রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

ইসলামিক সংগঠনগুলো কেন গুরুত্ব পাচ্ছে



গত ১১ এপ্রিল সরকারপ্রধানের হেফাজতে ইসলামের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং কওমি মাদ্রাসা বোর্ডের দাওরায়ে হাদিস ডিগ্রিকে মাস্টার্সের সমমান ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি একটি প্রশ্নকে সামনে নিয়ে এলোÑ তা হচ্ছে ইসলাম-পছন্দ দলগুলো কি সরকারের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে? প্রধান বিরোধী দল বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ভোটের আশায় আলেমদের সঙ্গে কথা বলেছেন। হেফাজতে ইসলাম কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নয়। কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন এটি। চট্টগ্রামের দারুল উলুম হাটহাজারী মাদ্রাসা ও এর প্রিন্সিপাল আল্লামা শাহ আহম্মদ শফীকে কেন্দ্র করেই মূলত হেফাজতে ইসলাম সংগঠিত হয়েছে। আল্লামা শফী আবার বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের (বেফাক) সভাপতিও। ইসলামিক প-িত হিসেবে আল্লামা শফীর নামডাক আছে। দেশজুড়ে শত শত মাদ্রাসায় কর্মরত শিক্ষক আল্লামা শফীর ছাত্র। এ কারণেই দেশজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা কওমি মাদ্রাসাগুলোর ওপর আল্লামা শফীর একটি বড় প্রভাব রয়েছে। হেফাজতে ইসলাম আলোচনায় আসে ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকার মতিঝিল চত্বরে গণজমায়েতের ডাক দিয়ে। ওইদিন হাজার হাজার মাদ্রাসার ছাত্র ঢাকায় এসেছিল এবং সরকারের সঙ্গে বড় ধরনের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল। ওই সময় হেফাজতকর্মীদের তা-ব বড় ধরনের বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শত শত হেফাজত নেতা ও কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল, যা আজও চলমান। ওই ঘটনার পর আল্লামা শফীর নাম সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। তার একাধিক বক্তব্যের কারণেও তিনি সমালোচিত হন। ‘তেঁতুল হুজুর’ হিসেবে সরকারের নীতিনির্ধারকরা তাকে সম্বোধন করতে শুরু করেন। এর আগে ২০১০ সালে হেফাজতে ইসলাম নামে সংগঠনটি সংগঠিত হয়েছিল। তাই এ ধরনের একটি বিতর্কিত সংগঠনের সঙ্গে সরকারপ্রধান যখন মিটিং করেন এবং হেফাজতের দাবি অনুযায়ী কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ ডিগ্রি দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের সমমান হিসেবে ঘোষণা দেন, তখন ‘প্রশ্ন’ যে উঠবে, এটাই স্বাভাবিক। যদিও এটা সত্য, সরকারের একাধিক মন্ত্রী ও ১৪ দলের অনেক শরিক দল সরকারপ্রধানের এই ঘোষণায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। ২০১৩ সালের গণজমায়েত তথা হেফাজতে ইসলামের কর্মকা-ের প্রতি বিএনপি তথা ২০ দলের প্রকাশ্য সমর্থন ছিল। ৫ মের (২০১৩) মতিঝিলের শাপলা চত্বরে গণজমায়েতে খালেদা জিয়া না গেলেও তার দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা সেখানে উপস্থিত থেকে হেফাজতের কর্মসূচির প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছিলেন। তাই আওয়ামী লীগের মতো একটি ধর্মনিরপেক্ষ বড় দলের সঙ্গে ইসলাম-পছন্দ ও ‘সরকারের উৎখাতে’ অভিযুক্ত একটি সংগঠন হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে কোনো সহাবস্থান হওয়ার কথা নয়। কিন্তু তার পরও হয়েছে। শুধু তাই নয়, সরকারপ্রধানের সঙ্গে তেঁতুল হুজুর হিসেবে পরিচিত আল্লাম শফীর একটি ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে। এখন যে প্রশ্নটি অনেকেই করেন, তা হচ্ছে হেফাজতে ইসলামকে এত গুরুত্ব দেওয়ার কারণ কী? শুধু মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি কিংবা তাদের ‘জব মার্কেটে’ সুযোগ করে দেওয়ার জন্যই কী ‘দাওরায়ে হাদিস’কে মাস্টার্সের সমমান করা হলো? নাকি এর পেছনে কোনো ‘রাজনীতি’ কাজ করছে? অর্থাৎ আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসলাম-পছন্দ দলগুলোকে কাছে টানা? ওটা কী শুধুই ভোটের রাজনীতি? সংসদীয় রাজনীতি তথা ভোটের রাজনীতিতে ইসলাম-পছন্দ দলগুলোর কোনো গণভিত্তি নেই। আর হেফাজতে ইসলাম কোনো রাজনৈতিক সংগঠনও নয়। জামায়াতে ইসলামীর কিছুটা গণভিত্তি থাকলেও দলটি এখন আর ইসিতে নিবন্ধিত নয়। অর্থাৎ জামায়াতে ইসলামী নামে দলটি আর আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে না। ইসিতে নিবন্ধনকৃত ইসলাম-পছন্দ দলগুলোর মধ্যে রয়েছেÑ জাকের পার্টি, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জমিয়াতে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, খেলাফত মজলিস। এইচএম এরশাদ ২০০১ সালের নির্বাচনে কয়েকটি ইসলামিক দল নিয়ে ইসলামি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছিলেন। অতিসম্প্রতি এইচএম এরশাদ নামসর্বস্ব কয়েকটি ইসলামি দল বা সংগঠন নিয়ে একটি ঐক্য গঠন করেছেন। এরা জাতীয় পার্টির নেতৃত্বে জোটবদ্ধ হয়েছে। যদিও এদের গণভিত্তি নেই। বিএনপির নেতৃত্বে যে জোট রয়েছে, সেখানে ইসলাম-পছন্দ দলগুলোর মধ্যে রয়েছে জামায়াতে ইসলামী (এখন নিবন্ধন বাতিল), ইসলামী ঐক্যজোট, খেলাফত মজলিস, জমিয়াতে ওলামায়ে ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে যে ১৪ দলীয় জোট রয়েছে, সেখানে ইসলাম-পছন্দ তরিকত ফেডারেশন ছাড়া দ্বিতীয় কোনো ইসলামিক দল নেই। দলীয়ভাবে নয়, বরং ব্যক্তিগতভাবে দু-একজন ইসলামিক ব্যক্তিত্ব, যারা কখনো নির্বাচন করেন না, তাদের কিছুটা জনপ্রিয়তা থাকলেও ভোটের হিসাবে তা খুবই নগণ্য। আটরশির পীর এক সময় খুব ‘ক্ষমতাবান’ ছিলেন। তার সন্তান জাকের পার্টি গঠন করলেও স্থানীয়ভাবে কোনো গণভিত্তি নেই। একই কথা প্রযোজ্য চরমোনাইয়ের পীরের ক্ষেত্রেও। ফলে আল্লামা শফীকে ‘কাছে টেনে’ সরকার কতটুকু লাভবান হবে, সে প্রশ্ন থাকলই। এখন তাদের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার স্বীকৃতি মিলেছে। কিন্তু প্রশ্ন আছে অনেক। মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন না থাকলেও কওমি মাদ্রাসা নিয়ে প্রশ্ন আছে। কওমি মাদ্রাসা সরকার নিয়ন্ত্রণ করে না। এখানে কী পড়ানো হয়, কারা এখানে পড়ান, তারও নিয়ন্ত্রণ নেই সরকারের। তবে আলিয়া মাদ্রাসা সরকার নিয়ন্ত্রণ করে। এদের জন্য আলাদা শিক্ষা বোর্ড আছে। অন্যদিকে কওমি মাদ্রাসা নিয়ন্ত্রণ করে কিছু ব্যক্তি। ওইসব ব্যক্তির কেউ কেউ আবার রাজনীতির সঙ্গেও সম্পৃক্ত। সরকারের কোনো অনুদান এখানে নেই। ব্যক্তি সাহায্যের ওপরই এসব মাদ্রাসা পরিচালিত হয়। বর্তমানে নিবন্ধনকৃত কওমি মাদ্রাসার সংখ্যা ১৫ হাজার। কিন্তু অভিযোগ আছে, এ সংখ্যা ৬০ হাজারের কাছাকাছি। বেসরকারিভাবে ৬টি বোর্ড বা বেফাকুল মালারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের মাধ্যমে এই কওমি মাদ্রাসাগুলো পরিচালিত হয়। এদের শিক্ষা কার্যক্রম ভারতের বিখ্যাত দেওবন্দের (দারুল উলুম দেওবন্দ) অনুসরণে পরিচালিত হয়। কওমি মাদ্রাসা আধুনিকীকরণ নিয়ে ২০০৬ সালে একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের ফলে সেই উদ্যোগ থেমে যায়। পরে ২০১২ সালে নতুন করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। যতদূর জানা যায়, এই কমিটি ৬ ধাপে (প্রাইমারি, জুনিয়র সার্টিফিকেট, এসএসসি, এইচএসসি, অনার্স ও মাস্টার্স সমমান) কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাব করেছিল। একই সঙ্গে এই শিক্ষাব্যবস্থায় বাংলা ও ইংরেজি, সমাজবিজ্ঞান, বিজ্ঞান, প্রযুক্তিবিদ্যা অন্তর্ভুক্ত করারও প্রস্তাব করা হয়েছিল। এখন দাওরায়ে হাদিস পর্যায়ে যারা অধ্যয়ন করেছেন, তাদের সাধারণ শিক্ষা, বিশেষ করে আধুনিক শিক্ষা সম্পর্কে ধারণা না থাকায় মাস্টার্সের স্বীকৃতি পেলেও তারা সমাজজীবনে কতটুকু অবদান রাখতে পারবে, এ প্রশ্ন থাকলই। এমনিতেই বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ৩৭টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রায় একশটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিবছর হাজার হাজার মাস্টার্স ডিগ্রিধারী বের হচ্ছে। এর ওপর রয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে সার্টিফিকেট পাওয়াটাই হলো পড়াশোনার মূল উদ্দেশ্য। এখন এর সঙ্গে যুক্ত হলো কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিস। ফলে উচ্চশিক্ষায় সার্টিফিকেটের এক মহাবিস্ফোরণ ঘটবে। এরা সমাজজীবনে, রাষ্ট্রকাঠামোয় কোনো অবদান রাখতে পারবে না। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কোনো পরামর্শ নেওয়া হয়নি। অথচ উচ্চশিক্ষা প্রসারে মঞ্জুরি কমিশনের একটি ভূমিকা রয়েছে। স্পষ্টতই কওমি শিক্ষার সঙ্গে সম্পর্কিত কয়েক লাখ শিক্ষার্থী তথা এদের নেতৃত্বদানকারী হেফাজত ইসলামের সমর্থন নিশ্চিত করার জন্যই এই সিদ্ধান্তটি নেওয়া হলো। ধর্মীয় শিক্ষায় উচ্চশিক্ষাকে মাস্টার্সের সমমান দেওয়ার যৌক্তিকতা আছে কিনা, সে ব্যাপারে শিক্ষাবিদদের মতামত নেওয়া উচিত ছিল। রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে মাস্টার্স ডিগ্রির সমমান দেওয়া আর যাই হোক, উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে কোনো অবদান রাখবে না; বরং নানা জটিলতা তৈরি করবে।
সরকারের উপদেষ্টাদের কেউ কেউ হেফাজতকে কাছে টেনে যদি ভোটের হিসাব করে থাকেন, তারা ভুল করেছেন। বাংলাদেশে যে ভোটের সংস্কৃতি, তাতে ইসলামিক দলগুলোর অবস্থান খুবই দুর্বল। কিছু পরিসংখ্যান দিচ্ছি। ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো ইসলামিক দল অংশগ্রহণ করেনি। ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ইসলামিক ফ্রন্ট শতকরা ১০.০৭ ভাগ আসন পায় (২০ আসন)। খান এ সবুরের মুসলিম লীগ ও মাওলানা আবদুর রহীমের ইসলামিক ডেমোক্রেটিক লীগ (যা পরে জামায়াতে ইসলামী নামে আত্মপ্রকাশ করে) জোটবদ্ধ হয়ে গণতান্ত্রিক ইসলামিক ফ্রন্ট নামে আত্মপ্রকাশ করেছিল। ১৯৮১ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে উলামা ফ্রন্টের প্রার্থী ছিলেন হাফেজ্জী হুজুর (ভোট পেয়েছিলেন ১ দশমিক ৭৯ ভাগ। বিজয়ী বিএনপির আবদুস সাত্তার পেয়েছিলেন ৬৫ দশমিক ৮০ ভাগ ভোট)। ১৯৮৬ সালের তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী পেয়েছিল ১০ আসন ও ৪ দশমিক ৬১ ভাগ ভোট। বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছিল (আওয়ামী লীগ ৭৬ আসন ও ২৬ দশমিক ১৫ ভাগ ভোট)। চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (১৯৮৮) বড় দলগুলো অংশ নেয়নি। ১৯৯১ সালে ৫ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী ১৮ আসন (১২ দশমিক ১৩ ভাগ ভোট), ১৯৯৬ সালে ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী ৩ আসন (৮ দশমিক ৬১ ভাগ ভোট) ও ইসলামী ঐক্যজোট ১ আসন (১ দশমিক ০৯ ভাগ ভোট), ২০০১ সালে অনুষ্ঠিত ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী ১৭ আসন (৪ দশমিক ২৮ ভাগ ভোট) ও ইসলামী ঐক্যজোট ২ আসন (শূন্য দশমিক ৬৮ ভাগ ভোট), ইসলামী জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ১৪ আসন (সবই জাতীয় পার্টির, ৭ দশমিক ২৫ ভাগ ভোট), ২০০৮ সালের ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী ২ আসন (৪ দশমিক ৬ ভাগ ভোট), ইসলামী ঐক্যজোট মাত্র ০.১৬ ভাগ ভোট পেয়েছিল। আর ভোটারবিহীন ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (২০১৪) ইসলাম-পছন্দ তরিকত ফেডারেশন পেয়েছিল ২ আসন। এর অর্থ কী? একমাত্র জামায়াতের কিছু সাংগঠনিক ভিত্তি আছে। এর বাইরে অন্যান্য ইসলাম-পছন্দ দলের কোনো গণভিত্তি নেই। জামায়াতের (বর্তমান প্রেক্ষাপটে) অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। সাংগঠনিক দুর্বলতা, নিবন্ধন হারানো ইত্যাদির কারণে সংগঠনটির অস্তিত্ব এক রকম নেই বললেই চলে। জামায়াতের বিকল্প কোনো ইসলাম-পছন্দ রাজনৈতিক দলও এই মুহূর্তে নেই। এ ক্ষেত্রে হেফাজতে ইসলামকে বিকল্প ভাবা অমূলক কিছু নয়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, এরা কোনো রাজনৈতিক দল নয়। তাদের ১৩ দফা আছে। তাতে অবশ্য রাজনীতি আছে। এখন এই সংগঠনটি যদি একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এবং আগামী নির্বাচনে অংশ নেয়, তাতে করে তাদের ভূমিকার দিকে লক্ষ্য থাকবে অনেকের। জাামায়াতের বিকল্প হিসেবে যদি রাজনৈতিক দল হিসেবে হেফাজতে ইসলাম (নতুন নামে) আত্মপ্রকাশ করে, আমি তাতে অবাক হব না।
Daily Amader Somoy
19.04.2017
 

0 comments:

Post a Comment