রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ও প্রসঙ্গ কথা

 
  

আগামী ৮ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এ নিয়ে সারা বিশ্বের দৃষ্টি এখন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে। এরই মধ্যে দুজন মূল প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন (ডেমোক্র্যাট পার্টি) ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের (রিপাবলিকান পার্টি) মধ্যকার তিন-তিনটি ‘প্রেসিডেনশিয়াল বিতর্ক’ সম্পন্ন হয়েছে। একটি কমিশন এই বিতর্কের আয়োজন করে এবং তিনটি বড় মিডিয়া হাউস (সিএনএন, এনবিসি ও ফক্স নিউজ) এই বিতর্ক ‘লাইভ’ সম্প্রচার করে। মোটামুটি তিনটি বিতর্ক আয়োজনের ‘মডেল’ অনেকটা একই ধরনের। সিএনএন ও ফক্স নিউজে উপস্থাপক বিশেষ কয়েকটি বিষয়ের ওপর প্রশ্ন করেন এবং প্রার্থীদের মতামত জানতে চান। অন্যদিকে এবার এনবিসি কর্তৃক আয়োজিত বিতর্কে কিছু নির্দিষ্ট প্রশ্নকর্তাকে তাঁরা আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রশ্ন করার জন্য। বলা ভালো, ১৯৬০ সাল থেকেই এই ‘প্রেসিডেনশিয়াল বিতর্ক’ অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। সমসাময়িক ঘটনাবলি, বিশ্ব রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্র কী ভূমিকা রাখবে ভবিষ্যতে—এসব বিষয় মাথায়  রেখেই আলোচনা হয়। প্রার্থীরা তাঁদের মতামত তুলে ধরেন। এই বিতর্ক জনমত জরিপে প্রভাব ফেলে এবং প্রার্থীদের গ্রহণযোগ্যতা বেড়ে যায়। এখানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে কিছু কথা বলা প্রয়োজন। এখানে জনগণ ভোট দেয় বটে; কিন্তু প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন নির্বাচকমণ্ডলীর ভোটে। প্রতিটি রাজ্যের সিনেট সদস্য ও প্রতিনিধি পরিষদের সদস্যদের নিয়ে এই নির্বাচকমণ্ডলী গঠিত। প্রতিটি রাজ্যের নির্বাচকমণ্ডলী আবার সমান সংখ্যক নন। যেমন নিউ ইয়র্ক স্টেট ও ক্যালিফোর্নিয়া স্টেটের নির্বাচকমণ্ডলীর সংখ্যা আলাদা আলাদা। এই সংখ্যা এখন ৫৩৮। তাঁরাই ভোট দিয়ে প্রেসিডেন্টকে নির্বাচিত করবেন। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, কোনো রাজ্যে কোনো প্রার্থী বিজয়ী হলে তিনি ওই রাজ্য বা স্টেটের যে কয়টি নির্বাচকমণ্ডলীর ভোট রয়েছে, তার সব কয়টি পেয়েছেন বলে ধরে নেওয়া হয়। এটা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। কিন্তু এটাই যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে প্রার্থীকে ২৭০টি নির্বাচকমণ্ডলীর ভোট পেতে হয়।
এবার নির্বাচন বিতর্কিত হয়েছে নানা কারণে। প্রথমত, ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো একজন কট্টরপর্ন্থী এবার রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি কখনোই রিপাবলিকান শিবিরে কোনো বড় ধরনের নেতা ছিলেন না। কোনো দিন আইনসভার সদস্য ছিলেন না। কোনো রাজ্যের গভর্নরও ছিলেন না। তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী। কিন্তু তাঁর বিভিন্ন বক্তব্য, বিশেষ করে মুসলমানদের বের করে দেওয়া ও তাদের এ দেশে ঢুকতে না দেওয়া, মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে উঁচু দেয়াল নির্মাণ করা, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে ‘ওবামার চেয়ে যোগ্য নেতা’ হিসেবে গণ্য করা ইত্যাদি তাঁর সম্পর্কে এখানে একটি নেতিবাচক ধারণার জন্ম দিয়েছে। তিনি যোগ্য নেতা নন, সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন ইত্যাদি প্রশ্ন উঠেছে এবং নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। দ্বিতীয়ত, হিলারি ক্লিনটন এই প্রথমবারের মতো একজন ‘নারী’ হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ২৪০ বছরের ইতিহাসে কোনো নারী অতীতে কখনো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি এবং জনমত জরিপ বলছে, তিনি হতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট। তিন-তিনটি ‘প্রেসিডেনশিয়াল বিতর্কে’ তিনি বিজয়ী হয়েছেন এবং দিন যত যাচ্ছে, ততই তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। তৃতীয়ত, ডোনাল্ড ট্রাম্পের নানা উসকানিমূলক বক্তব্য খোদ যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের ভবিষ্যেক একটি প্রশ্নের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। ট্রাম্প প্রকাশ্যে স্বীকার করেননি, তিনি যদি নির্বাচনে হেরে যান তাহলে ফলাফল মানবেন কি না। অর্থাৎ ‘হেরে গেলে’ তিনি ফলাফল মানবেন না! উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে পারেন! তৈরি হতে পারে নানা সংকটের। এটা গণতন্ত্রের জন্য এক ধরনের অশনি সংকেত। ফ্রান্সের দার্শনিক ডমিনিক মইস (Dominique Moisi) ট্রাম্পকে ‘যুক্তরাষ্ট্রের মুসোলিনী’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। মানুষ এখন অনেকটাই আতঙ্কিত। একদিকে তিনি উগ্র জাতীয়তাবাদের জন্ম দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানকে চ্যালেঞ্জ করছেন, অন্যদিকে ‘হিলারিকে জেলে পাঠাবেন’, ‘নষ্ট মহিলা’ ইত্যাদি আখ্যায়িত করে এক ধরনের কর্তৃত্ববাদী শাসনের আভাস দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ গণতন্ত্রের এই চরিত্রকে কখনো দেখেনি। এক ধরনের সম্প্রীতি, সহনশীলতার দেশ যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ট্রাম্পের উত্থান যুক্তরাষ্ট্রের সমাজের এই চরিত্রকে বদলে দিয়েছে। সুতরাং তিনি যদি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন (?) তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের সমাজে বিদ্বেষ, হিংসা, হানাহানি বাড়বে—এমন আশঙ্কাই করছে কেউ কেউ। চতুর্থত, এবারের নির্বাচনে কোনো একটি ‘ইস্যু’ প্রাধান্য পায়নি। দুজন প্রার্থী নানা বক্তব্য দিচ্ছেন। তাতে আন্তর্জাতিক রাজনীতি, অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ইত্যাদি নানা প্রশ্ন উঠে এলেও কোনো একটি বিষয়কে কেউই প্রাধান্য দেননি। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে এই মুহূর্তে বড় সমস্যা সিরীয় সংকট। হিলারি ক্লিনটন সিরিয়ার আকাশে একটি ‘নো ফ্লাই জোন’ প্রতিষ্ঠা করার কথা বলছেন বটে, কিন্তু দেখা গেছে তাতে করে তা রাশিয়ার বিমান হামলার (আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে) বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হওয়ার একটি আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আইএস জঙ্গিদের কিভাবে ধ্বংস করা যায়, তার কোনো পরিকল্পনাও শোনা যাচ্ছে না দুজন প্রার্থীর কাছ থেকে। পঞ্চমত, দুজন প্রার্থীর বক্তব্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে তাঁদের অবস্থান ভিন্ন। এর অর্থ যদি হিলারি বিজয়ী হন, তাহলে ওবামা প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতির ধারাবাহিকতা তিনি বজায় রাখবেন। অন্যদিকে ট্রাম্প বিজয়ী হলে পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসবে। ষষ্ঠত, এটা যুক্তরাষ্ট্রের ৫৮তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এই নির্বাচন প্রমাণ করল আবারও যে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি দুটি বড় দল ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান পার্টির মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এবারের নির্বাচনে আরো দুজন প্রার্থী আছেন (জিল স্টাইন, গ্রিন পার্টি ও লিবারটারিয়ান পার্টির গেরি জনসন), তাঁদের মানুষ খুব কমই চেনে ও জানে। এর কারণ হচ্ছে নির্বাচনের জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়। প্রার্থীদের বিভিন্ন স্টেটে যেতে হয় নির্বাচনী প্রচারণায়। পত্রিকায় ও টিভিতে বিজ্ঞাপন দিতে হয়, যাতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়—যা সব প্রার্থীর পক্ষে বহন করা সম্ভব হয় না। দুটি বড় দলের প্রার্থীরা বিভিন্ন সূত্র থেকে অর্থ সংগ্রহ করেন। বিভিন্ন কম্পানি চাঁদা দেয়। যাঁরা পার্টির রেজিস্টার্ড ভোটার, তাঁরা পার্টির প্রার্থীকে চাঁদা দেন। পাঠকদের একটু জানিয়ে রাখি, এই নির্বাচনে এই অক্টোবর পর্যন্ত হিলারি সংগ্রহ করেছেন ৯৪৯ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার। এরই মধ্যে খরচ হয়ে গেছে ৭৭৩ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার। হাতে আছে ১৭৭ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে ট্রাম্পের সংগ্রহ ৪৪৯ দশমিক ১ মিলিয়ন ডলার। খরচ হয়েছে ৩৫২ দশমিক ৯ মিলিয়ন ডলার। হাতে আছে ৯৭ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলার (সূত্র : ব্লুমবার্গ পলিটিকস, ২১ অক্টোবর)। সেন্টার ফর পাবলিক ইন্টিগ্রিটির মতে, নির্বাচনে এরই মধ্যে ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়ে গেছে। ফেডারেল নির্বাচন কমিশনের মতে ট্রাম্প তাঁর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ৫৬ মিলিয়ন ডলার দান করেছেন। আর হিলারি সমর্থক প্যাক কমিটি দিয়েছে ১১৭ মিলিয়ন ডলার। সুতরাং বোঝাই যায় নির্বাচনে অর্থ একটি ফ্যাক্টর। সব প্রার্থীর পক্ষে অর্থ সংগ্রহ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। সপ্তমত, জনমত জরিপে হিলারি এগিয়ে আছেন। সর্বশেষ রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিলারির বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তিনি নির্বাচকমণ্ডলীর ৩২৬ ভোট পাবেন। আর ট্রাম্প পাবেন ২১২ ভোট। একই সঙ্গে এবিসি নির্বাচনী জনমতে হিলারি ক্লিনটনকে ১২ পয়েন্টে এগিয়ে থাকার কথা বলা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইতিহাস দীর্ঘদিনের। ১৭৮৯ সাল থেকে শুরু করে ১৮০০ সাল পর্যন্ত নির্বাচন হয়েছে চারবার। ১৭৮৯ সালে প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন জর্জ ওয়াশিংটন। তাঁর কোনো দল ছিল না। ১৭৯৭ সাল পর্যন্ত তিনি ক্ষমতায় ছিলেন। দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট ছিলেন জন অ্যাডামস (১৭৯৭-১৮০১)। ফেডারেলিস্ট দলের প্রার্থী ছিলেন তিনি। অন্যদিকে তৃতীয় প্রেসিডেন্ট থমাস জেফারসনের সময় (১৮০১-১৮০৯) ডেমোক্রেটিক-রিপাবলিকান পার্টির আত্মপ্রকাশ ঘটে। ডেমোক্র্যাট-রিপাবলিকান পার্টির ধারা অব্যাহত থাকে ১৮২৯ সাল পর্যন্ত। এরপর আসেন অ্যান্ড্রু জ্যাকসন (১৮২৯-১৮৩৭), তিনি ছিলেন সপ্তম প্রেসিডেন্ট, তাঁর আমলে ডেমোক্র্যাট পার্টির আলাদাভাবে আত্মপ্রকাশ ঘটে। কিন্তু রিপাবলিকান পার্টির আত্মপ্রকাশ ঘটে আব্রাহাম লিংকনের (১৬তম প্রেসিডেন্ট) শাসনামলে (১৮৬১-১৮৬৫)। এই দুটি বড় দলের পাশাপাশি ‘উইগ’ পার্টির আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে চারজন ‘উইগ’ পার্টির পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৮৪১ সালে উইলিয়াম হ্যারিসন ‘উইগ’ পার্টির পক্ষ হয়ে প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। এখন আর এই পার্টির অস্তিত্ব নেই। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র গত ২৪০ বছরের ইতিহাসে (১৭৮৯ থেকে) ৪৪ জন প্রেসিডেন্ট পেয়েছে। অর্থাৎ বারাক ওবামা হচ্ছেন ৪৪তম প্রেসিডেন্ট। তবে একই ব্যক্তি গ্রোভার ক্লেভেল্যান্ড দু-দুবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। ডেমোক্র্যাট গ্রোভার ক্লেভেল্যান্ড (২২তম) ১৮৮৫-১৮৮৯ সালে প্রথমবার এবং ১৮৯৩-১৮৯৭ (২৪তম) দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন। এই দীর্ঘ সময়ে রিপাবলিকান পার্টির পক্ষ হয়ে ১৮ জন, ডেমোক্র্যাট পার্টির পক্ষ হয়ে ১৫ জন, উইগ পার্টির পক্ষ হয়ে চারজন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। ঐতিহাসিকরা বলেন, প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটনের কোনো দল ছিল না। তবে দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট জন অ্যাডামস (১৭৯৭-১৮০১) ফেডারেলিস্ট পার্টির হয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। সাধারণত একজন প্রেসিডেন্ট চার বছরের জন্য নির্বাচিত হন। কিন্তু ৩২তম প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাংকলিন রুজভেল্ট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে (১৯৩৩-১৯৪৫) ১২ বছর ক্ষমতায় ছিলেন।
এখানে পাঠকদের আরো কিছু তথ্য দিই। একসময় যাদের কোনো সম্পদ ছিল না (মূলত কৃষ্ণাঙ্গরা, যারা দাস হিসেবে এ দেশে এসেছিল), তারা ভোট দিতে পারত না। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ১৫তম, ১৯তম ও ২৬তম সংশোধনীতে যাদের ১৮ বছর বয়স তাদের ভোটাধিকার স্বীকৃত হয়। আর নারীদের ভোটের অধিকারের বয়স মাত্র ৯৬ বছরের। এখন জনসংখ্যার ভিত্তিতে নির্বাচকমণ্ডলী গঠিত হয়। কিন্তু প্রথম দিকে স্টেটের আইনসভা নির্বাচকমণ্ডলী গঠন করত।
নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটনকে সম্ভাব্য ‘বিজয়ী’ হিসেবে মিডিয়া তুলে ধরছে। কিন্তু এই নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্রের সমাজকে বিভক্ত করেছে। ই-মেইল বিতর্ক নিয়ে হিলারি বেশ অসুবিধায় আছেন। অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নারী কেলেঙ্কারি আর ১৮ বছর ধরে কোনো ট্যাক্স না দেওয়ার কাহিনী তাঁর সম্পর্কে একটা খারাপ ধারণার জন্ম দিয়েছে। তবে নিঃসন্দেহে এই নির্বাচন নিয়ে সারা বিশ্বেরই আগ্রহ বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্রকে আগামী দিনে কিভাবে নেতৃত্ব দেবে এটা দেখার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে আরো কয়েকটি দিন। ২০১৭ সালের ২০ জানুয়ারি নয়া প্রেসিডেন্ট তাঁর দায়িত্ব নেবেন।
Daily Kalerkontho
31.10.2016

0 comments:

Post a Comment