দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বিরোধী ১৮-দলীয় জোট যখন লাগাতার অবরোধ পালন করছে, ঠিক তখনই ২৮ নভেম্বর সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছে আরেকটি সংবাদ তারানকো আবারো আসছেন ৬ ডিসেম্বর। তারানকো জাতিসংঘের কর্মকর্তা। এর আগেও তিনি দুবার বাংলাদেশ সফর করে গেছেন জাতিসংঘ মহাসচিবের দূত হিসেবে। চেষ্টা করেছেন সরকার ও বিরোধী পক্ষের মধ্যে একটা সমঝোতা করতে। তাতে তিনি সফল হননি। তার সর্বশেষ সফরের সময় ঠিক হয়েছিল সরকার পক্ষ বিরোধী দলকে একটি চিঠি লিখবে। সংলাপ হবে। সেই সংলাপ আর হয়নি। এরপর বুড়িগঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গেছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলার জন্য ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত মজিনা নয়া দিলি্ল গেছেন। প্রেসিডেন্ট ওবামার একটি বক্তব্যও আমরা পেয়েছি। মার্কিন কংগ্রেসে বাংলাদেশ নিয়ে একটি শুনানিও হয়েছে। সেখানে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। তারপর ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টেও বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উঠেছে। সেখানেও উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা আমরা শুনতে পেয়েছি। কিন্তু পরিস্থিতির আদৌ কোনো উন্নতি হয়নি। এরই মধ্যে একটি 'সর্বদলীয় সরকার' হয়েছে। এইচ এম এরশাদ এর আগে একদলীয় নির্বাচন হলে তিনি বেইমান হিসেবে চিহ্নিত হবেন বলে ঘোষণা দিলেও, শেষ মুহূর্তে তার দল নয়া মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়েছে এবং তিনি নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এরই মধ্যে সমঝোতার সম্ভাবনা যেখানে 'শূন্য' সেখানে আবারো আসছেন তারানকো। সংবাদপত্রে খবর বেরিয়েছে তফসিলের পরিবর্তন চায় জাতিসংঘ। সুষ্ঠু নির্বাচনের তাগিদ দিয়েছে চীন_ এ রকম একটি সংবাদও আছে খবরের কাগজে। সব মিলিয়ে আমাদের দেশের রাজনীতি যেন এখন বিদেশনির্ভর হয়ে গেছে! যেন বিদেশিরাই ঠিকঠাক করে দিচ্ছেন কীভাবে আমরা চলব। কীভাবে নির্বাচন হবে? আমরা নিজেরা যেখানে সমস্যার সমাধান করতে পারলাম না, সেখানে বিদেশিরাই যেন আমাদের ভরসা। এই বিদেশিনির্ভরতা আমাদের রাজনৈতিক উন্নয়নের জন্য কোনো ভালো খবর নয়।
স্মরণ থাকার কথা, বাংলাদেশে এসেছিলেন নিশা দেশাই। জন্মগতভাবে তিনি ভারতীয় নন, মার্কিন নাগরিক। বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একজন। তার দায়িত্ব দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া। তিনি এ দায়িত্বটি নিয়েছেন অতি সম্প্রতি। সঙ্গত কারণেই তিনি বাংলাদেশে আসবেন। কেননা বাংলাদেশের রাজনীতি, এর গতিপ্রকৃতি, এখানকার সরকার ও বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে পরিচিত হওয়া তার প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু তাকে নিয়ে একশ্রেণির মিডিয়ার অতি উৎসাহ আমি লক্ষ্য করেছি। আকার ইঙ্গিতে বলা হচ্ছিল তিনি বোধকরি একধরনের মধ্যস্থতা করার জন্য বাংলাদেশে এসেছেন! এ আশঙ্কা আরো বদ্ধমূল হয়েছে যখন ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণও আমাদের জানালেন, বাংলাদেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে!
বাংলাদেশ একটি সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, সন্দেহ নেই তাতে। কিন্তু এ সঙ্কটে কি বিদেশিরা কোনো সমাধান দিয়ে যেতে পারবেন? অতীত ইতিহাস তা বলে না। স্যার নিনিয়ানের বাংলাদেশ সফরের পর থেকে একাধিকবার সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। আর একাধিকার আমরা দেখেছি একের পর এক বিদেশি দাতা গোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা বাংলাদেশে আসছেন। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে মন্তব্য করছেন। তারা উভয় পক্ষকে সমঝোতার আহ্বান জানিয়েছেন, ইত্যাদি ইত্যাদি। এটা দৃষ্টিকটু এবং আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে বেমানান। আমাদের সঙ্কট মোকাবেলায় আমরা যদি ব্যর্থ হই, তাহলে একসময় পরিপূর্ণভাবে বিদেশিদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে যাব। তখন দাতা গোষ্ঠীর নির্দেশনা অনুযায়ী আমাদের চলতে হবে। যে কোনো বিবেচনায় এটা কোনো ভালো খবর নয়। নিশা দেশাই এসেছিলেন। দেখা করেছেন দুই নেত্রীর সঙ্গে। এমনকি সুশীল সমাজের সাতজন প্রতিনিধির সঙ্গেও তিনি কথা বলেছেন। এরা কারা? জনগণের সঙ্গে এদের সম্পর্ক কতটুকু? এর আগে এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল সম্পর্কিত পররাষ্ট্রবিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান স্টিভ স্যাবট। স্মরণ থাকার কথা, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মজিনা বাংলাদেশের বিষয়ে আলোচনার জন্য নয়া দিলি্ল গিয়েছিলেন। নয়া দিলি্ল থেকেই তিনি উড়ে গিয়েছিলেন ওয়াশিংটনে। এখন আবার ঢাকায়। তার ঢাকায় ফিরে আসার পর এলেন নিশা দেশাই।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিদেশিদের এই হস্তক্ষেপ বিদেশে আমাদের ভাবমূর্তি যথেষ্ট নষ্ট করেছে। আমাদের যে অর্জন সেই অর্জন নষ্ট হতে চলেছে শুধু একটি সমঝোতার অভাবে। সরকারি দল এরই মধ্যে আগামী নির্বাচনে যারা প্রার্থী হবেন, তাদের মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু করে দিয়েছে। কারা কারা প্রার্থী হতে চাচ্ছেন তার একটি তালিকাও পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হচ্ছে। ভাবখানা এই, নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে একবার হলেও সংসদে যেতে চাই! সরকারি দল বাদে অন্য কোনো দলের কোনো তৎপরতা নেই। জাতীয় পার্টিও আছে মহা ফ্যাসাদে। দল স্পষ্টতই দুই ভাগে বিভক্ত। এক দল চাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারে যোগ দিয়ে এবং সেই সঙ্গে মহাজোটে থাকতে। আরেক অংশ চাচ্ছে তৃতীয় একটি ফ্রন্ট গঠন করতে। এ অংশ সংসদে বিএনপির অবর্তমানে বিরোধী দলের ভূমিকায় রাজি। তৃতীয় একটি ফ্রন্টের ঘোষণা দিয়েছিলেন স্বয়ং কাজী জাফর আহমদ, একসময়ের প্রধানমন্ত্রী। টাঙ্গাইলের সখীপুরে একমঞ্চে বি. চৌধুরী আর কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গেও বক্তৃতা করলেন। কিন্তু ওই পর্যন্তই। তিনি নিজেই এখন নেই। স্বয়ং কাদের সিদ্দিকীই এরশাদকে বললেন আগে মহাজোট সরকার থেকে বেরিয়ে আসতে। সমস্যা এখানেই। এরশাদ সব কিছুই বোঝেন। দুই নৌকায় পা রাখতে চান তিনি। বার বার বলে আসছেন মহাজোট থেকে তিনি নির্বাচন করবেন না, আর বিএনপি না গেলে ওই নির্বাচনের কোনো গ্রহণযোগ্যতাও থাকবে না। কিন্তু এরশাদ বলে কথা! তিনি কথা রাখতে পারলেন না। শেষ মুহূর্তে নির্বাচনে যাবেন। তবে সমস্যা তার জন্য একটি_ মহাজোট থেকে মন্ত্রিত্ব নিশ্চিত করা নাকি দশম সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করা।
এটা তখন স্পষ্ট, বিদেশি দাতারা যা-ই বলুক, নিশা দেশাই ঢাকায় এসে যে কথাই বলে যান না কেন, একটি নির্বাচন হবে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে। আর বিএনপি তথা ১৮ দল যত কথাই বলুক, তারা ওই নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না। নির্বাচন হবে। ১৮ দল নির্বাচন বয়কট করবে। সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য দল বা লোকের অভাব হবে না। আমরা ১৯৮৬ সালের পুনরাবৃত্তিই দেখতে পাব আরেকবার। কিন্তু তারপর কী? দেশ কি এভাবেই চলবে? রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে আমার কাছে এটা স্পষ্ট, যে কোনো ফর্মেই হোক একটি নির্বাচন এখন হবে। তবে তা বিএনপির দাবি অনুযায়ী কোনো অবস্থাতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আওতায় নয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হবে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর। ওই আলোচনায় বিএনপি যোগ দেবে এবং একটি নির্বাচনকালীন সরকারের আওতায় বাংলাদেশে একাদশতম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে এর আগেই দশম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বর্তমান কাঠামোয়। প্রধানমন্ত্রী আবারো 'নির্বাচিত' হবেন। আর ওই সরকার ক্ষমতায় থাকবে নূ্যনতম দুই বছর।
বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা আমাদের একধরনের স্থিতিশীলতা দিয়েছিল। পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম ও নবমম সংসদ নির্বাচন বিতর্কমুক্ত ছিল এবং বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্যতাও পেয়েছিল। এখন আমরা আবার সেই পুরনো বৃত্তে ফিরে গেলাম। এক পক্ষ কর্তৃক অন্য পক্ষকে সহ্য না করার মানসিকতা, ব্যক্তিপ্রতিহিংসা, ক্ষমতা ধরে রাখার নানা অপকৌশল, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য সহিংসতার আশ্রয়_ বাংলাদেশের রাজনীতির এই যে চিত্র, এ চিত্র বদলে দিতে না পারলে এ জাতির ভবিষ্যৎ অন্ধকার। প্রায় ১৬ কোটি মানুষের এ দেশটির একটি সম্ভাবনা আছে। এখন এ দেশের রাজনীতিবিদদেরই এ সম্ভাবনাকে নিশ্চিত করতে হবে। আমরা চাই শুভবুদ্ধির উদয় হবে। আমরা চাই আমাদের রাজনীতিবিদরা আমাদের স্থিতিশীলতা উপহার দেবেন। এ জাতি তো বার বার তাদের দিকেই তাকিয়েছে। পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা স্থাপনটা জরুরি। আর সেই সঙ্গে প্রয়োজন দোষারোপের রাজনীতি থেকে নিজেদের গুটিয়ে নেয়া। তা হলেই দেশে একটি সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে উঠবে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, সেই সংস্কৃতি আমরা গড়ে তুলতে পারিনি। অথচ এরই মধ্যে আমরা ৪২ বছর পার করেছি। সময়টা তো একেবারে কম নয়। একটা জাতি তো এই সময় কম উন্নত করে না। আমরা মালয়েশিয়া কিংবা সিঙ্গাপুরের দৃষ্টান্ত দিই। এ দুটো দেশের গণতন্ত্রচর্চা নিয়ে প্রশ্ন আছে। কিন্তু একটা প্রশ্নে কারো কোনো দ্বিমত নেই আর তা হলো এ দুটি দেশের জাতীয় নেতারা দেশ দুটোকে শুধু একধরনের স্থিতিশীলতাই উপহার দেননি, বরং অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি মডেল হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন। ইতিহাস খুব বেশি দিনের কথা নয়। একসময় সিঙ্গাপুর ছিল জেলেপাড়া। মাছ শিকার ছিল তাদের পেশা। আর আজ সেই সিঙ্গাপুর কোথায়? আর মালয়েশিয়া? বিশ-পঁচিশ বছর আগেও মালয়েশিয়াকে কেউ চিনত না। আর এখন মালয়েশিয়া উঠতি অর্থনৈতিক শক্তি। সিঙ্গাপুর আর মালয়েশিয়ার এই যে অবদান এটা সম্ভব হয়েছে সে দেশের নেতাদের দূরদর্শিতা, দুর্নীতিমুক্ত একটি সমাজ, সুশাসন নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে। লি কুয়ান ইউ কিংবা মাহাথির মুহাম্মদ যে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি সেখানে বিনির্মাণ করেছিলেন, সেখানে রাজনীতির চেয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে প্রাধান্য দিয়েছিলেন বেশি। সিঙ্গাপুরের নিজস্ব কোনো প্রাকৃতিক সম্পদ নেই। অথচ শুধু ব্যবসা করে, অন্যের সম্পদ ব্যবহার করে, প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটিয়ে সিঙ্গাপুর আজ একটি উঠতি অর্থনৈতিক শক্তি। সিঙ্গাপুরকে বলা হয় 'ভার্চুয়াল স্টেট'। শুধু আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মুহূর্তের মধ্যে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার আদান-প্রদানের ব্যবস্থা করে সিঙ্গাপুর আজ বিশ্বে এক অনন্য স্থান স্থাপন করেছে। সিঙ্গাপুরের রাজনীতিবিদরা শিক্ষিত। স্কুল থেকেই বাচ্চাদের আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তিগত শিক্ষার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট যে বেতন পান, আমেরিকার প্রেসিডেন্টের চেয়ে তা পাঁচ গুণ বেশি। সিঙ্গাপুর এটা সম্ভব করেছে। সেখানে দুর্নীতি একরকম নেই বললেই চলে। আর মালয়েশিয়ার দৃষ্টান্তও এর থেকে পার্থক্য নয়। সুশাসন সেখানে নিশ্চিত হয়েছে। রাজনীতির চেয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি তাদের কাছে অন্যতম অগ্রাধিকার। কিন্তু বাংলাদেশে ঘটেছে উল্টোটি। দুর্নীতি আজ রন্ধ্রে রন্ধ্রে। এমন কোনো সেক্টর নেই, যেখানে দুর্নীতি 'খুঁজে' পাওয়া যাবে না। আর দুঃখজনক হলেও সত্য, প্রতিটি ক্ষেত্রে দুর্নীতিকে ধামাচাপা দেয়ার প্রবণতা আজ খুব বেশি স্পষ্ট। দুদক নিয়ে যে প্রত্যাশা সৃষ্টি হয়েছিল, সে প্রত্যাশা আজ ফিকে হয়ে গেছে।
মূল বিষয় একটি_ রাজনীতিবিদদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে। আস্থার সম্পর্ক যদি তারা গড়ে তুলতে না পারেন, তাহলে তারানকোর মতো ব্যক্তিত্ব হাজার বার বাংলাদেশ সফর করলেও কোনো সমাধান তিনি দিতে পারবেন না। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সংবিধানের আওতায়ই সমাধান হতে হবে। এর অর্থ পরিষ্কার। তিনি ছাড় দিতে নারাজ। এই যদি পরিস্থিতি হয়, তাহলে আগামী ৫ জানুয়ারি কীভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হবে এটা নিয়ে প্রশ্ন থাকবেই। এই ডিসেম্বর বিজয়ের মাস। এ বিজয়ের মাসে যদি আমরা লাগাতার হরতাল ও অবরোধ প্রত্যক্ষ করি, তাহলে এর চেয়ে দুঃখজনক আর কিছু থাকতে পারে না।
0 comments:
Post a Comment