামোগত উন্নয়নে চিনের আরও সহযোগিতা নেওয়া। চিন ব্রিজ নির্মাণে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করছে। খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চিনা প্রকৌশলীরা চিন থেকে তৈরি করা ব্রিজ এনে এখানে পুনঃস্থাপন করছে। বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। প্রচুর নদী যা এখন শুকিয়ে গেছে, এই নদীগুলোর ওপর আমরা ব্রিজ নির্মাণ করতে পারি চিনা প্রযুক্তিগত সহযোগিতা নিয়ে। এর ফলে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হবে, যা অর্থনীতিতে বিশাল অবদান রাখবে। যদি ব্রিজ ও সড়কপথের উন্নয়ন করা যায়, তা অর্থনীতিতে বিপ্লব ঘটাবে। ২. চিন বিভিন্ন দেশের সঙ্গে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করছে। এ ব্যাপার আমরা আগ্রহী হতে পারি। ৩. চিনা সহযোগিতায় আমরা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তুলতে পারি। এতে করে আমরা একটা দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে পারি। চিনের সহযোগিতায় আমরা আইটি সেক্টরেরও উন্নয়ন ঘটাতে পারি। ৪. স্বাস্থ্য খাতে চিনের অবদানও স্বীকৃত। এ সেক্টরেও আমরা যৌথ বিনিয়োগ করতে পারি। ৫. চিন এখন বড় শিল্পের দিকে যাচ্ছে। ছোট ছোট রপ্তানিমুখী কারখানা অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। আমরা চিনাদের জন্য এই সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে পারি। তার পরও যেসব প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়েছে এবং সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে, তা আমাদের জন্য একটা বড় পাওয়া। চট্টগ্রাম ও খুলনায় দুটি তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, কর্ণফুলীর তলদেশে টানেল নির্মাণ ইত্যাদি যে কোনো বিবেচনায় আমাদের জন্য একটি বড় পাওয়া। চিন বাংলাদেশের উন্নয়নের যে অন্যতম অংশীদার এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের মধ্য দিয়ে তা আবারও প্রমাণিত হলো। এই সম্পর্ককে ‘কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।
চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ঢাকা সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও চিনের মধ্যকার সম্পর্ক নতুন এক উচ্চতায় উপনীত হলো। আমরা যদি এই কৌশলগত অংশীদারত্বকে কাজে লাগাতে পারি, তা হলেই সফল হব। এ ব্যাপারে চিনা ঋণের পূর্ণ ব্যবহার এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। না হলে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক শুধু কাগজ-কলমেই থেকে যাবে।
Daily Amader Somoy
16.10.2016

0 comments:

Post a Comment