ঈদের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে। ঈদ করতে রাজনীতিবিদরা নিজ নিজ নির্বাচনী
এলাকায় গিয়েছিলেন। তারা সবাই মোটামুটি এখন ঢাকায়। বাজেটও সংসদে পাস হয়েছে।
আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু এখন ঈদ-পরবর্তী রাজনীতি। কেমন হবে এই রাজনীতি? দুটি
বড় দলের মাঝে আস্থাহীনতার যে সংকট রয়েছে, তা কি আমরা কাটিয়ে উঠতে পারব? এসব
এখন আলোচনার মূল বিষয়। টিভি টক শোতে ঘুরেফিরে এখন এসবই আলোচিত হচ্ছে। যদিও
সব আলোচনা এককেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে। ঈদ-পরবর্তী রাজনীতিতে কতগুলো বিষয়
লক্ষণীয়। এক. ৩০ জুলাই থেকে নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা
শুরু করবে। দুই. খালেদা জিয়া লন্ডন যাচ্ছেন এবং ধারণা করা হচ্ছে লন্ডনে
অবস্থানরত বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি তারেক রহমানের সঙ্গে আলোচনা করেই খালেদা
জিয়া নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখা উপস্থাপন করবেন। তিন. নির্বাচন
পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। আর সরকার কমিশনকে সহায়তা করবে। এটাই
নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারÑ এ ভাষ্য আওয়ামী লীগের ঊর্ধ্বতন নেতাদের।
মোটামুটি এই তিনটি বিষয় নিয়েই এখন আলোচনা। নির্বাচনের একটি আমেজ আমরা পেতে
শুরু করেছি। প্রধানমন্ত্রী যেখানেই যাচ্ছেন, সেখানেই নৌকার পক্ষে ভোট
দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। আর খালেদা জিয়া একটি অনুষ্ঠানে ধানের শীষে ভোট
দেওয়ার জন্য প্রথমবারের মতো আহ্বান জানিয়েছেন। এরই মাঝে ১৮ জুন মির্জা
ফখরুলের ওপর হামলা হয়েছে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায়। ওই হামলার জন্য বিএনপি
স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অভিযুক্ত করেছে। আর
ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ওটা ছিল ‘নাটক’! এর অর্থ পরিষ্কার, যে আস্থার
সম্পর্কের কথা আমরা বলছি, তা তো প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না। ওবায়দুল কাদের মির্জা
ফখরুলের ওপর হামলার পরপরই বললেন, ‘এ ধরনের হামলা অন্যায়। কোনোভাবে এটা
গ্রহণযোগ্য নয়। কারা ওই হামলা চালিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ এই বক্তব্যের
দুদিন পরই বললেন, ওই হামলা ছিল একটা নাটক। দুটো বড় দল যখন নির্বাচনে আসার
জন্য প্রস্তুত হচ্ছে, তখন এ ধরনের হামলা অনাকাক্সিক্ষত। সব দলের অংশগ্রহণে
একটা নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে। বিএনপির এজেন্ডা আছে। এজেন্ডা আছে আওয়ামী
লীগ ও জাতীয় পার্টিরও। এই তিনটি দলই নির্বাচনে এক একটি ফ্যাক্টর। বিএনপি
সহায়ক সরকারের দাবি থেকে সরে আসেনি। শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী রেখে
খালেদা জিয়া নির্বাচনে যেতে চান না। কিন্তু নির্বাচন হবে তো সাংবিধানিক
ধারাবাহিকতায় ও সংবিধানের অধীনে। এ ক্ষেত্রে বিএনপি অংশ না নিলেও সরকার
নির্দিষ্ট সময়েই নির্বাচনের আয়োজন করবে, যেমনটি করেছিল ২০১৪ সালের ৫
জানুয়ারি। বিএনপি এখন একটি নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের কথা বলছে। কিন্তু
এর রূপরেখা এখন অবধি উপস্থাপন করেনি। তবে সেই রূপরেখা সরকার যে মানবে, তারও
কোনো গ্যারান্টি নেই। মোটামুটিভাবে যেভাবেই হোক, একটি নির্বাচনী আমেজ ফিরে
এসেছে। টিভি টক শোতেও দেখলাম এটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আমি নিজেও একাধিক টক
শোতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। তবে বলার অপেক্ষা রাখে না, দিন যত যাচ্ছে
খালেদা জিয়ার সম্ভাব্য সাজার বিষয়টি অন্যতম আলোচিত একটি বিষয় হয়ে
দাঁড়িয়েছে। খোদ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যখন খালেদা
জিয়ার সম্ভাব্য সাজা নিয়ে মন্তব্য করেন, তখন বুঝতে হবে সরকারের
নীতিনির্ধারণী পর্যায়েও বিষয়টি বেশ আলোচিত হচ্ছে। যদিও এটা আইনের বিষয়।
আদালত ও উচ্চ আদালত এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। এ নিয়ে বিএনপি ও আওয়ামী
লীগের নেতারা আগাম মন্তব্য করে বিষয়টিকে উসকে দিলেন মাত্র। আসলে সব দলের
অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন হোক, এটা আমার ধারণা প্রধানমন্ত্রী নিজেও চান।
আরেকটি ৫ জানুয়ারির (২০১৪) মতো নির্বাচন হোকÑ আমরা তা কেউই চাই না।
বিদেশিরাও তা চান না।
৫ জানুয়ারি (২০১৪) আমাদের জন্য কোনো সুখকর দিন ছিল না। ২০১৪ সালের ৫
জানুয়ারি দেশে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই নির্বাচন নিয়ে
দুটো বিষয় ছিল। এক. সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা, দুই. বাস্তবতা। সাংবিধানিক
ধারাবাহিকতার কারণে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি একটি নির্বাচন আয়োজন করার
প্রয়োজন ছিল। এটা নিয়ে দ্বিমত করার কোনো সুযোগ নেই। তবে আস্থার সম্পর্ক
গড়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজন ছিল ২০১৪-পরবর্তী যে কোনো সময় একাদশ সংসদ নির্বাচন
আয়োজন করা, যেমনটি করেছিল বিএনপি ১৯৯৬ সালের জুন মাসে সপ্তম জাতীয় সংসদ
নির্বাচনের আয়োজন করে। ১৯৯৬ সালের ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ (যে সংসদে তত্ত্বাবধায়ক
সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।) কিংবা ২০১৪ সালের ৫
জানুয়ারির দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে বারবার
আলোচিত হতে থাকবে। ষষ্ঠ সংসদে আওয়ামী লীগ অংশ নেয়নি। আর দশম জাতীয় সংসদে
বিএনপি অংশ নেয়নি। সাংবিধানিক ধারাবাহিকতায় দুটি নির্বাচনেরই প্রয়োজন ছিল।
তবে তুলনামূলক বিচারে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিতর্কিত হয়েছে বেশি। ১৫৪টি
সংসদীয় আসনে (৩০০ আসনের মাঝে, আওয়ামী লীগের ১২৮, ওয়ার্কার্স পার্টির ২,
জাসদ ৩, জাপা-মঞ্জু ১, জাতীয় পার্টি-এরশাদ ২০) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়
বিজয়ী হওয়া, ৫ জেলায় কোনো নির্বাচন না হওয়া কিংবা ৫২ ভাগ জনগোষ্ঠীর ভোট না
দেওয়ার সুযোগ গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির জন্য কোনো ভালো খবর নয়। এটা নিয়ে যে
যুক্তিই আমরা টিভির টক শোতে দেখাই না কেন, এতে করে দেশে কোনো আস্থার
সম্পর্ক গড়ে উঠতে সাহায্য করেনি। অথচ গণতন্ত্রের মূল কথাই হচ্ছে আস্থার
সম্পর্ক, পরস্পরের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস। পঞ্চম সংসদে (১৯৯১) এই আস্থার
সম্পর্ক ছিল বিধায় আমরা দ্বাদশ সংবিধান সংশোধনী এনে দেশে পুনরায় সংসদীয়
রাজনীতির ধারা প্রবর্তন করেছিলাম। সেদিন বিএনপি সংসদীয় সরকারের পক্ষে
অবস্থান নিয়েছিল। ধারণা করেছিলাম ৫ জানুয়ারির (২০১৪) নির্বাচনকে কেন্দ্র
করে যে আস্থার ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছিল, তা আমরা কাটিয়ে উঠতে পারব। কিন্তু তা
কাটিয়ে উঠতে পারছি বলে মনে হচ্ছে না।
মির্জা ফখরুলের ওপর হামলা হচ্ছে সর্বশেষ উদাহরণ, যেখানে আস্থার ঘাটতি
আমরা দেখতে পেলাম। শুভবুদ্ধির যে কোনো মানুষ স্বীকার করবেন, এটা অন্যায়। ওই
ঘটনার সঙ্গে যে বা যারাই জড়িত থাকুক না কেন (তাদের মিছিল করা ছবি
সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছে), তাদের আইনের আওতায় আনা উচিত। সরকারের অনেক ভালো
ভালো কাজ ম্লান হয়ে যাচ্ছে এ ধরনের দু-একটি ঘটনায়। ইতোমধ্যে ১৪ দলের বৈঠকে
সরকারের নানা ব্যর্থতা তুলে ধরে শরিকদের অসন্তোষের খবর সংবাদপত্রে ছাপা
হয়েছে (কালের কণ্ঠ, ৩ জুলাই)। প্রশাসনে সেবার মান, চালের মূল্যবৃদ্ধি
ইত্যাদি আলোচনা করে বলা হয়, ‘এটা (চালের মূল্যবৃদ্ধি) নিয়ন্ত্রণ করতে না
পারা সরকারের ব্যর্থতা। নির্বাচনের আগে এসব ঘটনা ভোটের ওপর প্রভাব ফেলবে’
(ঐ)। গত ২ জুলাই শরিক দলের সভায় এ ধরনের যেসব কথাবার্তা হয়, তা একেবারে
ফেলে দেওয়ার নয়। চালের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে কতটুকু প্রাকৃতিক দুর্যোগ দায়ী,
কতটুকু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা দায়ী, এগুলো খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। না হলে তা
ভোটের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ চালের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সাধারণ
মানুষের প্রশ্নটি জড়িত। চালের মূল্যবৃদ্ধি ঘটলে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হন। আর
একটা কথাÑ চালের মূল্যবৃদ্ধি ঘটলে কিন্তু কৃষকরা উপকৃত হন না। উপকৃত হন
মিলমালিকরা, সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা। আশার কথা, চাল আমদানি হয়েছে এবং দ্রুত
চালের ঊর্ধ্বমূল্যের পতন ঘটেছে। নির্বাচনের বাকি আছে ১৮ মাস। জানুয়ারি
(২০১৯) অথবা ডিসেম্বরে (২০১৮) নির্বাচন হবে। এটাই সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা।
এই সময়সীমায় দুটি বড় দলই তাদের নিজ নিজ এজেন্ডা নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে
যাবে। আওয়ামী লীগ উন্নয়নের এজেন্ডাকে প্রাধান্য দেবে। পদ্মা সেতুর মতো
সাফল্য, জিডিপির প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি, রিজার্ভ বাড়ানো ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরবে।
কিন্তু বড় প্রশ্ন হলোÑ নির্বাচনকালীন সরকারের ব্যাপারে সমাধান হবে কীভাবে?
নির্বাচন কমিশন তত্ত্বগতভাবে স্বাধীন। কিন্তু বাস্তবে সরকারের ওপর
নির্ভরশীল। নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনের অধীনে ডিসি, এসপিরা থাকার কথা
বলা হলেও বাস্তব ক্ষেত্রে তাদের নিয়ন্ত্রণ করে সরকার। ফলে নির্বাচন কমিশনের
ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন থাকবেই। নির্বাচন নিয়ে আরেকটি অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটুক
আমরা তা চাই না। সবাই নির্বাচনে অংশ নিক। ২০১৪ সালের ভোটারবিহীন
নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রক্ষা করা গেছে বটে, কিন্তু
দেশে নির্বাচনী সংস্কৃতির মৃত্যু ঘটেছে। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির জন্য এটা
কোনো ভালো খবর নয়। দেশে সুস্থ গণতান্ত্রিক চর্চার জন্য শক্তিশালী একটি
বিরোধী দল থাকা দরকার। আমরা ইতোমধ্যে একটি হাস্যাস্পদ সংসদের জন্ম দিয়েছি।
জাতীয় পার্টি সংসদে বিরোধী দলের আসনে আছে বটে। আবার তারা মন্ত্রীও হয়েছেন।
পার্টিপ্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দলের ওপর কর্তৃত্ব আছে বলে মনে হয় না।
ফলে জাতীয় পার্টি বিএনপির বিকল্প হিসেবে দাঁড়িয়ে যাওয়ার যে সম্ভাবনা ছিল,
তা হয়নি। এ কারণে একটি শক্তিশালী বিরোধী দল সংসদে থাকা দরকার। না হলে
গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে না। গত তিন বছরে অনেক জাতীয় ইস্যু সংসদে আলোচিত
হয়নি। অনেক সময় সংসদ সদস্যদের অনুপস্থিতির কারণে নির্দিষ্ট সময়ে সংসদ
বসেনি। এর অর্থÑ অনেক সংসদ সদস্যই সংসদীয় কার্যক্রমের ব্যাপারে আগ্রহ
হারিয়ে ফেলেছিলেন। এখন সেই ‘পরিস্থিতি’ থেকে ফিরে আসতে হবে। বিএনপি আগামী
সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে। কেননা এই সংসদ নির্বাচনে (একাদশ জাতীয় সংসদ)
বিএনপি অংশ না নিলে বিএনপির নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে। উপরন্তু নেতাকর্মীদের
স্থানীয়ভাবে ‘নিরাপত্তা’ নিশ্চিত করার স্বার্থেও বিএনপির নির্বাচনে অংশ
নেওয়া জরুরি। তাই বিএনপির জন্য একটি ‘স্পেস’ দরকার। তবে বড় কথা হলো, আমাদের
মানসিকতায় আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন। বিএনপি নিঃসন্দেহে এখন যথেষ্ট দুর্বল।
মামলা-মোকদ্দমা আর কোর্টে যাওয়া-আসার মধ্য দিয়ে তাদের দিন যাচ্ছে। সিনিয়র
অনেক নেতা এখন আর সক্রিয় নন। কোনো বড় আন্দোলনও তারা গড়ে তুলতে পারছেন না।
তার পরও বিএনপির একটা বড় জনসমর্থন আছে। বিএনপিকে আস্থায় নিয়েই নির্বাচনে
যেতে হবে। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনকে তার নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে।
হুদা কমিশনের ব্যাপারে বিএনপির যত রিজার্ভেশনই থাকুক না কেন, বাস্তবতা
হচ্ছে নির্বাচনের প্রশ্নে এই হুদা কমিশনের সঙ্গেই বসতে হবে বিএনপিকে।
বিএনপি বড় দল। হুদা কমিশন নিশ্চয়ই এটা উপলব্ধি করবে। ফলে নির্বাচন কমিশনের
সঙ্গে বিএনপির একটা ভালো ‘ডায়ালগ’ প্রয়োজন। সাধারণ ভোটাররা একটা ভালো
নির্বাচন চায়। দলগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা হবে, এটাই গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি।
তাই কোন দল আগামী ৫ বছরের জন্য কী ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করবে, তা বিবেচনা
করার সুযোগ দিতে হবে ভোটারদের। বিএনপি একটি সুস্পষ্ট পরিকল্পনা উপস্থাপন
করুক। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের বিরাজমান সমস্যাগুলোকে কীভাবে মোকাবিলা করতে
চায়, তার পরিকল্পনা উপস্থাপন করুক। আমরা যারা আমজনতা, আমরা চাই সেই
পরিকল্পনা দেখে আমাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে। ইতিহাস বারবার ফিরে আসে।
২০১৪ সাল আসবেই। কিন্তু আমরা তা ভুলে যেতে চাই। তাকাতে চাই সামনের দিকে।
২০১৪ সালের জানুয়ারির ঘটনা দিয়ে সবকিছু বিচার করতে চাই না। তাই সুযোগ এসেছে
আরও একবার। একটি সমঝোতা হোক। গড়ে উঠুক আস্থার সম্পর্ক।
Amader Somoy
04.07.2017
0 comments:
Post a Comment