রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক

 

৩০ বছর পর একজন চীনা প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন ১৪ অক্টোবর। প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের প্রথম বাংলাদেশ সফরের আগে ১৯৮৬ সালে প্রথম সফরে এসেছিলেন তৎকালীন চীনা প্রেসিডেন্ট লি সি নিয়েন। এরপর ৩০ বছরে কোনো চীনা প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ সফর করেননি। তবে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বরাবরই উষ্ণ ছিল। ১৯৭৫ সালের ৩১ আগস্ট বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানের মধ্য দিয়ে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের যে ভিত্তি রচিত হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে আরও শক্ত হয়েছে। ৩১ আগস্ট চীনা স্বীকৃতির ৪১ বছর পার হয়েছে। কিন্তু এ দুইটি দেশের মাঝে সম্পর্কের ইতিহাস ৪১ বছরের নয়। এ সম্পর্কের ভিত্তি হাজার বছর আগে রচিত হয়েছিল। ইতিহাস থেকে জানা যায়, চীনা সম্রাটের প্রতিনিধি হিসেবে জেং হি তযবহম ঐব (১৩৭১-১৪৩৩) তৎকালীন বাংলার রাজধানী সোনারগাঁয়ে এসেছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সফল কূটনীতিক ও একজন সফল অ্যাডমিরাল। বেশকিছু জাহাজ নিয়ে আজকের যে ইউনান প্রদেশ (কুনমিং যার রাজধানী), সেখান থেকে তিনি দক্ষিণ এশিয়া তথা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন বন্দরে যেতেন। আর এভাবেই তিনি এ অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে একটা সম্পর্ক স্থাপন করেছিরেন। ১৪০৫ থেকে ১৪৩৩ সাল পর্যন্ত তিনি দক্ষিণ এশিয়া তথা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তার বাণিজ্যবহর নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন। ভারতের সমুদ্র উপকূলীয় এলাকা কোজিকোডেতে তার মৃত্যু হয়। চীনের বর্তমান শাসকচক্র জেং হি’র (যিনি মা হি নামেও পরিচিত ছিলেন) সেই স্পিরিটকে ধারণ করেন, যে কারণে চীনের বৈদেশিক নীতির অন্যতম একটা দর্শন হচ্ছে বাণিজ্য। প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং সে বিশাল ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন, তার পেছনে কাজ করছে জেং হি’র চিন্তাধারা। অর্থাৎ এ অঞ্চলের দেশগুলোকে একটির সঙ্গে অন্যটিকে সংযুক্ত করা। জেং হি তৎকালীন বাংলার রাজধানী সোনারগাঁয়ে এসেছিলেন। আরা আজ আসছেন প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং স্বাধীন বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের প-িত, মনীষী অতীশ দীপঙ্কর চীনের তিব্বতেও গিয়েছিলেন বৌদ্ধধর্ম প্রচারের জন্য। আর সেখানেই তিনি দেহ ত্যাগ করেছিলেন। চীনা প্রেসিডেন্ট ঢাকা থেকে ভারতের গোয়া যাবেন। সেখানে তিনি ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দেবেন।
চীনা প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরের গুরুত্ব অনেক। চীন বাংলাদেশে একটি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করতে চায়। কক্সবাজারের নিকটবর্তী সোনাদিয়ায় তারা একটি সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করতে চেয়েছিল। কিন্তু ভারতের আপত্তির কারণে তা হয়নি। যদি চীনারা একটি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করত, তা ভারতের জন্য এক ধরনের নিরাপত্তা সংকট সৃষ্টি করত বলে ভারতের ধারণা। কিন্তু এ গভীর সমুদ্রবন্দর দিয়ে ভারতও লাভবান হতে পারত। ভারতীয় সাতবোন রাজ্যগুলোর পণ্য রফতানির একটি সম্ভাবনা সৃষ্টি করত। কিন্তু ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের আপত্তির কারণে এ বন্দরটি শেষ পর্যন্ত নির্মিত হলো না। এখন তা সরিয়ে নেয়া হয়েছে পায়রা বন্দরে, যেখানে একটি ভারতীয় সংস্থা এটি নির্মাণ করছে। অভিযোগ আছে, ভারতীয় ওই সংস্থার এ ধরনের কাজের কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তারপরও চীন এ প্রজেক্টে ভারতের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। এরই মধ্যে ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত এ ব্যাপারে তার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। চীনা প্রেসিডেন্টের ঢাকা সফরের সময় বিষয়টি কোনো পর্যায়ে আলোচনা হতে পারে। চীনা প্রেসিডেন্টের সফরের সময় চীনের ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এ ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ প্রকল্প বর্তমান চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের ‘ব্রেইন চাইল্ড’। এ প্রকল্পের আওতায় ৬১টি রাষ্ট্রকে চীন এক পতাকাতলে নিয়ে আসতে চাইছে। সামুদ্রিক পথকেও চীন সংযুক্ত করতে চাইছে। চীন ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ কর্মসূচির জন্য ব্যয় বরাদ্দ করেছে ৪৬ বিলিয়ন ডলার। চীন-পাকিস্তানে যে অর্থনৈতিক করিডোর তৈরি হচ্ছে, যাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ বিলিয়ন ডলার, তা এই ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত। বেলুচিস্তানের গাওদার গভীর সমুদ্রবন্দরটি এ কর্মসূচির অন্তর্গত। এ অর্থনৈতিক করিডোর বেলুচিস্তান ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরের পাশ দিয়ে গেছে, যাতে ভারতের আপত্তি রয়েছে। বেলুচিস্তানেও এ ব্যাপারে অসন্তোষ আছে। এ অর্থনৈতিক করিডোর চীনের পশ্চিমাঞ্চলের জিনজিয়ান প্রদেশের খাসগর শহরের সঙ্গে গাওদার সমুদ্রবন্দরকে সংযুক্ত করেছে। এতে করে আরব সাগরে চীনে প্রবেশাধিকার সহজ হবে। চীন এ অর্থনেতিক করিডোর রেলপথ, সড়কপথ ও তেলের পাইপলাইন সংযুক্ত করছে। জ্বালানি তেলের ওপর চীনের নির্ভরশীলতা ও চীনা পণ্য ইউরোপসহ যুক্তরাষ্ট্রে পরিবহনের প্রশ্নে এ করিডোর একটি বড় ধরনের সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে চীনের জন্য। চীন বর্তমানে ৬০০ মাইল দূরে অবস্থিত ‘ড্রেইট অব হরমুজ’ প্রণালি (যেখান থেকে বিশ্বের ৩৫ ভাগ জ্বালানি তেল সরবরাহ হয়) ব্যবহার করছে। এ অর্থনৈতিক করিডোর পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে চীন সময় বাঁচাতে পারবে। এতে করে পণ্যের দামও কমে যাবে। বাংলাদেশ এ ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ কর্মসূচি দিয়ে উপকৃত হতে পারে ভবিষ্যতে। এমনকি ভারতও এ কর্মসূচি থেকে উপকৃত হতে পারে বলে অনেক ভারতীয় বিশ্লেষক (যেমন শ্যাম শরণ, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব) মন্তব্য করেছেন। ২০১৩ সালে বিসিআইএম (বাংলাদেশ, চীন, ভারত, মিয়ানমার) উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রতি চারটি দেশ তাদের সমর্থন জানিয়েছে। এ বিসিআইএম সহযোগিতা ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ প্রকল্পের সঙ্গেও সম্পৃক্ত। বাংলাদেশের পূর্বমুখী পররাষ্ট্রনীতির জন্য এ বিসিআইএম সহযোগিতা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এরই মধ্যে চীন সরকারিভাবে ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ এর যে ম্যাপ প্রকাশ করেছে, তাতে কলকাতা সমুদ্রবন্দরকে অন্তর্ভুক্ত দেখানো হলেও তাতে বাংলাদেশের কোনো সমুদ্রবন্দরকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। সুতরাং এ ব্যাপারে বাংলাদেশে আরও গবেষণা হওয়া প্রয়োজন। তবে অতি সাম্প্রতিককালে চীন ও ভারতের মধ্যে যে ‘আস্থার’ ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে, তাতে ভারত চীনের এ ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ কর্মসূচির সঙ্গে কতটুকু সম্পৃক্ত হবে, সেটা একটি প্রশ্ন বটে। আর বাংলাদেশ ভারতকে উপেক্ষা করে এ প্রকল্পে যোগ দিতেও পারবে না। সুতরাং ভারতের অংশগ্রহণটা এ মুহূর্তে জরুরি। এরই মধ্যে একটি আশার কথা আমাদের শুনিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তিনি সম্প্রতি বলেছেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি সড়ক ও রেল যোগাযোগ হওয়া দরকার। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীরও আগ্রহ ছিল। সৈয়দ আশরাফের এ বক্তব্য সরকারের কোনো নীতিগত অবস্থান কিনা, তা স্পষ্ট নয়। চীন-ভারত সম্পর্কের অবনতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সৈয়দ আশরাফের এ ‘পরিকল্পনা’ নিয়ে এগিয়ে যাবে কিনা, সেটা একটা বড় প্রশ্ন এখন। বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের ভিত্তি হচ্ছে মূলত অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক। এর বাইরে ২০১২ সালে বাংলাদেশ ও চীন একটি সামরিক সহযোগিতামূলক চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। বিমানবাহিনী বাংলাদেশে চীনা যুদ্ধবিমান সরবরাহের ওপর নির্ভরশীল। সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জামও আসে চীন থেকে। ফলে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে চীনের ওপর এক ধরনের নির্ভরশীলতা আছে, যা ভারতের নীতিনির্ধারকরা খুব ভালো চোখে দেখেন না। সাম্প্রতিককালে অতিশয় এ নির্ভরশীলতা কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। বাংলাদেশ রাশিয়া থেকে যুদ্ধবিমান সংগ্রহ করছে। তবে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ছে। এ বাণিজ্যিক সম্পর্ক চীনের অনুকূলে। ২০১২-১৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ চীনে রফতানি করে ৪৫৮ দশমিক ১২ মিলিয়ন ডলারের পণ্য। কিন্তু আমদানি করেছিল ৬ হাজার ৩২৪ মিলিয়ন ডলারের পণ্য। এই যে বাণিজ্য ঘাটতি, তা ধীরে ধীরে বাড়ছে। ২০১৩ সালে চীন ৫ হাজার বাংলাদেশী পণ্য চীনে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের সুযোগ করে দিয়েছিল। কিন্তু তাতেও বাণিজ্য ঘাটতি কমেনি। চীনের বিনিয়োগও বাড়ছে। ২০১৩ সালে ১৮৬ চীনা উদ্যোক্তা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছিলেন ৩২০ মিলিয়ন ডলার। প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের ঢাকা সফরের সময় ধারণা করা হচ্ছে, ২৫টি প্রজেক্টে চীন ২০ বিলিয়ন ডলার সাহায্যের কথা ঘোষণা করবে। সুতরাং চীনা প্রেসিডেন্টের এ সফর যে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আমরা চীনের অভিজ্ঞতাকে বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজে লাগাতে পারি। বাংলাদেশ আগামীতে বিশ্ব অর্থনীতিতে একটি বড় অবদান রাখবে। যে ১১টি দেশকে আগামীতে অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে, বাংলাদেশ তার অন্যতম। বাংলাদেশের এ উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় চীন আমাদের সহযোগী হতে পারে। উন্নয়নের একটা অন্যতম শর্ত হচ্ছে এক অঞ্চলের সঙ্গে অন্য অঞ্চলের সংযুক্ত করা ও তার কাঠামোগত উন্নয়ন। চীন এক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। চীন এরই মধ্যে বেশ ক’টি সেতু নির্মাণ করে দিয়েছে। যাতে করে বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। চীন এখন বড় শিল্পের দিকে ঝুঁকছে। ছোট ছোট কলকারখানা চীন অন্য দেশে সরিয়ে নিচ্ছে। এক্ষেত্রে কম্বোডিয়া উপকৃত হচ্ছে। আমরাও এ সুযোগটি গ্রহণ করতে পারি। আমরা চীনাদের জন্য বেশ ক’টি রফতানি প্রক্রিয়াকরণ শিল্পাঞ্চল (ইপিজেড) প্রতিষ্ঠা করতে পারি। এমনকি চীনাদের সহযোগিতা নিয়ে আমরা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও চালু করতে পারি। আমাদের রয়েছে একটি শক্তিশালী তরুণ প্রজন্ম। কিন্তু এ প্রজন্ম প্রশিক্ষিত নয়। দক্ষ নয়। যুক্তিহীনভাবে তথাকথিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি নিয়ে এ তরুণ প্রজন্ম বাংলাদেশে বেকার সমস্যাকে প্রকট করছে। আমরা এ তরুণ শক্তিকে একটি প্রশিক্ষিত জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে পারি। এক্ষেত্রে চীনের সহযোগিতা আমরা নিতে পারি। চীনের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আমাদের প্রতিকূলে। এ বাণিজ্যি ভারসাম্যহীনতা কমিয়ে আনতে হবে। চীন যে ৫ হাজার পণ্যের (বাংলাদেশী) চীনা বাজারে প্রবেশের (শুল্কমুক্ত) সুযোগ করে দিয়েছিল, আমরা তা কাজে লাগাতে পারিনি। অর্থাৎ ওই ৫ হাজার পণ্যের মধ্যে অনেক পণ্যই বাংলাদেশ উৎপাদন করে না। এক্ষেত্রে পণ্যের বহুমুখীকরণের ওপর জোর দিতে হবে। শুধু তৈরি পোশাক আর ওষুধ রফতানির ওপর নির্ভরশীল হলে চলবে না। এজন্য চীনের অভিজ্ঞতা আমাদের কজে লাগাতে হবে। চীন আফ্রিকায় বিপুল বিনিয়োগ করছে। সে তুলনায় বাংলাদেশে দেশটির বিনিয়োগ কম। এটা আমাদের এক ধরনের ব্যর্থতা।
বাংলাদেশের বৈদেশিক নীতিতে চীনকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়া হয়। চীন ও ভারত আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ। ভারত সীমান্তবর্তী দেশ হলেও চীন নিকট প্রতিবেশী। বাংলাদেশ এ দুইটি দেশের সঙ্গে সম্পর্কের প্রশ্নে এক ধরনের ‘ভারসাম্যমূলক নীতি’ গ্রহণ করছে। এ ‘ভারসাম্যমূলক নীতি’ বাংলাদেশের বৈদেশিক নীতিতে নতুন একটি মাত্রা এনে দিয়েছে। এটাই সঠিক নীতি। এখন চীনা প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের মাঝে সম্পর্ক নতুন একটি উচ্চতায়ই শুধু নিয়ে যাবে না, বরং বাংলাদেশের জন্য বিশাল একটি সম্ভাবনারও সৃষ্টি করবে। বাংলাদেশকে এখন ওই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে।
Daily Alokito Bangladesh
09.10.2016

0 comments:

Post a Comment