রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

চীনা প্রেসিডেন্টের ঢাকা সফরের তাৎপর্য




চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং তাঁর ঢাকা সফর শেষ করেছেন ১৫ অক্টোবর। যেকোনো বিবেচনায় এটি কোনো সাধারণ সফর ছিল না। পরিবর্তিত বিশ্বরাজনীতি, আঞ্চলিক রাজনীতি, ভারত মহাসাগরে ভারত ও চীনের মধ্যে কর্তৃত্ব করার প্রবণতা, বাংলাদেশের ভূরাজনৈতিক অবস্থান ইত্যাদি নানা কারণে শি চিনপিংয়ের সফর হালকাভাবে দেখার কোনো সুযোগ নেই। এমনকি চীনা প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য, চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের মন্তব্য কিংবা যৌথ ঘোষণাপত্রের বক্তব্য প্রমাণ করে, চীনকে বাংলাদেশ যেমন গুরুত্ব দেয়, ঠিক তেমনি চীনও বাংলাদেশকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছে। শি চিনপিং বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়া ও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, শি চিনপিংয়ের সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উপনীত হবে। চীনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে অভিহিত করা হয়েছে ‘কৌশলগত অংশীদার’ হিসেবে। তবে এই ‘কৌশলগত অংশীদার’ বলতে চীন কী বোঝাতে চাচ্ছে, তা আমার কাছে স্পষ্ট নয়। এর সঙ্গে ‘সামরিক উপাদান’ আদৌ জড়িত নেই কিংবা চীন যে মেরিটাইম সিল্ক রুটের প্রস্তাব বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ কতটুকু থাকছে, এ বিষয়টিও স্পষ্ট হয়নি। যদিও পররাষ্ট্র সচিবের বক্তব্যে এটি স্পষ্ট করা হয়েছে যে ‘কৌশলগত সম্পর্ক’ শুধু অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
যৌথ ঘোষণাপত্রে চীনের ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রুট’ কর্মসূচির প্রতি বাংলাদেশের সমর্থনের কথা বলা হয়েছে। বিসিআইএম (বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার) অর্থনৈতিক করিডর প্রতিষ্ঠার জন্য তাগিদ দেওয়ার বিষয়েও উভয় পক্ষ একমত হয়েছে—যৌথ বিবৃতিতে এমন কথাও উল্লেখ আছে। প্রশ্ন এখানেই। সোনাদিয়ায় (কক্সবাজার) যদি গভীর একটি সমুদ্রবন্দর নির্মিত না হয়, তাহলে চীনের ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রুট’ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে কিভাবে? চীনের এই মহাপরিকল্পনা একদিকে চীনের একটি অংশ শি আনকে (xi AN) মধ্য এশিয়ার সঙ্গে হল্যান্ডের রটারডাম হয়ে জার্মানির হামর্বুগ ও মাদ্রিদকে সংযুক্ত করবে। একই সঙ্গে ‘মেরিটাইম সিল্ক রুট’-এর মাধ্যমে চীনের অন্য একটি অংশের (Fuzhou) সঙ্গে আফ্রিকা, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত হবে। শ্রীলঙ্কা, সিঙ্গাপুর ও মিয়ানমার এই পরিকল্পনায় সংযুক্ত হচ্ছে। এখন কি বাংলাদেশও সংযুক্ত হলো? কিভাবে? প্রশ্ন হচ্ছে, রাশিয়া, মধ্য এশিয়াসহ প্রায় ৬০টি দেশ এই ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রুট’ (মেরিটাইম সিল্ক রুটসহ) পরিকল্পনায় সংযুক্ত হলেও ভারত এখন অবধি তার অবস্থান এ ব্যাপারে স্পষ্ট করেনি। এ নিয়ে বাংলাদেশ সরকার অতীতে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বলে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টির ব্যাপারে আদৌ চিন্তাভাবনা না করলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক্যাল স্টাডিজে’ (বিস) দুই-একবার সেমিনার হয়েছে। বিসের কর্মকর্তারা চীন সফর করেছেন। কিন্তু খুব সিরিয়াস ধরনের কোনো গবেষণা সেখানে হয়নি। আমার কাছে কখনো মনে হয়নি, বাংলাদেশ ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রুট’, বিশেষ করে ‘মেরিটাইম সিল্ক রুট’-এর ব্যাপারে খুব আগ্রহী। তবে বাংলাদেশ বিসিআইএম (বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার) উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার আলোকে চীনের ইউনান প্রদেশের কুনমিং থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত সড়কপথ নির্মাণের যে প্রস্তাব, তাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। বস্তুত, চীনের ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রুট’ এবং ‘মেরিটাইম সিল্ক রোড’-এর আওতায় চীন দুটি ‘ইকোনমিক করিডর’ সৃষ্টি করছে। একটি কুনমিং থেকে কক্সবাজার সড়ক তথা রেলপথ। দ্বিতীয়টি চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের খাসগর থেকে পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের সমুদ্রবন্দর গাওদার পর্যন্ত রেল ও সড়কপথ। এই অর্থনৈতিক করিডরের ব্যাপারে ভারতের আপত্তি রয়েছে। কেননা এই সড়কপথ বিতর্কিত ‘আজাদ কাশ্মীর’ এবং ইসলামাবাদ হয়ে বেলুচিস্তান প্রদেশের ভেতর দিয়ে গাওদার সমুদ্রবন্দরে গিয়ে মিশেছে। এই অর্থনৈতিক করিডরের ব্যাপারে বেলুচি নেতাদের আপত্তি রয়েছে। বেলুচ নেতা ব্রাহামদাগ বুগতি চীনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করবেন বলে হুমকি দিয়েছেন। পাকিস্তানের অভিযোগ, ভারত এই অর্থনৈতিক করিডরের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করছে!
‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রুট’ মহাপরিকল্পনার ব্যাপারে চীনের বড় আগ্রহ রয়েছে—এটি অস্বীকার করা যাবে না। কিন্তু এই মহাপরিকল্পনার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোও উপকৃত হতে পারে। ইতিমধ্যে চীনা প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং মধ্য এশিয়া, মস্কো ও পাকিস্তানও সফর করেছেন তাঁর মহাপরিকল্পনার ব্যাপারে জনমত সৃষ্টি করতে। চীনের প্রেসিডেন্টের আফ্রিকা সফরও এই আলোকে রচিত হয়েছিল। চীন ইতিমধ্যে ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রুট’ বাস্তবায়নের জন্য একটি সিল্ক রোড ফান্ড গঠন করেছে। এই ফান্ডের পরিমাণ ৬২ বিলিয়ন ডলার। চীন-পাকিস্তান যে ইকোনমিক করিডর গড়ে উঠছে, তাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪০ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে ১১ বিলিয়ন ডলার ইতিমধ্যে খরচ হয়ে গেছে। এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত দেশ এই ফান্ড থেকে সাহায্য পাবে। তা দিয়ে মূলত সড়ক ও রেলপথ তৈরি করা হবে। অর্থাৎ অবকাঠামো খাতে চীন এই অর্থ বরাদ্দ করছে। বাংলাদেশের জন্য এখন এই ফান্ড উন্মুক্ত হবে।
বাংলাদেশ ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রুট’ মহাপরিকল্পনায় এখন সংযুক্ত হয়েছে। তবে এতে করে অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ কতটুকু লাভবান হবে—বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করা প্রয়োজন। ভারত এই মহাপরিকল্পনাটি খুব সহজভাবে নিয়েছে বলে আমার মনে হয় না। কেননা ইতিমধ্যে ভারত মহাসাগরে চীন-ভারত দ্বন্দ্ব ধীরে ধীরে বাড়ছে। ভারত-চীন দ্বন্দ্ব স্পষ্ট হয়ে ওঠে যখন দেখা যায় ভারত মহাসাগরভুক্ত বিভিন্ন দেশে এই দুটি দেশ নৌঘাঁটি নির্মাণ করছে। জিবুতি, গাওদার, হামবানতোতা (শ্রীলঙ্কা), মিয়ানমার, ইয়েমেন, মোজাম্বিক, মাদাগাস্কার, ওমান কিংবা কেনিয়ায় চীনের নৌঘাঁটি নির্মাণের আগ্রহের খবর সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছে। জিবুতি ও মাদাগাস্কারে নৌঘাঁটি নির্মাণ শেষ হয়েছে। ভারত একইভাবে সিসিলি ও মৌরিতুসে নৌঘাঁটি নির্মাণ করছে। ২০১৫ সালের মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই দ্বীপরাষ্ট্র দুটি সফরের সময় এই নৌঘাঁটি নির্মাণের কথা প্রথমবারের মতো জানা যায়। ভারত এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি সামরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ফলে এ অঞ্চলে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র অক্ষ গড়ে উঠছে, যা চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবকে চ্যালেঞ্জ করবে আগামীতে। ফলে চীনের ‘মেরিটাইম সিল্ক রুট’ নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গেল। তবে আমরা বাংলাদেশের ‘জাতীয় স্বার্থ’কে অবশ্যই বিবেচনায় নেব। চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরে তেলের পাইপলাইন সংযুক্ত হবে। পারস্য অঞ্চলের জ্বালানি তেল এ পথে খুব অল্প সময়ে এবং মধ্য এশিয়ার তেল চীনের জিন জিয়াং প্রদেশে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। এই জ্বালানি তেলের ওপর চীন নির্ভরশীল। চীনের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পরিপ্রেক্ষিতে মধ্য এশিয়ার জ্বালানি তেলের ওপর তাদের নির্ভরশীলতা বাড়ছে। একই সঙ্গে চীন এই অর্থনৈতিক করিডরের সঙ্গে ইউনান প্রদেশকেও সংযুক্ত করতে চায়। এটি করতে হলে কুনমিং-মান্দালয়-কক্সবাজার সড়কপথ (যাতে পরে কলকাতা সংযুক্ত হবে) নির্মাণ শেষ করতে হবে। ২০১৩ সালে চারটি দেশ নীতিগতভাবে রাজি হয়েছিল এই সড়কপথ নির্মাণের ব্যাপারে। এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ২০১৪ সালে চীনে যান, তখন তিনি কুনমিংয়ে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, বাংলাদেশ কুনমিং-কক্সবাজার সড়কপথ নির্মাণের ব্যাপারে আগ্রহী। অতি সম্প্রতি সৈয়দ আশরাফও বলেছেন, চীনের সঙ্গে সড়ক ও রেল যোগাযোগ স্থাপনের ব্যাপারে বাংলাদেশের আগ্রহ রয়েছে। এখন যৌথ ইশতেহারে বিসিআইএম অর্থনৈতিক করিডর বাস্তবায়নের জোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের লাভ হচ্ছে, বাংলাদেশ সড়কপথে চীনা পণ্য আমদানি করতে পারবে। তাতে সময় বাঁচবে ও পণ্যের মূল্য কমে যাবে। দ্বিতীয়ত, চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের সঙ্গে বাংলাদেশ সংযুক্ত হতে পারে। এতে করে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ এই অর্থনৈতিক করিডর ব্যবহার করে মধ্য এশিয়া থেকে জ্বালানি (তেল ও গ্যাস) আমদানি করতে পারে। সুতরাং চীনের ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রুট’ কর্মসূচি চীনের স্বার্থে রচিত ও বাস্তবায়িত হলেও বাংলাদেশের স্বার্থ একেবারে ফেলে দেওয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কক্সবাজারে একটি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মিত না হলে চীনের পরিকল্পনার পূর্ণ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না। চীন কক্সবাজারের অদূরে সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করতে চেয়েছিল। এতে করে আমরা লাভবান হতে পারতাম। কিন্তু ভারতের নিরাপত্তার প্রশ্ন তোলা (শ্রীলঙ্কার হামবানতোতায় নির্মিত গভীর সমুদ্রবন্দরের ব্যাপারেও চীন নিরাপত্তার প্রশ্নটি তুলেছিল), চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের ব্যাপারে ভারতের আপত্তি এবং সর্বশেষ চীন-ভারত সীমান্ত উত্তেজনা—সব মিলিয়ে চীনের ‘মেরিটাইম সিল্ক রোড’-এর ব্যাপারে একটি প্রশ্ন রেখে গেল। পাঠকদের জানিয়ে রাখি, চীনের ‘মেরিটাইম সিল্ক রুট’-এর ধারণা অনেক পুরনো। প্রাচীন চীনের মিং সাম্রাজ্যের প্রতিনিধি হিসেবে জেং হি (১৩৭১-১৪৩৩), যিনি মা হি নামেও পরিচিত ছিলেন, তিনি বিশাল এক নৌবহর নিয়ে প্রায় ৬০০ বছর আগে দক্ষিণ তথা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বাণিজ্যের উদ্দেশে ঘুরে বেড়াতেন। ১৪০৫ থেকে ১৪১৩ সালের মধ্যে তিনি দু-দুবার তৎকালীন বাংলার রাজধানী সোনারগাঁয়েও এসেছিলেন। জেং হিয়ের সেই সমুদ্রযাত্রারই আধুনিক সংস্করণ হচ্ছে ‘মেরিটাইম সিল্ক রুট’। শি চিনপিং একাধিকবার জেং হির সেই অবদান স্মরণ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনা বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে শি চিনপিংয়ের সফরকে ‘নিবিড় সহযোগিতার নতুন যুগ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। ২৭টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং দুই লাখ কোটি টাকার সাহায্যের প্রতিশ্রুতি, বেসরকারি পর্যায়ে ৮ থেকে ১০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর প্রমাণ করে, চীন সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশের উন্নয়নের ‘গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার’। বাংলাদেশকে বিশ্বের ১১টি উঠতি অর্থনৈতিক শক্তির দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ২০২১ সালে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হিসেবে পরিণত হতে চায়। চীনের এই সহযোগিতা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশকে তার লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করবে। তবে চুক্তির শর্তগুলো আমাদের জানা দরকার। বিশেষ করে সুদের হার নির্ধারণে আমাদের স্বার্থ কতটুকু রক্ষিত হয়েছে—এটি দেখা দরকার। তার পরও চীনা প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরের মধ্য দিয়ে আঞ্চলিক রাজনীতিতে বাংলাদেশ যে একটি ‘শক্তি’, তা আবারও প্রমাণিত হলো।
Daily Kalerkontho
18.10.2016

0 comments:

Post a Comment