রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

প্রসঙ্গ : প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর



প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার দিনের ভারত সফরে রয়েছেন। অন্য যে কোনোবারের চেয়ে এবার তার নয়াদিলি্ল সফরের গুরুত্ব অনেক বেশি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের জানিয়েছেন তার এই সফরে ৩৩টি চুক্তি, তথা সমাঝোতা প্রাপক স্বাক্ষরিত হবে। তবে তিস্তার ব্যাপারে তেমন কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না বলেও তিনি আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন। মোদি-হাসিনা দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকছেন এবং ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি শেখ হাসিনার সম্মানে যে নৈশভোজের আয়োজন করেছেন, সেখানেও উপস্থিত থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতি তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে তার সম্মতি কি-না, সে ব্যাপারে স্পষ্ট কোনো আভাস পাওয়া না গেলেও, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ইচ্ছা করলে ভারতীয় সংবিধানের ২৩৫নং ধারা বলে বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তার পানিচুক্তি করতে পারে। তবে প্রধানমন্ত্রীর এবারের ভারত সফরের গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে একটি প্রতিরক্ষা সমঝোতা। এটা নিয়ে নানা মত আছে। বাংলাদেশ তার প্রতিরক্ষা বাহিনীর আধুনিকীকরণের জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে অস্ত্র ক্রয় করে। অতীতে চীন ও রাশিয়া থেকে আমরা অস্ত্র ক্রয় করেছি। এটা দোষের কিছু নয়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে ভারতীয় অস্ত্র নিয়ে। আন্তর্জাতিক আসরে অস্ত্র বিক্রিতে ভারতের তেমন নাম নেই। একটি পরিসংখ্যান দিচ্ছি। ২০১০-১৪ সালের যে পরিসংখ্যান পাওয়া যায়, তাতে দেখা যায় বিশ্বে অস্ত্র বিক্রিতে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র (বিশ্বে যা রফতানি হয় তার ৩১ ভাগ)। এর পরের অবস্থান রাশিয়ার (শতকরা ২৭ ভাগ)। তৃতীয় অবস্থানে চীন শতকরা ৫ ভাগ। জার্মানি, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, ইতালি, ইউক্রেন, ও ইসরায়েল রয়েছে যথাক্রমে চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম অষ্টম, নবম ও দশম স্থনে। এখানে ভারতের কোনো অবস্থান নেই। অন্যদিকে ভারত নিজে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি অস্ত্র আমদানি করে, (শতকরা ১৫ ভাগ বিশ্বের) এর পরের অবস্থান সৌদি আরবের শতকরা ৫ ভাগ। পাকিস্তানের অবস্থান অস্ত্র আমদানিতে পঞ্চম। ভারত যেখানে নিজে অস্ত্র আমদানি করে, সেখানে ভারতীয় অস্ত্রের গুণগত মান ইত্যাদি নিয়ে প্রশ্ন থাকা স্বাভাবিক। তবে ভারত বড় দেশ। বড় অর্থনীতি। আমাদের উন্নয়নের জন্য ভারতের সাহায্য ও সহযোগিতা প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের জাতীয় স্বার্থের নিরিখে এই সহযোগিতা প্রয়োজন। আমাদের জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি, যা নিয়ে প্রশ্নের কোনো শেষ নেই। এই বিষয়টি আমাদের নিরাপত্তার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। আমাদের নীতি নির্ধারকরা যদি বিষয়টিকে হালকাভাবে দেখেন, তাহলে এ দেশ বিশেষ করে উত্তরবঙ্গ একটি বড় ধরনের সংকটে পড়বে। খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে থাকবে। এমনকি রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এতে করে বাড়বে। মনে রাখতে হবে তিস্তার পানি প্রাপ্তি আমাদের ন্যায্য অধিকার। আন্তর্জাতিক আইন আমাদের পক্ষে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্ব আমাদের অধিকারকে নিশ্চিত করা। এক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তি বা সমর্থন এটা আমাদের বিষয় নয়। আমরা এটা বিবেচনায় নিতে চাই না। আমাদের অধিকার, যা আন্তর্জাতিক আইনে স্বীকৃত, তা নিশ্চিত করবে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এখানে বলা ভালো সিকিম হয়ে ভারতের দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি হয়ে পশ্চিমবঙ্গের ডুয়ারের সমভূমি দিয়ে চিলাহাটি থেকে চার-পাঁচ কিলোমিটার পূর্বে বাংলাদেশের নীলফামারী জেলার উত্তর গাড়িবাড়ির কাছে ডিমলা উপজেলার ছাতনাই দিয়ে প্রবেশ করেছে তিস্তা নদী। ছাতনাই থেকে এ নদী নীলফামারীর ডিমলা, জলঢাকা, লালমনিরহাটের সদর, পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, রংপুরের কাউনিয়া, পীরগাছা, কুড়িগ্রামের রাজারহাট উলিপুর হয়ে চিলমারীতে গিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে মিশেছে। ডিমলা থেকে চিলমারী ও নদীর বাংলাদেশ অংশের মোট ক্যাচমেন্ট এরিয়া প্রায় ১ হাজার ৭১৯ বর্গ কিলোমিটার। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ নদী কমিশন গঠনের পর তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। ১৯৮৩ সালের জুলাই মাসে দু'দেশের মন্ত্রিপরিষদের এক বৈঠকে তিস্তার পানি বণ্টনে শতকরা ৩৬ ভাগ বাংলাদেশ ও ৩৯ ভাগ ভারত এবং ২৫ ভাগ নদীর জন্য সংরক্ষিত রাখার বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল। কিন্তু কোনো চুক্তি হয়নি। পরে ২০০৭ সালের ২৫, ২৬, ২৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাংলাদেশ তিস্তার পানির ৮০ ভাগ দু'দেশের মধ্যে বণ্টন করে বাকি ২০ ভাগ নদীর জন্য রেখে দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। ভারত সে প্রস্তাবে রাজি হয়নি। এরপর যুক্ত হয়েছিল মমতার আপত্তি। বাংলাদেশের কোনো প্রস্তাবের ব্যাপারেই অতীতে মমতার সম্মতি পাওয়া যায়নি। এখানে আগে একটা বিষয় বিবেচনায় নেয়া প্রয়োজন। তিস্তার পানি বণ্টনে সিকিমকে জড়িত করার প্রয়োজনীয়তা পড়েছে। কেননা সিকিম নিজে উজানে পানি প্রত্যাহার করে বাঁধ দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। ফলে তিস্তার পানির প্রবাহ কমে যাচ্ছে দিন দিন। পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গে কৃষকদের কাছে তিস্তার পানির চাহিদা বেশি। সেচ কাজের জন্য তাদের প্রচুর পানি দরকার। এটা বরাবরই মমতার জন্য একটি 'রাজনৈতিক ইস্যু'। সুতরাং মমতা তিস্তা চুক্তি করে বাংলাদেশের পানি প্রাপ্তি নিশ্চিত করবেন_ এটা আমার কখনই বিশ্বাস হয়নি। তাই মমতা'য় আস্থা রাখা যায় না। এক্ষেত্রে আমাদের যা করণীয়, তা হচ্ছে তিস্তার পানি বণ্টনের বিষয়টি অগ্রাধিকার দিয়ে ভারতের ওপর 'চাপ' অব্যাহত রাখা। আমরা ভারতের অনেক 'দাবি' পূরণ করেছি। মোদির আমলে সীমানা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে দু'দেশের সীমানা এখন চিহ্নিত। দু'দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটা একটা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। এ ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতির পরও মমতা যদি তার ওপর রাখা আস্থার প্রতিদান না দেন, তাহলে তা যে দু'দেশের সম্পর্কের মধ্যে একটা অবিশ্বাসের জন্ম দেবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গে রুদ্র কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করার উদ্যোগ নিতে পারেন, যেখানে পশ্চিমবঙ্গের এই পানি বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশকে শতকরা ৫০ ভাগ পানি দেয়া সম্ভব বলে সুপারিশ করেছিলেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রণব কুমার রায়ও এই সুপারিশ সমর্থন করেছিলেন। এর ভিত্তিতেই মমতা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তবে মমতাকে আস্থায় নেয়া সত্যিকার অর্থেই কঠিন। ঢাকায় আসার আগে আত্রাই প্রসঙ্গটি তুলে তিনি একটি 'জট' লাগিয়ে গিয়েছিলেন। অর্থাৎ আত্রাইয়ের সঙ্গে তিস্তার পানি বণ্টনের বিষয়টি এক করে দেখেছেন। এটি একটি ভিন্ন বিষয়। আত্রাই নিয়ে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু তিস্তার পানি প্রাপ্তি আমাদের অগ্রাধিকার। এর সঙ্গে অন্য কোনো ইস্যুকে তুলনা করা যাবে না। বাংলাদেশ সরকারকে দ্রুত তিস্তার পানি বণ্টনের বিষয়টিকে সামনে রেখে ভারতের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নিতে হবে। সমুদ্র-সীমান্ত নির্ধারিত হয়েছিল আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। 'দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় সমুদ্রসীমা নির্ধারিত হয়নি। আজকে প্রয়োজনে তিস্তার পানি বণ্টনের বিষয়টি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইচ্ছা-অনিচ্ছা, দয়া-দাক্ষিণের ওপর বিষয়টি নির্ভর করে না। ভাটির দেশ হিসেবে তিস্তার পানির ন্যায্য অধিকার আমাদের এককভাবে রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এককভাবে পানি প্রত্যাহার করে নিতে পারেন না। যদি তিনি তা করেন, তাহলে তা হবে আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এ ক্ষেত্রে মমতাকে নয়, বরং ভারতীয় কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর আমাদের চাপ অব্যাহত রাখতে হবে। তবে আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, মমতা বার বার তার 'অবস্থান' পরিবর্তন করছেন। সীমান্ত চুক্তিতে তিনি সমর্থন দিয়েছিলেন; কিন্তু তাকে আর্থিক সহায়তা দেয়ার পর। এখন তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে অন্যদিকে তিনি 'রাজনীতি' করছেন। অন্যদিকে মোদি সরকারকে চাপের মুখে রেখেছেন।
শুধু তিস্তার পানি বণ্টন নিয়েই নয়, বরং টিপাইমুখ বাঁধ, ফুলেরতল ব্যারাজ, শুল্ক ও অশুল্ক বাধা দূর, নাফটা কার্যকর, ভারতগামী বাংলাদেশিদের ভিসা সহজীকরণ, ভারতে বাংলাদেশি পণ্যের বাজার উন্মুক্ত করা ইত্যাদি নানা সমস্যা রয়েছে, যার একটা 'সুষ্ঠু সমাধান' প্রয়োজন। তবে অগ্রাধিকার তালিকায় এই মুহূর্তে প্রথমেই রয়েছে তিস্তা। তিস্তায় পানির প্রবাহ কমে যাওয়ায় বাংলাদেশ এখন বড় ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আমরা চাই এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বারবার ভারতীয় নেতৃবৃন্দকে স্মরণ করে দিয়েছেন তিস্তা চুক্তি আমাদের অগ্রাধিকার। আমরা আমাদের ন্যায্য হিস্যা চাই। বর্তমান সরকারের সময় বাংলাদেশে-ভারত সম্পর্কে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। দীর্ঘ ৪০ বছর ছিটমহল সমস্যা দু'দেশের মাঝে আস্থার সম্পর্কের ক্ষেত্রে বড় জটিলতা সৃষ্টি করেছিল। এখন তা অতীত। ছিটমহল সমস্যার সমাধান হয়েছে। বাংলাদেশ ভারতকে 'ট্রানজিট' দিয়েছে। ভারত থেকে আমরা বিদ্যুৎ পাচ্ছি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের সময় (২৭ মে ২০১৫) একটি চারদেশীয় উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এখন শুধু তিস্তা চুক্তির কারণে এই সম্পর্ককে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া যাবে না_ এটা হতে পারে না। সুতরাং আমাদের প্রত্যাশা থাকবে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সময় বাংলাদেশ তিস্তা চুক্তির প্রসঙ্গটি উত্থাপন করে ভারতের সমর্থন নিশ্চিত করা। এ ব্যাপারে ভারতে একটি জনমত সৃষ্টি করাও জরুরি। ভারতের অগ্রাধিকারের তালিকায় অস্ত্র বিক্রির বিষয়টি এখন এক নাম্বারে। এতে করে আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে যদি আরও আধুনিকীকরণ করা সম্ভব হয়, তাহলে এত বাধা থাকার কথা নয়। কিন্তু আমরা চাই আমাদের দাবিগুলোর ব্যাপারে ভারতীয় নেতৃবৃন্দ আরও আন্তরিক হবেন। ভারত বড় অর্থনীতি হতে যাচ্ছে। বর্তমানে বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারতের অবস্থান সপ্তম। ২ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন ডলারের যে অর্থনীতি, তা বিশ্ব জিডিপির ২ দশমিক ৮ ভাগ; কিন্তু ২০৫০ সালের আগেই ভারত বিশ্বে দ্বিতীয় অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে। (চীন ১ এবং যুক্তরাষ্ট্র ৩ নাম্বারে)। সুতরাং ভারতের এই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি থেকে আমরাও লাভবান হতে পারি। কিন্তু কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভারতের আচরণ সমমর্যাদা সম্পন্ন নয়। ভারত আমাদের কাছ থেকে নিচ্ছে বেশি, দিচ্ছে কম। ট্রানজিট বা ট্রান্সসিপমেন্টের সুবিধা নিচ্ছে কম মাসুল দিয়ে। অন্যদিকে ভুটান ও নেপালকেই ট্রানজিট সুবিধা দিচ্ছে না ভারত। ভারত চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের চুক্তি করছে এবার। অথচ বাংলাদেশের আমদানি-রফতানি পণ্য হেন্ডলিং করতেই হিমশিম খাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর। এ ক্ষেত্রে ভারতের সাতবোন রাজ্যের পণ্য হ্যান্ডলিং করবে কীভাবে? গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মিত হলে একটা সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু ভারতের আপত্তির কারণে সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দরটি নির্মিত হয়নি। প্রধানমন্ত্রী দিলি্ল গেছেন। তার এজেন্ডা অনেক। অনেক চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে। তাতে আমরা কতটুকু উপকৃত হব_ এটাই বড় প্রশ্ন এখন। শেষ মুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিলি্ল যাওয়ার সিদ্ধান্ত একটা 'সম্ভাবনার' জন্ম দিলেও এখন দেখার পালা আদৌ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় কী-না। কেননা আমাদের অগ্রাধিকার তালিকার শীর্ষে রয়েছে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি।
Daily Jai Jai Din08.04.2017

0 comments:

Post a Comment