রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে ইসির রোডম্যাপ কতটুকু গ্রহণযোগ্য



নির্বাচন কমিশন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য একটি রোডম্যাপ উপস্থাপন করার পর যেসব নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে, তাতে করে একটা বড় প্রশ্ন সামনে চলে এসেছে আর তা হচ্ছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে ইসির এই রোডম্যাপ কতটুকু গ্রহণযোগ্য। বিএনপি হয়ত রাজনৈতিক বিবেচনায় একটি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। কিন্তু যারা আদৌ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন, রাজনৈতিক বিশ্লেষক হিসেব যাদের নাম-ডাক আছে, তাদের মন্তব্য থেকে এটাই আমার কাছে প্রতীয়মাণ হয়েছে যে, নির্বাচন কমিশন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য যে ৭ দফা কর্ম পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছে, তা গ্রহণযোগ্য ও সকল দলের অংশগ্রহণের জন্য যথেষ্ট নয়। প্রথমত একটি 'লেভেল প্লেইং ফিল্ড' নিশ্চিত করার জন্য যে ধরনের কর্মসূচি নেয়া দরকার, তা এই ৭ দফাতে নেই। দ্বিতীয়ত, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দরকার আস্থা ও বিশ্বাসের সম্পর্ক। বড় দলগুলো নেতারা যদি পরস্পরকে আক্রমণ করে তাদের বক্তব্য রাখা অব্যাহত রাখেন, তাহলে নির্বাচনের আগে সুস্থ পরিবেশ বিরাজ করবে না। আরও হানাহানি হবে। ইসি একটি আচরণবিধি প্রণয়ন করতে পারত। কিন্তু ৭ দফাতে এ সংক্রান্ত কিছু নেই। তৃতীয়ত, ইসির ৭ দফায় যা আছে, তা মূলত একটি রুটিন ওয়ার্ক। নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়ন, সংসদীয় এলাকা পুনর্নির্ধারণ, ভোটকেন্দ্র স্থাপন, নতুন দলের নিবন্ধন এসবই তো রুটিন কাজ। নতুন তো কিছু নেই। তাহলে এই রোডম্যাপ নিয়ে আশাবাদী হই কীভাবে? চুতর্থত, ইসি সুধী সমাজ ও রানৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করবেন। এই সংলাপ তো অর্থহীন। কেননা সুধী সমাজ নির্বাচন নিয়ে যা বলে আসছে, তা তো ইসির অজানা নয়। তারা সেইসব বক্তব্য যদি বিবেচনায় নিতেন, তাহলে ৭ দফায় তা অন্তর্ভুক্ত হতা; কিন্তু তা হয়নি। উপরন্তু নিবন্ধিত দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করবে ইসি। তাতে 'ফটোসেশন' ছাড়া আর কী লাভ? ৪২ দল নিবন্ধিত। এদের সবার নিজস্ব কার্যালয় আছে কি? শুধু সরকারি দল নয়, সব বিরোধী দলগুলোকে আস্থায় নিতে হবে ইসির। সরকারের প্রভাবের বাইরে থাকতে হবে। নির্বাচন কমিশন কতটুকু স্বাধীন, এটা নিয়ে জনমানসে প্রশ্ন আছে।
আমাদের সংবিধানে ১১৮(৪) ধারায় বলা আছে স্পষ্ট করে 'নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালনে স্বাধীন' এবং সংবিধানের ১২৬ এ বলা আছে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে মহায়তা করা সব নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য। অতীত অভিজ্ঞতা বলে এ ধরনের কথাবার্তা শুধু কাগজ-কলমেই সীমাবদ্ধ নির্বাচন কমিশন কখনই স্বাধীন না। এবং নির্বাহী কর্তৃপক্ষ কখনই নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করে না। বরং স্থানীয় পর্যায়ের যেসব কর্মকর্তা থাকেন (ডিসি, টিএনও ইত্যাদি), তারা কেন্দ্রীয় প্রশাসনের অর্থাৎ স্টাবলিশমেন্ট মন্ত্রণালয়ের কথা শোনেন। কাগজ কলমে আছে ওই তিনমাস তারা নির্বাচন কমিশনের কথা শুনবেন। কিন্তু তা তারা শোনেন না। তাহলে এখন ব্যাপারটা কী দাড়াচ্ছে? বর্তমান সরকার, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতায় রেখেই-২০১৯ সালের জানুয়ারির ৩ মাস আগেই নির্বাচন হবে (একাদশ সংসদ নির্বাচন) প্রধানমন্ত্রী এক্ষেত্রে যা করতে পারেন (২০১৪ সালেও তিনি তা করেছিলেন) তা হচ্ছে সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলগুলো প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি ছোট্ট সরকার তিনি করতে পারেন। তবে তিনি বাধ্য নন। সংবিধান অনুযায়ী তিনিই প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। তবে তিনি কাকে কাকে নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করবেন, এই সিদ্ধান্তটি একান্তাভাবেই প্রধানমন্ত্রীর। এক্ষেত্রে তিনি যদি মনে করেন নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপির প্রতিনিধিত্ব থাকা উচিত, তিনি সেটি পারেন। এ ক্ষেত্রে সংবিধান সংশোধন করারও প্রয়োজন নেই। তার আন্তরিকতা হলো আসল। এখন প্রধানমন্ত্রীই পারেন একটি উদ্যোগ নিতে। অতীতেও তিনি নিয়েছিলেন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেও তিনি বিএনপিকে মন্ত্রিসভায় জায়গা দিতে চেয়েছিলেন এবারেও তিনি তেমনটি করবেন কি-না জানি না; কিন্তু সিনিয়ার মন্ত্রীরা নানা কথা বলছেন। আতঙ্ক ছড়ানোর মতো কথাও তারা বলছেন। গত ১৬ জুলই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি বলেছেন, নির্বাচনে জয়ী না হলে পরিস্থিতি ২০০১ সালের চেয়েও ভয়ঙ্কর হবে (যুগান্তর, ১৭ জুলাই)। এভাবে জয়ী না হলে কথাটা বলা কতটুকু সঠিক হয়েছে, এর ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ আমি দেব না। কিন্তু এ ধরনের কথা বলা কর্মীদের একটা ভিন্ন ম্যাসেজ পেঁৗছে দিতে পারে। জয়ী হওয়ার জন্য কর্মীরা তৎপর হয়ে উঠতে পারে। সরকার যখন ক্ষমতায় থাকে তখন দলীয় কর্মীরা কোন পর্যায়ে যেতে পারে, তা তো আমরা বিগত নির্বাচনগুলোতে দেখেছি। 'ভোট কেন্দ্র দখল' 'সিলমারা সংস্কৃতি' থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পেরেছি ও কথা নিশ্চয়ই মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও বিশ্বাস করেন না। মূল বিষয় হচ্ছে একটাই আর তা হচ্ছে আস্থার সম্পর্ক স্থাপন। দলগুলোর মধ্যে বিশেষ করে দু'টো বড় দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে যদি আস্থার সম্পর্ক স্থাপিত না হয়, তাহলে রোড়ম্যাপ দিয়ে কিছু হবে না। রোডম্যাপ হচ্ছে একটি রুটিন ওয়ার্ক। এটা নির্বাচন কমিশনকে দিতে হয়। বর্তমান নির্বাচন কমিশনও দিয়েছে। ধরে নিচ্ছি তারা নির্বাচনটা সকল দলের অংশগ্রহণে নিশ্চিত করতে চান। এটি নিশ্চিত করতে হলে সব দলে সমান সুযোগ দিতে হবে। সরকারি দল বেশি সুযোগ পাবে, অন্য দল তেমন সুমিষ্ট পাবে না, অথবা তাদের আদৌ কোনো সুযোগ দেয়া হবে না, এটা তো হতে পারে না। এটা বৈসাদৃশ্য। এতে করে নির্বাচনের মূল স্পিরিট ভ-ুল হবে। নির্বাচনের আগে যে সমান সুযোগের কথা বলা হয়, যে লেভেল প্লেইং ফিল্ডের কথা বলা হয় , তা তো নিশ্চিত হবে না। নিশ্চিত করার সাংবিধানিক দায়িত্বটিই নির্বাচন কমিশনের ওপর। ইসির রোডম্যাপে সেটি নিশ্চিত হয়নি। ইসি যে রোডম্যাপ দিয়েছে, তা কাগুজে এবং রুটিন ওয়ার্ক। যেমন বলা যেতে পারে নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়ন, বিধি বিধান অনুসারে ভোটকেন্দ্র স্থাপন, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নিরীক্ষা ইত্যাদি। এতে নতুনত্ব কৈ? এতে করে আস্থার সম্পর্কইবা স্থাপিত হবে কীভাবে? এগুলো সবই রোডম্যাপের অন্তর্ভুক্ত। এই রোডম্যাপ হুদা কমিশন কী দেবে জাতিকে?
আগামী ৩১ জুলাই থেকে ইসি সুধী সমাজের সঙ্গে সংলাপ শুরু করছে। এই সংলাপ ইসিকে কী দেবে? একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সুধী সমাজের বক্তব্য আমরা মোটামুটিভাবে জানি। সুধী সমাজও অনেকটা বিভক্ত। এক দল বিএনপিকে সমর্থন করে (যদিও তাদের সংখ্যা কম) আর একদল আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে। প্রশ্ন হচ্ছে এসব বুদ্ধিজীবী কী দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যেতে পারবেন? এসব বুদ্ধিজীবী, যাদের মাঝে সরকারি দলের সমর্থক বেশি তারা অপেক্ষায় থাকেন কখন তাদের ডাক পড়বে। ৪২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো একটির উপাচার্যের দায়িত্ব নিতে। আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা তোফায়েল আহমেদ ওই একইদিন, অর্থাৎ ১৬ জুলাই, একদিন সময় না নিয়েই, বললেন রোডম্যাপ ভালো হয়েছে। সুন্দর হয়েছে। আর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলও বললেন রোডম্যাপ কোনো সমাধান নয়। দরকার নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার। এখন আমাদের বুদ্ধিজীবীরা তো কমিশনের সংলাপে গিয়ে দলীয় কথাই বলবেন। এ থেকে তাহলে কী পাবে নির্বাচন কমিশন? কিছুই না। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও সংলাপ করবেন ইসি। এতে করেও বা কী পাবে নির্বাচন কমিশন? নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল সংখ্যা ৪২টি। এর মাঝে ৩ থেকে ৪টি দল বাদে অন্য দলগুলোর কোনো গণভিত্তি নেই। এসব ছোট ছোট দল বড় দল দুটোর আশ্রয়ে থাকে। সংসদে যাবার যে গণভিত্তি, তা তাদের সেই। একটি দৃষ্টান্ত দেই। ইসিতে নিবন্ধিত দলগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের মতো 'দল'। এগুলোকে কী আমরা রাজনৈতিক দল বলব, নাকি একটি 'পাড়া কমিটি' বলব, আমি তাতে সন্দিহান। ছোট ছোট দলের সুবিধা অনেক। বড় দলের সঙ্গে জোট বাধা যায়। চাইলে কী মন্ত্রী হওয়া যায়। এমন একজন মন্ত্রীকে তো আমরা চিনি, যিনি নিজে সব নির্বাচনে অংশ নিয়েও ৫০০ ভোটের ওপরে পাননি কোনোদিন, জামানত হারিয়েছেন বারবার; কিন্তু মন্ত্রী হয়েছিলেন। আর মন্ত্রী হয়ে পূর্বাচলে ৭টি প্লট নিয়েছিলেন, এ খবরও সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছিল। তার দলও নিবন্ধিত। প্রশ্ন হচ্ছে এদের সঙ্গে সংলাপ করে কী লাভ? এরা সংবাদপত্র অংশ নিয়ে মিডিয়ার সংবাদে পরিণত হবে, ফটোসেশন হবে। কিন্তু এতে করে সব দলের অংশগ্রহণ কী নিশ্চিত হবে? বড় দলগুলো কী নির্বাচনে অংশ নেবে?
ইভিএম মেশিন আগামী নির্বাচনে ব্যবহৃত হবে কিনা সে ব্যাপারেও এক ধরনের ধোয়াশা রয়েছে। সিইসি বলেছেন এখনও ইভিএম মেসিন বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়নি। এর অর্থ কী? ইভিএম মেশিন ব্যবহৃত হতে পারে? ইভিএম মেশিন নিয়ে বিতর্ক আছে। খোদ যুক্তরাষ্ট্রেও সব রাজ্যের নির্বাচনে ইভিএস মেশিন ব্যবহৃত হয় না। ভারতেও সর্বত্র ব্যবহৃত হয় না ফলে বিতর্ক এড়াতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম মেশিন ব্যবহৃত না হওয়াই মঙ্গল। রোড ম্যাপ উপস্থাপনকালে সিইসির একটি বক্তব্য ছিল এরকম 'আমরা সবার প্রভাবমুক্ত থেকে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বদ্ধপরিকর এবং আমরা তা করতে পারব। সিইসির এই আশাবাদকে আমি ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু তার একটা অতীত আছে। এ নিয়ে কম পানি ঘোলা হয়নি। কিন্তু সে সব অভিযোগও এখন অতীত। ইতিহাসের এক কঠিন সময়ে তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন। এখন নিষ্ঠার সঙ্গে নিরপেক্ষতার সঙ্গে এবং প্রভাবমুক্ত থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনটি যদি পরিচালনা করতে না পারেন তাহলে ইতিহাস তাকে ক্ষমা করবে না। তিনি ওয়াদা করেছেন। সংবিধান তাকে যথেষ্ট ক্ষমতা দিয়েছে। সেই ক্ষমতা তিনি কতটুকু যোগ করতে পারবেন সেটাই হচ্ছে মোদ্দাকথা। এটা করতে হলে তাকে প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে আস্থায় দিনে হবে। আমরা ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারির ঘটনা ভুলে যেতে চাই। আমরা চাই না এরকম আরেকটি ঘটনা ঘটুক। সংবিধানের বাইরে তিনি যেতে পারবেন না, এটা সত্য। সেই সঙ্গে এটাও সত্য সংবিধান যেন আস্থার সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে না পারে।
আমরা চাই এমন একটি নির্বাচন যে নির্বাচন নিয়ে গর্ব করতে পারি এবং যা আগামী নির্বাচনের জন্য একটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তাই নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব অনেক, শুধু রোডম্যাপ দিয়েই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। সিইসি অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সভা-সেমিনার করার ব্যাপারে যে অলিখিত নিষেধাজ্ঞা, সে ব্যাপারে এখনো তাদের করার কিছু নেই বলে তারা জানিয়েছেন। এটাও সত্য নয়। নির্বাচন কমিশন এখনই একটা অলিখিত বিধিনিষেধ জারি করতে পারে। শুরুটা করতে হবে এখনই। দেড় বছর পর নির্বাচন। কিন্তু দোষারোপের রাজনীতি আর পরস্পরকে আক্রমণ করে বক্তব্য রাখা যদি বন্ধ না হয়, তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা যাবে না। রোডম্যাপ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন মূলত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে এক ধাপ এগিয়ে গেল। কিন্তু যেতে হবে অনেক দূর। কাজটি ইসির জন্য যে খুব সহজ, তা বলা যাবে না।
Daily Jai jai Din21.07.2017

0 comments:

Post a Comment