রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

ইসির রোডম্যাপ, একটি সহায়ক সরকার ও বিবিধ প্রসঙ্গ


নির্বাচন কমিশন (ইসি) ৭টি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে এক দফা জাতীয় নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ প্রণয়ন করেছে। এর মধ্যে আছে ৩১ জুলাই সুধীসমাজের সঙ্গে সংলাপ, আগস্ট থেকে অক্টোবরের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ, নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণ, নির্বাচনী আইন বাংলায় প্রণয়ন, জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুতকরণ ও বিতরণ, ভোটকেন্দ্র স্থাপন, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন ইত্যাদি। যে ৭টি বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে, তা সমন্বয় করতে ৪ কমিশনারের নেতৃত্বে ৪টি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। তবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম মেশিন ব্যবহৃত হচ্ছে না এটি নিশ্চিত করেছে ইসি। কমিশন নিঃসন্দেহে এ জন্য সাধুবাদ পেতে পারে। ইভিএম মেশিন নিয়ে বিতর্ক আছে। আমি নিজে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক স্টেটের নির্বাচন কমিশনের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়েছিলাম। ওইসব রাজ্যেও ইভিএম মেশিন ব্যবহৃত হয় না। কেননা এই মেশিন শতভাগ নিরাপদ নয়। আপাতত যে ৭টি বিষয় কমিশন চিহ্নিত করেছে এবং তা বাস্তবায়নে কাজ করছে এ ব্যাপারে কারো কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু সামগ্রিকভাবে প্রশ্ন যে নেই, তা নয়। প্রশ্ন আছে। প্রথমত, সুধীসমাজের সঙ্গে সংলাপ করে কমিশন কি কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে? অতীতেও ইসি সংলাপ করেছিল। কোনো একটি ‘সংলাপ’-এ আমিও আমন্ত্রিত হয়েছিলাম। যারা নির্বাচন নিয়ে কাজ করেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন তাদের অনেককে নানা ‘সাজেশন’ দিতে দেখেছি। তবে বাস্তব ক্ষেত্রে দেখা গেল, ওইসব ‘সাজেশন’-এর অনেকটিই গ্রহণ করা হয়নি। দ্বিতীয়ত, রাজনৈতিক দলগুলোই হচ্ছে নির্বাচনের প্রশ্নে মূল স্টেকহোল্ডার। তারাই নির্বাচনে যাবেন। জনগণকে নির্বাচনে যেতে উদ্বুদ্ধ করবেন। তাই তাদের বক্তব্য গ্রহণ করাই হচ্ছে মূল বিষয়। এর বাইরে অন্য যেসব কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে, এগুলো নিছক ‘প্রশাসনিক কাজ’। এগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া অর্থহীন। রাজনৈতিক দলগুলোই মূল ‘অ্যাক্টর’। তাদের নানা এজেন্ডা আছে। এখন দেখার বিষয়, ইসি ওইসব এজেন্ডাকে কোন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে। একই সঙ্গে সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলারই বা কী প্রয়োজন? অতীতের নির্বাচনী ইতিহাসে নিবন্ধিত অনেক দলেরই পারফরম্যান্স আশাপ্রদ নয়। এ জন্য একাদশ সংসদ নির্বাচনে তাদের ভূমিকাই বা কী থাকতে পারে? মূল ‘অ্যাক্টর’ হচ্ছ আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি। এর মধ্যে আবার জাতীয় পার্টি সরকারে আছে কিন্তু ১৪ দলের জোটে নেই। জোটকেন্দ্রিকভাবেই নির্বাচন হবে। এ ক্ষেত্রে জোটগতভাবে কমিশন ডাকতে পারে। মূল বিষয় বিএনপিকে নিয়ে। এ কারণে আস্থায় নিতে হবে বিএনপিকে। বিএনপি মনে করে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সংবিধান অনুযায়ী যে সরকারটি গঠিত হবে, তা হতে হবে একটি নিরপেক্ষ সরকার। না হলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। এক সময় বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করত এবং একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত না হওয়ায় ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি। এখন ওই ‘অবস্থান’ থেকে কিছুটা সরে আসছে বিএনপি। তাদের দাবি এখন ‘নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার’ অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীকে সহায়তা করবে একটি সরকার তেমনটিই দাবি করে আসছে বিএনপি। অবশ্য এটি স্পষ্ট নয়, বিএনপি বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর পরিবর্তে দলের অন্য কাউকে প্রধানমন্ত্রী করে একটি নির্বাচনকালীন সরকার চাচ্ছে কিনা, নাকি কোনো দলের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নন এমন এক ব্যক্তির নেতৃত্বে একটি সরকার চাচ্ছে বিএনপি। তাদের দাবি, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে রেখে তারা নির্বাচনে যাবেন না। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, খুব শিগগিরই নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখা দেওয়া হবে। তবে সংবিধানে এ ধরনের একটি সরকারের ধারণা দেওয়া আছে। সংবিধানে কোথাও স্পষ্ট করে নির্বাচনকালীন সরকারের ব্যাপারে কোনো কথা বলা হয়নি। ৫৭ (৩) অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘প্রধানমন্ত্রীর উত্তরাধিকারী কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীকে স্বীয় পদে বহাল থাকিতে এই অনুচ্ছেদের কোনো কিছুই অযোগ্য করিবে না।’ এর ব্যাখ্যা কী? একজন নয়া প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব গ্রহণ না করা পর্যন্ত ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রীই স্বপদে বহাল থাকবেন অর্থাৎ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নয়া প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত (একাদশ সংসদে যার দল বিজয়ী হবে, রাষ্ট্রপতি তাকে সরকার গঠনে আমন্ত্রণ জানাবেন) স্বপদে থেকে যাচ্ছেন। নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতা ছেড়ে দেবেন এ ধরনের কথা সংবিধানে কোথাও লেখা নেই। সংবিধানের ১১৯ (খ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন ‘সংসদ সদস্যের নির্বাচন অনুষ্ঠান করিবেন।’ সংবিধানের একটা বড় ত্রুটি হচ্ছে, ‘নির্বাচনের জন্য সংসদ ভাঙ্গিয়া আবার ৯০ দিনের মধ্যে গড়ার ১২৩ (৪)-এ একটি কথা বলা আছে বটে কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা কী হবে, তিনি নির্বাহী ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের কাছে হস্তান্তর করবেন কিনা এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই। ১১৮ (৪)-এ বলা আছে, ‘নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালনে স্বাধীন’ এবং ১২৬-এ বলা আছে, ‘নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য।’ অতীত অভিজ্ঞতা বলে, এ ধরনের কথাবার্তা শুধু কাগজ-কলমেই সীমাবদ্ধ। ইসি কখনই স্বাধীন নয় এবং নির্বাহী কর্তৃপক্ষ কখনই ইসিকে সহায়তা করে না। বরং স্থানীয় পর্যায়ের যেসব কর্মকর্তা থাকেন (ডিসি, ইউএনও প্রমুখ), তারা কেন্দ্রীয় প্রশাসনের অর্থাৎ স্টাবলিশমেন্ট মন্ত্রণালয়ের কথা শোনেন। কাগজ-কলমে আছে, ওই তিন মাস তারা ইসির কথা শুনবেন। কিন্তু তা তারা শোনেন না। তাহলে এখন ব্যাপারটি কী দাঁড়াচ্ছে? বর্তমান সরকার, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতায় রেখেই ২০১৯ সালের জানুয়ারির ৩ মাস আগেই নির্বাচনটি হবে (একাদশ সংসদ নির্বাচন)। প্রধানমন্ত্রী এ ক্ষেত্রে যা করতে পারেন (২০১৪ সালেও তিনি তা করেছিলেন), তা হচ্ছে সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি ছোট সরকার করতে পারেন। তবে তিনি বাধ্য নন। সংবিধান অনুযায়ী তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। অবশ্য তিনি কাকে কাকে নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করবেন, এ সিদ্ধান্তটি একান্তভাবেই প্রধানমন্ত্রীর। এ ক্ষেত্রে তিনি যদি মনে করেন, নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপির প্রতিনিধিত্ব থাকা উচিত, তিনি সেটি পারেন। সে ক্ষেত্রে সংবিধান সংশোধন করারও প্রয়োজন নেই। তার আন্তরিকতাই হলো আসল। এ ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকেই মন্ত্রিসভা গঠন করতে পারেন। যেহেতু বিএনপি সংসদে নেই, সেহেতু ৩ থেকে ৪টি সংসদীয় আসনে তিনি উপনির্বাচনের ব্যবস্থা করতে পারেন এবং বিএনপি উপনির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সংসদ সদস্য হিসেবে মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে একটি সিদ্ধান্তে আসতে হবে যারা মন্ত্রিসভায় যোগ দেবেন, তারা নিরপেক্ষতার স্বার্থে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। একটি ছোট মন্ত্রিসভা (১০ সদস্যের) থাকবে এবং সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলো থেকেই তাদের নেওয়া হবে। আরেকটা কথা, জাতীয় পার্টিকে নিয়ে একটা ‘সংকট’ আছে। দলটি বিরোধী দলে, নাকি সরকারি দলে এ নিয়ে জনমানসে নানা প্রশ্ন আছে। এ ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। যদি দলটিকে বিরোধী দলে সরকার দেখতে চায়, তাহলে দলটিকে বিরোধী দল হিসেবেই চলতে দেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে মন্ত্রিসভায় তারা থাকতে পারবেন না। নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারে তারা থাকতে পারেন। জাতীয় পার্টিকে ১৪ দলেও নেওয়া যেতে পারে প্রয়োজনে। একদিকে সরকারে, অন্যদিকে বিরোধী দলে এভাবে থাকার ফলে জাতীয় পার্টির যে সম্ভাবনা ছিল, তা নষ্ট হয়ে গেছে। বিএনপির বিকল্প হিসেবে জাতীয় পার্টি দাঁড়িয়ে যেতে পারত। তা হয়নি নীতিনির্ধারকদের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে। এমনকি বেগম রওশন এরশাদের পরিবর্তে এইচএম এরশাদ যদি বিরোধী দলের নেতা হতেন, আমার ধারণা ওই সংসদের গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়ত। তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট। একটি ব্যক্তিগত ইমেজ তার আছে। উপরন্তু তার নামেই জাতীয় পার্টি চলে। উত্তরাঞ্চলে তার নামের কারণেই জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা বিজয়ী হন। ব্যক্তিগত ইমেজে কেউই বিজয়ী হন না। তাই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন জাতীয় পার্টি সরকারি দলে থাকবে, নাকি বিরোধী দলে থাকবে। এ দেশে সুস্থ গণতান্ত্রিক চর্চার জন্য দুটি বড় দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মানসিকতায় পরিবর্তন দরকার। মানসিকতায় যদি পরিবর্তন না আসে, তাহলে এ দেশে ‘গণতন্ত্রের হাওয়া’ বইবে না। আর বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যদি বিভেদ-অসন্তোষ থাকে, তাহলে এ থেকে ফায়দা নেবে অসাংবিধানিক শক্তিগুলো। তা গণতন্ত্রের জন্য মঙ্গল নয়। দীর্ঘ ৪৫ বছর আমরা পার করেছি। আমাদের অনেক অর্জন আছে। অনেকটি সেক্টরে আমরা বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রাখি। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীতে আমাদের সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণ, তৈরি পোশাকশিল্পে আমাদের সক্ষমতা, ওষুধশিল্পের গ্রহণযোগ্যতা ইত্যাদি কারণে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের একটি পরিচিতি আছে। আমরা ‘সফট পাওয়ার’ হিসেবে ইতোমধ্যে পরিচিতি পেয়েছি। ‘নেক্সট ইলেভেন’-এ বাংলাদেশের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। জাতীয় প্রবৃদ্ধি ৭-এর ঘরে থাকবে বলে আন্তর্জাতিক মহল থেকে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এখন এই যে ‘অর্জন’, ওই ‘অর্জন’ মুখ থুবড়ে পড়বে যদি রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে দুটি বড় দলের মধ্যে আস্থার সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত না হয়। এই ‘আস্থার সম্পর্ক’ শুধু দেশের বিকাশমান গণতন্ত্রের জন্যই মঙ্গল নয়Ñ বরং দেশের স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন, উপরন্তু জনগণের প্রত্যাশা পূরণের জন্যও প্রয়োজন। জনগণ এমনটি দেখতে চায়। সাধারণ মানুষ চায়, দুটি বড় দলের নেতারা পরস্পর পরস্পরকে আক্রমণ করে কোনো বক্তব্য রাখবেন না। পরস্পরকে শ্রদ্ধা করবেন। ইসি ‘রোডম্যাপ’ ঘোষণা করে প্রকারান্তরে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু করে দিল। কিন্তু যেতে হবে অনেক দূর। একটি ‘বিতর্ক’-এর মধ্য দিয়ে ‘হুদা কমিশন’ তার যাত্রা শুরু করেছিল। বিএনপি শুরু থেকে বিরোধিতা করলেও এই কমিশনকে মেনে নিয়েছে। কমিশনের জন্য এটি প্লাস পয়েন্ট। কিন্তু ওই ‘আস্থা অর্জন’ই বড় কথা নয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ঢাকাস্থ রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদোন বলেছেন, ২০১৪ সালের নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণ কাম্য (যুগান্তর, ৯ মে)। এ ধরনের কথা ইইউয়ের পক্ষ থেকে এর আগেও উচ্চারিত হয়েছে। কিন্তু এই ‘শিক্ষা’ কি বড় দলগুলো নিয়েছে? আমার মনে হয় না। যে কথাটি আমরা বারবার বলে আসছি সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে একটা আস্থার সম্পর্ক থাকা দরকার। ২০১৪ সালের পর আজ পর্যন্ত ওই আস্থার সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি। ফলে দিন যতই গড়াচ্ছে, ততই সংকটটি বাড়ছেÑ যদি আস্থার সম্পর্ক তৈরি না হয়, তাহলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে কিনা? পরিস্থিতি ২০১৮ সালের শেষ কিংবা ২০১৯ সালের জানুয়ারি আর ২০১৪ সালের জানুয়ারি নিশ্চয় এক নয়। এক হবেও না। বিএনপি ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ না নিয়ে সরকারের পতন ঘটাতে চেয়েছিল। তারা তা পারেননি। এই ভুল এবার আর বিএনপি করবে না। তবে একই সঙ্গে এটিও সত্য, বিএনপিকে নির্বাচনে নিয়ে আসতে হলে সরকারকে একটি বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। তাদের আন্তরিকতাই হলো আসল। সরকার যদি ইসিকে সহযোগিতা না করে, তাহলে ইসির পক্ষে ‘সব দলের অংশগ্রহণ’-এ একটি নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব হবে না এটিই হলো মোদ্দা কথা।
Daily Amader Somoy
11.07.2017

0 comments:

Post a Comment