রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

নির্বাচনী সংলাপ






নির্বাচন কমিশন আজ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এক মতবিনিময়সভায় মিলিত হচ্ছে। এই মতবিনিময়সভায় যোগ দেওয়ার জন্য প্রায় ৫৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে পত্রপত্রিকায় উল্লেখ করা হয়েছে। এ ধরনের একটি আমন্ত্রণলিপি আমি নিজেও পেয়েছি। এর আগে নির্বাচন কমিশন (ইসি) যে ‘রোডম্যাপ’ প্রণয়ন করেছিল, তাতে বলা হয়েছিল—কমিশন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় করে তাঁদের মতামত নেবে। আজ সেটা তারা শুরু করল। কিন্তু কতটুকু সফল হতে পারবে তারা? এই নির্বাচনী সংলাপকে সামনে রেখে কতগুলো ‘প্রশ্ন’ আছে। এসব প্রশ্নের জবাবের ওপরই নির্ভর করছে কমিশনের সাফল্য।
প্রথমত, বুদ্ধিজীবীরা কিছু মতামত আজ দেবেন, সন্দেহ নেই তাতে। তার কয়টি গ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন? উপরন্তু সমস্যা রয়েছে আরো। তাঁদের নাম পত্রপত্রিকায় ছাপা হয়েছে, তাঁদের কারো কারো একটি ‘সুস্পষ্ট’ রাজনীতি আছে। সরকার, সরকারি দল ইত্যাদি ক্ষেত্রে তাঁদের কারো কারো সংশ্লিষ্টতা আছে। দু-একটি নাম দেখলাম, যাঁরা নির্বাচন, নির্বাচনী প্রক্রিয়া, নির্বাচনী সংস্কার, রাজনীতির গতিবিধি ইত্যাদি নিয়ে কোথাও কোনো দিন কোনো কিছু বলেছেন কি না সন্দেহ। ফলে তাঁদের ‘ডেকে’ ইসি কী মতামত পাবে? যাঁরা সরকারের কাছ থেকে সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন এবং এখনো নিচ্ছেন, তাঁরা কী নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাকে বস্তুনিষ্ঠভাবে সমালোচনা করতে পারবেন? আমার তা মনে হয় না। ফলে এই নির্বাচনী সংলাপ অনেকটা ‘লোকদেখানো’ হয়ে যেতে পারে এবং ফটোসেশনের মধ্য দিয়ে তা শেষ হওয়ার একটি সম্ভাবনা রয়েছে। দ্বিতীয়ত, ‘সবার জন্য সমান সুযোগ’ নিশ্চিত করার দাবি উঠেছে। সিইসি জানিয়ে দিয়েছেন, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগে এই মুহূর্তে তাঁর করণীয় কিছু নেই। এ ক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা মুখ্য। সরকার চাইলে অন্যান্য বড় রাজনৈতিক দলের ব্যাপারে কিছুটা নম্র আচরণ করতে পারে। জাতীয় পার্টির ক্ষেত্রে সরকার এটা করেছে। এইচ এম এরশাদ দিল্লি থেকে ফিরে এলে ঢাকায় গণসংবর্ধনা দিয়েছে দল। সরকার তাতে বাধা দেয়নি। বিএনপির ক্ষেত্রে এমনটি কি হবে? খালেদা জিয়া লন্ডন থেকে দুই মাস পর ফিরে এলে পার্টি যদি তাঁকে বিমানবন্দরে গণসংবর্ধনা দিতে চায়, সরকার কি তার অনুমতি দেবে? এটা সত্য, ইসির এ ক্ষেত্রে করার কিছু নেই। এটা সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব। তবে ইসি বলতে পারে তফসিল ঘোষণার আগে কোনো বড় সমাবেশ নয় এবং কোনো নির্বাচনী জনসভাও নয়।

তৃতীয়ত, একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দরকার আস্থা ও বিশ্বাসের সম্পর্ক। এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে নেই। আমরা খুব অতীতমুখী। অতীত নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করি বেশি। দোষারোপের রাজনীতির বৃত্ত থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পারছি না। এ ক্ষেত্রে নির্বাচনের প্রায় ১৭ মাস আগে নির্বাচন কমিশন কি কোনো উদ্যোগ নিতে পারে? এমন কোনো ‘মেকানিজম’ কি ইসি বের করতে পারে, যেখানে দলগুলো এখন থেকে বিদ্বেষমূলক কোনো কথাবার্তা বলবে না! রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে সিইসি বিষয়টি উত্থাপন করতে পারেন। এতে কতটুকু ফল তিনি পাবেন, তা আমি নিশ্চিত নই। তবে এ ধরনের একটি উদ্যোগ খুবই প্রয়োজন। বলা ভালো, ইসির সাত দফায় এসংক্রান্ত কিছু নেই। চতুর্থত, নির্বাচনে ‘সিল মারা সংস্কৃতি’, ‘ভোটকেন্দ্র দখলের সংস্কৃতি’ কিংবা ‘বিরোধী দলের প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে না দেওয়া’—এই যে প্রবণতা বিগত দশম সংসদ নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন কিংবা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমরা দেখেছি, এই প্রবণতা সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে অন্তরায়। এ ক্ষেত্রে ইসির করণীয় কী? ইসি এ ক্ষেত্রে বেশ কতগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে। যেমন—ক. স্থানীয়ভাবে নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের দিয়ে ইসি একটি ‘পর্যবেক্ষক টিম’ গঠন করতে পারে, যাঁদের কাজ হবে নির্বাচন কেন্দ্রগুলো মনিটর করা এবং সরাসরি কেন্দ্রে রিপোর্ট করা; খ. মিডিয়ার মাধ্যমে যেখান থেকেই জাল ভোট ও ভোটকেন্দ্র দখলের খবর আসবে, সেখানে ওই কেন্দ্র নয়, বরং পুরো নির্বাচনী এলাকার নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা; গ. মনোনয়নপত্র একই সঙ্গে স্থানীয় ও জেলা পর্যায়ে গ্রহণ করা। এতে প্রার্থীর পক্ষে একাধিক জায়গায় মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দেওয়ার খবর এলে, ওই এলাকার নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করতে হবে।
পঞ্চমত, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে সশস্ত্র বাহিনীকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। নির্বাচনী কেন্দ্রে সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে। ষষ্ঠত, নির্বাচনে ভোট গণনায় যদি প্রার্থীরা সমানসংখ্যক ভোট পান, তাহলে লটারির পরিবর্তে আবার নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং কোনো প্রার্থী যদি ৫০ শতাংশের নিচে ভোট পেয়ে বিজয়ী হন, তাঁকে বিজয়ী ঘোষণা করা যাবে না। সেখানেও আবার নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। পৃথিবীর অনেক দেশে এ ধরনের নিয়ম আছে। সপ্তমত, সংসদ সদস্যের যোগ্যতার প্রশ্নে ন্যূনতম যোগ্যতা ‘গ্র্যাজুয়েশন’ হওয়া উচিত। দেশে উচ্চশিক্ষার হার বেড়েছে। যাঁরা দেশের জন্য আইন প্রণয়ন করবেন তাঁরা যদি শিক্ষিত না হন, তাহলে সঠিক ও যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন করবেন কিভাবে? এতে সংসদ সদস্যরা বেশি মাত্রায় আমলানির্ভর হয়ে যাবেন। আমলারা আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় প্রভাব খাটাবেন। অষ্টমত, সুবিধাবাদী ও ধান্দাবাজ ঊর্ধ্বতন আমলা, সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তারা অবসরের তিন বছর পর নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন। এটা একটা দুর্বল আইন। এটা পরিবর্তন করে ন্যূনতম পাঁচ বছর করা প্রয়োজন। অর্থাৎ একজন আমলা ৫৯ বছর বয়সে অবসরে যাবেন এবং ৬৫ বছর বয়সে তিনি সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। তবে শর্ত থাকবে স্থানীয় পর্যায়ে অর্থাৎ ওই সংসদীয় এলাকায় দল তাঁকে মনোনয়ন দেবে—এটা না হলে দেখা যাবে সুযোগসন্ধানী আমলারা সচিবালয়ে থাকাকালে মন্ত্রণালয়ের প্রভাব খাটিয়ে তাঁর নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছেন। এতে পরোক্ষভাবে তিনি সরকারকে ব্যবহার করছেন। পাঁচ বছরের একটি গ্যাপ থাকলে এই কাজ করতে তিনি অপারগ হবেন।
এখন সময় এসেছে নির্বাচন কমিশনকে এটা প্রমাণ করতে যে তারা সত্যি সত্যিই ‘স্বাধীন’। বেশ কয়েকজন সাবেক নির্বাচন কমিশনার, একাধিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক এটা বলার চেষ্টা করেছেন যে নির্বাচন কমিশনকে সত্যিকার অর্থেই তাদের ক্ষমতা প্রদর্শন করতে হবে। না হলে যে ‘বিতর্ক’ নিয়ে বর্তমান নির্বাচন কমিশন তার যাত্রা শুরু করেছিল, সেই ‘বিতর্ক’ আরো বাড়বে। প্রধানমন্ত্রী গত ২৬ জুলাই ফরাসি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তাঁকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। আমাদের সংবিধানের ১১৮(৪) ধারায়ও স্পষ্ট করে বলা আছে যে ‘নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালনে স্বাধীন’ এবং সংবিধানের ১২৬-এ বলা আছে, ‘নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য’। অতীত অভিজ্ঞতা বলে, এ ধরনের কথাবার্তা শুধু কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ। নির্বাচন কমিশন কখনোই স্বাধীন না এবং নির্বাহী কর্তৃপক্ষ কখনোই নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করে না! বরং স্থানীয় পর্যায়ের যেসব কর্মকর্তা থাকেন (ডিসি, টিএনও ইত্যাদি), তাঁরা কেন্দ্রীয় প্রশাসনের অর্থাৎ এস্টাবলিশমেন্ট মন্ত্রণালয়ের কথা শোনেন। কাগজে-কলমে আছে ওই তিন মাস তাঁরা নির্বাচন কমিশনের কথা শুনবেন; কিন্তু তাঁরা তা শোনেন না! তাহলে এখন ব্যাপারটা কী দাঁড়াচ্ছে? বর্তমান সরকার বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতায় রেখেই ২০১৯ সালের জানুয়ারির তিন মাস আগেই নির্বাচনটি হবে (একাদশ সংসদ নির্বাচন)। প্রধানমন্ত্রী এ ক্ষেত্রে যা করতে পারেন (২০১৪ সালেও তিনি তা করেছিলেন), তা হলো বিএনপিকে অন্তর্ভুক্ত করেই একটি মন্ত্রিসভা গঠন, যদিও কাজটি সহজ নয়। কেননা বিএনপি সংসদে নেই। নির্বাচনপূর্ব তিন মাস সময়ের জন্য যে মন্ত্রিসভা—এটা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক আছে। বিএনপি বলছে একটি সহায়ক সরকারের কথা। আর আওয়ামী লীগ বলছে শেখ হাসিনাই সহায়ক সরকারের নেতৃত্ব দেবেন। ওই সরকার রুটিন কাজ করবে। আর মূল প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকবে নির্বাচন কমিশন—এটাই হচ্ছে মোদ্দা কথা। নির্বাচন কমিশনকে তার ওপর সাংবিধানিকভাবে প্রদত্ত দায়িত্ব পালন করতে হবে।
নির্বাচন ব্যবস্থাপনাকে আমরা ‘খাদের কিনারে’ নিয়ে গেছি। একটি ‘ধাক্কা’ দিলেই গভীর খাদে পড়ে যাবে! আমরা সে রকম একটি পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি। ৫ জানুয়ারির (২০১৪) নির্বাচন এ ধরনের একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল। এর আগে ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারিতেও (ষষ্ঠ সংসদ) কিন্তু সে রকম একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু সেই ‘পরিস্থিতি’ থেকে আমরা বের হয়ে আসতে পেরেছিলাম। সপ্তম (১৯৯৬), অষ্টম (২০০১) কিংবা নবম (২০০৮) জাতীয় সংসদ নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিল এবং ‘সকল দলের অংশগ্রহণ’ সেখানে নিশ্চিত হয়েছিল। যুক্তি হিসেবে এটা বলা হয় যে বিএনপি ২০১৪ সালের নির্বাচনে (৫ জানুয়ারি) অংশ না নেওয়ায় নির্বাচন কমিশনের করার কিছুই ছিল না। সাবেক সিইসি তাঁর শেষ সংবাদ সম্মেলনে এমন কথাই বলেছিলেন। এ নিয়ে গত সাড়ে তিন বছরে অনেক কথাই হয়েছে। অনেক বিতর্ক হয়েছে। জাতিও অনেকটা দ্বিধাবিভক্ত। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কথাটা যেমন সত্য, ঠিক তেমনি এটাও সত্য গণতন্ত্রের স্বার্থে, গণতন্ত্রকে আরো উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার স্বার্থে ন্যূনতম ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ‘ঐক্য’ প্রয়োজন। সেই ‘ঐক্য’ ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তাই তেমন একটি পরিস্থিতি আবার সৃষ্টি হোক, আমরা কেউ তা চাই না। সংগত কারণেই নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাটি অনেক বড় ও ব্যাপক।
নির্বাচন কমিশন আজ আমন্ত্রণ জানিয়ে আমাকে সম্মানিত করেছে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পর্কে আমার ধারণা এর আগেও আমি প্রকাশ করেছি। এ কলামেও তার প্রতিফলন ঘটল কিছু কিছু। এ ক্ষেত্রে আমার বিশ্বাস, সুধীসমাজ নয়, বরং রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা এখানে বড়। তারাই মূল ‘স্টেকহোল্ডার’। নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে, গ্রহণযোগ্য করতে এবং ‘সকল দলের অংশগ্রহণ’কে নিশ্চিত করতে সুধীসমাজের ভূমিকার চেয়েও তাদের ভূমিকাকে ইসি বেশি গুরুত্ব দেবে—এটাই আমার প্রত্যাশা। বিএনপি ইসির সংলাপে যাবে। তবে তাদের উত্থাপিত দাবি-দাওয়ার ব্যাপারে ইসির কোনো ‘ভূমিকা’ আছে বলে আমার মনে হয় না। ‘সহায়ক সরকার’ গঠনের ব্যাপারেও ইসির কিছু করণীয় নেই। তবে আজকের ‘নির্বাচনী সংলাপ’-এর ব্যাপারে ইসি যা করতে পারে—১. সুধীসমাজের প্রতিটি বক্তব্য কমিশন লিপিবদ্ধ করবে, বিবেচনায় নেবে এবং আইনের আওতায় সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে; ২. কমিশন কোনো বক্তব্য দেবে না এবং সুধীসমাজের কোনো বক্তব্য খণ্ডনও করবে না; ৩. সিইসি ও সদস্যরা যত কম কথা বলবেন, যত কম মিডিয়ায় আসবেন তত তাঁদের জন্য মঙ্গল। নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের জন্য তা বড় ভূমিকা রাখবে। একটি ‘কঠিন সময়ে’ সিইসি ও কমিশনাররা দায়িত্ব নিয়েছেন। অন্যান্যবারের তুলনায় এবার তাঁদের সবার দায়িত্ব অনেক বেশি। আমরা শুধু তাঁদের শুভকামনা করতে পারি।
Daily kaler Kontho
31.07.2017

0 comments:

Post a Comment