রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

কোরীয় উপদ্বীপের উত্তেজনার কি আদৌ অবসান ঘটবে


প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে কোরীয় উপদ্বীপে এক ধরনের উত্তেজনা বিরাজ করছে। উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র পরস্পর পরস্পরকে আক্রমণ করে বক্তব্য রাখা অব্যাহত রেখেছে। মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়া তার সেনাবাহিনীর ৮৫তম জন্মবার্ষিকী পালন করেছে। জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে টানটান উত্তেজনা ছিল। বলা হয়েছিল, উত্তর কোরিয়া এদিন ৬ষ্ঠ পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটাবে! কিন্তু উত্তর কোরিয়া তা করেনি। কিন্তু উত্তর কোরিয়াকে ‘চাপে’ রাখার জন্য বিমানবাহী জাহাজ কার্ল ভিনসনকে যুক্তরাষ্ট্র জাপান সফরে মোতায়েন করেছে। এই বহরে যোগ হয়েছে পারমাণবিক ডুবোজাহাজ ইউএসএস মিশিগান। এমনি এক পরিস্থিতিতে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফোনালাপ হয়েছে। উত্তেজনা প্রশমন ও শান্তিপূর্ণ সমাধানে দেশ দুটি একমত হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, এক ধরনের ‘যুদ্ধের’ মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। দুটি সংবাদ আমি উল্লেখ করতে চাই। অলিভিয়া আলপারস্ট্রাইন ঙঃযবৎড়িৎফং.ড়ৎম-এ (২০ এপ্রিল) লিখেছেন, ওং ঞৎঁসঢ় ঞধশরহম টং ঃড় ডধৎ ঊাবৎুযিবৎব? অর্থাৎ ট্রাম্প কি আবারও যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধের ময়দানে নিয়ে যাচ্ছেন? এ ধরনের মন্তব্য আমি আরও পেয়েছি। বলা হচ্ছে, নির্বাচনের আগে ট্রাম্প ওয়াদা করেছিলেন, তিনি আর যুক্তরাষ্ট্রকে কোনো যুদ্ধে জড়াবেন না। কিন্তু উত্তর কোরিয়া ও ইরান নিয়ে তার যেসব মন্তব্য পত্রপত্রিকায় ছাপা হচ্ছে, তাতে দেখা যাচ্ছে তিনি ধীরে ধীরে যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। দ্বিতীয়টি, বিখ্যাত সংবাদ সাময়িকী দি ইকোনমিস্টের প্রচ্ছদ প্রতিবেদন। এপ্রিল ২২-২৮ সংখ্যায় ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন হচ্ছে, ঐধহফষব রিঃয বীঃৎবসব পধৎব। ছবি আছে উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের। প্রতিবেদনের হেডিং দেখেই বোঝা যায়, কী বলতে চাচ্ছে ইকোনমিস্ট। মোদ্দা কথা হচ্ছে, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সতর্ক আচরণ করা! এটা বলা হচ্ছে এ কারণে যে, উত্তর কোরিয়ার বর্তমান নেতা উন আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, সংলাপ ইত্যাদি বোঝেন না অথবা বুঝতে চান না। অনেকটা ক্ষ্যাপাটে স্বভাবের তিনি। যা কিছু তিনি করে বসতে পারেন। অনেকদিন ধরেই উত্তর কোরিয়া বলে আসছে, তারা ৬ষ্ঠ পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটাবে। বিশ্বের ঘোষিত ৮ম পারমাণবিক ‘শক্তিধর’ দেশ হচ্ছে উত্তর কোরিয়া। ২০০৬, ২০০৯, ২০১৩ আর ২০১৬ সালে মোট ৫টি পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় উত্তর কোরিয়া। গত ১২ এপ্রিল উন তার দাদা ও উত্তর কোরিয়া রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা কিম উল সুং-এর ১০৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ব্যাপক সমরসজ্জার প্রদর্শন করেন। এর পরই শুরু হয় উত্তেজনা, যে উত্তেজনা এখন তুঙ্গে।
উনের মতোই চরিত্র অনেকটা ডোনাল্ড ট্রাম্পের। তিনি যা বোঝেন তাই করেন। অতীতে যা বলেছিলেন, এখন তাতে পরিবর্তন আনছেন। ট্রাম্পের অতিসাম্প্রতিক কিছু ভূমিকা নতুন করে একটি প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র কী আবারও ‘বিশ্ব পুলিশের’ ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছে? দায়িত্ব নেওয়ার আগে ঘোষণা দিয়েছিলেন, তিনি বৈশ্বিক রাজনীতিতে সামরিকভাবে আর যুক্তরাষ্ট্রকে জড়িত করবেন না! কিন্তু সেই অবস্থান থেকে তিনি বেরিয়ে আসছেন বলে মনে হয়। ২৯ জানুয়ারি তিনি ইয়েমেনে আল কায়েদা সংশ্লিষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। ৪ এপ্রিল সিরিয়ায় সরকারি বাহিনীর রাসায়নিক হামলায় শতাধিক বেসামরিক ব্যক্তির মৃত্যুর পর তিনি সিরীয় বিমানঘাঁটিতে ৫৯টি টমহক মিসাইল হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আর আফগানিস্তানে ১৩ এপ্রিল ‘সব বোমার জননী’ (মাদার অব অল বম্বস, ওজন ৯.৮ টন। দৈর্ঘ্য ৯.১ মিটার। ৮.৪৮ টন এইচ ৬ বিস্ফোরক) ব্যবহৃত হয় আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে। সোমালিয়ায় আলশাবাব জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ‘আফ্রিকম’ সেনা কমান্ডারদের নির্দেশ দিয়েছেন। মেসেজটি স্পষ্ট। যুক্তরাষ্ট্র তার সামরিক উপস্থিতি বহাল রাখতে চাইছে। ফলে উত্তর কোরিয়ার ব্যাপারে তার যে একটি ‘আগ্রাসী’ ভূমিকা থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। তবে উত্তর কোরিয়া নিয়ে একটা ‘ভয়’ও আছে। উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ধ্বংস করে দেওয়ার যে কোনো ‘পরিকল্পনা’ হিতে বিপরীত হতে পারে। এ অঞ্চলে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে। উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার হাতে রয়েছে বিশাল সমরাস্ত্র। যেখানে উত্তর কোরিয়ার হাতে রয়েছে ৯৪৪টি যুদ্ধবিমান, সেখানে দক্ষিণ কোরিয়ার হাতে রয়েছে ১৪৫১টি, হেলিকপ্টারের সংখ্যা উত্তর কোরিয়ার ২০২টি, আর দক্ষিণ কোরিয়ার ৬৭৯টি, ট্যাংক রয়েছে উত্তর কোরিয়ার ৪২০০টি, আর দক্ষিণ কোরিয়ার ২৩৮১টি, সাবমেরিন উত্তর কোরিয়ার ৭০টি, আর দক্ষিণ কোরিয়ার ১৫টি, ফ্রিগেট উত্তর কোরিয়ার ৩টি, দক্ষিণ কোরিয়ার ১১টি। ডেস্ট্রয়ার আছে দক্ষিণ কোরিয়ার ১২টি। আর সেনাবাহিনীর সংখ্যা উত্তর কোরিয়ার যেখানে ৭ লাখ, সেখানে দক্ষিণ কোরিয়ার ৬ লাখ ২৫ হাজার। সামরিক খাতে উত্তর কোরিয়ার বাজেট হলো ৭৫০ কোটি ডলার, আর দক্ষিণ কোরিয়ার ৩৩২০ কোটি ডলার। তুলনামূলক বিচারে দক্ষিণ কোরিয়ার ‘অবস্থান’ ভালো হলেও উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক প্রযুক্তি অর্জন করেছে, যা দক্ষিণ কোরিয়া এখনো পারেনি। পাঠকদের এখানে যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক কমান্ডের সামরিক শক্তিরও একটা তুলনা দিই। বাংলাদেশসহ কোরীয় উপদ্বীপ, জাপান, এমনকি চীনও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক কমান্ডের আওতায়। মোট ২৬টি দেশ এর প্রভাব বলয়ের আওতায়। বিশ্বের অর্ধেক জনগোষ্ঠী এ অঞ্চলে বাস করে। চীন, জাপান ও ভারতের মতো বড় অর্থনীতি এই কমান্ডের নিয়ন্ত্রিত এলাকার মাঝে রয়েছে। এই কমান্ডের (মোট ৬ কমান্ডের ১টি) আওতায় রয়েছে ৫টি বিমানবাহী জাহাজ, ১ লাখ ৩ হাজার মেরিন ও ১১০০ যুদ্ধবিমান। যে কোনো ‘যুদ্ধে’ যুক্তরাষ্ট্রের ‘অবস্থান’ যে শক্তিশালী, তা বলার আর অপেক্ষা রাখে না। শেষ মুহূর্তে যুদ্ধ হয়তো হবে না কিংবা দ্বিতীয় আরেকটি কোরীয় যুদ্ধ হয়তো আমরা প্রত্যক্ষ করব না, কিন্তু এ অঞ্চলে উত্তেজনা থাকবেই। কিম জং উন উত্তেজনা জিইয়ে রেখে কিছু সুবিধা আদায় করে নিতে চান। চীনের অবস্থানও অনেকটা তেমনিÑ উত্তর কোরিয়াকে সাহায্য করা। অতীতেও এমনটি হয়েছিল। তবে মনে রাখতে হবে, বিশ্বের ৮ম পারমাণবিক শক্তিধর দেশ হচ্ছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির পারমাণবিক কর্মকা-কে হালকাভাবে দেখার কোনো সুযোগ নেই। তবে এটা আমাদের ভুললে চলবে না, যুক্তরাষ্ট্রে যুদ্ধবাজ জেনারেলরা সব সময়ই যুদ্ধ চান। যুদ্ধ মানেই এক ধরনের ব্যবসা। যুদ্ধ হলে অস্ত্রের চাহিদা বাড়ে আর যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্রের ব্যবসা করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি মানেই হচ্ছে যুদ্ধ অর্থনীতি। তাই ট্রাম্প যতই প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকুন না কেন, যুদ্ধে তাকে যেতেই হবে! আগামীতে অনেকগুলো ‘সম্ভাবনা’র জন্ম হচ্ছে, যেখানে যুদ্ধ শরু হয়ে যেতে পারে। এক. সিরিয়া ও ইরান, দুই. দক্ষিণ চীন সাগর তথা জাপান সাগর, তিন. ভারত মহাসাগর। তিনটি অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়ছে, আর প্রত্যক্ষ হোক বা পরোক্ষভাবে হোক যুক্তরাষ্ট্র প্রতিটি ক্ষেত্রে জড়িয়ে আছে। ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যে পারমাণবিক সমঝোতা হয়েছিল, তা ট্রাম্প এখন মানতে চাইছেন না। সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী ট্রাম্প ওই সমঝোতাটি এখন বাতিল করতে চাচ্ছেন। অন্যদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী টিলারসন দাবি করেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতার জন্য ইরান দায়ী। টিলারসনের অভিযোগÑ ইরান, সিরিয়া, ইয়েমেন, ইরাক ও লেবানন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থহানি ঘটাচ্ছে। টিলারসনের মতে, ইরানের উদ্বেগজনক এবং উস্কানিমূলক কর্মকা- সন্ত্রাস ও সহিংসতা ছড়িয়ে দিচ্ছে এবং ওই অঞ্চলে বিভিন্ন দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। প্রায় একই সময় সৌদি আরব সফররত মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস মন্তব্য করেছেন, ইয়েমেন যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটাতে হলে ইরানের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির প্রভাব এড়াতে হবে। এ ধরনের বক্তব্য থেকে এটা এখন স্পষ্ট হচ্ছে যে, অচিরেই যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান নতুন করে এক ধরনের ‘বিতর্ক’ ও উত্তেজনায় জড়িয়ে যাবে। তাতে করে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক সমঝোতা ভেস্তে যেতে পারে! ভারত মহাসাগরে চীনের উপস্থিতি নিয়ে উৎকণ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র।
অনেকেই এটা বলার চেষ্টা করছেন যে, এটা এক ধরনের ‘প্রক্সি ওয়ার’, এই প্রক্সি ওয়ারে একদিকে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, অন্যদিকে রয়েছে চীন ও রাশিয়া। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী মার্কিন যুদ্ধজাহাজ যখন কোরীয় উপদ্বীপের আশপাশে অবস্থান করছে, ঠিক তখনই একটা সংবাদ এলো যে, উত্তর কোরীয় সীমান্তে সেনা সমাবেশ করেছে রাশিয়া। লন্ডনের ডেইলি মেইল জানিয়েছে, পুতিনের আশঙ্কা যদি ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ায় হামলা চালায়, তাহলে দেশটির নাগরিকদের একটা বিশাল অংশ শরণার্থী হয়ে রাশিয়ায় ঢুকে পড়তে পারে। এর আগে চীন তার উত্তর কোরীয় সীমান্তে ১ লাখ ৫০ হাজার সৈন্য মোতায়েন করেছিল। এর অর্থ হচ্ছে, শরণার্থী ঠেকাতে চীন ও রাশিয়া তাদের নিজ নিজ সীমান্তে সৈন্য মোতায়েন করলেও পরোক্ষভাবে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি ‘হুমকি’Ñ অর্থাৎ যুদ্ধ যদি শুরু হয়, তাহলে তারা উত্তর কোরিয়ার পক্ষে গিয়েই দাঁড়াবে। ইতোমধ্যে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সমালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যে নিন্দা প্রস্তাব এনেছিল, রাশিয়া তাতে ভেটো দিয়েছে। বলা ভালো, এ ব্যাপারে জাতিসংঘের সুস্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে।
কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা এখনো আছে। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের সিউল সফরের পরও দক্ষিণ কোরিয়ার নিরাপত্তা সংকট কাটেনি। এদিকে একদল মার্কিন মনোবিজ্ঞানী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একজন ‘মানসিক রোগী’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এমনি একজন ব্যক্তি ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন গত ১২ এপ্রিল মার্কিন সংবাদপত্র ওয়াল স্টিটের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে পুরো কোরিয়াকে চীনের অংশ হিসেবে চিহ্নিত করেন, তখন ইতিহাস সম্পর্কে তার অজ্ঞতার চেয়ে মানসিক সুস্থতাই বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দেয়। কিম জং উনও অনেকটা একই মানসিকতার মানুষ। ফলে এদের দুজনের কারণে কোরীয় উপদ্বীপে যে কোনো সময় ‘যুদ্ধ’ শুরু হয়ে যেতে পারে! ভয়টা হচ্ছে এখানে যে, ক্ষ্যাপাটে স্বভাবের উন কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করেই দক্ষিণ কোরিয়ায় পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করতে পারে। ফলে এই মুহূর্তে যা করণীয় তা হচ্ছে পুনরায় ৬ জাতি আলোচনা শুরু করা। প্রয়োজনে উত্তর কোরিয়াকে আর্থিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে তার পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া। জাতিসংঘ এই কাজটি করতে পারে। তাতে করে এ অঞ্চলে উত্তেজনা হ্রাস পেতে পারে।
Daily Amader Somoy
27.04.2017

0 comments:

Post a Comment