রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

দূর হোক অনিশ্চয়তা অস্থিরতা


দেশীয় আর আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ২০১৩ সালটি ছিল একটি বড় ধরনের অনিশ্চয়তা আর অস্থিরতার বছর। বাংলাদেশে ৫ জানুয়ারির দশম জাতীয় সংসদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যকার দ্বন্দ্ব যখন চরম পর্যায়ে উপনীত হয়েছে, তখন ভারতে অখ্যাত এক অরবিন্দ কেজরিওয়াল দেখিয়ে দিয়েছেন সাধারণ মানুষের সমস্যা আর রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে দুর্নীতিকে যদি রাজনীতিতে প্রাধান্য দেয়া যায়, তাহলে ক্ষমতায় যাওয়া কঠিন কিছু নয়। কেজরিওয়াল এখন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। বাংলাদেশ ছাড়িয়ে বিশ্ব রাজনীতিতেও ছিল বড় ধরনের অনিশ্চয়তা আর অস্থিরতা। ‘আরব বসন্ত’ পুরো আরব বিশ্বে যে সম্ভাবনার সৃষ্টি করেছিল, তাতে এসেছে অনিশ্চয়তা। ইউরোপের দেশগুলো অর্থনৈতিক সঙ্কট পুরোপুরিভাবে কাটিয়ে উঠতে পারেনি। গণতন্ত্রের জন্য খারাপ খবর ছিল থাইল্যান্ডে, ইউক্রেনে কিংবা রাশিয়ায়ও। আর ভারতের নয়াদিল্লিতে আম আদমি পার্টির সরকার গঠনের খবর একদিকে যেমনি গণতেন্ত্রের জন্য একটি মাইলফলক, অন্যদিকে চার-চারটি রাজ্যে ক্ষমতাসীন কংগ্রেসের পরাজয় এবং বিজেপির বিজয় ২০১৪ সালের মে মাসে সেখানে যে লোকভার নির্র্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তার জন্য একটি ‘সিগনাল’ হিসেবে অনেকে বিবেচনা করেছেন।

বাংলাদেশের জন্য যে দুঃখজনক সংবাদ তা হচ্ছে, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বিকাশ একটি বড় ধরনের হুমকির সম্মুখীন হলো দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে। এরই মধ্যে আমরা জেনে গেছি, ১৫৪ জন প্রার্থী এই নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি তথা ১৮ দলের অনুপস্থিতিতে এই নির্বাচন একটি হাস্যকর নির্বাচনে পরিণত হয়েছে। বিএনপি ও ১৮ দল বেশ কিছুদিন ধরে তত্ত্বাবধায়ক তথা নির্দলীয় সরকারের অধীনে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন দাবি করে এলেও, তাতে সরকার কোনো ইতিবাচক মনোভাব দেখায়নি। দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে ২৯ ডিসেম্বর। ওইদিন খালেদা জিয়া ঢাকায় সমবেত হওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি এর নামকরণ করেছিলেন ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ হিসেবে। কিন্তু দেখা গেল, সরকার গণতন্ত্রের এই অভিযাত্রাকে বানচাল করার উদ্দেশ্যে ঢাকা বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল। শুধু তাই নয়, সরকারি দলের ছাত্র ও যুব সংগঠনের কর্মীরা ওই দিন রাজপথে যে আচরণ করেছে, তা শুধু দুঃখজনকই নয়, বরং গণতন্ত্রের পিঠে ছুরিকাঘাতের শামিল। প্রেসক্লাবে হামলা, সুপ্রিমকোর্টে হামলা চালিয়ে আইনজীবীদের আহত করা গণতান্ত্রিক চর্চার জন্য কোনো ভালো খবর নয়। খালেদা জিয়াকে পল্টনের সমাবেশে যোগ দিতে দেয়া হয়নি। উপরন্তু তার বাসায় তাকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। ফলশ্রুতিতে খালেদা জিয়া ৩০ ডিসেম্বরও কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন। রাজনীতিতে এখন টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। খালেদা জিয়া গণতন্ত্র রক্ষার যে আহ্বান জানিয়েছেন, তার যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। বিশেষ করে এটা তিনি আহ্বান করেছেন এমন একটা সময় যখন নির্বাচনের বাকি আছে আর মাত্র ৫ দিন। ৫ জানুয়ারি দেশে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। যদিও এরই মধ্যে ১৫৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ‘নির্বাচিত’ হয়েছেন এবং বাকি ১৪৬ আসনে সেই অর্থে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনাও ক্ষীণ। কেননা নির্বাচনের অর্থই হচ্ছে জয়-পরাজয়। কিন্তু ওই আসনগুলোতে আদৌ প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে, কিংবা সেখানে নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করছেÑ এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। খোদ অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যে এ রকম একটি আভাস পাওয়া যায়। এখন যে অভিযোগটি সরকারের বিরুদ্ধে উঠেছে তা হচ্ছে, সরকার বিরোধী দলের সঙ্গে আরও আলোচনার সুবিধার্থে নির্বাচনের তারিখ আরও ৯০ দিন পিছিয়ে দিতে পারত। সংবিধানের ১২৩(৪) ধারা অনুসরণ করে এবং উচ্চ আদালতের একটি রেফারেন্স নিয়ে নির্বাচন পিছিয়ে দেয়া যেত। কিন্তু সরকার তা করেনি। সরকার ‘ভোটারবিহীন’ একটি নির্বাচন করতে চায়। সরকারের দরকার একটি সংসদ। সেই সংসদের গ্রহণযোগ্যতা না থাকলেও, সরকারের কাছে ওই সংসদের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে নানা কারণে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য বিশ্লেষণ করলে এটা বোঝা যায়। এমনকি প্রধানমন্ত্রী ২৮ ডিসেম্বর দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে যে নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছেন, তাতে সরকারের উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয়েছে।
হরতাল ও অবরোধের কারণে প্রতিদিনের ক্ষতির পরিমাণ দেড় হাজার কোটি টাকা। বিজিএমইএ ৩৫ হাজার কোটি টাকার ক্ষতির একটি হিসাব দিয়েছিল। এটা আরও বাড়বে। এর ফলে প্রবৃদ্ধি হ্রাস পাবে। গেল বছর যেখানে প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ দশমিক ২ ভাগ, এখন তা ৫ দশমিক ২ ভাগে নেমে আসবে। রাজনৈতিক এই অস্থিরতা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে অর্থনীতি বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। এর বাইরে প্রতিটি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আসেনি। চলতি শিক্ষাবর্ষে প্রথমবর্ষ স্নাতক সমমান শ্রেণীতে ভর্তি পরীক্ষা শেষ করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এর ফলে তাদের জীবন থেকে ১ বছর হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের স্বার্থে একটি সমঝোতা প্রয়োজন।
বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বিকাশ যখন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে পারস্পরিক বিশ্বাস আর আস্থার অভাবে, ঠিক তখন বিশ্বের অন্যত্রও গণতন্ত্র ছিল ঝুঁকির মুখে। মিসরে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত মোহাম্মদ মুরসি সেনাবাহিনী কর্তৃক এক সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন। সেখানে ইসলামিক ব্রাদারহুড নিষিদ্ধঘোষিত হয়েছে। আর তিউনেসিয়ার প্রধান দলগুলো মেহদি জোমাকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান হিসেবে মেনে নিতে রাজি হয়েছে। জোমা এখন নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। ইয়েমেনে ড্রোন বিমান হামলা অব্যাহত এবং সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধও অব্যাহত রয়েছে বছরের শেষ দিন পর্যন্ত।
দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে। ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপে দ্বিতীয় দফা ভোটের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে এবং আবদুল্লাহ ইয়ামিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট নাশিদ তা মেনে নিয়েছেন। পাকিস্তানে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে এবং নওয়াজ শরিফ আরও একবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। একই সঙ্গে দুটো গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনও সাধিত হয়েছে পাকিস্তানে। প্রধান বিচারপতি ও সেনাপ্রধান অবসরে গেছেন। প্রধান বিচারপতি ইফতেখার চৌধুরী নিয়মমাফিক অবসরে যাওয়ার পর তাসাদ্দুক হোসেন জিলানী প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নিয়েছেন। আর জেনারেল কায়ানির টার্ম শেষ হয়ে যাওয়ার পর জেনারেল রাহিল শরিফ নয়া সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। তবে শরিফের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, তেহরিক-ই-তালেবানকে নিষ্ক্রিয় করা ও তাদের জঙ্গিবাদী তৎপরতা বন্ধ করা। মূলত তেহরিক-ই-তালেবান সীমান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে।
এ অঞ্চলে এখন ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ সরকার গঠন করেছে। ধারণা করা হয়, ইমরান খানের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদী জঙ্গি দল হিসেবে পরিচিত তেহরিক-ই-তালেবানের একটা সম্পর্ক রয়েছে। অন্যদিকে সীমান্ত অঞ্চলে মার্কিন ড্রোন বিমান হামলা বন্ধ হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শরিফ এই হামলা বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ জানালেও তা রক্ষিত হয়নি। এটা খোদ নওয়াজ শরিফের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। পাকিস্তানের জন্য এটা বড় খবর হলো, একটা নির্বাচিত সরকার তার ৫ বছরের টার্ম পূরণ করল। আর ভারতের নয়াদিল্লিতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার গঠন অন্যতম আলোচিত বিষয়। ২০১৪ সালে আফগানিস্তান থেকে সব বিদেশি সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়া হবে। ওবামা এই প্রতিশ্রুতি দিলেও তিনি এই প্রতিশ্রুতি কতটুকু রাখতে পারবেন, সেটা একটা প্রশ্ন। যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে আফগানিস্তানের কারজাই সরকারের সঙ্গে একটা নিরাপত্তা চুক্তি করতে চাইলেও, তা হয়নি। এক্ষেত্রে চলতি বছর আফগানিস্তানের দিকে দৃষ্টি থাকবে অনেকের। অনেকেরই ধারণা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর একটা উপস্থিতি সেখানে থাকবেই। এক্ষেত্রে পাকিস্তানেও জঙ্গি তৎপরতা বাড়বে। পাকিস্তানের কথা শুধু নয়, খোদ নেপালও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন সম্পন্ন করল। এই দুটো দেশ নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করল। নেপালে মাওবাদীরা সাংবিধানিক পরিষদের নির্বাচনে ভালো ফল করেনি। ভালো খবর হলো, তারা শেষ অব্দি অধিবেশনে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে যেসব দেশ গণতন্ত্র চর্চা করে, তাদের জন্য ‘খারাপ’ খবর আছে। বিশেষ করে থাইল্যান্ড আর ইউক্রেনে সরকারবিরোধী আন্দোলন নতুন একটি মাত্রা পায়। থাইল্যান্ডে সরকারবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে রাজনীতি মূলত দু’পক্ষের মধ্যে ভাগ হয়ে যায়। একদিকে ‘রেড শার্ট’ আন্দোলন, যারা সরকার সমর্থক হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে ‘হলুদ শার্ট’ আন্দোলন, যারা সরকারবিরোধী হিসেবে পরিচিত। আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে প্রধানমন্ত্রী ইংলাক ফেব্রুয়ারিতে নয়া নির্বাচনের ঘোষণা দিলেও ‘হলুদ শার্ট’ আন্দোলনকারীদের কাছে তা গ্রহণযোগ্য হয়নি। এক পর্যায়ে সেনাপ্রধান গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হয়ে ওঠেন এবং সামরিক অভ্যুত্থানের গুজব ছড়িয়ে পড়ে। ‘রেড শার্ট’ আর ‘হলুদ শার্ট’ আন্দোলনের কারণে থাইল্যান্ডের গণতন্ত্র একটি বড় প্রশ্নের মাঝে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী ইংলাক এভাবে ‘রেড শার্ট’ আন্দোলনকারীদের উসকে দিয়েই ক্ষমতায় এসেছিলেন। তার বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ, তিনি তার ভাই থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে (সাবেক ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী) দায়মুক্তি দেয়ার উদ্দেশ্যে সংসদে একটি বিল এনেছেন। ইউক্রেনের অবস্থাও ঠিক তেমনি। ২০০৪ সালের ‘কমলা বিপ্লব’ এখন ব্যর্থ হতে চলেছে। ইউক্রেনের ইউরোপীয় ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্তি বাতিল ও রাশিয়ার সঙ্গে তার সম্পর্ক বৃদ্ধি এখন নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
২০১৩ সালে ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হুগো শ্যাভেজের মৃত্যু ও ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে হাসান রুহানির অভিষেক আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে বিবেচিত। দীর্ঘদিন ক্যানসারের সঙ্গে ‘যুদ্ধ’ করে এক সময় হেরে গিয়েছিলেন হুগো শ্যাভেজ। তার মৃত্যুর পর তিনি যে ‘সমাজতন্ত্রের নতুন এক ধারা’ প্রবর্তন করেছিলেন, তার স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যু ছিল সবচেয়ে শোকাবহ ও বেদনার অভিজ্ঞতা, মহাত্মা গান্ধী, মার্টিন লুথার কিংয়ের যোগ্য উত্তরসূরি ম্যান্ডেলার মৃত্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, তিনি এখন আর আমাদের নন, তিনি এখন মহাকালের। তার মৃত্যু ছিল গৌরব ও অহঙ্কারের। কেননা, জীবনভর তিনি সাম্য, শান্তি আর মানুষে মানুষে ভেদাভেদ দূরীকরণে ছিলেন বিশ্বের অনন্য এক নায়ক।
তাই নানা কারণে ২০১৪ সাল আলোচিত হতে থাকবে। বিশেষ করে সিরিয়ায় একটি সমঝোতা, ইরানের পারমাণবিক প্রকল্প কর্মসূচি, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কংগ্রেসের বিবাদ ইত্যাদি বিশ্ব সংবাদে আলোচতি বিষয় হয়ে থাকবে। অন্যদিকে বাংলাদেশে দশম সংসদ তাদের অস্তিত্ব নিয়ে কতদিন টিকতে পারবে, সে ব্যাপারেও আগ্রহ থাকবে অনেকের। আগামী বছর বিএনপিকে সংসদীয় ধারায় ফিরিয়ে নিয়ে আসতে হলে নির্বাচনকালীন একটা সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে। আর এজন্যই সরকারকে ভেঙে যাওয়া সংলাপ অব্যাহত রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, একটা সমঝোতা না হলে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক আসরে তার ভাবমূর্তি শুধু নষ্টই করবে না, বরং বাংলাদেশ বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। সুতরাং একটা আস্থা ও পারস্পরিক বিশ্বাসের সম্পর্ক গড়ে তোলা জরুরি। ২০১৪ সালের রাজনীতিতে এটাই হবে মুখ্য বিষয়।
Daily Alokito Bangladesh
31.12.13

0 comments:

Post a Comment