রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

কিউবা প্রশ্নে পুরনো বৃত্তে যুক্তরাষ্ট্র?



কিউবা-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক কি আবারও পুরনো বৃত্তে ফিরে যাচ্ছে? দীর্ঘ ৫৪ বছর পর দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে যে সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছিল, তা কি আবার ভেস্তে যেতে বসেছে? এসব প্রশ্ন উঠেছে এ কারণে যে, অতি সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিউবার ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গেল সপ্তাহে তিনি এক নির্বাহী আদেশে তার পূর্বসূরি বারাক ওবামা কিউবার সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের ব্যাপারে যেসব উদ্যোগ নিয়েছিলেন, তা বাতিল ঘোষণা করেছেন। ফলে কিউবার ওপর বাণিজ্য ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আবার বহাল হয়েছে। নতুন নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকবে খুব নিম্ন পর্যায়ে। তবে কিউবা ভ্রমণের ব্যাপারে ভ্রমণকারীরা কঠোর পর্যবেক্ষণের আওতায় আসবেন। ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপারেও বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। স্পষ্টতই এর অর্থ পরিষ্কার- দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে যে সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছিল, তা এখন প্রশ্নবিদ্ধ হল।


বলা ভালো, ওবামা এক ঐতিহাসিক সফরে হাভানায় গিয়েছিলেন ২০১৬ সালের ২০ মার্চ। এর আগে ২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারি কিউবা ও যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শুরু করেছিল। ১৯২৮ সালে আমেরিকার ৩০তম প্রেসিডেন্ট ক্যালভিন কুলিজের (১৯২৩-১৯২৯) পর ওবামা ছিলেন দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট, যিনি কিউবা সফর করেছিলেন। এ থেকেই বোঝা যায় কিউবা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ১৯৬১ সালের ‘বে অব পিগসের’ ঘটনার (ক্যাস্ট্রো সরকারকে উৎখাত চেষ্টা) পর থেকে কিউবার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি ‘চাপ’ ছিল। বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা ছিল। পুরো স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালীন কিউবা-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে বারবার উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এ উত্তেজনা হ্রাস এবং দু’দেশের মাঝে সম্পর্ক উন্নয়নের ‘উদ্যোগ’ নিয়েছিলেন ওবামা। কিন্তু সেই উদ্যোগও এখন কাগজ-কলমে থেকে যাচ্ছে। ট্রাম কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলেছেন। কিউবায় যারা ক্ষমতাসীন, তাদের তিনি আখ্যায়িত করেছেন ‘নিষ্ঠুর কমিউনিস্ট শাসক’ হিসেবে। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, কিউবায় সংস্কার আনতে হবে, রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে, অবাধ নির্বাচন ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। এসব শর্ত পূরণ না হলে নতুন চুক্তি করবে না আমেরিকা। ওবামা অবশ্য কোনো শর্ত আরোপ করেননি। তবে ট্রাম্প যেসব কথা বলেছেন, বিশেষ করে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, অবাধ নির্বাচন কিংবা মুক্তবাজারের কথা আমরা ওই সময়েই শুনেছিলাম।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কিউবার সমাজতান্ত্রিক সমাজে এসব শর্ত পূরণ করা আদৌ সম্ভব কিনা? ফিদেল ক্যাস্ট্রো মারা গেছেন। আগামী বছর রাউল ক্যাস্ট্রো অবসর নেবেন। কিউবা রাজনৈতিক সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেয়নি বটে; কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে অর্থাৎ অর্থনীতি ক্ষেত্রে বেশ পরিবর্তন এনেছে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, ব্যাপক সংস্কার ছাড়া কিউবার সমাজব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সংস্কার নয়, বরং আরও অর্থনৈতিক সংস্কার আসবে। ইতিমধ্যে অর্থনৈতিক সংস্কার এসেছে। সোভিয়েত নেতা গরবাচেভ উভয় ক্ষেত্রে সংস্কার আনতে গিয়ে বড় ‘ভুল’ করেছিলেন। তার ‘পেরেস্ত্রয়কা’কে অনেকেই সমর্থন করলেও ‘গ্লাসনস্ত’কে সমর্থন করেননি। চীনে রাজনৈতিক সংস্কার তথা রুশ ভাষায় ‘গ্লাসনস্ত’ আসেনি। এসেছে ‘পেরেস্ত্রয়কা’ অর্থাৎ অর্থনৈতিক সংস্কার। ভিয়েতনামেও এসেছে অর্থনৈতিক সংস্কার। ওরা যাকে বলছে ‘দই মই’। বাকি ছিল কিউবা। সেখানে কিছু ক্ষেত্রে সংস্কার এসেছে। আগামীতেও আসবে। কিউবা এটিকে ঠিক সংস্কার বলছে না। বলছে ‘আপডেট’, যাকে স্প্যানিশ ভাষায় বলা হচ্ছে Lineamientos। এর মাধ্যমে কিউবা বোঝাতে চাইছে, তারা অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় কিছুটা ‘পরিবর্তন’ আনতে চায়। তারা কয়েকটি ক্ষেত্রে সংস্কার এনেছে এবং আরও সংস্কারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যেমন সরকারের কাছে যেসব অব্যবহৃত জমি রয়েছে, তা ‘লিজ’ দেয়া হচ্ছে এবং ১০ বছর পর ওই জমির মালিকানা চলে যাচ্ছে তার কাছে, যিনি ‘লিজ’ নিয়েছিলেন। ব্যক্তিগত খাত উন্মুক্ত করা হচ্ছে অন্তত তিনটি ক্ষেত্রে- ট্যুরিজম, হোটেল ব্যবসা ও ব্যক্তিগত পুঁজি বিনিয়োগের অনুমতি দেয়া হচ্ছে। তিনটি প্রদেশের (হাভানা, মায়ালেক, আর্টেমিমা) শতকরা ৭০ ভাগ কৃষি জমি বাজার দর অনুযায়ী বিক্রি করা হচ্ছে। ২০১৪ সালে কৃষি পণ্যের জন্য ‘হোলসেল মার্কেট’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৩৭ লাখ একর জমি ব্যক্তিগত খাতে বিক্রি হয়েছে। কৃষকদের কাছে ওই জমি বিক্রি করার কথা বলা হলেও দেখা গেছে যারা কিনেছেন তাদের মধ্যে শতকরা ৭৭ ভাগের কৃষিকাজে কোনো অভিজ্ঞতাই নেই।

সমাজতান্ত্রিক সমাজেও বেকার আছে, ছদ্ম বেকার আছে, যা সরকারিভাবে স্বীকার করা হয় না। বেকার সমস্যা সমাধানের জন্য কিউবা সরকার সেখানে ‘নিজ উদ্যোগে কর্মসংস্থানে’র একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এটাকে তারা বলছে Cuentapropistas। এর মধ্য দিয়ে ১৮ লাখ লোকের (২০১৫) কর্মসংস্থান হয়েছে। ৪৯৮টি সমবায় প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। আগামীতে এটা আরও তিনগুণ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিউবায় শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা ‘ফ্রি’। কর্মক্ষম মানুষ (পুরুষ ৬০, মহিলা ৫৫) অবসর নিতে পারেন। লাতিন আমেরিকায় মানুষের গড় আয়ুর বিচারে কিউবার অবস্থান দ্বিতীয়। সামাজিক খাতে বরাদ্দ থাকে জাতীয় বাজেটের শতকরা ৫৫ ভাগ (এখন ৫১ ভাগ) এবং জিডিপির ৩৭ ভাগ। মাসের নির্দিষ্ট দিনে রেশনেরও ব্যবস্থা আছে। যদিও এখন কিউবা এ রেশনের পরিবর্তে অন্যভাবে মানুষকে রাষ্ট্রীয় সেবা দিতে চাচ্ছে। সরকার প্রতিটি পরিবারকে একটি বাড়ি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কেউ ২০ বছর একটি বাড়িতে বসবাস করলে ওই বাড়ির মালিকানা তার হয়ে যায়। তবে বাড়ির সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম। প্রায় ১০ লাখ ইউনিট বাড়ি করার কথা বলছে সরকার।

বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে চাইছে কিউবা। এজন্য বিশেষ বিশেষ শিল্প এলাকাও প্রতিষ্ঠা করছে সরকার। একজন বিনিয়োগকারী ৮ বছর ট্যাক্স সুবিধা পাবেন। এখানে কিছুটা সমস্যা আছে। কর্মীদের এক্ষেত্রে বেতন দেবে সরকার। অর্থাৎ কিউবান ‘পেসো’ দিয়ে তাদের মজুরি পরিশোধ করা হবে। কিন্তু সরকার ওইসব বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে ‘হার্ড কারেন্সিতে’ অর্থাৎ বৈদেশিক মুদ্রায় মজুরি গ্রহণ করবে। কিউবার অর্থ ব্যবস্থায় দু’ধরনের অর্থের প্রচলন আছে- ‘ন্যাশনাল পেসো’ ও ‘কনভার্টেবল পেসো’। দু’ধরনের মুদ্রার মানেরও পার্থক্য রয়েছে। ‘কনভার্টেবল পেসো’র মান কমিয়ে রাখা হয় বলে অভিযোগ আছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানে দুই মুদ্রার মান এক। তবে ২৫ ‘ন্যাশনাল পেসোর’ বিনিময়ে ১ ‘কনভার্টেবল পেসো’ পাওয়া যায়, যা বিনিময়যোগ্য। অদ্ভুত এ ‘ব্যবস্থা’ একটি জটিলতা সৃষ্টি করেছে। এসব ক্ষেত্রে সংস্কার আনতে হবে। বিদেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠানো যায়। সীমিত আকারে ক্রেডিট কার্ডও চালু রয়েছে। অবকাঠামো ক্ষেত্রে তেমন কোনো উন্নয়নও চোখে পড়ে না। কিউবার বৈদেশিক আয়ের একটা বড় অংশ আসে ভেনিজুয়েলা থেকে। ভেনিজুয়েলা ‘বার্টার ট্রেডে’র মাধ্যমে অত্যন্ত কম মূল্যে কিউবাকে জ্বালানি তেল দেয়। বিনিময়ে কিউবা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে তা পরিশোধ করে। প্রয়াত ভেনিজুয়েলার নেতা হুগো শাভেজ ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নতির জন্য একটি প্রকল্প চালু করেছিলেন অনেক আগে। সেখানে বিপুল পরিমাণ কর্মী দিয়ে কিউবা সাহায্য করছে। তবে ভেনিজুয়েলার অবস্থা বর্তমানে খারাপ। ফলে কিউবাকে দেয়া সেই আর্থিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখা নিয়েও প্রশ্ন আছে।

একসময় মনে করা হতো সমাজতান্ত্রিক সমাজে আদৌ পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়। এ ধারণা ভেঙে দিয়েছিলেন চীনের প্রয়াত নেতা দেং জিয়াও পিং। তার একটি বিখ্যাত উক্তি- ‘বিড়াল সাদা কী কালো সেটি বড় কথা নয়। বড় কথা বিড়াল ইঁদুর মারে কিনা?’ অর্থনীতি সমাজতান্ত্রিক নাকি বাজারনির্ভর সেটি মুখ্য নয়, মুখ্য হচ্ছে উন্নয়ন। তাই রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব বজায় রেখেই চীনের অর্থনীতিতে পরিবর্তন আনা হয়েছিল। চীনা নেতারা এর সফলতাও পেয়েছিলেন। চীন এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বড় অর্থনীতি। জিডিপি প্রবৃদ্ধি চীন এখন কমিয়ে আনছে। আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকায় চীনের বিশাল বিনিয়োগ রয়েছে। চীনের এ আর্থিক ভিত্তির জন্ম দিয়েছিলেন দেং জিয়াও পিং। চীনকে অনুসরণ করে ভিয়েতনামও ‘দই মই’ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সেখানে সংস্কার হচ্ছে শুধু অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে। রাজনৈতিক কাঠামোয় (চীন ও ভিয়েতনাম) একদলীয় শাসন বজায় রয়েছে। তবে একটা পরিবর্তন এনেছে চীন- তা হচ্ছে সিনিয়র নেতাদের অবসর। সিনিয়র নেতারা আজীবন তাদের স্ব স্ব ‘পদ’ ধরে রাখতে পারবেন না। রাষ্ট্রপ্রধানরা দু’টার্মের বেশি ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। এখন কিউবাও এ পদ্ধতি অনুসরণ করছে। চীন ও ভিয়েতনামে সেনাবাহিনী এখনও পার্টির নিয়ন্ত্রণাধীনে। পার্টির ‘মিলিটারি কমিশন’ সেনাবাহিনীকে পরিচালনা করে। চীনা সেনাবাহিনী পার্টির প্রতি অনুগত আছে বিধায় চীন এখনও ভেঙে যায়নি। কিউবায় সেনাবাহিনী এখনও কমিউনিস্ট পার্টির প্রতি দায়বদ্ধ। কিন্তু ফিদেল ও রাউল ক্যাস্ট্রো-পরবর্তী সেনাবাহিনী কতটুকু দায়বদ্ধ থাকবে, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। কিউবা নিয়ে একটা বড় ভয় হচ্ছে, রাউল ক্যাস্ট্রো-পরবর্তী কিউবার নেতৃত্ব কি কোনো ধরনের ক্ষমতার দ্বন্দ্বে জড়িয়ে যাবে? অথবা ট্রাম্প প্রশাসন কিউবায় ‘রেজিম চেঞ্জ’ অর্থাৎ সরকারের শীর্ষপদে পরিবর্তনের কোনো উদ্যোগ নেবে কিনা? মধ্যপ্রাচ্যে, পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের এ ধরনের একটি নীতি আছে। তবে মধ্যপ্রাচ্যে ওই নীতি বাস্তবায়ন করা যত সহজ ছিল, কিউবায় অত সহজ হবে না। কারণ সেখানে সেনাবাহিনী এখনও পার্টির প্রতি দায়বদ্ধ। মিগুয়েল দিয়াজ ক্যানেলকে কিউবার পরবর্তী নেতা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও কথা থেকে যায়। তিনি সবার সহযোগিতা নিশ্চিত করতে পারবেন কিনা? এ ক্ষেত্রে কিউবায় সমাজতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকবে। ২০১৮ সালে সেখানে পার্টি কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হবে। এ পার্টি কংগ্রেসে যদি তরুণ নেতৃত্ব আসে, তাহলে তারা চীনের মতোই বদলে দিতে পারেন কিউবার সমাজকে।

কিউবার ‘সমাজতন্ত্রের মডেল’ নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। মানুষ সেখানে অখুশি তা বলা যাবে না। কিন্তু ট্র্যাম্প নতুন করে যে সিদ্ধান্ত নিলেন, তা এ অঞ্চলে উত্তেজনা সৃষ্টি করবে। আবার নতুন করে ‘মার্কিন আগ্রাসনের’ মুখোমুখি হতে পারে কিউবা! কিউার ওপর যদি অব্যাহত চাপ আসতে থাকে, তাহলে এ অঞ্চলে নতুন করে নতুন রূপে ‘স্নায়ুযুদ্ধের’ সূচনা হতে পারে। কিউবা তার স্বার্থেই আবার রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করবে। তাই দেখার বিষয় যুক্তরাষ্ট্র-কিউবা সম্পর্ক এখন কোন দিকে যায়।
Daily Jugantor
05.07.2017

0 comments:

Post a Comment